ফটোগ্রাফি পোস্ট
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি,
আমার আবাসিক এলাকার কিছু ফটোগ্রাফি। আমি
আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারে বসবাস করি।তবে আমার পরিবার সবসময় এখানে থাকলেও আমাকে পড়াশুনার জন্য হোস্টেল ও বাসা দুটো মিলিয়ে ই থাকতে হয়।
খুব বেশি দূরে নয় বিদায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলো তে সাধারণত আমি আমার কেম্পাসেই থাকি। ছোট থেকে বড় হয়েছি এই ফার্টিলাইজারে। তাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্থান বলতে আমার কাছে, আমার এই প্রাণের ক্যাম্পাস।
আমি সময় সুযোগ পেলেই শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত স্থান গুলোর ছবি তোলে রাখি। তাছাড়া কোন কারনে ঘুরতে বের হলেও বিভিন্ন স্থানের ছবি মেঠোফুনে ধারণ করে রাখি।
এই জায়গাটি হলো আমার বাসার ঠিক সামনের রাস্তা
যখন এক দু'পা করে হাঁটতে শিখেছি তখন বাবা আমাকে, আমার কোমল হাত দুটো ধরে প্রায় প্রতি দিন সকালে ও বিকালে হাঁটা শিখিয়েছেন।এখনো অব্দি হেঁটেই চলছি এই রাস্তা টি দিয়ে।
দুটো শালিক মনের আনন্দে হাঁটছে |
---|
আমি যখন হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতাম তখন বাবা না কি দৌড়ে গিয়ে কোলে ছড়িয়ে নিতো,আর বার বার বলতো খুব লেগেছে মা, বেশি ব্যথা পেয়েছ বুঝি। তাঁর অস্থিরতা
দেখে মনে হতো ব্যথাটা তার হৃদয়ে গিয়ে লেগেছে। সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালোবাসা এমন ই হয়।
এই যে ছোট্ট একটি ঘর দেখতে পাচ্ছেন,তা হলো আমাদের হসপিটালের পিছনের রাস্তা।এই রাস্তায় বসে কত যে গল্প করতাম, বান্ধবীরা মিলে।যখন স্কুল ছুটি হতো, সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে, তারপর যে যার মতো করে বাসায় চলে যেতাম। যেহেতু কেম্পাসের ভিতরেই
আমাদের স্কুল ও কলেজ তাই পায়ে হেঁটে ই স্কুলে যেতাম দল বেঁধে।
বড় আপু ভাইয়ারা ও যেতো আমাদের সাথে।কি যে মজা হতো,বলে প্রকাশ করতে পারবনা। সবার পেটের জমানো কথা শেয়ার করতাম আর দলবেঁধে স্কুলে যেতাম। আমাদের মধ্যে একটা আন্তরিকতার ছিল।
মন খোলে কথা বলতাম, একে অপরের সাথে।এখন
খুব একটা দেখা যায় না এমন দৃশ্য। বেশির ভাগ ছেলে মেয়েরা ই তাদের অভিভাবকের সাথে স্কুলে আসা -যাওয়া করে।তারা তাদের সন্তানদের হাত ছাড়তে চায় না।
কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ও একে অপরের সাথে শেয়ার করার সুযোগ নেই তাদের। পাশে বাবা বা মা দাঁড়িয়ে থাকেন।আর বলতে থাকে তাড়াতাড়ি শেষ করো কথা।বাসায় অনেক কাজ ফেলে এসেছি, গিয়ে
করতে হবে এসব কাজ।মূলত বর্তমানে অভিভাবকরা
তাদের সন্তানদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে।এর ফলশ্রুতিতে ই তাঁদের মধ্যে এক ধরনের ডিপ্রেশন কাজ করছে।যা তরুনদের জন্য হুমকি স্বরূপ।
এখন যে ফটোগ্রাফি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি তা হলো আমাদের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের পিছনের রাস্তা।স্টোর থেকে কোন কিছু কিনে এখানে বসেই সবাই মিলে খেতাম। পাশে ই ছিল শিশু পার্ক।এখন একেবারে বেহাল দশা হয়েগেছে র্পাকটির। দেশের প্রায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের অবস্থায় বেশ নাজুক।
আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা অনেক গুলো শিল্প প্রতিষ্ঠান। তাই কোন কিছু মেরামতের জন্য খুব একটা
তৎপরতা নেই বললেই চলে।আরো অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে আমার প্রাণের ক্যাম্পাসে।
তা না হয় অন্য একটি ব্লগে শেয়ার করার চেষ্টা করব বন্ধুরা।
আজ এই পর্যন্তই থাক। সবার কাছে আমার প্রাণের ক্যাম্পাসের ফটোগ্রাফি গুলো কেমন লাগলো তা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন কিন্তূ বন্ধুরা।
