ভেজিটেবল পাকোড়া রেসিপি
![]() |
---|
ভেজিটেবল পাকোড়া |
---|
হ্যালো বন্ধুরা |
---|
একটি ভিন্নধর্মী পোষ্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি বন্ধরা। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে মনস্থির করেছি একটি বিকেলের নাস্তা রেসিপি। তবে এই রেসিপিটি আমি আজকে তৈরি করিনি শীতের সময় বানিয়েছিলাম। কিছু ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করব বলে ভাবছিলাম একেবারে গ্যালারি ফুল হয়ে গিয়েছে ।তাই ছবিগুলো চোখে পড়ল ভাবল আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলি।
এই ভেজিটেবল পাকোড়া টা তে একেবারে অল্প উপকরণ ব্যবহার করেছিলাম এবং বাসার মধ্যেই সচরাচর যেগুলা থাকে সেই উপকরণগুলো দিয়েই এই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছিলাম। তবে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল এবং সবাই খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিল।
আর কাল বিলম্ব না করে, এখন মূল পর্বে চলে যাই। এই রেসিপিতে যে সমস্ত উপকরণ ব্যবহার করেছি তা এখন বর্ণনা করছি।
উপকরণ ও | পরিমাণ |
---|---|
ফুলকপি | ২-৩ পিস |
আলু মাঝারি সাইজের | দুই তিনটা |
ডিম | একটি |
হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
লবণ | অল্প পরিমাণে |
পানি | পরিমান মত |
বেসন | অল্প পরিমাণে |
পেঁয়াজ | তিন চারটা |
কাঁচা মরিচ কুচি | পরিমাণ মতো |
ধনেপাতা কুচি | পরিমাণ মতো |
আদা ও রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
![]() |
---|
প্রস্তুত প্রণালী |
---|
প্রথমে সবগুলো উপকরণ গুছিয়ে নিয়েছি এবং কোনটা কি পরিমাণে দিব তা পরিমাণ মতো সাজিয়ে হাতের কাছে রেখে দিয়েছি, যাতে করে বানানোর সময় খুব একটা সময় ব্যয় না হয়। তারপর প্রথমে যে কাজটি করেছি তা হলো আলু এবং ফুলকপি যতটুকু লাগবে তা নিয়ে নিয়েছি, সাথে সবগুলো উপকরণই সামনে গুছিয়ে রেখেছি। |
---|
প্রথম ধাপ |
---|
আলু আর ফুলকপি গুলোকে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। যেহেতু পাকোড়া বানাবো বেশি মোটা করে কাটলে সিদ্ধ হতে বেশি পরিমাণে সময়ে লাগবে। আবার অনেক সময় ভিতরে কাঁচা থাকে , আর ভিতরে কাঁচা থাকলে,মুচমুচে ভাবটা আসবে না এর ফলে খেতেও ভালো লাগে না। কারণ হলো পাকড়া টা একটু মচমচে না হলে খেতে ভালো লাগে না। যেই খাবারের যেই ধরণ ও ঐ রকম না হলে দেখতে ভালো লাগে না, খেতেও ভালো লাগে না।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
![]() |
---|
দ্বিতীয় ধাপে এসে সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি নরম ডো তৈরি করে নিয়েছি । যাতে করে আলু এবং ফুল কপিটা ডুবা তেলে ভাজলে সিদ্ধ হয়ে যায়। একটু পাতলা ডো ইচ্ছে করেই করেছি। ডো টা পাতলা না হলে উপর দিয়ে ভাজা হয়ে যাবে কিন্তু ভিতর দিয়ে কাঁচা থাকবে। যা একেবারেই খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যাবে।
তৃতীয় ধাপ |
---|
এই পর্যায়ে পাকড়া গুলোকে ডুবা তেলে মচমচে করে ভেজে নিয়েছি একটু সময় নিয়ে ভেজেছি এবং চুলার আঁচটা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছি যাতে করে ভিতর থেকে খুব ভালোমতো সিদ্ধ হয়ে যায় , উপর দিয়েও একটু লালচে আকার ধারণ করে এবং মচমচে লাগে খেতে।
![]() |
---|
![]() |
---|
এরপর সবগুলো পাকোড়া ভেজে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি সাথে সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করেছি পরিবারের সদস্যদের সাথে। আমার বাসায় ভাজাপোড়া মোটামুটি সবাই পছন্দ করে ,কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
একটি প্রচলিত কথা রয়েছে সাধারণত যেসব খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেই খাবারের প্রতি আমাদের আকর্ষণ থাকে বেশি। বিশেষ করে মেয়েরাই ভাজাপুড়াটা বেশি খেয়ে থাকে আর মেয়েদেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ছেলেদের চেয়ে একটু বেশি হয়।
