Better Life with Steem|| The Diary Game||24 April 2024||।।
কেমন আছেন বন্ধুরা? আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে আমি সুস্থ্য এবং ভালো আছি। সুস্থ্যতা আল্লাহ্ তা’লার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর এই নিয়ামত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
যাইহোক আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার গতকালের দিনলিপি উপস্থাপন করতে চলছি।
দুদিন থেকে শরীলটা তেমন ভালো নেই। আপনারা অবগত আছেন দুদিন আগে আমি বেশ অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম। এখন আলহামদুলিল্লাহ্ সুস্থ্য আছি। কিন্তু অত্যাধিক গরম আর লোড শেডিং দৈনন্দিন কর্মকান্ডে বেশ প্রভাব ফেলছে।
গত দুদিন থেকে কেন জানি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারছি না। এক দিকে কাজের চাপ, অন্য দিকে অসুস্থ্যতা। গরম আর লোড শেডিং তো আছেই। তাতে যুক্ত হয়েছে আমার ছেলের কিছুটা অসুস্থ্যতা।
সবমিলিয়ে বেশ মানসিক চাপে রয়েছি। তবে চেষ্টা করছি এগুলো থেকে নিজেকে বের করার।
গতকাল ঘুম ভেঙ্গেছিলো পাখির কিচির মিচির শব্দে। ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ব্যক্তিগত কিছু কাজ সম্পন্ন করি। এরপর মাকে বলি সকালের খাবার দিতে। মা বলে যে বাইরে যে গরম সকালে পান্তা ভাত খাওয়া অনেক ভালো।
এতে নাকি শরীর কিছুটা হলেও ঠান্ডা থাকে। তাই সকালে পান্তা ভাত খেয়ে নিই। এরপর তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করি। অফিসে পৌঁছে সবকিছু দেখে নিয়ে নতুন তারিখ লিখে দিনের কার্যক্রম শুরু করি।
কাজের ফাকে আমার স্টিমিট একাউন্ড ব্রাউজ করতে থাকি এবং নটিফিকেশন চেক করতে থাকি। অনেক বন্ধুর কমেন্টের উত্তরও দেই। এরপর কিছুক্ষণ কাজ করে ভাবলাম যে একটু চা খেয়ে নিই। কেননা মাথাটা কেমন জানি ঝিম ঝিম করছিলো।
বেশ কিছু ঔষধ সেবনের ফলে হয়তো এমনটা হয়েছে। এরপর আলী ভাইয়ের চায়ের দোকানে যাই এবং তার সাথে কিছুটা সময় অতিবাহিত করি। আলী ভাইয়ের সবথেকে বড় গুণ হলো তিনি খুব সুন্দর করে চা বানিয়ে গ্রাহকদের খাওয়ান।
আপনারা ছবির দিকে একটু খেয়াল করলে দেখবেন যে তিনি চা বানাতে কতটা মনযোগী। এরপর তিনি আমার পছন্দের রং চা খুব যত্ন করে বানিয়ে আমাকে খেতে দিলেন। চায়ে চুমুক দেয়ার সাথে সাথেই মন জুড়িয়ে গেলো।
পুরো চা খাওয়ার পর মাথা ব্যথা যে কোথায় হাড়িয়ে গেলো টেরই পেলাম না। এরপর ভাইয়ের দোকান থেকে বিদায় নিয়ে আবার অফিসে এসে কাজ শুরু করি।
দুপুরে যোহরের নামাজ আদায় করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। দুপুরে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা ছিলো। দুপুরের রোদে হয়ত খুব প্রয়োজন না হলে মানুষজন বাসা থেকে বের হবার প্রয়োজন বোধ করবে না। সব মিলিয়ে সবাই বেশ অসুবিধার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে।
যাইহোক বাসায় এসে সবার আগে গোসল সেড়ে নিই। এরপর মা খাবার দিলে খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম করি। স্ত্রীকে ফোনকল দিয়ে ছেলের খোঁজখবর নিই। স্ত্রী জানায় বাবু নাকি আজ সকাল থেকেই ঘুমাচ্ছে না। আর একটু কান্নাকাটিও করতেছিলো।
