আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য টক দই খাওয়ার উপকারিতা!
দই খেতে কার না ভালো লাগে! আমি নিজেও দই অনেক বেশি পছন্দ করি! কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা টক দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী! টক দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন,, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, আরো রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং এর পাশাপাশি রয়েছে,, উপকারী ব্যাকটেরিয়া। একজন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে হলেও টক দই খেতে পারে! তাহলে কিন্তু তার শরীর বিভিন্ন রোগের বাসা বাধা থেকে দূরে থাকবে।
টক দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী,,এটা একটা দুগ্ধজাত পণ্য খাবার! যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক! টক দই খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কি কি উপকার হতে পারে! এটা নিয়ে সামান্য একটু আলোচনা।
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য টক দই খাওয়ার উপকারিতা |
---|
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
পরিপাক হতে সাহায্য করে
হাড় এবং দাঁত শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
আমাদের শরীরের হৃদ যন্ত্র ভালো রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমায়
আমাদের ত্বক এবং চুল ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো,, এবার বিস্তারিত ভাবে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:- টক দইয়ের মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া! যা আমাদের শরীরের রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সাথে লড়াই করে! আমাদের অসুস্থ শরীলটাকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টক দই এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন! যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে,, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পরিপাক হতে সাহায্য করে:- টক দইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রোবায়োটিক এক ধরনের ভিটামিন! যা আমাদের স্বাস্থ্যের অন্ত্রের ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি তো আগেই বলেছিলাম,, টক দই এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে,, এই ব্যাকটেরিয়া আমাদের পাচনতন্ত্রকে প্রবলভাবে প্রশমিত করে,, আর সেই সাথে অন্ত্রের ভালো রাখে।
হাড় এবং দাঁত শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে :- টক দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায়,, আমাদের হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমি তাদেরকে অনুরোধ করব! যাদের হাড় এবং দাঁতের সমস্যা রয়েছে! তারা যেন প্রতিনিয়ত টক দই সামান্য পরিমাণে হলেও খেতে পারে! এতে করে তাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমাদের শরীরের হৃদ যন্ত্র ভালো রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:- যাদের টক দই খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে,, তাদের হার্ট ভালো থাকে! কেননা টক দইয়ে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে! এটা আমাদের রক্তচাপ কমিয়ে দেয়; এতে করে আমাদের হার্টের সমস্যা থেকে,, আমরা কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেতে পারি।
শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমায় :- টক দই খেলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়! আমেরিকার একটা গবেষণার মধ্যে বলা হয়েছে! প্রতিদিন যদি টক দই খাওয়া যায়! তাহলে আমাদের শরীরে যে উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ থাকে! সেটা অনেকটাই কমে যায়।
আমাদের ত্বক এবং চুল ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:- টক দের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল রয়েছে! এই মিনারেল আমাদের চুল এবং ত্বক ভালো রাখতে,,, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন! টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে! আসলে আমরা সবাই চেষ্টা করব,, প্রতিদিন অন্তত হলে এক থেকে দুই চামচ টক দই খাওয়ার জন্য! এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার। সবার সুস্থতা কামনা করে! আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি! আল্লাহ হাফেজ।
I can't write very well in English! Bengali is my mother language. I feel much more comfortable writing in Bengali! Today I share with you! A little discussion about the benefits of eating sour yogurt.
meraindia
!upvote 40
🎁🏆 Participate in in contests promoted by the "Seven Network" Community🎁🏆.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven). Also your post was promoted on Twitter by the account josluds
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 120%
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
Thank for support me ❤️
@rubina203
অসাধারণ একটি লেখা আপনি উপস্থাপন করেছেন। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সবাইকে অবগত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
এভাবেই কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,, আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
টক দই আমি অনেক পছন্দ করে থাকি ৷ আর টক দই শরীর স্বাস্থ্যের জন্য যে অনেক উপকারে আসে যেগুলো উপকারিতা আপনি ইতিমধ্যে আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন ৷ টক দই সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য আজকে জানতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,, আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আজ আপনি একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । টক দই আমাদের নিত্য প্রয়োজন।আপনি টক দইয়ের সকল প্রকার উপকারিতা সুন্দর ভাবে বর্ননা করেছেন । এই পোস্ট থেকে অনেক কিছু শিক্ষতে পড়েছি ।আমি বাসায় সব সময় টক দই রাখি ।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
ইংরেজিতে একটি বহু প্রচলিত কথা Prevention is better than cure। আপনার প্রতিবেদন পড়ে মনে হল আপনি ও এই কথার সমর্থনে টক দই খাবার কথা বলেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ মিষ্টি দই খেতে ভালো বাসে তাই জানতে ইচ্ছা করছে এর কি কোন উপকারিতা নেই। আপনার শুভ কামনা করি।
মিষ্টি খাওয়ারও কিছু উপকারিতা রয়েছে। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়াটা অনেক বেশি সমস্যার ব্যাপার। তাই কন্ট্রোলে রেখে মিষ্টি খাওয়া খুব প্রয়োজন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
টক দই আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটা জিনিস এটা আগে থেকেই জানা ছিল তবে আপনার লেখা পরে আরও ভালো ভাবে জানা হলো।
আমরা সাধারণতো বাইরে থেকে কিনে আনা দইই খেয়ে থাকি কিসুটা অলসতার জন্। এটা যদি নিজেরা ঘরে বানাই তাহলে আমাদের টাকাও যেমন বাঁচবে তেমনি উপকার বেশি পাবো ,এটা আপনার লেখা পড়তেছিলাম আর ভাবতেছিলাম।
ধন্যবাদ এমন একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য। ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলেই সঠিক বলেছেন বাহির থেকে কিনে আনলে আমরা আসলে অনেকটা সন্দেহের মধ্যে থাকতে হয়। কিন্তু ঘরের মধ্যে যদি আমরা টক দই বানাতে পারি। সে ক্ষেত্রে আমাদের টাকা কিছুটা হলেও বেঁচে যায়। এবং আমরা সঠিক খাবার গ্রহণ করতে পারি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, আমার পোস্ট করে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিক বলেছেন টক দই খুব উপকারী একটি উপাদান হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মেয়েদের হার সাধারণ একটু ভঙ্গুর টাইপের হয় । তাই মেয়েদের বয়স 40 হওয়ার পরে প্রতি নিয়ত পরিমিত এই টক খাওয়া উচিত। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত উপকারী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,, আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ভালো থাকবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।