প্রকৃতির মাঝে কত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। সেটা হয়তোবা আমরা একটু খুঁজতে গেলে অনেক বেশি পেয়ে যায়। আমার যখন মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়, তখন আমি প্রকৃতির সাথে কিছুটা সময় কাটানোর চেষ্টা করি। আপনিও দেখছি ঠিক তেমন একটু সুযোগ পেলেই, নিজের চেনা পরিচিত রাস্তা গুলো দিয়ে একা একা হাঁটতে থাকেন।
আমিও কালকে আমাদের গ্রামে বের হয়েছিলাম।হাঁটার জন্য আসলে চেনা পরিচিত রাস্তাগুলোর অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আগে যে পথ দিয়ে হেঁটে স্কুলে যেতাম সেই পথের পরিবর্তন হয়েছে। বিষয়টা অবশ্যই দেখে ভালো লাগছে, কারণ গ্রামের পরিবর্তন হলে গ্রামে থাকা মানুষ, একটু সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারবে এটাই স্বাভাবিক।
গ্রাম অঞ্চলে যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো অবস্থিত সেগুলো এখন প্রায় বিলুপ্ত দেখাই যায় না। আসলে এই বিষয়টা খুব খারাপ লাগে। আপনি কিছু ফটোগ্রাফি এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত, আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।
হে আপু আমাদের প্রায় সব শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে। দোয়া করবেন আপু।কখন যে আমাদের টা বন্ধের নির্দেশ আসে বলা মুশকিল।জ্বী আপু অনেক ভালো লাগে চিনা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
এই সুন্দর পৃথিবীতে সুন্দর সুন্দর জায়গা থাকলেও আমাদের প্রতিটি মানুষেরই নিজস্ব পছন্দের একটি জায়গা তো অবশ্যই থাকে। আর আপনার সেই পছন্দের জায়গাটা কিছু অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
যেটা দেখে এবং আপনার পোস্ট পড়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনি বলেছেন আপনার প্রাণ এই জায়গাটা ছোটবেলা আপনি হাঁটতে শিখেছেন আপনার বাবা আপনাকে এখানে এনে হাঁটা শিখিয়েছে।
এছাড়া আপনি এখানে পড়ালেখা করেছেন আপনার প্রাণের ক্যাম্পাস সম্পর্কে আমাদের অনেক তথ্য দিয়েছেন। সত্যি আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে ধন্যবাদ সুন্দর ঘটনা শেয়ার করার জন্য এবং আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।হে আপু প্রিয় জন্মভূমি, জন্মস্থান সবসময় প্রিয়। এর সাথে কোন জায়গার তুলনা হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
Welcome 🤗
আমাদের শৈশব যেখানে কাটে এটি জীবনের অন্যতম প্রিয় জায়গা হয়ে যায়। এটা আমার মনে হয় মোটামুটি সবার ক্ষেত্রে হয়। আপনার শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত পুরোটা সময় যেহেতু এই জায়গায় কাটিয়েছেন এই জায়গায় প্রতি আপনার একটি আলাদা মায়া হয়ে গেছে
যেটা আপনার লেখনীতে খুব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।আর ফটোগ্রাফিও খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।হে অনেক পছন্দের একটি জায়গা আমার জন্য। আমার মনে হয় সবার কাছে ই জন্মস্থান প্রিয় একটি জায়গা। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময় আপু।
আপনার পছন্দের জায়গা গুলো তো দেখতেছি বেশ সুন্দর এবং ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ৷ ফটোগ্রাফি পাশাপাশি প্রতিটি ছবির বর্ণনা তুলে ধরেছেন যেটা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন ,,,
হে ভাইয়া অনেক সুন্দর দেখতে।সময় সুযোগ পেলেই দেখতে আসবেন।সার কিভাবে তৈরি হয় তাও দেখে যেতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে তা জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো।