আমি বলেছিলাম একটু বেশি গরম পরেছে তাই হয়তো বাবু এমনটা করছে। সব মিলিয়ে আমারো একটু দুশ্চিন্তা হচ্ছিলো। তারপর একজন ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হই এবং তিনি অভয় দিয়ে বলেন কোন সমস্যা নেই।
এরপর অফিসের উদ্দেশ্যে আবারো রওনা করি। রাস্তা এক ভাতিজার সাথে অনেকদিন পর দেখা হয়েছিলো। পরে তার সাথে কুশল বিনিময় করি এবং তার খোঁজখবর নিতে থাকি। মূলত সে কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকে।
আমাদের উত্তর অঞ্চলের অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহে রাজধানী ঢাকায় পারি জমায়। তাকে বিদায় দিয়ে রাফির দোকানের সামনে এসে দাঁড়াই পান খাওয়ার উদ্দেশ্যে। আজ রাফির মন বেশ ভালো।
তার সাথে কথা বলে অনেক ভালো লাগলো। মূলত সে তার ভালোলাগার মানুষের দেখা পেয়ে গেছে। তাই তার মন অনেক খুশি। তার সাথে কিছু কথা শেষে অফিসে এসে পৌঁছাই এবং কাজ শুরু করি।
কাজ শেষে আসরের নামাজ আদায় করি মসজিদে গিয়ে। আজ আকাশে কিছুটা মেঘের দেখা পেয়েছিলাম। সূর্য মেঘের আড়াল থেকে উকি দিচ্ছিলো। মনে মনে আল্লাহকে বলতে লাগলাম, আল্লাহ্ আজ যেন বৃষ্টি হয়।
রাতে শশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম ছেলেকে দেখার জন্য। গিয়ে দেখি ছেলে বেশ আরাম করে ঘুমাচ্ছে। শরীরে কোন কাপড় নেই।
স্ত্রীকে বলেছিলাম একটা কাপড় গায়ে দিয়ে দেয়ার জন্য কিন্তু স্ত্রী বললো যে না, কাপড় গায়ে দিয়ে দিলেই নাকি তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এরপর ছেলেকে আদর করে খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে আসি।
বন্ধুরা এই ছিলো আমার গতকালের কার্যক্রম। ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ্হাফেজ।
অতিরিক্ত গরমের কারনে আমাদের আশেপাশের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা শারীরিকভাবে কিছুটা অবনতি হওয়ার জোগাড় হচ্ছে। আপনার উপরও হয়ত গরমের প্রভাব পড়েছে। আমি নিজেও গরম সহ্য করতে পারি না তাই শারীরিকভাবে কাহিল হয়ে পড়ছি।
ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুন।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। বর্তমানে রোদের তাপমাত্রায় অনেকে এরকম অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আর বিদ্যুতের কথাতো নেই বললেই চলে।
ঘুম থেকে উঠে পান্তা ভাত খেয়ে অফিসে গিয়েছেন। আসলেই আপনার মা ঠিক বলেছেন সকালবেলা পান্তা খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।
অফিসে গিয়ে অফিসের কাজকর্ম সেরেছেন এবং চাও খেয়েছেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম বেশে ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য।
ডিপ্রেশন এবং মানসিক চাপ মানুষকে বৃদ্ধ বানিয়ে দেয় তাই সর্বদাই চেষ্টা করা উচিত মানসিক চাপগুলো থেকে বিরত থাকা সবসময় আনন্দের সাথে থাকা। আপনার জন্য দোয়া রইল যেন এই মানসিক চাপ থেকে আপনি দ্রুত বের হয়ে আসতে পারেন।