Better Life With Steem || The Diary game || 14 May 2024||
বর্তমান সময়ে খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে চারপাশে কুয়াশা দেখা যায়। একেবারেই শীতকালের মত অন্ধকার হয়ে থাকে। নামাজ পড়তে উঠে এমন কুয়াশা মাখা সকাল বেলা দেখতে কার না ভালো লাগে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যখন বাহিরে বের হলাম। তখন দেখলাম কুয়াশায় চারপাশ ডেকে আছে, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে চারপাশের পরিবেশটা দেখলাম। শান্ত পরিবেশে শুধুমাত্র দু-একটা পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে, পরিবেশটা এত পরিমানে শান্ত যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
এরপর তাড়াতাড়ি করে এসে নামাজ পড়লাম। নামাজের বিছানার মধ্যেই মোবাইলটা বারবার বেজে উঠতে লাগলো। নামাজে থাকার কারণে আর কল ধরতে পারলাম না। এরপর নামাজ শেষ করে আবার কল ব্যাক করলাম। জানতে পারলাম চাল মাড়াই করার মেশিন একটু পরেই আমাদের বাড়িতে চলে আসবে। আমি ভাবতেও পারিনি এত সকালবেলা আসবে।
তাড়াতাড়ি করে নামাজ শেষ করে শাশুড়িকে ডেকে তুললাম, এরপর যাবতীয় যা যা জিনিস লাগবে সব কিছু রেডি করে রাখলাম। সবকিছু রেডি করে মাত্র ঘরে আসলাম, পেছনেই ডাক পড়ল মেশিন চলে এসেছে।
দেরি না করে চাল যে বস্তায় রাখবো সেগুলো রেডি করে নিলাম, এরপরে উনাদেরকে দেখিয়ে দিলাম ধান কোথায় আছে। ছয়টা বাজে মেশিন চালু দেয়া হলো। দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টা মেশিন চলতে লাগলো, এরপরে আমাদের ধান ভাঙ্গানো শেষ হলো। সর্বমোট ২৯ মন ধান হয়েছে। হয়েছে বললে ভুল হবে ২৮ মন ধান সিদ্ধ এবং এক মন শুধু চাউল এর গুড়ি করার জন্য তৈরি করেছিলাম, আর কিছু রেখেছিলাম হাঁসের জন্য মোটামুটি সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৩২ মণ ধান হয়েছে।
তবে সিদ্ধ করেছে শুধুমাত্র ২৮ মন, একে করে সমস্ত চাল বস্তায় ভরে নিলাম এবং ১৫ মন ধানের চাল একটা সিন্দুক এর মধ্যে বস্তায় ভরে সুন্দর করে রেখে দিতে হবে। তাই তার জন্য আলাদাভাবে বস্তায় ভরে নিয়েছিলাম এবং সিন্দুক এর মধ্যে রাখার জন্য আলাদাভাবে বস্তা গুলো সুন্দর করে, ওই ঘরে নিয়ে গিয়েছিলাম। এক এক করে সমস্ত বস্তা সিন্দুকের রেখে দিলাম।
সবকিছু সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতেই, আমার আরো দুই ঘন্টা লেগে গেল। মোটামুটি বলা যায় সকাল ছয়টা থেকে সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত শুধুমাত্র চাল মাড়াই করার কাজেই, আমার সময় লেগে গেল। তবে শুকরিয়া আদায় করছি সৃষ্টিকর্তার কাছে, সবকিছু সঠিকভাবে হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
এরপরে এসে চিড়া এবং নারিকেল দিয়ে মাখিয়ে খেয়েছিলাম সকালের নাস্তা হিসেবে। খাওয়ার পরে রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছি। রান্না-বান্না শেষ করতে আমার প্রায় দুপুর বারোটা বেজে গেল। সবকিছু গুছিয়ে ঘরে নিয়ে আসলাম, এরপরে গিয়ে গোসল করে নিলাম। সকাল থেকে কাজ করার কারণে শরীর একেবারেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
গোসল করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম, নামাজ পড়ার পর মনে হচ্ছিল এখন যদি একটু ঘুমাতে পারতাম তাহলে হয়তো ভালো হতো। কিন্তু আরো বেশ কিছু কাজ আমাকে করতে হবে। কিছুক্ষণ পরেই ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম এবং আমি নিজেও খাবার খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলাম। বড় ছেলে আসার পর ওকে খাইয়ে দিয়ে আবার মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম।
একটু পরেই আমার ভেরিফিকেশন শুরু করলাম, কিন্তু পোষ্টের পরিমাণ এত কম ছিল যার কারণে আমি আমার সংসারের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পেরেছি। সমস্ত চাল এক এক করে ড্রাম এর মধ্যে রেখে দিলাম। এবং চাউলের সাথে ঔষধ দিয়ে দিলাম, যাতে করে চাউল নষ্ট না হয়ে যায়।
