হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত কুল্লু শহরের কিছু ছবি নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে।
![]() |
|---|
প্রিয় বন্ধুরা,
সকলকে রবিবারের সান্ধ্যেয় শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি। আজকে আপনাদের মাঝে ভারতের হিমাচল প্রদেশের একটি শহর কুল্লুতে অবস্থিত বেশ কিছু মন্দিরের ছবি নিয়ে হাজির হয়েছি।
উদ্দেশ্য কেবলমাত্র ছবিগুলো ভাগ করে নেওয়া এমনটা নয়, সাথে রয়েছে বেশ কিছু বাস্তবিক কিছু অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার প্রচেষ্টা।
অনেক ক্ষেত্রেই আপনারা দেখে থাকবেন যখন আপনার কাছে অর্থ আছে, নাম, যশ আছে, বৈভব আছে তখন আপনার সঙ্গীর অভাব হয় না।
এমনকি মানুষের আচরণ হয়ে যায় আপনার প্রতি ভিন্ন রকম, দিন রাত খোজ নেওয়া, আপনার প্রতি তার কতখানি আনুগত্য সেটা ক্ষণে ক্ষণে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে প্রকাশ করা ইত্যাদি।
এমন একটা সময় গেছে যখন আমার খারাপ সময় এক বন্ধু আমাকে বেশ কিছু অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছিলেন, তবে প্রায় প্রতিদিন আমার থেকে এটাও জানতে চেষ্টা করেছে আমার সমস্যার সমাধান কবে হবে।
![]() |
|---|
![]() |
|---|
![]() |
|---|
ইশ্বরের কৃপায় পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরে সাওল অর্থের সাথে বাড়তি বহু অর্থ তাকে আমি দিয়েছিলাম ব্যবসার প্রয়োজনে, সাথে একাধিক বহুমূল্য উপহার।
কিন্তু সেই ব্যবসা না চলায় আমার পুরো অর্থ টাই আটকে আছে, আমি কিন্তু তাকে একবারের জন্য প্রশ্ন করিনি তার সমস্যার সমাধান কবে হবে।
তবে যেটা অবাক করবার বিষয়, সেটা হলো আমার প্রয়োজনে তাকে না বললে নিজে থেকে সেই বিষয় নিয়ে নিজের দায়িত্ব বোধ পালনের কোনো প্রচেষ্টা আমার আজ পর্যন্ত চোখে পড়েনি।
![]() |
|---|
![]() |
|---|
কথায় আছে কারোর জন্য করে কখনো বলা উচিত নয়, তবে এগুলো একপ্রকার শিক্ষা যেটা আমি সময়ের সাথে অর্জন করেছি, আজকে আমার এগুলো বলার উদ্দেশ্য যাতে আমার মত অন্ধ বিশ্বাস করে কেউ সর্বশান্ত না হয়।
সম্পর্কের আড়ালে যখন কোনো সুপ্ত আত্ম উদ্দেশ্য থাকে তখন সেই সম্পর্কের মেয়াদ খুব বেশিদিন হয় না।
ইশ্বরের সাথে সম্পর্ক গড়া অনেক ভালো কারণ সেখানে মানুষ তার মনোবাঞ্ছা নিয়ে গেলেও ঈশ্বর কখনো কোনো প্রত্যাশা রাখে না মানুষের কাছে।
সর্বোপরি মাঝে মধ্যে মনে হয়, যে সম্পর্ক গুলো কেবলমাত্র শর্তাধীন হয়, সেখান থেকে নিজেদের বিরত রাখাই ভালো।
একটি সম্পর্ক টিকে থাকে যৌথ প্রচেষ্টায়, কেবলমাত্র একজনের আত্মত্যাগের দ্বারা কোনো সম্পর্ক দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে না।
![]() |
|---|
![]() |
|---|
![]() |
|---|
কোনো সম্পর্কে যদি একতরফা করে যাওয়া থাকে, তাহলে বুঝতে হবে অপরপক্ষ আপনার দুর্বলতাকে ব্যবহার করছে।
আমার মনে হয় ঘাড়ে ধরে প্রণাম করালে সেই সন্মান পাওয়া যায় না যেটি সেচ্ছায় মন থেকে আসে।
সত্যি বলতে অমানুষ গুলো দেখতে, মানুষের মতোই তাই তিক্ত অভিজ্ঞতা ছাড়া এদেরকে পৃথক করা সম্ভব নয়।
সন্মান, ভালোবাসা, বিশ্বাস সবটাই তাই ঈশ্বর আর প্রকৃতির সাথে গড়াই শ্রেয়।
এই বলে আজ বিদায় নিলাম, ভালো থাকবেন সবাই।









শুরুতেই আপনার এই কথাটি মার্ক করে নিয়েছি , কারন কথাটির সাথে আমারও বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। অনেক সময় আমার পকেটে টাকা না থাকলে অনেককেই কাছে পাওয়া যায়না, আবার টাকা থাকলে বন্ধুর অভাব হয় না। আসলে এ জিবনে কাউকে আপন ভাবা উচিত নয়।
আজকালকার ছেলে অথবা মেয়েরা, অন্যের প্রতি ভরসা করে টিকিয়ে থাকে, অপরজন যে আত্মত্যাগ করে যাচ্ছে তার কোন দাম নাই। আসলেই আত্মত্যাগ যদি যৌথ ভাবে হতো, তাহলে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল কখনোই ধরতো না৷
খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ে। ভালো থাকবেন।