Better Life With Steem || The Diary game || 09 May 2024||
চারপাশে আযানের শব্দ পেয়েই তাড়াতাড়ি করে ঘুম থেকে উঠলাম। আজকে আমাকে অনেক কাজ করতে হবে। তাই দেরি না করেই প্রথমত নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। যদিও দেখতে পেয়েছি চারপাশে এখনো অন্ধকার, কিন্তু কাজের পরিমাণটা অনেক বেশি। এই চিন্তা করে ঘরের কাজগুলো প্রথমত সম্পন্ন করে নিলাম।
এরপরে ধানের পানি সরিয়ে নেয়ার জন্য সমস্ত ধান এক এক করে আলাদা করে নিলাম, এবং পানি সরানোর ব্যবস্থা করে দিলাম। পানি ধীরে ধীরে সরে যেতে লাগলো আমি এক এক করে ধান সিদ্ধ করতে লাগলাম। কিছু ধান সিদ্ধ হওয়ার পর সকালের নাস্তা হিসেবে টমেটো পেঁয়াজ কাঁচামরিচ কেটে চানাচুর দিয়ে মুড়ি মাখা বানিয়ে খেয়েছিলাম সবাই মিলে। বাকি সবাই চা খেয়েছিল, আমি যেহেতু চা তেমন একটা পছন্দ করি না, তাই আর খাইনি।
এরপরে আবারো ধান সিদ্ধ করার কাজে লেগে পড়লাম। এদিকে এক পাশে রান্নাবান্নার কাজ শুরু করে দিলাম। কেননা আমার কাছে মনে হয় রান্নাবান্না শেষ হয়ে গেলে কাজ করতে অনেক বেশি সুবিধা হয়। তাই এক এক করে ভাত তরকারি রান্না করে নিলাম, এরপরে ওই চুলার মধ্যেও আবার ধান সিদ্ধ করার জন্য পাতিল বসিয়ে দিলাম।
ধীরে ধীরে ধান সিদ্ধ হতে লাগলো, এদিকে দেখলাম আজকে বৃষ্টির পরিমাণটা খুব একটা নেই, মোটামুটি রোদ আছে। অতিরিক্ত গরম লাগছিল তার উপরে ঘাম হওয়ার কারণে কাশির পরিমাণটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গিয়ে ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম, সকালে ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছিলাম।
প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ ধান সিদ্ধ হওয়ার পর যোহরের আযান দিলো। তাড়াতাড়ি করে গিয়ে অজু করে নামাজ পড়ে ছেলেকে খাবার খাইয়ে দিলাম। কেননা তাকে ওষুধ খাওয়াতে হবে। এরপর আমি নিজে খাবার খেয়ে, ওষুধ খেয়ে আবার চলে গেলাম ধান সিদ্ধ করার জন্য।
ছেলেকে ঘুমাতে বলেছিলাম কিন্তু ও না ঘুমিয়ে বসে বসে খেলতে লাগলো। ভাবলাম হয়তো ওর শরীরটা ভালো লাগছে তাই আর কিছু বললাম না। আমি আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। অর্ধেক ধান সিদ্ধ হওয়ার পর আসরের আযান দিলো, আবার এসে নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ পড়ে বাইরে এসে দেখি, আমার শ্বশুর মুরগি নিয়ে এসেছে, কেননা দুপুরবেলা তেমন কিছুই রান্না করিনি। শুধুমাত্র আলু ভর্তা আর ডাল রান্না করেছিলাম। তার সাথে ছিল সামান্য পরিমাণে আগের দিনের তরকারি, তাই রাতে খাবার জন্য তেমন কিছুই ছিল না।
শাশুড়ি ধানের কাছে বসে ছিল, আমি এদিকে মুরগিটা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম সন্ধ্যা হওয়ার আগেই রান্না করে নেব। কেননা সন্ধ্যার অনেকক্ষণ পর পর্যন্ত আমাদেরকে ধান সিদ্ধ করতে হবে।
সবকিছু পরিষ্কার করা হয়ে গেলে আমি রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। এরপর মুরগি রান্না করে নিয়েছিলাম। রান্না করা হয়ে গেলে ঘরে নিয়ে আসলাম, এরপর আমি আবার ধানের কাছে গেলাম। ধান সিদ্ধ করতে আমার প্রায় রাত এগারোটার কাছাকাছি বেজে গেল।
এই কাজগুলো করাটা অনেক কষ্টের, কিন্তু তারপরেও করতে হবে। এটা ভেবেই সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে এগারোটা দশ মিনিটে আমি গোসল করতে গেলাম এরপর ঘরে এসেছি ১১:৩৫ মিনিটে, রাতের খাবার খাওয়ার কোন ইচ্ছেই ছিল না। তাই না খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম, এভাবেই আমার দিনটা কেটে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিনলিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আমাদের দেশের বেশিরভাগ জায়গায় বর্তমানে ধানের কাজ চলছে। প্রতি বাড়িতেই কম বেশি ধান নিয়ে সবার ব্যস্ততা বেশ লক্ষনীয়। আপনার লিখা এবং ফটোগ্রাফিতে সেটি স্পষ্ট। এর মাঝে আবার বাড়ির রান্না বান্নার কাজ এবং অন্যান্য কাজও আপনি সামলেছেন। সব দিক সামলানো সত্যি কঠিন একটি ব্যপার। আপনি সেটি পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন আপু। শুভ কামনা রইলো।