সবকিছু সামলে নিতে আমার প্রায় আসরের আযান দিয়ে দিল। এরপরে আসরের নামাজ পড়ে আবার ভেরিফিকেশন নিয়ে বসলাম। মোটামুটি পোস্ট এর সংখ্যা খুব কম ছিল। তাই নিজের পোস্ট লিখে ফেললাম এবং সব কিছু রেডি করে পোস্ট করে দিলাম। কিছুক্ষণ পরে মাগরিবের আযান দিলে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম, এবং ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়িয়ে নিয়ে ছিলাম। আজকে তেমন একটা ভালো লাগছে না।
এরপর এশার নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম, আমার শাশুড়ি দুই ছেলেকে খাবার খাইয়ে দিল। আমার শরীরটা এত পরিমাণে খারাপ লাগছিল যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। রাত দশটা পর্যন্ত ভেরিফিকেশন করে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানিনা। অনেক বেশি ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম তাই হয়তোবা টের পায়নি। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
বেশ কিছুদিন থেকেই আপনি ধান সেদ্ধ,শুকানো, ভাঙ্গানো নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আসলে এই অঞ্চলটায় এই সময় এ কাজগুলো হয়ে থাকে। তবে ৩০-৩২ মণ ধানের কাজ করা এতটা সহজ ব্যাপার নয়।
ধানের কাজ শেষে সংসারের অন্যান্য যাবতীয় কাজ ও ছেলেদের প্রতি দায়-দায়িত্ব সমানভাবে পালন করে যাচ্ছেন। আপনি সুস্থ সবল থাকুন এই কামনাই করছি।
TEAM 2
Congratulations! This post has been voted through steemcurator05. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.আসলে আমার কাছে মনে হয় একটু কষ্ট করে যদি সঠিকভাবে ধান নেয়া যায়। তাহলে সারা বছর অন্ততপক্ষে ভালোভাবে খাওয়া যায়। একটু কষ্ট হয়েছে কিন্তু সবকিছু সঠিকভাবে সামলে নিতে পেরেছি। এজন্য অবশ্যই সৃষ্টি কর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। আপনাকে ধন্যবাদ আমার সুস্থতার জন্য দোয়া করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছেন। সকাল বেলায় কুয়াশা আমার ও খুব ভালো লাগে। আপনি সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
সকালবেলা যখনই কুয়াশা দেখে ঠিক তখনই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ধান ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে কুয়াশা ঘেরা পথে চলার সেই অনুভূতি ছিল অন্যরকম। পায়ের পাতা ভিজে একাকার হয়ে যেত কুয়াশার কারণে, আজকে সকাল বেলা কুয়াশা দেখে অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করছিল। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে শান্ত পরিবেশ উপভোগ করেছিলাম। আপনিও ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
প্রতিদিনের মতোই ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন।
আপনাদের ওদিকে দেখি বাসায় গিয়ে ধান ভাঙ্গানোর কাজ করা হয়। আমার মনে হয় এতে কষ্টটা অনেক কম হয়।
আমাদের এদিকে তো ধান রাইস মিলে নিয়ে গিয়ে ভেঙ্গে নিয়ে আসতে হয়। তবে বাসায় গিয়ে যেভাবে ভাঙ্গানো হয় তার থেকে রাইস মিলের চালটা একটু বেশি ভালো হয়।
এছাড়া সারাদিনের কার্যক্রম ও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা আমিও বিশ্বাস করি রাইস মিলে যদি ধান ভাঙ্গানো হয়। তাহলে ওই চাল দেখতে অন্যরকম লাগে খেতেও বেশ ভালো লাগে। তবে অনেক কষ্ট হয়, আসলে এত কষ্ট করে নিয়ে যাওয়াটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই বাড়িতেই ভাঙ্গানো হয়েছে আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার লেখার মাধ্যমেই জানতে পেরেছিলাম
যে বেশ অনেকদিন থেকেই আপনি ধান সিদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ধান সিদ্ধর কাজ যে শেষ হয়েছে সেটাও জানতে পেরেছিলাম আপনার লেখার মাধ্যমে।
ধান মাড়াই করার মেশিন যে বাসায় আসে এটা আমার জানা ছিল না। আমি জানতাম ধান থেকে চাল বার করতে হলে মিলে নিয়ে বের করে নিয়ে আসতে হয়। আপনার লেখার নতুন একটা বিষয় জানা হলো আমার।
