মেহেদী দিতে গিয়ে বিড়ম্বনা
![]() |
---|
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা |
---|
পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্তমিত যাওয়ার
সাথে সাথে ই আমাদের জীবন থেকে একটি দিন বিদায় নিয়ে নেয়,সেটি কি খেয়াল করেছেন বন্ধুরা। প্রতিদিন সূর্য উঠার মানেই হলো আপনাদের জীবন থেকে একটি দিন কমে যাওয়া।তা কিন্তূ আমরা সংসার জীবনের ঘূর্ণিপাকে ঘুড়তে গিয়ে ভুলেই যাই।বা সেভাবে ভাবি ও না আমরা।যত দিন যাচ্ছে ততই সংকীর্ণ হয়ে আসছে আমাদের জীবন।
খেলার ছলেই হয়তো বা এক দিন জীবন প্রদীপ নিভে যাবে । তাই যে যাই করি ভালো ও মন্দ মধ্যে ফারাক
রেখেই যেন করি।বেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমাদের খেলা ও শেষ হয়ে যাবে।সে দিকে খেয়াল রেখে ই আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
![]() |
---|
![]() |
---|
তো এখন আসি কী বিলম্বনায় পড়েছিলাম আজ মেহেদী দিতে গিয়ে। মেহেদী পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে।একটা সময় ছিল যে, আমার হাতের মেহেদী চলে যাওয়ার সাথে সাথেই আবার নতুন করে
মেহেদী হাতে দিয়ে ফেলতাম।
এখন আগের মতো সখ ও নেই আবার সময় সুযোগ ও
তেমন একটা নেই।এতো ফাস্ট হয়েগিয়েছি আমরা মনের খোরাক যোগাতে তেমন একটা ইচ্ছুক নই আমরা।চলছে তো চলুন না,এতো ভাবার কি আছে,
ভেবে ই বা তেমন কি হবে। এমন টাই বলি আমরা।
সত্যি বলছি তো বন্ধুরা।এক দম ই তাই। সাধারণত আমরা এ কথা গুলো ই বলে থাকি। আসলে জীবন তো একটাই তাকে যদি প্রতিটা জিনিসের স্বাদ,গন্ধ ও সৌন্দর্য বুঝতে না দেই তাহলে একটা সময় সে আর উপভোগ করার সুযোগ ই পাবে না। তাই জীবন কে উপভোগ করতে হবে।
![]() |
---|
এখন বলি মেহেদী নিয়ে।আজ বিকেলে হাতে মেহেদি
দিতে গিয়ে হঠাৎ মনে হলো,এই মেহেদী নিয়ে ও তো
একটি টিউটোরিয়ালের মতো করে পোস্ট লিখতে পারি। সেভাবে ই প্রস্তূতি ও নিয়েছি। কিন্তূ যখন ই হাতে দিতে নিয়েছি। এমনি শুরু হলো বিরম্বনা। আমার শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ও মেহেদী বের করতে পারছিনা।অনেক কষ্টে অল্প একটু দেওয়া পর, ভাবলাম মেহেদী বের করে নারকেলের শলা দিয়ে দিব।তবুও হাল ছাড়বো না , ছোট বেলায় গাছ থেকে মেহেদী পেরে শিল পাটায় বেটে হাতে ও পায়ের নখে দিতাম।আবার মেহেদীর রং যাতে টকটকে লাল রঙের হয়, সেইজন্য আগে হাতের নখে চূন ও সাবান একসাথে মিশিয়ে দিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিতাম ,যখন দেখতাম শুকিয়ে গেছে,তখন উপর থেকে ফেলে দিতাম চুন ও সাবানের মিশ্রন টি। তারপর মেহেদী দিতাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
রাতে শুয়ার আগে মেহেদী দিতাম শলা দিয়ে,আর এই মেহেদী পড়া হাত নিয়েই শুয়ে পড়তাম,হাতের ও পায়ের মেহেদী বিছানায় বা বালিশের কভারে লাগলে,মায়ের হাতের মাইর একটাও মাটিতে পড়তো না বন্ধুরা। মেহেদী রং গাঢ় করার জন্য, মায়ের হাতের
মাইন খাওয়া কোন ব্যাপার ই না,মাইর গেয়েছি তো কি হয়েছে। তাই বলে কি বসে থাকব। খুঁজে বের করতাম, নারকেল তেল বা সরিষার তেল।হাত ধুয়ে তেল দিলে মেহেদীর রং আরো টকটকে লাল রঙের দেখায়।
![]() |
---|
![]() |
---|
যাইহোক এই মেহেদীর গল্প টি শেয়ার করার জন্য ই মূলত টিউব মেহেদী টি কিনে এনেছিলাম। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সব বদলে গেলেও আমাদের শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলো কে কোন ভাবেই ভূলা যায় না।আজ তো আর হলো না,তবে অন্য কোন দিন মেহেদীর টিউটোরিয়াল নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ।
সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সর্বপরি মনের যত্ন নিবেন বন্ধুরা।
