সৎ থাকার বিষয়ে যখন নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি
কেমন আছেন বন্ধুরা? আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে আমি সুস্থ্য এবং ভালো আছি। সুস্থ্যতা আল্লাহ্ তা’লার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর এই নিয়ামত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
যাইহোক আজ আমি আপনাদের মাঝে “সৎ থাকার বিষয়ে যখন নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি” শীর্ষক একটি লিখনি উপস্থাপন করছি।
অনেক সময় একটি প্রশ্ন আমি নিজেই নিজেকে করি। প্রশ্নটি হলো, আমি আমার কাজের প্রতি কতটুকু সৎ। প্রশ্নটি অনেক সহজ মনে হলেও এর উত্তর কিন্তু অনেক জটিল।
কেননা সততা নির্ধারণ নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে হয় না বরং সামগ্রিক কাজের উপর পুরো বিষয়টি প্রভাব বিস্তার করে।
যেমন আপনি অফিসের কাজের ব্যপারে বেশ সৎ কিন্তু প্রতিদিন রিকশা করে অফিসে আসার সময় রিকশা ওয়ালাকে সঠিক ভাড়া না দিয়ে আপনার মনমত ভাড়া প্রদান করেন। এক্ষেত্রে সততার মান নির্ধারণে কিছুটা হলেও বিপাকে পরতে হবে।
যাইহোক এবার আসল কথায় আসি। আমি আমার কাজের প্রতি সৎ কিনা এটি নির্ধারণ করতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় ও অনেকগুলো প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হয়েছি। প্রথম বিষয়টি হলো আমি আমার কাজের প্রতি কতটা মনযোগী।
আমার কাজ কী আমার কাছে বেশি প্রাধান্য পায় নাকি অন্য কিছু প্রাধান্য পায়। আমি যদি আমার কাজের প্রতি মনযোগী থাকি এবং আমার কাজকেই সবথেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি তাহলে আমার বিবেক আমাকে উত্তর দেবে আমি কাজের প্রতি সৎ কী না।
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো আমার মাঝে কাজের মান এবং সময় জ্ঞান কেমন? আমি যে পেশায় নিয়োজিত থাকি না কেন আমাকে কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কাজ করতে হয়।
আমার কাজের মান যদি ভালো না হয় তাহলে বুজতে হবে সেই কাজের প্রতি আমার হয়তো চাহিদা কম কিংবা আমি কাজটি পুরোপুরি মনযোগ দিয়ে করছি না। এক্ষেত্রে কিন্তু বলা যায় আমি কাজের ক্ষেত্রে সৎ নই। এরপর সময়জ্ঞান।
প্রতিটি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা উত্তম। বিনা প্রয়োজনে আলসেমী করে যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই কাজটি সম্পন্ন করতে সক্ষম না হই তাহলে কিন্তু সেখানে সততার প্রশ্নটি থেকেই যায়।
তৃতীয় বিষয়টি হলো সহকর্মীদের প্রতি আমার মনোভাব। প্রতিটি কাজেই কম বেশি সহকর্মী বিদ্যমান। তাই সহকর্মীদের প্রতি আমার মনোভাব হিংস্বাত্বক কীনা সেটি যাচাই করা জরুরি।
এছাড়াও তাদের কাজে সাহায্য করার মনমানসিকতা, ভালো আচরণ করা এবং তাদের প্রতি আন্তরিক হওয়া জরুরি। এই গুণগুলো অর্জন করতে সক্ষম হলে হয়ত আমি নিজেকে সৎ হিসেবে দাবি করতে পারি।
চতুর্থ বিষয়টি হলো আমি যাদের সেবা দেই অর্থ্যাৎ আমার যারা ক্লায়েন্ট তাদের আমি পর্যাপ্ত সেবা দেই কিনা। তারা আমার কথা বার্তা, আচরণ ও সেবায় সন্তুষ্ট কীনা সেটি যাচাই করা জরুরি।
যদি যাচাই করে পজেটিভ কোন বার্তা পাওয়া যায় তাহলে বুজতে পারবো আমি কিছুটা হলেও গ্রাহকদের সেবা দেয়ার বিষয়ে সৎ রয়েছি।
পঞ্চম বিষয়টি হলো গোপনীয়তা রক্ষা করা। এক্ষেত্রে গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষা করা সবথেকে বেশি জরুরী। তারপর সহকর্মীদের, অধনস্তদের, এমনকি পুরো প্রতিষ্ঠানের।
যারা প্রাইভেট সেক্টরগুলোতে চাকুরি করে তাদের এই দিকটি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। আমি নিজে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। যদি আমার দ্বারা কারোর গোপনীয়তা ফাস হয়ে যায় তাহলে বুজবো যে আমার কাজে আমি সৎ নই।
ষষ্ঠ বিষয়টি হলো নীতিমালা অনুসরণ। আমরা যে যেই কাজ করি না কেন প্রতিটি কাজের কিন্তু বিভিন্ন নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করলে সেই কাজ ফলপ্রসু হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে।
আর আমরা যদি নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করে মনমত কাজ করি তাহলে সেই কাজে সফল হলেও কিন্তু বিভিন্ন প্রশ্ন থেকেই যায়। অর্থ্যাৎ আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারি।
আর প্রশ্নবিদ্ধ হলে সৎ থাকার বিষয়টি কিন্তু ঘোলাটে হবেই। তাই সৎ থাকতে হলে নীতিমালা অনুসরণ জরুরি।
সপ্তম এবং সর্বশেষ যে বিষয়টি আমি অনুধাবন করেছি সেটি হলো প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থ আর ব্যক্তিস্বার্থের মধ্যে কোনটি আমার কাছে বড়। সত্যি কথা বলতে এই প্রশ্নের উত্তর এখনো আমি সমাধান করতে পারি নি।
উপরের অনেকগুলোর উত্তর নিজে নিজে পেয়েছি, এখনো কিছু পয়েন্ট বাকি রয়েই গেছে। এর মধ্যে সপ্তম প্রশ্নটি অন্যতম। যাইহোক সব মিলিয়ে আমি নিজেকে এখনো পুরোপুরি সৎ হিসেবে দাবি করতে ইচ্ছুক নই।
কেননা আমার কাজের মাঝেও অনেক ভুলত্রুটি এখনো বিদ্যমান। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার রহমত এবং বরকতে সৎ থাকার পুরোপুরি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া করবেন সকলে আমার জন্য।
আজ আর নয় বন্ধুরা। ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ্হাফেজ।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক নিয়ে টু দ্যা পয়েন্ট আলোচনা করেছেন। সততার বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরতে আপনার উদাহরণ গুলো ছিল বাস্তব সম্মত। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে গুছিয়ে একটা সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
I feel that honesty is the biggest virtue for a human being. Whatever you do in life that is in any work or relationship with someone, if you do not maintain honesty in your relationship, then your work will get spoiled. And relationship will also get spoiled somewhere or the other. Hence honesty is the biggest trait which holds things together and does not let them getting open.
Thank you for a wonderful comment. I always try to be honest. It is really a pleasure to be able to work honestly. Thanks again. stay well.
সৎ বলেন আর সততা বলেন সবাই তার এই জায়গা গুলো ধরে রাখার চেষ্টা করে থাকেন ৷ অনেকে আছে হঠাৎ করেই লোভে পড়ে এই সৎ আর সততাকে ব্যবহার করে তারা লুটপাত শুরু করে দেয় ৷ এই প্রশ্ন গুলো যখন আমরা নিজের কাছে করি , কখন এই প্রশ্নের উত্তর কখনই বলতে পারি না ৷
যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