হাতির বুদ্ধি সত্যিই আশ্চর্যজনক
আসসালামালাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি গল্প নিয়ে এসেছি আশা করি সবারই ভালো লাগবে।
আমরা সবাই জানি যে হাতি অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে এদের স্থান দ্বিতীয়। কারন সমুদ্রিক দিক থেকে অবস্থান করছে নীল তিমি এটি অনেক বিশাল আকৃতির এবং সমুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাণী।
হাতির বিষয় হচ্ছে এরা অনেক নিরীহ প্রাণী প্রকৃতির এবং হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে সামাজিকতা বেশি দেখা যায়। হাতির নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বদ্ধ হয়ে থাকার কারণে এরা এলাকার মধ্যে একসাথে থাকে এবং চলাচল করে। বিশেষ করে এদের জঙ্গলে এবং পাহাড়ী অঞ্চলে দেখা যায়। এরা সাধারণত ভাবে কখনো হিংস্র হয়ে ওঠে না।
কোনো কারণ ছাড়া এরা কখন ও কাউকে আক্রমণ ও করে না। আমি দেখেছি যেইসব হাতি জঙ্গলে জঙ্গলে থাকে সেই সব হাতি অনেক সময় মানুষের এলাকায় প্রবেশ করে থাকে তখন সাধারণ মানুষ এর অনেক সমস্যা দেখা দেয় এবং ভয় পায় । কারন জঙ্গল এর হাতি সহজে পোষ মানে না।
জঙ্গলি হাতি যেনো মানুষ এর এলাকায় না প্রবেশ করে তার জন্য বিভিন্ন ভাবে মানুষ এরা সেই সব হাতি দের ভয় দেখায়। হাতি মানুষের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয় এরা রাস্তাঘাট এ অনেক সময় অনেক প্রতীক এর চলাফেরা করতে দেখা যায়। যেগুলো সার্কাস অথবা বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কলাকৌশল দেখিয়ে টাকা উপার্জন করে থাকে।
তবে যেসব বন্যহাতি রয়েছে সেগুলো অনন্যসাধারন অনেক টা রাগী প্রকৃতির। হাতিরা অনেক বুদ্ধিমান কারন জঙ্গলে যখন চলাফেরা করে কোনদিক এর রাস্তা কোনদিক এ গিয়েছে সব মনে রাখতে পারে এবং সহজে ভুলে যেতে ও পারে না।
হাতির প্রিয় খাবার হচ্ছে কলা এবং কলার গাছ তারা তাদের শুর দিয়ে কলার গাছ ভেঙে খেতে থাকে। হাতিদের স্মৃতিশক্তি ও শ্রবণশক্তি ও অনেক এই কারণে এরা দূর থেকে শব্দ শুনতে পায়। হাতিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য কমিউনিকেশন করার বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন শব্দ তৈরি করে থাকে।
আমরা জানি প্রাণী সাঁতার কাটতে পারে আবার কোন কোন প্রাণী আছে যারা সাঁতার কাটতে পারে না। কিন্তু হাতি সাঁতার এর দিক থেকে কোন ভাবে পিছিয়ে নেই তারা খুব ভালোভাবে কাটতে পারে।
হাতিরা জন্মবিস্তার করে তাদের অবাক করা কিছু নিয়মে যেমন মা হাতির গর্ভে যখন বাচ্চা আসে তখন সেই যন্ত্রনা বাইশ মাস পর্যন্ত থাকে। শিশুকে লালন পালন ও উপযুক্ত জীবন ধারন শিক্ষায় দীক্ষায় করতে আড়াই থেকে চার বছর বিরতি দিয়ে সাধারণত মা হাতিরা পুনরায় গর্ভধারণে মনস্থির করে।
পরিশেষে বলবো হাতি মানুষের জন্য অনেক উপকার এবং তাড়া পোষ মানে তাছাড়া এরা মানুষের সাথে বসবাস করে আসছে যুগযুগ থেকে এরা সাধারণত মানুষদের ক্ষতি করে না।
আজকে এই পর্যন্তই আশা করি আমার গল্প সবারই ভালো লাগবে সবাই ভাল থাকবেন আসসালামু আলাইকুম আর কেমন হয়েছে কমেন্ট করে জানাবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 7i |
Camera | 64MP Quad camera |
Location | Bogura, Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @sabbir-raj |
হাতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন যা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। মানুষের মতো হাতিও সামাজিক জীব। আমাদের সমাজে ও ব্যক্তি জীবনে যা কিছু ঘটে, হাতির সমাজে এবং জীবনেও তার প্রায় প্রতিটি ঘটনাই ঘটে। হাতিও দলবদ্ধ প্রাণী। এখন বিষয়টা হচ্ছে আমরা হাতির কাছ থেকে শিখেছি না হাতি আমাদের কাছ থেকে শিখেছে।
এছাড়া হাতি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও সংবেদনশীল প্রাণী। অ্যারিস্টটল একবার বলেছিলেন, হাতি হচ্ছে সেই প্রাণী যে বুদ্ধির দীপ্তি ও স্মরণশক্তির দিক থেকে অন্য সকলকে অতিক্রম করেছে।হাতি স্থল প্রাণীদের মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়। তাদের মস্তিষ্কও সবচেয়ে বড়। মানুষের যতো নিউরন আছে তার চেয়েও তিনগুণ বেশি আছে হাতির। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে হাতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।