লটকন/লটকাউ
আমি বাংলাদেশ থেকে @rashidaakter আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায়। আজ আমি দুই বাংলার অতি পরিচিত একটি সুস্বাদু ফল লটকন নিয়ে বলব।
Photo taken by Tecno Spark 6 Air
গোলগাল ছোট্ট হলুদ রঙের এই টক-মিষ্টি স্বাদের রসালো ফলটি লটকন। ফলটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়।লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে; যেমন- হাড়ফাটা, বুগি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, ইত্যাদি। তবে এর বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea motleyana.
তবে যে নামেই ডাকা হোক, ছোট্ট এই ফলটি কিন্তু বেশ উপকারী। আষাঢ় ও শ্রাবন মাসে এই ফল পরিপক্ক হয়ে খাওয়ার উপযোগী হয়। এখন শ্রাবন মাস চলছে আর বাজারে লটকন ভরপুর। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লটকন আমরা খুব সহজেই রাখতে পারি।
আমরাজানি লটকন ভিটামিনে ভরপুর একটি দেশজ ফল। যা খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের পারমাণও বাড়বে। যদিও লটকন স্বল্প সময়ের ফল। বর্ষা মৌসুমে এই ফলটি বাজারে খুব সহজলভ্য হয়ে ওঠে। এখন রাস্তাঘাটে সব জায়গায় মিলছে এই ফলটি।
Photo taken by Tecno Spark 6 Air
পুষ্টিবিদরা বলেন, লটকনে কোনো প্রকার ক্ষতিকর উপাদান নেই। ছোট বড় সবাই এই ফলটি খেতে পারেন। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আছে লটকনে। লটকন খেলে কোন কোন রোগ থেকে নিরাপদে থাকবো তার সম্বন্ধে জেনে নেয়া যাক।
১. লটকনে আছে ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই ফলে ভিটামিন সি এতটাই বেশি আছে যে দিনে ২-৩ টি খেলেই আমাদের দৈনিক ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। নিয়মিত লটকন খেলে বিভিন্ন চর্মরোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন সি থাকায় চর্মরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২. লটকনে রয়েছে নানা রকম খনিজ উপাদান। যেমন- পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম উল্লেখযোগ্য। এসব উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখে।
৩. পুষ্টিবিদদের মতে খাদ্যশক্তির ভালো উৎস এই লটকন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। যা কাঁঠালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
Photo taken by Tecno Spark 6 Air
৪. লটকনে আরও আছে এনজাইম ও অ্যামাইনো অ্যাসিড । যা আমাদের দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। আর এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লটকনে কিছু পরিমাণে প্রোটিন ও ফ্যাট পাওয়া যায়।
৫. অতিরিক্ত গরমে তৃষ্ণা মিটাতেও সাহায্য করে এই লটকন। কারণ এতে জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি। এমনকি ডিহাইড্রেশন কাটিয়ে উঠতেও লটকন সাহায্য করে। বমি বমিভাব দূর করতে পারে লটকনে থাকা পুষ্টিগুণ। পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে লটকন।
৬. লটকন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে । কারণ এই ফলের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি নেই। এর ফলে এই ফল খেয়ে ডায়াবেটিস রোগীরাও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে।
লটকনের নানারকম গুণ যতই থাকুক না কেন একবারে বেশি লটকন না খাওয়াই ভালো, কারণ এতে করে অনেক সময় ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে। যে কোন খাবারই অতিমাত্রায় গ্রহন করা উচিৎ নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
25% to @null to support #burnsteem25
10% of this payout for @meraindia
Achievement 1 verified link
◦•●◉✿ Thank You ✿◉●•◦
10% of this payout for @meraindia
আমাদের এলাকায় এই ফল গুলোকে নোটকো নাম বলে থাকে ৷ এই ফলের গাছ গুলো হঠাৎ হঠাৎ গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় ৷ আর বেশিরভাগ মানুষ এই ফল গুলো বাজার থেকে কিনে এনে খেয়ে থাকে ৷ তবে আমাদের বছরে একবার হলেও নানা ধরনের ফল মূল খাওয়া দরকার ৷ তারপর আপনি এই নোটকো ফল নিয়ে বেশ কিছু উপকারিতা শেয়ার করেছেন ৷
যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
@yoyopk
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
আপনি লটকন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন তা পরে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম যেমন লটকন খেলে কি হয় এই সম্পর্কে জানতে পারলাম।ছোট্ট গোলগাল নিরীহ চেহারার ফলটির নাম লটকন। হলুদ রঙের এই টক-মিষ্টি স্বাদের ফলটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লটকন ফলকে সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। তবে যে নামেই ডাকা হোক, ছোট্ট এই ফলটি কিন্তু বেশ উপকারী। এখন চলছে লটকনের মৌসুম। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লটকন রাখতে পারেন।
এছাড়া লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল। তাই আমাদের সবাই উচিত লটকন ফল খাওয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন
@hafizur46n
ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য।