প্রথমবার রক্তদান
আমরা প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো সুস্থ মানুষ রক্ত দান করতে পারি। কিন্তু প্রথমবার রক্তদান করতে গেলে মনের মধ্যে অনেক কল্পনা জল্পনা আসে ভয় বিধি কাজ করে। আমি কখনো রক্তদান করিনি এই প্রথমবার স্বেচ্ছায় বিনামূল্যে রক্ত দান করলাম। রক্তদান করার পর আমার অনুভূতি কেমন হয়েছে সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
![]() |
---|
আমার অনেক ইচ্ছা ছিল, রক্ত দান করার কিন্তু কখনো সুযোগ হয়ে ওঠেনি গতকালকে আমার ফ্রেন্ড হঠাৎ করে ফোন করে বলে o+ রক্ত লাগবে। কিন্তু সে এটা জানতো না আমার রক্তের গ্রুপ o+ প্রথমে আমি জানতে চাইলাম কার রক্ত লাগবে আর কি সমস্যা? সে বলল তার শাশুড়ির রক্তশূন্যতা তার জন্য রক্ত দেওয়া লাগবে। পরে আমি তাকে বললাম আমার রক্তের গ্রুপ o+ আমি দিতে পারবো। সে সঙ্গে সঙ্গে বলল লালমনিরহাট আইডিয়াল ক্লিনিকে আসতে।
পরে আমি রওনা হয়, আইডিয়াল ক্লিনিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে, আর বন্ধুটা রাস্তায় আমার অপেক্ষা করতে ছিল। পরে বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার পর আমরা প্রথমে সরকারি হাসপাতালে যাই সেখানে আর একটা বন্ধু ফোন করে তার B+ রক্ত লাগবে। বর্তমান সময়ে মানুষের সমস্যা একটু বেশি হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তা কার কখন কোন সমস্যা দেবে সেটা আমরা কেউই জানিনা। যাইহোক পরে যাওয়ার পর বন্ধুর সাথে দেখা করি সেও রক্ত পারছিল না। কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পর একজনকে পাওয়া যায় রক্ত দেওয়ার জন্য পরে তিনি সেখানে রক্ত দেন।
![]() |
---|
আর আমি আর বন্ধু চলে যাই আইডিয়ালে আর সেখানে যাওয়ার পর, প্রথম অবস্থায় আমার একটু ভয় লাগতেছিল। যেহেতু প্রথমবার ভয় লাগাটা স্বাভাবিক, প্রথমে আমার বা হাত থেকে রক্তের সিম্বল নিয়ে গেল পরীক্ষা করার জন্য। আর পরীক্ষা করার পর রক্ত নেওয়ার জন্য রুমে নিয়ে গেল এবং রক্ত নেওয়া শুরু করল।
![]() |
---|
আপনারা যারা রক্ত দিয়েছেন তারা হয়তো জানেন রক্ত দেওয়ার যে সুইটা আছেএতো পরিমাণ মোটা দেখলেই ভয় লাগে। তারপরও সাহস করে দিলাম, আর সেটা দেওয়ার সময় একটু ব্যাথা লাগে। আর রক্ত দেওয়ার পর মনে হচ্ছিল, রক্ত দেওয়া কোন ব্যাপার না কারণ খুব বেশি সমস্যা লাগেনা। আর রক্তদানের জন্য অনেক সময় অনেক মানুষ বেঁচে যায় তাই রক্তদান করা উচিত।
![]() |
---|
আর হ্যাঁ রক্ত নিতে সাধারণত বেশি দেরি হয় না, কিন্তু আমার রক্ত নিতে অনেকটাই সময় লাগতেছিল কারণ খুবই ধীরগতিতে বের হচ্ছিল, মোটামুটি দশ মিনিটের বেশি লেগেছে। পরে রক্ত দেওয়ার পর স্যালাইন দিয়ে পানি অনেক পরিমাণ খেলাম আসলে রক্ত দিলে স্যালাইন দিয়ে পানি খাওয়া উচিত।
আমরা সকলেই জানি আমাদের শরীরের রক্ত তিন থেকে চার মাস অন্তর অন্তর পরিবর্তন হয়ে থেকে। তাই একজন মানুষ তিন থেকে চার মাস পর পর চাইলে রক্ত দিতে পারে। আর রক্ত দেওয়ার অনেক উপকারিতায় রয়েছে, একজন ব্যক্তি নিয়মিত রক্ত দিলে তার হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও শরীরের অনেক রকম সমস্যা দূর হয়ে থাকে।
তো বন্ধুরা আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
সত্যি অনেক উত্তম একটা কাজ করেছেন, আর চেয়ে ভালো কাজ হয়তো আর হয় না। কারো জীবন বাচানোর জন্য রক্ত দেওয়া সত্যি খুব ভাল কাজ। আমিও জীবনে একবার রক্ত দিয়েছিলাম। যদিও প্রথমবার একটু ভয় করছিলো তবে পড়ে সব ঠিক হয়ে গিয়েছিলো। আপনিও আজ বন্ধুর শাশুড়িকে রক্ত দিয়েছেন। ভালো থাকবেন।
