Better Life With Steem || The Diary game || 18 May 2024||

in Incredible India27 days ago
Picsart_24-05-18_07-06-24-171.jpg

সকালবেলা আলো ফুটতেই ঘুম ভেঙে গেল। তাড়াতাড়ি করে উঠে অজু করে এসে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপর আবার একটু শুয়ে পড়লাম শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানিনা। ঘুম থেকে উঠে দেখি বাহিরে প্রচন্ড গরম রোদের তাপমাত্রা অনেক বেশি। তাড়াতাড়ি করে ঘরের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে নিলাম।

সকালবেলা নাস্তা করার জন্য বুট মুড়ি মাখা তৈরি করে নিয়েছিলাম। সবাই মিলে বুট মুড়ি খেয়ে রান্না করার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। রেডি করে এসে ঘরে কিছুক্ষণ বসে রইলাম কেননা কোন কিছুই ভালো লাগছে না কি আর করবো রান্না তো করতেই হবে তাই আবার গিয়ে রান্না বান্না কাজ শুরু করলাম।

IMG_20240518_070440_864.jpg

রান্নাবান্না শেষ করতেই আমার বারোটা বেজে গেল। একটু পরেই দেখলাম পুরো আকাশ অন্ধকার হয়ে গেছে। অন্ধকার হওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টি নামতে শুরু করল, প্রায় দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবৎ বৃষ্টি হওয়ার পর একটু থামলো। তারপর আমি গিয়ে গোসল করে আসলাম এবং এসে যোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম।

IMG_20240518_070452_395.jpg
IMG_20240518_070449_743.jpg
IMG_20240518_070447_041.jpg

নামাজ পড়া হয়ে গেলে ঘরের সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। এরপর আমি ছাদে গেলাম গিয়ে দেখলাম, ছাদের পাশে থাকা পেঁপে গাছের মধ্যে পেঁপে পেকে আছে। তাই ওটা নিয়ে আসলাম এবং পাকা আম ছিল গাছের মধ্যে ওটাও পেড়ে নিয়েছিলাম। এরপর নিজে এসে কেটে সবাই মিলে খেয়ে ছিলাম। এত পরিমানে মজা লেগেছে যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না।

IMG_20240518_070501_062.jpg
IMG_20240518_070455_132.jpg

এরপর সবাই মিলে কতক্ষণ বসে গল্প করলাম, গল্প করার পর ছেলেকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে নিজেও কখন ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারলাম না। তারপর উঠে তাড়াতাড়ি করে আসরের নামাজ আদায় করে নিলাম। নামাজ পড়ার পর বড় ছেলে চলে আসলো, ওকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম, কেননা ও দুপুরে আসেনি। খাবার খাওয়াতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেল। এরপর ঘরের আরো যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করে মাগরিবের নামাজ এর আজান হলে, নামাজ পড়ে ছেলেকে নিয়ে পড়াতে বসলাম।

ওর বই এক এক করে শেষ করার পর, ওকে ওর দাদার কাছে পাঠিয়ে দিলাম, কোরআন পড়ার জন্য। কেননা বর্তমান সময়ে ওর একটা বিষয় কোরআন এর উপর দিয়েছে। সেটা অবশ্যই সঠিকভাবে সহি শুদ্ধ করে পড়তে হবে। এরপর ওর দাদা ওকে প্রায় এক ঘন্টা কোরআন পড়ালেন। কোরআন পড়া শেষ হলে আমি ওকে মসজিদে পাঠিয়ে দিলাম, আমি নিজেও নামাজ পড়ে নিলাম।

IMG_20240518_070458_939.jpg

নামাজ পড়া শেষ হলে ওর কিছু অংক ছিল, সেগুলো ওকে করতে হবে। তাই ওকে নিয়ে আবার পড়তে বসলাম অংক করা শেষ করতে প্রায় নয়টা বেজে গেল। এরপর আমি ওকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম, ছোট ছেলেকে ও রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। ও খাওয়ার প্রতি এত পরিমানে অনিহা প্রকাশ করছে, যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। বলতে গেলে অনেকটা জোর করে রাতের খাবার খাওয়ানোর পর, বমি করে সমস্ত শরীর ভিজিয়ে ফেলল। এরপর নিজের কাছে খারাপ লাগলো, এবং বারবার চিন্তা করলাম কেন ওকে রাতে খাবার খাওয়ালাম।

এরপর সব কিছু পরিষ্কার করে ওর শরীর মুছে দিলাম, এবং ওর মাথায় একটু পানি দিলাম। এমন করতে করতে আমার প্রায় রাত দশটা বেজে গেল। এরপর ওদেরকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম, এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 27 days ago 

