Steem engagement challenge-S12/W6|"The grand festival in my country.
Created by Canva |
---|
Hello Friends,
Hope all of my honourable friends are enjoying engagement challenge season-12/W6. Now I will express my opinion about my country grand festival. So let's start the main point.
|
---|
আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশী এবং আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে আমাদের দেশ মুসলিম দেশ হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত। তবে আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর থেকে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মিলে মিশে বসবাস করে।
পৃথিবীর প্রতিটি দেশের ইতিহাস খুঁজলে দেখা যাবে কোন না কোন ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক মহা উৎসব আছে। সাধারণত সেই মহা উৎসব সম্পূর্ণ দেশে একযোগে উদযাপিত হয়। এমনকি আমার দেশ ও এই তালিকার আওতাভুক্ত।
আমি মানুষ হিসেবে ভিন্ন এবং আমার অভিমত ও অন্যদের থেকে ভিন্ন হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমার ব্যক্তিগত অভিমত অনুসারে আমার দেশের মহা উৎসব বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন।
আমি এ কারণেই বাংলা বছরের প্রথম দিনটি কেমন হয়েছে হিসেবে উল্লেখ করেছি, এই দিনে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশে অনুষ্ঠানে সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। কেউবা উদযাপন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আবার কেউবা উদযাপন করে অতীত ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে।
আমাদের দেশে পহেলা বৈশাখ সরকারি ও বেসরকারি উভয় ভাবে উদযাপন করা হয়। সবাই মিলে এই দিন একসাথে অনেকে ঘুরতে যায়। পহেলা বৈশাখ আমাদের সমগ্র দেশে খুব জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়।
শহর এবং গ্রাম স্থানে সমান গুরুত্ব এবং জনসমাগমের মাধ্যমে এই পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়। এই মহা উৎসবে আমাদের একটাই অনুভূতি কাজ করে যে আমরা সবাই বাঙালি এবং এই পহেলা বৈশাখ আমাদের ঐতিহ্যবাহী একটি মহা উৎসব।
আমার অনুসরণ করা কার্যাবলী:-
খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং ফ্রেশ হয়ে স্নান সম্পন্ন করা।
আমাদের ঘরের সামনের দরজায় আলপনা এবং উঠানে আলপনা করা।
মা ও বাবাকে প্রণাম করা এবং পাশাপাশি বাড়িতে থাকা গুরুজনদের প্রণাম করা।
সবাই মিলে একসাথে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কৃষ্ণ নাম করা।
পহেলা বৈশাখের দিন নিরামিষ আহার গ্রহন করা।
মন্দিরে নাম সংকীর্তন, যেখানে অন্যান্যদের পাশাপাশি আমিও অংশগ্রহণ করি।
|
---|
অবশ্যই এই মহা উৎসবের ক্ষেত্রে আমি আমার দেশ ও পরিবারের সাথে থাকতে পছন্দ করি। আমার দেশে পারিবারিক সম্পর্কের গুরুত্ব অনেক বেশি। পরিবারকে ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের সাথে তুলনা করা হয়।
তাছাড়া আমার পরিবারের সাথে এবং দেশে থেকে মহা উৎসব উদযাপনের পেছনে কারণ আছে। পারিবারিক জীবনে আমার মত সবার বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে । আমাদের কাছে আমাদের পরিবার নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং আমাদের খারাপ সময় পরিবার আমাদের সাথেই থাকে।
