প্রথমবার মেট্রো ট্রেন এ উঠলাম
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আমি আপনাদেরকে মেট্রো ট্রেনে ট্রাভেল করার গল্প শোনাবো আশা করি সবারই ভালো লাগবে।
গতকাল আমরা ঢাকা শাহবাগ থেকে আসার সময় যখন বাসে চড়তে গিয়েছিলাম তখন অনেক জ্যাম ছিল যার ফলে সময়মতো ক্লাসে পৌঁছাতে পারছিলাম না আমরা জানতাম আর ক্লাস শুরু হওয়ার বেশি সময় নেই তাই এই জ্যাম এ না থেকে মেট্রো ট্রেনে যাওয়াটা খুব জরুরী। আর বিশেষ করে আমি কখনো এই মেট্রো ট্রেনে উঠি নাই। আসলে যখন মেট্রো ট্রেন চালু হয় তখন আমার খুব ইচ্ছে ছিল মেট্রো ট্রেনে ওঠার।
ঢাকা শাহবাগ থেকে উত্তরা যাওয়ার জন্য আগে মেট্রো ট্রেন প্লাটফর্মে গিয়ে দাঁড়ালাম। প্রথম অবস্থায় আমরা জানতাম না যে আসলে এই টিকিটটা কিভাবে কাটতে হয়। সেই জন্য আমি এক সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞেস করলাম তারপর বললাম যে ভাইয়া আমরা উত্তরা যাব তো এই টিকিট আসলে কিভাবে কাটতে হয় একটু যদি বলতেন তাহলে অনেক উপকার হত।
তিনি বললেন যে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে আপনি জিজ্ঞাসা করুন তাহলে তারা সবকিছু আপনাকে বুঝিয়ে দিবে। তারপর আমি টিকিট কাউন্টারে সামনে গিয়ে দেখি অতিরিক্ত ভিড় রয়েছে। যার ফলে টিকিট কাটতে আমার অনেক সময় লেগে গিয়েছিল তবে এতে কোন সমস্যা ছিল না কারণ মেট্রো ট্রেন ৫ মিনিট পরপর আবার স্টেশনে আসে।
আর এই ট্রেন অনেক গতিতে পৌঁছে যায় গন্তব্যে প্রথমত আমি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে আমার কতগুলো টিকিট লাগবে। যখন টিকিট কাটলাম তখন এর টিকিট সাধারণ ট্রেনের টিকিটের থেকে একটু ভিন্ন ধরনের। আপনারা ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন যে টিকিটগুলো ক্রেডিট কার্ডের মত। আমরা টিকিট কাটার পর একে একে সবার হাতের টিকিট বিলিয়ে দেই।
তারপর টিকিট কাটা হয়ে গেলে প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে চায় আর যখনই প্রবেশ করতে চাই তখনই যে দরজা দিয়ে আমরা প্রবেশ করব সেখানে সেই টিকিট কার্ডের এন্ট্রি দিতে হয়। তা না হলে আপনি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন না। এখানে একটু সমস্যা রয়েছে তা হল টিকিট কাটার পরেও এই কার্ড মাঝে মাঝে প্লাটফর্মে প্রবেশ করার গেটে এন্ট্রি দেওয়ার সময় নো এন্ট্রি দেখায়।
যদি নো এন্ট্রি বা প্রবেশ নিষেধ দেখায় তাহলে আবার সেই টিকিট কাউন্টারে যোগাযোগ করতে হবে তা না হলে আপনি কখনো প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন না। আসলে এই সমস্যাটা আমার মনে হয় ২৪ ঘন্টায় যে যাত্রী যাতায়াত করে সেই সময় অনেক যাত্রীর সেই প্রবেশপথে এন্টিডো সময় সেই যন্ত্র চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে যার ফলে হয়তো এই সমস্যাটা দেখা দেয়।
আমরা সকলে ভালোভাবে এন্ট্রি দিয়ে প্লাটফর্মে পৌঁছে গিয়েছিলাম তারপরে সেখান থেকে লিফটে উঠে প্লাটফর্মে চলে যায়। এরপর সেখানে গেট রয়েছে এবং একটি সিগন্যাল দেওয়া রয়েছে সেখানে আপনি দাঁড়ালে মেট্রো ট্রেন ঠিক আপনার সেই খানে এসে থামবে এবং দরজাটা অটোমেটিক খুলে যাবে। যখন আমরা মেট্রো ট্রেনে ভিতরে প্রবেশ করলাম তখন এসির বাতাস আমাদের গায়ে লাগলো।
আসলে আমি ঠিক জানতাম না যে মেট্রো ট্রেনের ভেতরে এসি রয়েছে কারণ সারাদিন অনেক ক্লান্ত এত রোদের কারণে পুরো শরীর গরম হয়ে গিয়েছিল। যখনই আমরা মেট্রো ট্রেন ভেতরে প্রবেশ করি তখনই আমরা সকলে একটি আলাদা সাথে অনুভব করতে পারি। মনে হচ্ছিল যে শরীর ক্লান্ত থেকে অবশেষে মুক্তি পেল। যেখানে শাহবাগ থেকে উত্তরা যেতে কমপক্ষে জ্যাম ছাড়া ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগতো।