ঠান্ডা দিন পেলে মানুষ যে কখন ঘুমিয়ে যায় খোঁজ পায় না। আর পাকা আম পাকা পেঁপে দেখে খেতে মন চাইলো। তা কেটে সবাই মিলে খেলেন এবং গল্প করলেন। পৃথিবীতে প্রথম শিক্ষক হলো মা। আমরা শুধু এই পৃথিবীর জন্যই পড়াশোনা করছি কিন্তু আখিরাত জীবনের জন্য কিছুই করতে পারছি না এবং সঠিক কথা বলেছেন কুরআন সহীহ শুদ্ধ করে পড়লে পৃথিবীতে সুন্দর আদর্শ মানুষ হবে। আখিরাতে ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মা যতই সন্তানদের বকা দেই মায়ের মন কখনো শান্তি পাই না অনেক আফসোস করে কেন দিলাম।
আপনি পোস্টটি পড়ে আমার ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন

 27 days ago 

আসলে আমি আমার সন্তানকে বকা দেয়নি, ওকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছি এবং খাইয়ে ছিলাম। যার কারণেই হয়তোবা ও বমি করে দিয়েছেন। একদমই ঠিক বলেছেন এই পৃথিবীতে আমাদের পড়াশোনার মূল্য এখানেই শেষ। কিন্তু আখেরাতের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই কিছু না কিছু করতে হবে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 27 days ago 

প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাজকর্ম সেরেছেন। আপনি মনে হয় মুড়িমাখা খেতে খুব পছন্দ করেন।
কত কালকে আমাদের এদিকে আবহাওয়া অনেক খারাপ ছিল কিন্তু বৃষ্টি হয়নি। যাক, আপনাদের ওইদিকে প্রায় দুই ঘন্টা সময় নিয়ে বৃষ্টি হয়েছে। ওইদিকে বৃষ্টি হওয়ার জন্যই হয়তো আমাদের এদিকে আবহাওয়া খারাপ ছিল।
আপনাদের ওইদিকে এত তাড়াতাড়ি আম পেকে গেছে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম।

সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 27 days ago 

আসলে অতিরিক্ত গরম লাগছিল বৃষ্টি এসে গরমটা অনেকটাই কমিয়ে দিল। একদম ঠিক বলেছেন আম পেকে গেছে, কেন সেটা জানিনা হয়তোবা অতিরিক্ত গরমের কারণে। হ্যাঁ আমি মুড়ি মাখা অনেক বেশি পছন্দ করি। যেটা আমার একেবারে প্রিয়, ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 27 days ago 

সকালবেলা উঠে অজু করে ফরজের নামাজ আদায় করে শুয়েছিলেন এবং কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বুঝতে পারলেন না। যখন ঘুম ভাঙ্গে উঠে দেখতে পেলেন বাহিরে রোদের তাপমাত্রা অনেক বেশি তাই তাড়াহুড়ো করে ঘরের কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলেন এবং সকালে নাস্তা হিসেবে বুট মুড়ি বানিয়েছিলেন।

সুন্দর একটি দিনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 22 days ago 

আসলে সকালবেলা নামাজ পড়লে অন্য রকমের ভালো লাগা কাজ করে। মনে হয় অনেক কাজ একসাথে সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। সেজন্যই আমি নিজে অনেক বেশি খুশি হই। রোদের তাপমাত্রা দেখলে অনেক বেশি ভয় লাগে। কেননা অতিরিক্ত গরমে কোন কিছুই করা সম্ভব হয় না। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Loading...
 27 days ago 

আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিনলিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। আপু আপনার লিখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সবথেকে ভালো লাগলো আপনার বড় ছেলের বিষয়টি। ওকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করছেন জেনে ভালো লাগলো। আর কুরআন সহি ও শুদ্ধ ভাবে পড়তে পারা এবং পড়ানো সত্যি অনেক ছোয়াবের একটি কাজ।

আপনার পেঁপে খাওয়া দেখে আমারো মনে পরলো আমাদের পেঁপে গাছে পেঁপে পেকেছে কিনা। বাসায় গিয়ে দেখবো। ভালো থাকবেন আপু। শুভ কামনা রইলো।

 27 days ago 

আসলে হাদিসের মধ্যে আছে যে কোরআন শিক্ষা দেয় তার জন্য আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি সওয়াব লিখে রাখেন। একদমই ঠিক বলেছেন বাড়িতে গিয়ে অবশ্যই দেখবেন, আপনাদের পেঁপে গাছে পেঁপে পেকেছে কিনা। কেননা পেঁপে পাকা শুরু করলে পাখি খেয়ে ফেলে। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 27 days ago 

ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে আবার খানিকটা শুয়ে পড়েছিলেন। আসলে এমন বিশ্রী রকমের গরম পরেছে যে কিছুই করতে ভালো লাগেনা। যদিও না করে কোন উপায় নেই করতেই হয়। সকালে আজকে নাস্তা না বানিয়ে মুড়ি বুট মাখা দিয়ে নাস্তা খেয়েছেন সবাইকে নিয়ে।