সবদিক সামলে নেয়া কঠিন ব্যাপার কিন্তু তার পরেও সামনে নিতে হয়, কারণ আমরা নারী। আমাদেরকে সবকিছুই করতে হয়, ধানের কাজের পাশাপাশি বাচ্চাদের দেখাশোনা সংসারের রান্না বান্না সবকিছুই। ধানের কাজ বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা জায়গায় কমবেশি সবার ঘরেই রয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
বাড়ির অনেক কাজকর্ম থাকার জন্য খুব সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্নার কাজ সেরে নিয়েছেন। আমারও ঠিক তাই মনে হয় বাড়ির অনেক কাজ থাকলে সকাল-সকাল রান্নাবান্নার কাজ সেরে নিয়ে। পরে কাজগুলো গুছিয়ে নিতে খুব ভালো হয়।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেক কাজ করেছেন।
ব্যস্তময় একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে তো মনে হয় রান্নাবান্নার কাজ অনেকটা ঝামেলার। এই কাজটা আমরা যদি আগেই শেষ করে ফেলতে পারি, তাহলে পরবর্তীতে সমস্ত কাজ এক এক করে গুছিয়ে নেয়া যায়। এতটা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয় না। সঠিক সময়ে খাওয়া দাওয়া করা সম্ভব হয়। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Wowww what a dish !! It looks extremely delicious and tempting. You have shared detailed recipe of this food. Sabzi with wheat Flou's Chapati must have made your day good. Though I prefer vegan, I will surely try the recipe you shared with us. Thank you
অবশ্যই আমার দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটেছে। নিরামিষ খাবার আমি নিজেও পছন্দ করি। তবে খুব কম খাওয়া হয়। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। আপনার দিনটাও বেশ ভালো কাটুক।।
আমি ছোট বেলাতে ধান সেদ্ধ করতে দেখেছি তবে এভসবে সারাদিন করতে দেখি নাই। ১০/১১টার আগেই শেষ করে ফেলতো। সেগুলো শুকানো হলে আবার পরে সেদ্ধ করতো।
রাতে ধান সেদ্ধ করলেতো রোদ দেয়া যায় না আর এর মাঝে যদি ঝড় বৃষ্টি হয় তাহলেতো ধান গন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তারচেয়ে আমার মনে হয় প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধ করলে এতটা কস্ট হতো না আপনার।
ভালো দেখে একজন ডাক্তার দেখান।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে আমি একজন মানুষ তাই কাজটি করতে গিয়ে সারাদিন লেগে গেল। তবে ধান ঠান্ডা হয়ে গেলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম থাকে। তবে যদি ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় তাহলে ধান একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। এইতো ধানের গাছ প্রায় শেষ, অবশ্যই ভালো একজন ডাক্তার দেখাবো, কারণ শরীরের অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আপনাকে ধন্যবাদ পরামর্শ দেয়ার জন্য।
আপনি একদম খাটি গেরস্থ ঘরের বউ এর মত সব গুলো কাজ নিজেই করেন। এই যুগে সবাই ধান থেকে চাল করার জন্য অটোরাইস মিলের স্মরণাপন্ন হয়, সেখানে আপনি ব্যতিক্রম।
আসলে বাড়ির বউ হয়ে যখন এসেছি, তখন ঘরের প্রত্যেকটা কাজ অবশ্যই আমাকেই করতে হবে। চেষ্টা করে যাচ্ছি একা হাতে সবকিছু সামলে নেয়ার জন্য। আজকে ধান শুকিয়ে গেছে ইনশাল্লাহ কালকে সকালেই ধান থেকে চাল বের করে নেব। মেশিন খবর দেয়া হয়ে গেছে। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
Hello friend greetings to you, hope you are doing well and good there.
Rice is my so much special food. I have heard Bangladesh is a place yielding too much rice. I have never seen before the procedure of cutting rice and making it edible. You have shown us here how to remove water from the rice. The chicken looks too much delicious, let me tell you I can cook chicken too much delicious too. Your diary is amazing my friend, thanks for sharing your beautiful day with us.
অবশ্যই বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জায়গায় প্রচুর পরিমাণে ধান হয়ে থাকে, আর জমিন থেকে ধান কেটে আমরা তা চাল প্রস্তুত করে থাকি। তবে সেটা তৈরি করা এতটা ও সহজ নয়। অনেকটা কষ্টের মাধ্যমে তৈরি করতে হয়। চিকেন আমরা সবাই পছন্দ করি। তবে আমার ক্ষেত্রে একটু অন্যরকম, আমি চিকেন ফ্রাই খেতে ভালবাসি কিন্তু রান্না করলে খেতে পারি না। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।