"ইভটিজিং ও এর প্রতিকার"
আসসালামু আলাইকুম/ আদাব,
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আমি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সুস্থ ও ভালো আছি। আজ ইভটিজিং বিষয়ে আমার কিছু কথা তুলে ধরলাম।
ছবিটি ইডিট করা হয়েছে Canva Apps দিয়ে।
ইভটিজিং আমাদের জীবনে একটি দৈনন্দিন ক্ষত হিসেবে পরিণত হয়েছে। দেশের হাজার হাজার খবর ছাড়িয়ে ইভ টিজার এখন বড় একটি ব্যাপার। সম্প্রতি, অনেক মেয়ে, এই ভয়ানক সমস্যার ক্ষত এবং অপমান থেকে দগ্ধ হয়ে আত্মহত্যার মত নিষ্ঠুর পথ বেছে নিয়েছে।
ইভটিজিং হলো একটি সামাজিক ব্যধি। এটি সামাজিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, আদর্শ এবং জীবনের অর্থকে আচ্ছন্ন করে ফেলছে। এই ভয়ঙ্কর, বিরক্তিকর সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া এখনকার সময়ের দাবি।
আধুনিক সমাজে, "ইভ টিজিং" শব্দটিকে "যৌন হয়রানি" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। অক্সফোর্ড অভিধানে, "ইভ টিজিং" শব্দটির অর্থ "নারী বা মেয়েদের প্রতি হয়রানি বা আক্রমণাত্মক যৌন আচরণ"। যৌন হয়রানি হল এক ধরণের কার্যকলাপ এবং আচরণ যা একজন ব্যক্তির যৌনতা বিষয়ক মানহানি করার সমতুল্য।
ইভটিজিং নারীর প্রতি এক ধরনের সহিংসতা। তাদের আন্দোলনে প্রায় সর্বত্রই ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, পুরুষ-মহিলা শ্রমিকসহ প্রতিটি নারীকে কোনো না কোনোভাবে উপহাস করা হয়। নারীকে বখাটে ছেলেরা মৌখিক, অমৌখিক বা শারীরিক উপায়ে উত্যক্ত করে, যার মধ্যে সেল ফোন, ইন্টারনেট এবং তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারও রয়েছে।
ইভটিজিং বিভিন্ন ভাবে হয়ে থাকে। যেমনঃ অশ্লীল মন্তব্য, হিসিং, ইচ্ছাকৃতভাবে টিজিং গান, হুমকি, উড়ন্ত চুম্বনে ইঙ্গিত, পথে প্রতিরোধ ইত্যাদি। এটি একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে খারাপ ও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। ইভ টিজিং মহিলাদের মানসিকভাবে আঘাত করে। ইভটিজিং নারীদের অবাধে চলাফেরার স্বাধীনতাকে সীমিত করে।
ছবিটি ইডিট করা হয়েছে Canva Apps দিয়ে।
বর্তমানে অনেক তরুণী এই সমস্যার সমাধান হিসেবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ইভ টিজিং শুধুমাত্র মেয়েটিকে নয়, পুরো পরিবারকে প্রভাবিত করে। ফলস্বরূপ, একজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারী নিজেকে হতাশার সাগরে হারিয়ে ফেলে যা একটি নৃশংস আত্মহত্যায় পরিণত হয়।
ইভটিজিং এড়াতে করণীয়:
১। ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা।
২। সামাজিক আন্দোলন এবং প্রতিরোধকে
শক্তিশালী করা।
৩। বখাটেদের সামাজিক ভাবে শাস্তির আওতায়
আনতে হবে ও প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
৪। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এবং মুক্ত সংস্কৃতি
কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করা এবং নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার
নিশ্চিত করা।
৫। নারীদের প্রতি সম্মান দেখানো এবং ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা।
৬। নারীদের ভালো পোশাক পরার এবং বিনয়ীভাবে
চলাফেরা করার মানসিকতা তৈরি করা।
৭। বিনোদন এবং সাংস্কৃতিক অনুশীলনের উন্নতি
করা।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি, একজন নারী তার কর্মস্থল কিংবা বিদ্যালয় কিংবা কলেজ থেকে নিরাপদে যখন বাড়ী আসতে পারবে তখন হয়ত এই সমাজ ইভটিজিং নামক আগ্রাসন থেকে কলঙ্ক মুক্ত হবে। আর একজন নারী একটি স্বপ্নময় জীবন খুঁজে পাবে এবং সামাজিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলামুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন সমাজ গঠিত হবে।
আজ আর নয়। সবাই ভালো থাকবেন।
ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধি যেটা বর্তমান সমাজকে অনেক বড় আকারে গ্রাস করেছে। বর্তমানে রাস্তাঘাটে চলার সময় মেয়েরা ইভটিজিং এর শিকার হয়ে থাকে।
যারা ইভটিজিং করে তাদের মানসিক মূল্যবোধের অভাব এবং শিক্ষার অভাব আছে। তাই তারা এমন কাজটি করে থাকে। আবার তাদের ধর্মীয় জ্ঞান কম থাকে।
এই ঘৃণিত কাজটির বিরুদ্ধে আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া দরকার। তবেই এটি সমাজ থেকে নির্মূল করা সম্ভব হবে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
#miwcc
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোস্টে যখন ওপেন করলাম। তখন দেখতে পেলাম আপনি ইভটিজিং বিষয়ে আজকের টপিকটা লিখেছেন। আসলে আমার এই ইভটিজিং কথাটা শুনলেই, শরীরটা যেন শিহরিত হয়ে ওঠে।
এর কারণটা হচ্ছে আমাদের পাশের গ্রামের। মাত্র ছয় বছরের একটা মেয়ে। যাকে কিনা বখাটে একটা যুবক মাঠের মাঝখানে নিয়ে। একবার নয় দুইবার নয় সর্বমোট ৬ বার নির্যাতন করে। সে শিশুটার গলা কেটে দিয়েছিল।
শিশুটাকে নির্যাতন করে, বা তার গলা কেটে দিয়েই ওই বখাটে ছেলে শান্ত ছিল না। শিশুটার লাশ ঘুম করার জন্য। তাকে সেফটি ট্যাংকের ভিতর ফেলে দিয়েছিল।
ওই ঘটনার পর থেকে ইভটিজিং সম্পর্কে কোন খবর যদি আমার সামনে আসে। আমার শরীর শিহরিত হয়ে ওঠে ভয়ে।
ইভটিজিং থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি বেশ কিছু পয়েন্ট আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। আসলে পয়েন্টগুলো নিয়ে যদি সঠিকভাবে কাজ করা যায়। তাহলে কিন্তু ইভটিজিং বন্ধ করার খুব সহজ হয়ে যাবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা টপিক,এবং এই অপরাধ কিভাবে দমন করা যায় সে বিষয়ে আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।
#miwcc
JI APU. APNAKE DHONNOBAD