সন্তানের প্রতি বিশেষ করে প্রথম সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের একটু ভালোবাসা বেশি থাকে। যেখানে বড় হয় মানুষের ওই জায়গার প্রতি আলাদা টান থাকে। আপনার শৈশবের বন্ধুদের সাথে মনের কথা বলার সেই স্মৃতি কথা পড়ে আমার নিজের কথা মনে পড়ে গেল স্কুল শেষে বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে বাড়িতে আস। আপনি ঠিক বলেছেন এখন দপশের প্রায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ হতে চলছে শ্রমিকদের বেতন ঠিক মত না দেওয়ায় তারা কাজে আসে না তারপর ঋনের বোঝা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়ে এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।হে ভাইয়া আমার প্রতি আমার বাবার ভালোবাসাএকটু বেশি।বড় মেয়ে বলে।কি যেন তবে অন্যদের তুলনায় একটু বেশি।হে আপনি ঠিক ই বলেছেন।সব শিল্প কারখানা একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের
কারখানা ও বন্ধের পথে।গ্যাস সংকটের জন্য চালাতে পারছেনা। দোয়া করবেন আল্লাহ পাক যানে ভাগ্যে কি আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের এলাকাটা অনেক সুন্দর আমি পোস্ট এর ভিতরের ফটো গুলো দেখে বুঝতে পারলাম। বিশেষ করে রাস্তা গুলো অনেক সুন্দর একদম শান্ত পরিবেশের। আমাদের সাথে আপনার এলাকার কিছু জায়গার ফটো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।আর আমি আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে।
হে খুব নিড়িবিল পরিবেশ।ঢাকা বা অন্য কোন জায়গা থেকে কেউ আসলে খুব পছন্দ করে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আমার এলাকা টা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো।
আপনাদের ক্যাম্পাসটা সত্যিই খুব সুন্দর আর আপনি ছবিগুলোও খুব ভালো তুলেছেন, তবে শালিক পাখি দুটোর ছবি যদি আরেকটু জুম করে তুলতেন, তাহলে আরো ভালো হতো।
এখনকার দিনে ছেলে মেয়েরা কথা বলবে কি? তারা মোবাইল নিয়েই মগ্ন থাকে। এমনকি আমি এমনও দেখেছি পাশাপাশি তিন চারজন বন্ধু বসে রয়েছে, কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা করছে না। তারা যে যার মোবাইলে মগ্ন! কি আর করা যাবে? নতুন যুগ, নতুন চিন্তাভাবনা।
হে আপনি ঠিক বলেছেন।ওরা খুব বেশি পরিমাণে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে।এক সাথে থাকে ফিজিক্যালি বাট মনে পড়ে থাকে মোবাইলে। তাই একসাথে দলবেঁধে থাকলেও কোন প্রকার আলাপচারিতা নেই বললেই চলে। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য টি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি সেই ক্যাম্পাসে অনেকদিন থেকে রয়েছেন এবং আপনার শ্রেষ্ঠ স্থান মনে হয় সেটি। আসলে সন্তানেরা ব্যথা পেলে সেই ব্যথায় মা-বাবা ব্যতীত হয়। তাদের ভালোবাসা এরকমই। আপনি আপনার ক্যাম্পাসের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। যেখানে আপনারা আড্ডা দিচ্ছেন, ঘুরে বেড়াতেন।
সুন্দরভাবে পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই সন্তানের ব্যথা পিতা মাতার হৃদয়ে দাগ কেটে। তাই তারা তাদের ব্যথার নিজেরা ব্যথিত হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের যে জায়গায় অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে সেই জায়গায় আমরা যদি কখনো চলাফেরা বা ঘুরতে যায় তখন মনে পড়ে যায় আমাদের সেই স্মৃতির কথা মনে পড়ে যায় সেই পুরাতন কথা। ঠিক আপনারও আজ সেই স্কুল জীবনের কথা গুলো মনে পড়ে গেলো স্কুল ছুটি হতো সবাই আড্ডা দিতেন এই রাস্তায় বসে আপনারা বান্ধবীরা মিলে কত গল্প করতেন সবকিছু আজ মনে পড়ে গেলো।
আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।হে ভাইয়া আমার এলাকাটা অনেকেই খুব পছন্দ করে।সময় করে আসবেন ঘুরতে।