দুপুরের রান্না শেষ করে ফেলেন। বারোটার দিকে আকাশ কালো করে বৃষ্টি আসে জেনে ভালো লাগলো। ঢাকাতে গতকালকে আকাশ সারাদিনই মেঘলা ছিল। ভেবেছিলাম যে ঝড় আসবে কিন্তু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়েছিল কয়েক মিনিট এর জন্য।
ছাদের পাশের গাছ থেকে পাকা আম আর পেপে সবাইকে নিয়ে খেয়েছেন।আসলে নিজেদের কাছে জিনিস খাওয়ার মজাই আলাদা।
বাচ্চারা বমি করলে আসলেই খুব খারাপ লাগে আর তখন মনে কেন খাওয়ালাম।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি করে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 27 days ago 

অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ জীবন, একটু বৃষ্টির ছোঁয়ায় স্বস্তি পেল আমার এই মন। কি আর বলবো গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম, তবে বেশ ভালই লেগেছে। আসলেই ঠিক নিজের গাছের ফরমালিনমুক্ত ফল খেতে বেশ ভালোই লাগে। এত পরিমানে মিষ্টি যেটা অসাধারণ, আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 25 days ago 

এই গরমের মধ্যে হঠাৎ করেই যদি বৃষ্টি হয় তাহলে অনেক বেশি ভালো লাগে।। আজ সকাল থেকেই সংসারের একটু কাজ করেছেন আবার দুপুরে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন।।।। এ বছরে এখনো আম খাওয়া হয়নি আপু খুব শীঘ্রই খাব।।

 23 days ago 

আসলে গরম যখন লাগে তখন এত পরিমানে খারাপ লাগে, যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ার কারণে খুব ভালই লেগেছিল, আর সবাই মিলে মিষ্টি আম এ বছরের প্রথম খাওয়ার কারণে, অন্য রকমের আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। অবশ্যই খাবেন আম পাকা চারপাশে শুরু হয়ে গেছে। আপনাদের ওখানেও নিশ্চয়ই আম পাকা শুরু হয়ে গেছে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 23 days ago 

অতিরিক্ত গরম আর অতিরিক্ত ঠান্ডা আমার মনে হয় কারোই পছন্দ না।। আর হ্যাঁ গরমের সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি আসলে অনেক বেশি ভালো লাগে আর এটা সকল মানুষই পছন্দ করে।।

আমাদের এখানেও আম পাকা শুরু হয়েছে কিন্তু আমাদের গাছে এখনও শুরু হয়নি আশা করছি খুব শীঘ্রই শুরু হবে।।

 22 days ago 

আমার কাছে অতিরিক্ত গরম পছন্দ না হলে। অতিরিক্ত ঠান্ডা আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। কেননা ঠান্ডার সময় বেশ ভালো একটা মুহূর্ত পার করা যায়। বিশেষ করে শীতের সময় পিকনিক করতে যেমন বেশ ভালো লাগে। ঠিক তেমন নেই বিভিন্ন ধরনের তাজা শাক-সবজি ফলমূল পাওয়া যায়। যেটা আসলে অন্যান্য সময় তেমন একটা তাজা পাওয়া যায় না। এখন জৈষ্ঠ্য মাসের প্রায় শেষের দিকে, আশা করি আপনারা খুব তাড়াতাড়ি পাকা আমার দেখা পেয়ে যাবেন, এবং পরিবারের সবাই মিলে খুব মজা করে খেতে পারবেন।

 22 days ago 

মানুষ যেমন ভিন্ন ভিন্ন তাদের পছন্দগুলো ভিন্ন ভিন্ন।। আপনার শীত পছন্দ এটা আমি আগে থেকে জানতাম।। আমার খুব বেশি শীত পছন্দ না আবার খুব বেশি গরম।। কিন্তু আমরা চাইলে আমাদের মনের মত কোন কিছুই পাবো না সৃষ্টিকর্তা যখন যেটা দেয় সেটাই শুকরিয়া।।

 21 days ago 

তা তো অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভালোর জন্য সব কিছু করে থাকেন। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে মানুষের জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আকাশের দিকে বারবার তাকায় কিন্তু মেঘের বিন্দুমাত্র ফোটা চোখে পড়ে না। জানি না হয়তো বা এটা আমাদের অপকর্মের ফল হতে পারে। আমরা যদি আল্লাহতালার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পথ চলতাম। তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহতালা আমাদেরকে এত কষ্ট দিত না। তবে উনি আমাদের যতটুকু ভালোর কথা চিন্তা করে। আমরা কিন্তু আমাদের ভালো থাকার জন্য ততটুকু চিন্তা করি না। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ যেমন আছি ভালো আছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66015.85
ETH 3551.21
USDT 1.00
SBD 3.13