৩২ মণ ধান সিদ্ধ করাটা খুবই কঠিন কাজ। আর এসব কাজ শেষ করে এগুলোকে গুছিয়ে রাখাটা আরো কঠিন। যাইহোক সব কাজ ভালোয় ভালোয় শেষ হয়ে গেছে।
এসব করার পাশাপাশি আপনি সংসারের কাজ, ছেলেদের কাজার সেই সাথে কমিউনিটির দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন, যা আসলে প্রশংসার দাবিদার।
নিজের প্রতি যত্ন নিবেন।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে এখন বর্তমান সময়ে বাড়িতে মেশিন চলে আসে। তাই আর দোকানে নিয়ে যেতে হয় না কষ্ট একটু কম হয়। অনেক মানুষ থাকলে কাজ করতে খুব সহজ হয়, কিন্তু একা আমি এবং আমার শাশুড়ির সহ কাজ করতে একটু কষ্ট হয়েছে। তারপরে আবার বৃষ্টির কারণে আরো বেশি কষ্ট আমাদের পেতে হয়েছে। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ শুকরিয়া আদায় করি, আল্লাহ তাআলার কাছে সঠিক ভাবে সবকিছু সম্পন্ন করতে পেরেছি। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এই গরমের মধ্যে সকালে কুয়াশা পড়ে এটা জানা ছিল না আসলে ঘুম থেকে তো দেরি করে উঠি দেখবই বা কিভাবে।।
আর এখনো যে বাড়ি বাড়ি যেয়ে এভাবে ধান ভেঙ্গে দেয় এটা অনেকদিন পর দেখলাম কারণ আমাদের এখানে ধান নিয়ে যেতে হয় মেলে।। যাইহোক ধান ভাঙ্গানোর শেষে রান্নাবান্না করেছেন সব মিলিয়ে একটু ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করেছেন।।
খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা চেষ্টা করবেন দেখবেন। আপনিও বুঝতে পারবেন সকালবেলা কুয়াশা দেখা যায়, আর ওই সময়টা ঠান্ডা হওয়া উপভোগ করার মজাটাই অন্যরকম। আমাদের এদিকে এখনো বাড়ি এসে ধান ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যায়। এতে করে আমাদের কষ্ট খুব কম হয়। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি একদম সঠিক বলেছেন সকালে ঘুম থেকে উঠলে হয়তো এই আবাস টা পাওয়া যাবে।। এখন যেহেতু পরীক্ষা শেষ মনে হয় না এত সকালে কখনো ওঠা হবে তারপরও চেষ্টা করে দেখব।।
ধান বাসায় ভেঙ্গে দিয়ে গেলে কত যে সুবিধা হয় সেটা আমি সবচাইতে বেশি বুঝি কারণ আমার ধান ভাঙ্গাতে ইচ্ছা করে না।। দুঃখের বিষয় হলো আমাদের এখানে বাসায় এসে ভেঙ্গে দেয় না।।
সকালে ওঠা একজন মুসলমানের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। বিশেষ করে ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য। তো আমি আপনাকে অনুরোধ করব। অন্ততপক্ষে অবশ্যই ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য হলেও, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠবেন। তখনই আপনি ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে পারবেন। আমাদের এদিকে আমি সেই ছোট্টবেলা থেকেই দেখে আসছি। বাড়িতে এসে ধান ভেঙ্গে দিয়ে যায়। কিন্তু আপনাদের ওইদিকে এমন অবস্থা কেন আমি ঠিক জানিনা। যাই হোক অবশ্যই প্রযুক্তির ছোঁয়ায় নতুন কোন পরিবর্তন চলে আসবে। হয়তো বা ধান ভাঙ্গানোর লোক বাড়িতেই চলে আসবে। এটাই দোয়া করি, ভাল থাকবেন।
আমি অনেক পারি চেষ্টা করেছি ফজরের নামাজ আদায় করব আসলে অলসতার জন্যই হয়ে ওঠে না আপু।।
আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো ফজরের নামাজ আদায় করার আর সকলের আবহাওয়া অনুভব করার।। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আমাকে সাজেশন দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।।
এমন একটা দিন আসবে যেটা আমাদের অলসতা কোন কাজে আসবে না। সেদিন আমাদেরকে হিসাব দিতে হবে আমরা কেন নামাজ আদায় না করে ঘুমিয়ে ছিলাম। এটা আসলে শয়তানের একটা কাজ। শয়তান আমাদেরকে উঠতে দেয় না। তবে আমাদেরকে জোর করেই উঠতে হবে এবং আল্লাহর দিক নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। আমি আশা করি আপনি পরবর্তী দিন থেকে অবশ্যই ফজরের নামাজ আদায় করে, সকালবেলা ঠান্ডা হাওয়া উপভোগ করে তারপরে ঘুমাবেন।