আপনি আপনার লেখায় খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছেন।আমাদের প্রতিটা সময়কে অবশ্যই উপভোগ করা উচিৎ। আপনি মেহেদী পরতে ভালোবাসেন। আজ মেহেদী পরতে গিয়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়েছে।আসলে এই স্মৃতি গুলোই আমাদের অর্জন মনে করি আমি।যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হে বিরাট অর্জন। আমাদের ভালো রাখার হাতিয়ার হলো আমাদের শৈশবের মধুময় স্মৃতি।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য টি। আমি ও খুব মিস করি সেই ছোট্ট বেলার কথা। ধন্যবাদ আপনাকে অতীত কে ধরেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। ভালো থাকবেন সবসময়।
আজকের আপনার পোষ্টের মাধ্যমে হাতে মেহেদি দেওয়ার দৃশ্য দেখে আসলে অনেক ভালো লাগলো। এবং আপনি ঠিক কথা বলেছেন ছোটবেলায় আমরা গাছ থেকে মেহেদী পেরে শিল পাটায় বেটে হাতে দিতাম। আসলে সত্য কথা বলতে মেহেদী আমি খুব কম হাতে দিয়েছি কিন্তু আমার বাড়ির পাশে কিছু বোন আছে তাদেরকে আমি মেহেদী হাতে এবং পায়ে দিতে অনেকবার দেখেছি।
এবং ঈদের সময় আমাদের গ্রামে ছোট ছোট ভাই বোনেরা সব এক জায়গায় হয়ে মেহেদী দিতে আসে তখন অনেক মজা আনন্দ আমরা করে থাকতাম।
যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকে পোস্টটি পরিদর্শন করতে পারে ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি পড়ে এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।আমরা ও ছোট বেলায় শিল পাটায় বেটে মেহেদী হাতে দিতাম সাথে মেহেদী সাথে পান খাওয়ার খয়ের দিতাম যাতে রং গাঢ় হয়। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য টি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেহেদী বের না হওয়ার কারনে আপনি সমস্যায় পরে সিদ্ধান্ত নেন যে নারিকেল পাতার শলা দিয়ে হলেও মেহেদী পরবেন আর এটা করতে গিয়ে আপনার ছোটবেলার বিভিন্ন স্মৃতি মনে পরে যায়। আপনার মেহেদী পরা নিয়ে টিউটোরিয়াল এর অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।হে অবশ্যই অতিশীঘ্রই আসব। টিউটোরিয়াল নিয়ে। ভালো থাকবেন সবসময় আপু।
আপনার হাতের মেহেদীটা কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার লেখা পড়ে আমি বুঝতে পেরেছি যে আপনার মেহেদী করার সম্বন্ধে যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে। আমাদের এখানে আবার মেহেদী করার অত চল নেই, শুধু বিয়ে বাড়ি টাইপের কোনো অনুষ্ঠানে অনেকে হাতে মেহেদী করে। আর কোথাও মেলা বসলে অনেক কম বয়সী মেয়েরা সেখানে গিয়ে হাতে মেহেদী করে আসে। অবশ্যই আপনি মেহেদী করা নিয়ে একটা টিউটোরিয়াল পোস্ট করুন, কারণ এই ব্যাপারে আপনি একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ মানুষ।
ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত করার জন্য।হে সময় সুযোগ পেলেই একটি টিউটোরিয়াল করব মেহেদী নিয়ে। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য টি।
আমি প্রথমেই বলি আপনার হাতে মেহেদীর ডিজাইনটি বেশি ভালো হয়নি কিন্তু একদম খারাপ না চলে। আমি আগে ঈদের আগের দিন রাতে মেহেদী দিতাম আর এখন সেটাও দেওয়া হয় না।আপনি হাতে মেহেদী দিয়েছেন আর তা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে।
হে ভাইয়া মোটেও ভালো হয়নি।শলা দিয়ে দিয়েছি তো। কিন্তূ ছোট বেলায় তো গাছের মেহেদী এই শলা দিয়েই দিতাম। খুব সুন্দর হতো।
আমার মনে হয় এই টিউব মেহেদী র মধ্যে কি যেন একটা ক্যামিকেল দেয়, তারজন্য শলার মধ্যে লাগতে চায়না। ধন্যবাদ আপনাকে। মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মেহেদি লাগানো দেখে সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, ছোটবেলায় যখন মেহেদি লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম সকালে উঠে দেখতাম বিছানা বালিশ লালে লাল হয়ে গিয়েছে। তখন তো মা অনেক বকাবকি করত, এবং বলতো তোর হাতের চাইতে বিছানা ও বালিশ বেশি লাল হয়েছে।