সেখানে মেট্রো ট্রেন ৫ মিনিটের ভিতরে ঢাকা শাহবাগ থেকে উত্তরা পৌঁছে দিলো। এটি আমার অনেক ভালো লেগেছে কারণ মেট্রো ট্রেন রাস্তার অনেক উঁচু তে চলাফেরা করে যার ফলে জ্যাম এর কোন ভয় থাকে না। তাছাড়া মেট্রোতে অনেক গতিতে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। কারণ আমি বলতে চাচ্ছি যে আপনার চোখ এর পলক ফেলার আগে আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন।
মেট্রো ট্রেনের ভিতরে যারা সিট পায় না তারা কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকে সেই জন্য দাঁড়িয়ে থাকার জন্য ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে রশ্মির মতো সেটা যদি ধরে না থাকলে তাহলে মেট্রো ট্রেন চালু হওয়ার সময় স্টেশন থেকে ছেড়ে দেয় তখন অনেক গতিতে চায় যার ফলে একটা ঝাঁকুনি সৃষ্টি হয়। এতে আপনি অবশ্যই পড়ে যেতে পারেন এবং আপনার ক্ষতি হতে পারে।
সেখানে একটি সুবিধা রয়েছে তা হল আপনি যেই স্টেশনে যেতে চান অর্থাৎ প্রতিটি স্টেশনে থামলে অবশ্যই ভেতর থেকে মাইকে কোন স্টেশনে এসেছেন সেই স্টেশনের এর নামটি বলে দেয়। যার ফলে আপনি বুঝতে পারবেন যে মেট্রো ট্রেন যে স্টেশনে থাকবে আসলে সেই স্টেশনের নাম কি। এতে অনেক সুবিধা রয়েছে যেটি মাইকে বাংলাতে বলে এবং ইংলিশেও বলে দেয় স্টেশনের নাম।
তার সাথে সাথে এটাও বলে দেয় যে দরজা থেকে দূরে থাকুন কারণ যদি সেখানে আপনার পা অথবা কাপড় আটকে যায় তাহলে এতে অনেক বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা সকলেই মেট্রো ট্রেনে উঠে খুব মজা করেছি। তারপর সময়মতো আমরা আমাদের ক্লাসে উপস্থিত হতে পেরেছি। যার ফলে আমরা অনেক খুশি এবং আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।
আজকে আমার গল্প এই পর্যন্তই আশা করি আমার আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে ভালো থাকবেন সবাই আর আপনারা যারা মেট্রো ট্রেনে উঠেছেন তারা অবশ্যই জানাবেন যে আসলে এই মেট্রো ট্রেন আপনার জন্য কতটা ভালো এবং কতটা উপকার করেছে ধন্যবাদ সবাইকে
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 7i |
Camera | 64MP Quad camera |
Location | Bogura, Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @sabbir-raj |
অত্যন্ত চমৎকার একটি এলাকা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছ তুমি। জানতে পারলাম এই প্রথম মেট্রো ট্রেনে তোমরা উঠেছ। আমি এখন পর্যন্ত এই ট্রেনে যাতায়াত করিনি। তবে ইচ্ছা রয়েছে।
জানতে পারলাম পাঁচ মিনিটের মধ্যে তোমাকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিয়েছে। অত্যন্ত অত্যন্ত দ্রুত গমন করে এই যানবাহন। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আমাদের মাঝে এই যানবাহনের যাতায়াত করার অনুভূতি লেখাটি শেয়ার জন্য।
এই লেখাটির প্রথম tag হওয়া উচিত #travel
ভ্রমণের ক্ষেত্রে এইটা এক ব্যবহার করা অতি জরুরী। এতে তোমার লেখা হাইলাইট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু
মেট্রো ট্রেন খুব ফাস্ট ট্রাভেল করতে সক্ষম। আমাদের দেশে আরও এমন মেট্রো ট্রেন যখন চালু হবে তখন আমাদের সময় অনেক সেইভ হবে। ঢাকায় এত পরিমাণ জ্যাম ৫ মিনিটের রাস্তা পার হতে আধা ঘণ্টা লেগে যায় সেখানে আপনার আপনাদের গন্তব্যে মাত্র ৫ মিনিটে পৌঁছে গেছেন। এটা জেনে অবাক হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি পড়ার জন্য
সর্বপ্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, আপনার মেট্রো ট্রেনে প্রথমবার ওঠার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য।
আপনারা শাহবাগ থেকে আসার সময় প্রচন্ড জ্যাম দেখতে পায় আর এই জ্যাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, আপনারা সিদ্ধান্ত নেন মেট্রো ট্রেনে যাওয়ার। আপনারা কখনো মেট্রো টেনে যাননি তাই কিভাবে টিকিট কাটে সেটা আপনারা জানেন না।
আপনারা মেট্রো ট্রেনে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করার সময় নো এন্টি দেখাই, পরে আপনারা সেটির সমাধান করে ভিতরে যান এবং যেয়ে দেখেন এসি আর আপনাদের শরীরটা একদম শান্ত হয়ে যায়।
খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি পড়ার জন্য
মেট্রো রেলের প্রথম যাত্রী ছিলেন আমাদের দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রো রেলের উদ্বোধন সম্পর্কে অনেক তথ্য বিভিন্ন বার্তাতে পরিদর্শন করেছি।
আবারো আজ আপনার ভ্রমণের এই দৃশ্যগুলো, একবার সুযোগ করে দিল মেট্রো রেল ভ্রমণ সম্পর্কিত অনেক তথ্য জানতে। আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি এবং ফটোগ্রাফি গুলো পরিদর্শন করার পর এটাই মনে হলো যে অনেক আনন্দ করেছেন এবং একটা নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে পিয়া আপু
আপনি এই প্রথম মেট্রোরেলে ওঠার অভিজ্ঞতাটা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন! আসলে যে কোন জিনিসের মধ্যে যখন প্রথম,,, আমরা ভ্রমণ করি তখন তার মজাটাই লাগে অন্যরকম।
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন,,, মেট্রোলের টিকেটগুলো অনেকটা এটিএম বুথের কাটের মত! তো আপনার মেট্রোরেলে ওঠার অভিজ্ঞতাটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
মেট্রো ট্রেন খুবই দ্রুত চলে এটা শুনেছিলাম কিন্তু আজকে জানতে পারলাম যে মেট্রো ট্রেন এত দ্রুতই চলে যে কোন জায়গায় অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছে দিতে পারে। যেমনটা আপনার লেখা পড়েই জানতে পারলাম যে, যেখানে শাহবাগ থেকে উত্তরা যেতে জ্যাম ছাড়া ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগতো সেখানে মাত্র ৫ মিনিটেই শাহবাগ থেকে উত্তরা পৌঁছে গিয়েছেন। তবে দুঃখের বিষয় আসলে এটা যে আমি কখনোই মেট্রো ট্রেন তো দূরে থাক এমনি ট্রেনেও কখনো উঠিনি। কারণ কখনোই ট্রেনে ওঠার প্রয়োজন হয়নি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মেট্রো ট্রেনে ট্রাভেল করা সম্পর্কে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ার জন্য
আপনার লেখাটা পড়ে আমার ও প্রথমদিন কলকাতায় মেট্রো চড়ার অভিজ্ঞতার কথা মনে পরলো। ১৯৮৪ সালে ভারতে প্রথম কলকাতায় মেট্রো চালু হয়ে ছিল। আমি ধর্মতলা থেকে নেতাজী ভবন অবধি ভ্রমন করেছিলাম। কলকাতায় এমনি তে খুব যানজট থাকতো তাই মেট্রো চরে খুব দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে আমি অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। আস্তে আস্তে এই মেট্রোর রুট টালিগঞ্জ থেকে দমদম জংশন অবধি বিস্তৃত হয়। উত্তর কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে দূরত্ব সংক্রান্ত সমস্যা ঘুচে যায়। আনন্দের বিষয় বর্তমানে পূর্ব পশ্চিম করিডোরে মেট্রো যাত্রা ডিসেম্বর ২০২৩ শুরু হবে। মেট্রো এখন নিউ গড়িয়া থেকে দক্ষিণেশ্বর অবধি ২২ কিঃমিঃ রুটে চলাচল করে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ার জন্য
ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট তুলে ধরার জন্য আসলে আমি ঢাকায় থাকি কিন্তু মেট্রোরেলে এখনো আমার ওঠা হয়নি আপনার পোস্টটি দেখে মনে হচ্ছে রেলের নিয়মাবলী আমার জানা হয়ে গেছে অবশ্যই আমি মনে করব এরপরে কোন সময় মেট্রোরেলে উঠলে আমার কোন সমস্যা হবে না আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে আপনার পোস্টটি তুলে ধরার জন্য আপনার জন্য দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
মেট্রো ট্রেন আমাদের বাংলাদেশে নতুন চালু হয়েছে ৷ আমরা অনেক শুনেছি এবং কি টিভি তেও দেখেছি এই মেট্রো ট্রেন ৷ তারপর শুনেছি এই মেট্রো ট্রেন গুলো অনেক গতিতে চলতে থাকে ৷ আর বিশেষ করে মেট্রো ট্রেন দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনি মেট্রো ট্রেন এ উঠার অনেক অনেক আনন্দময় সময় উপভোগ করেছেন ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি পড়ার জন্য