Better Life With Steem || The Diary game || 15-05-2024||

আলহামদুলিল্লাহ সকালবেলা ঠান্ডা হাওয়ায় শরীরটা একেবারে জুড়িয়ে গেল। সারারাত অতিরিক্ত গরমের কারণে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারিনি। আযানের শব্দ কানে আসার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার পর বাহিরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। এত ভালো লাগছিল যেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। বাহিরে ঠান্ডা হাওয়া আর কুয়াশায় যেন, পরিবেশ থাকে অন্য রকমের রূপ দিয়েছে।

আজকে কাজ করার তেমন একটা টেনশন নেই। টেনশন নেই বললেও ভুল হবে কারণ সংসারের কাজগুলো তো করতে হবে। তবে ধানের কাজ আলহামদুলিল্লাহ শেষ হয়ে গেছে। যেটা আমি আপনাদের সাথে গত পোস্টে শেয়ার করেছিলাম। তাই সকাল বেলা নাস্তা বানানোর জন্য বুট সিদ্ধ বসিয়ে দিয়েছিলাম।

সবাই ঘুম থেকে ওঠার আগেই আমার বুট সেদ্ধ হয়ে গেল, এরপর ভাজি করে নিয়েছিলাম। বুট ভাজা শেষ হয়ে গেলে আমি ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে দিয়ে ছিলাম, কেননা ওর প্রাইভেট আছে। এরপরে ওকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম প্রাইভেট পড়ার জন্য। ওখান থেকে আসলে আমরা সবাই মিলে নাস্তা করে নিলাম, বুট মুড়ি খেতে বেশ ভালোই লেগেছে অনেকদিন পর।

এরপরে প্রথমত মুরগি পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। কেননা আমার শ্বশুর মুরগি নিয়ে এসেছে, আজকে বিরিয়ানী রান্না করব। তাই মুরগির ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে রেখেছিলাম। রাখার পর যেটা করেছি আমি হলুদ মরিচ মাখিয়ে আবার ঢেকে রেখে দিয়েছি। এরপর আমি ঘরের আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে নিলাম। ঘরের কাজ গুলো সম্পন্ন করা হয়ে গেলে, এবার রান্নাবান্না করে নিতে হবে। তাই সবকিছু রেডি করে রান্না ঘরে চলে গেলাম।

সব কিছু রান্না করতে আমার প্রায় দুপুর বারোটা বেজে গেল। যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু সুন্দরভাবে রান্না করে ঘরে নিয়ে আসলাম। এরপর গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম, সবাই মিলে মজা করে বিরিয়ানি খেলাম। আজকে যেহেতু বাসায় মেহমান ও আছে, সাথে বিরিয়ানি ও ডিম দুপুরের খাবার বেশ ভালোই লেগেছে।

দুপুরের খাবার সম্পূর্ণ করে প্রথমত ঔষধ খেয়ে নিলাম। এরপর ছোট ছেলেকে ঔষধ খাইয়ে দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ওর শরীরটা এখনো আগের চাইতে ভালো আছে। আসলে সন্তানের শরীর খারাপ থাকলে কোন মায়ের মন ভালো থাকে না। তবে আজকে ওর শরীর ভালো দেখে আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগছে। এরপর ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম আমি আমার পোস্ট লিখে নিলাম।

পোস্ট লিখে পোস্ট রেডি করতেই আমার প্রায় তিনটা বেজে গেল। এরপর নিজের পোস্ট করলাম এবং ভেরিফিকেশন শুরু করলাম। পোস্ট এর সংখ্যা খুবই কম, আমি ভেবেছিলাম চ্যালেঞ্জের শেষ সপ্তাহ হয়তোবা পোষ্টের সংখ্যা অনেক বেশি থাকবে। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখলাম একেবারেই কম, যেটা আসলেই আশা করিনি।

পোষ্টের সংখ্যা কম হওয়াতে ভেরিফিকেশন করার পাশাপাশি, নিজের ঘরের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পেরেছিলাম। এভাবে আসরের আযান দিয়ে দিল, এরপর অজু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার পর আবারো ভেরিফিকেশন শুরু করেছিলাম।

এরপর মেহমানদের সাথে কিছুটা সময় কাটিয়েছি, উনাদের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তাই উনাদেরকে বিদায় দিয়ে এসে আমি অজু করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপর ছেলেকে নিয়ে পড়তে বসলাম, ওদের পড়া শেষ হলে ওরা বলল রাতেও বিরানি খাবে। তাই আমি ওদেরকে রাতে বিরিয়ানি খাইয়ে ঘুমাতে বলেছিলাম। আমি আমার ভেরিফিকেশন শেষ করেছিলাম রাত সাড়ে দশটায়, এরপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করেছি। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।