তাই যতটুকু সম্ভব এই ধরনের ডুবা তেলে ভাজা খাবার কম খাওয়াই ভালো। খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের অনেক রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে, মন ও ভালো থাকে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রতি আমাদের সকলেরই নজর দেওয়া উচিত।
তো বন্ধুরা একেবারে অল্প উপকরণ দিয়ে একটি নাস্তার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমার মনে হচ্ছে আপনারা খুব সহজেই এটি বানিয়ে নিতে পারবেন। আমার এই রেসিপিটি অনুসরণ করে। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি, আল্লাহ হাফেজ।
পাকোড়া খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়ত খুব বেশি পাওয়া যাবে না। আমি তো পাকোড়া খুব পছন্দ করি। তবে নিজে বাড়িতে কখনও বানানো হয় নি, আসলে রান্নার কাজে খুব কাঁচা তো এজন্য।
তবে আপনাদের মাধ্যমে অনেক অনেক রেসিপি জানতে পারি। আজও আপনি ভেজিটেবল পাকোড়া বানানোর রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। আপনার ব্যবহৃত উপকরণগুলো সবার হাতের কাছেই থাকে সব সময়। আশা করি খেতে খুব মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ভাজাপোড়া আমরা সবাই পছন্দ করি। আজকে আপনার পাকোড়া তৈরি করার রেসিপি পোস্ট দেখে সত্যি কথা বলতে অনেক লোভ লেগে গেল। আজকে বিকেলেই তৈরি করার চেষ্টা করব। সবজি পিঠা বলা হয় আমাদের এখানে। আমরা মাঝে মাঝেই তৈরি করে থাকি। বিশেষ করে শীতের সময় তৈরি করে থাকি অনেক বেশি। কেননা তখন সব ধরনের সবজি খুব সহজেই পাওয়া যায়। এখন একটু কষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু তারপরেও পাওয়া যাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পাকোড়া তৈরি করার পদ্ধতি, আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
কঠিন হয়তো বা হবে না একটু খুঁজে বের করতে হবে এতো টুকুই। আপনি চাইলে এই পিঠা তৈরি করার ক্ষেত্রে ম্যাগি মাসালা টা ব্যবহার করেন, যেটা বর্তমান সময়ে বাজারে পাওয়া যায় প্রতি প্যাকেট ৫ টাকা করে। তার সাথে সামান্য পরিমাণ একটু কাঁচা মরিচ বাড়িয়ে দেন। তাহলে কিন্তু খেতে অসাধারণ লাগে। একবার অবশ্যই আমি বানাবো।
একদমই ঠিক বলেছেন, আমাদের এখানে তো বলা হয়ে থাকে যদি খুঁজতে শুরু করো তাহলে আল্লাহকে ও পেয়ে যাবে। এখানে তো মাত্র শুধু কিছু জিনিস আর টাকা থাকলে বাঘের দুধ কিনতে পাওয়া যায়। অবশ্যই চেষ্টা করবেন আমি যে উপকরণ গুলো দিয়েছি সেগুলো ব্যবহার করার জন্য। দেখবেন খেতে অসাধারণ লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
পাকড়া খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে।এই ভাবে পাকোরাটা আমিও বানাই। তবে শীতের সময় যখন আরো বেশি সবজি থাকে তখন বেশি ভালো লাগে।
আপনি রেসিপি বিশেষ করে ব্যাচেলর ও নতুন রাধুনীদের অনেক কাজে লাগবে।
চমৎকারি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময় শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ভেজিটেবল পাকোড়া বানানোর সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি কথা বলতে পাকোড়া খেতে আমার খুব ভালো লাগে। বাসায় সব সময় পাকোড়া আমার আপু বানিয়ে থাকে। তবে আপনার পদ্ধতি অনুসরণ করে আমিও একদিন বাসায় বানানোর চেষ্টা করব।
সুন্দর রেসিপি নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পাকোড়া রেসিপি দিয়েছেন আপনি কিন্তু দেখে তো আমার এখনই পাকোড়া খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে পাকোড়া এমন একটি খাবার যেটাকে কখনো না বলা যায় না।
মূলত কমবেশি সবজি সবার ঘরেই থাকে। একটু সময় করে যে কেউ ভেজিটেবল পাকোড়া বানিয়ে নিতে পারে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।