ইনশাআল্লাহ তিন মাস অন্তর অন্তর রক্ত দান করব।। আর প্রথমবার ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক আর দেওয়ার পর মনে হয় কোন ব্যাপার না।। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।।
জীবনের প্রথম সব কাজ খুব আনন্দের হয়, যদিও কিছু কিছু কাজের মধ্যে হাল্কা ভয় থাকে তারপরেও অনুভুতি থাকে অন্যরকম, আপনার প্রথম রক্তদান দেখে খুব ভাল লাগল, প্রথমবার রক্ত নেওয়ার সুই দেখে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এটা একদম সঠিক বলেছেন প্রথমবার যে কোন কাজের মধ্যে আনন্দ থাকে।। প্রথমবার রক্ত দিয়ে অনেক ভালো লাগা কাজ করতেছিল।। ধন্যবাদ ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করার জন্য ভালো থাকবেন।।
আসলে রক্তদান করা সবচেয়ে ভালো একটি কাজ, আসলে আমারও খুব ইচ্ছা আছে আমি যদি তেমন কাউকে পায় তাহলে আমিও রক্ত দেব, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি রক্তদানের এই বিষয়টি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।
রক্তদান সম্পূর্ণটা নিজের উপর নির্ভর করে আপনি চাইলেই রক্ত দিতে পারেন যেকোনো ব্যক্তিকেই।। শুনে ভালো লাগলো আপনি ও আর রক্ত দিতে চান অবশ্যই নিজের ইচ্ছায় স্বেচ্ছায় রক্ত দান করবেন।।
ইদানিং একটা জিনিস আমার কাছে খুব ভালো লাগে আর সেটা হলো মানুষ পরিচিত অপরিচিত যাই হোক না কেন রক্ত লাগবে শুনলেই এগিয়ে গিয়ে রক্ত দিয়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করে। আমার নিজের ভাইদেরকেও দেখেছি অনেকবার রক্ত দিতে আর আমার হাসবেন্ড এর ব্লাড গ্ৰুপ ও নেগেটিভ হওয়ার কারণে অসংখ্য বার ব্লাড দিয়েছে।
আমার দেয়ার ইচ্ছে থাকলেও মেয়েদের ব্লাড সাধারনত নিতে চায় না একান্ত প্রয়োজন না হলে। কারণ মেয়েদের ব্লাডে হিমোগ্লোবিন কম থেকে বেশির ভাগ সময়ই।
আপনিও রক্তদান করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এটা আমার জানা ছিল না মেয়েদের ব্লাড এই জন্য নিতে চায়না।। আর আমি কখনো দেখিনি মেয়েদের ব্লাড দিতে। আর হ্যাঁ ব্লাড দিতে খুব বেশি কষ্ট হয় না তাই চাইলে যে কেউ দিতে পারে।। এটা একদম সঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে মানুষ নিজ ইচ্ছায় ব্লাড দিতে যায়।।
রক্ত দেওয়া খুব ভালো একটা কাজ। আমার মামার বাড়িতে প্রায় প্রত্যেকেই রক্ত দেয়। দিদা বকে বলে মামারা লুকিয়ে লুকিয়ে রক্তদান করে। মাঝে মাঝে আমার মামীও রক্ত দান করে। আমার ইচ্ছে করে কিন্তু সাহস করে উঠতে পারি না।
জেনে ভালো লাগলো আপনার মামার বাড়ির সকলেই রক্তদান করে।। আর হ্যাঁ প্রথম অবস্থায় ভয় কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক আমিও প্রথমবার দিলাম কিন্তু কোন ভয় নেই তেমন ব্যথা লাগে না।। আপনি চাইলে দিতে পারেন কোন সমস্যা নেই।।
ভাই আমি কোন সময় রক্ত দেই নাই। কয়েকদিন আগে আমাদের কোম্পানিতে অনেকেই রক্তদান করছে আমার ভয় লাগে এই জন্য রক্ত দিতে যায় নাই।
যাইহোক প্রথমবার সাহস করে আপনি রক্তদান করছেন ইনশাল্লাহ আমিও চেষ্টা করব পরবর্তীতে আপনার মত যেন অন্য কাউকে রক্ত দিয়ে সহায়তা করতে পারি।
প্রথম অবস্থায় ভয় লাগবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু ভয়ের কিছু নেই একদম নরমাল একটা বিষয় যদি একবার দিয়েন তাহলে মনে হবে আবার দেব।। আমিও প্রথম অবস্থায় একটু ভয় পেয়েছিলাম পরে দেখি কোন ভয় নেই।।