পরিবার এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের ভালো/খারাপ উভয় সময় আমাদের সঙ্গী। পরিবার বলতে আমি অবশ্যই আমার বাবা মাকে পরিবারের আওয়াতাভুক্ত করব এবং আমার বোন ও আত্মীয়-স্বজন।
আপনজনদের সাথে আনন্দ উপভোগ করার মজাটাই অন্যরকম। আমি আমার পরিবারের সাথে মহা উৎসবের আনন্দ অনেকগুন বেশি উপভোগ করি। তাছাড়া একটি সন্তান যদি খুশি থাকে, তাহলে তার পিতা-মাতা ও খুশি থাকে।
তাই আমি আমার পিতা-মাতা বা পরিবার-পরিজনকে এই খুশি উপভোগ করার সুযোগ দতে চাই। আমি দেশে থেকে পরিবারের সবার সাথে মহা উৎসব উদযাপন করতে এ কারণেই পছন্দ করি।
|
---|
মহা উৎসবকে কেন্দ্র করে বিগত বছরের একটি স্মরণীয় ঘটনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।
আমাদের গ্রামে পহেলা বৈশাখ ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়। প্রথমত আমাদের গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রায় ৭০টি পরিবার আছে। প্রত্যেকের বাড়িতে নাম সংকীর্তন করতে যাওয়া হয়।
প্রসাদ হিসেবে বাঙ্গি, তরমুজ ও অন্যান্য ফলের ব্যবস্থা থাকে। তবে এত কিছু প্রসাদ হিসেবে প্রতি বাড়ি থেকে নেওয়া সম্ভব না। তাই প্রতিবছর দুই তিনটি বড় বড় বালতি সাথে রাখা হয়।
কারণ প্রত্যেক বাড়িতে যে প্রসাদ দেয়, এই প্রসাদ গুলো একসঙ্গে করে মন্দিরে এনে বিতরণ করা হয়। কারণ নাম সংকীর্তন করার সময় গ্রামের বা আমাদের পাড়ার সবাই একসাথে উপস্থিত থাকে না। কিন্তু ঐদিন মন্দিরের মাঠে গ্রামের সবাই উপস্থিত থাকে।
যাইহোক, বিগত বছর পহেলা বৈশাখে খুব সকালে আমি বাড়ি থেকে বের হইনি। আমি ভেবেছিলাম আমাদের বাড়িতে যখন নাম সংকীর্তন করতে সবাই আসবে, তারপর আমি সবার সাথে অংশগ্রহণ করব।
এরই মধ্যে কয়েক বালতি প্রসাদ মন্দিরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবং নাম সংকীর্তন করার সময় নারকেল খাওয়ার একটি বিষয় আছে। যে ধরতে পারবে সে নিয়ে নিবে। দলগত একটি ব্যাপার সব ক্ষেত্রে আছে, ঠিক তেমনি ওই দিনও ছিল।
আমি ছোট ভাইদের সাথে যোগ দিয়েছিলাম। স্পষ্টভাবে আমার মনে আছে যে আমাদের বাড়ির পর থেকে কোন তরমুজ আর বালতিতে কেউ পায়নি, সর্বশেষ বাড়িতে পৌঁছে।
কারণ আমরা একসাথে প্রায় ১৫ জনের মতো ছিলাম। যেহেতু আমরা ঐদিন মধ্যাহ্ন ভোজের আগ পর্যন্ত শুধুমাত্র ডাবের জল ও ফলমূল খেতে পারি, তাই তরমুজ সব খেয়ে নিয়েছিলাম।
বিগত বছর গুলোতে এরকম কোন ঘটনা কখনোই ঘটেনি। বরং মন্দিরে প্রসাদ বিতরণ করার পর অনেক প্রসাদ থেকে যায় এবং সেগুলো নষ্ট হয়। কারণ উত্তপ্ত রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটলে শরীর প্রচন্ড ক্লান্ত থাকে। তাই অনেকেই হয়তো ক্লান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে অথবা মন্দিরে এসেও হাল ছেড়ে দেয়। কিছু খাওয়ার শক্তি পর্যন্ত থাকে না।
তাছাড়া এই মহা উৎসবের সময় যে যেখানেই থাকুক না কেন বাড়িতে ফিরে আসে। সুতরাং অনুষ্ঠান উদযাপনের মুহূর্তটা পুনর্মিলনে পরিণত হয়।
I would like to invite some of my honourable friends @ninapenda, @aaliarubab and @mile16.
Photos are taken from here
END |
---|
Your post has been successfully curated by @kouba01 at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.