যাক আপনার মেহেদি লাগানো থেকে ছোটবেলার কথাটা স্মরণ হয়ে গেল।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আসলেই, মায়ের বকা তো মাস্ট ।তবে এই বকার
মধ্যে একটা ভালো লাগা ছিল। এখন এই বকাকেও খুব মিস করি।মায়ের সব কিছুই মিস করি। ধন্যবাদ আপনাকে। খুব ভালো লাগলো আপনার ছোট বেলার স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলোর কথা শুনে। ভালো থাকবেন সবসময় ভাইয়া।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনার মত করেই আমারও মেহেদী খুব পছন্দ ছিল। হাতের মেহেদী রং শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই আবার মেহেদী হাতে দেয়ার চেষ্টা করতাম। আসলে শীতের সময় মেহেদি দিতে অনেক বেশি কষ্ট হতো। কেননা রাতের বেলায় মেহেদি দিয়ে হাত কম্বলের বাহিরে রেখে দিতে হতো। ওই হাত অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে যেত। ওই দিনটার কথা আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে মনে পড়ে গেল।
আমার মা কখনো আমাকে মারেনি মেহেদী দেয়ার জন্য। কিন্তু যখন দেখতে যে আমি সঠিকভাবে মেহেদী পরার পর রং হয়নি। তখন অনেক বকা দিত আর হাতে সরিষার তেল লাগিয়ে দিত। আজকে আপনি মেহেদি পড়তে গিয়ে অনেক বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন। আপনার হাতে দেয়া মেহেদি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে এবং কালারটা অনেক বেশি গাঢ় হয়েছে। মেহেদি দেওয়া নিয়ে আপনার গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হা হা হা হে আপনি ঠিক ই বলেছেন। হাত বাহিরে রেখে ও শেষ রক্ষা হতো না গভীর ঘুমের মধ্যে কখন যে হাতের মেহেদী লেপের ও বালিশের কাভারে লেগে যেও আর কেও পেতাম না। তাই বলে কি আর মেহেদী দিয়ে হাত রাঙানো বন্ধ ছিল মোটেও না।কী মধুময় না ছিল আমাদের শৈশব। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য টি। ধন্যবাদ আপনাকে।
সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবনের সময়ও শেষ হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। দুনিয়ার বিভিন্ন কাজকর্মী আমরা সেটা হয়তোবা কেউ বেশি একটা মনে রাখি না।
আপনি মেহেদী দেয়া নিয়ে অনেক বড় যুদ্ধ করেছেন। বয়সের সাথে সাথে এই সবগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যায়। ছোটবেলায় ঈদ আসলেই মেহেদী দেয়ার হিরিক পড়ে যেত। আর এখন সেগুলো আর ভালো লাগেনা।
যাইহোক সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হে আপনি ঠিক বলেছেন বয়সের সাথে সাথে সব কিছু ই বদলে যায়। এখন আর আগের মতো ভালো লাগে না । শুধু মেহেদী না এমন অনেক কিছুই আছে যে আগের মতো করতে উৎসাহ লাগে না। ধন্যবাদ আপনাকে। মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন।
প্রথমে আপনাকে বলতে চাই আপনার না হাতের মেহেদি পরাটা বেশ সুন্দর হয়েছে। কারণ আমি তো মেহেদি পড়তে পারি না তার জন্য আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে আপনার মেহেদি পরাটা। তবে আপনি যেটা করলেন মেহেদির না বের হওয়ার কারণে নারিকেলের পাতা শলা দিয়ে বের করে লাগিয়ে নিলেন। আপনার মতোন এরকম করেছি আমরা ছোটবেলায়। থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তাই, জেনে ভালো লাগলো আমার মেহেদী পড়া টা আপনার ভালো লেগেছে।শলা দিয়ে দিয়েছি
তাই, খুব বেশি নিখুঁত ভাবে দিতে পারিনি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।