পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের কিছু মূহূর্ত।
শুভ নববর্ষ,
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। সবাই কেমন আছেন? আজকের এই দিনটি খুবই ধুম ধামের সাথে উদযাপিত হয় আমাদের গ্রামে।
সূর্যের কড়া তাপ ও দমিয়ে রাখতে পারেনি আজ গ্রামের মানুষকে ঘরের মধ্যে। গ্রামের দামাল ছেলেরাসহ ছোট বড় সকলে ঘর থেকে নতুন উদ্যমে বেরিয়েছে।
আমিও আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি। তারপর দ্রুত ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি। আমাদের সার্বজনীন দুর্গা মন্দির থেকে আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম ঘর থেকে।
তাই ঘুম থেকে উঠেছ মুছতে মুছতে চলে গিয়েছি টিউব-ওয়েলে। এরপর স্নান সেরে চলে এসেছি। তারপর তারপর খালি পায়ে মা-বাবাকে প্রণাম করেই আজকের দিনটি শুরু করেছি।
এই বিষয়গুলো বা অনুভূতিগুলো আসলে শুধুমাত্র লেখার মধ্যে প্রকাশ করা সম্ভব না। বলতে পারেন আজ আমি চলে এসেছি ফটোগ্রাফির সম্ভার নিয়ে।
তাহলে চলুন আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য,
আজকের দিনটি বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন উদযাপনের দৃশ্য গুলো উপভোগ করি।
মন্দিরে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই দেখলাম ছোট ভাইয়েরা এবং ভাইপোরা বসে রয়েছে। খালি পায়ে পিচঢালা রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে পারছে না।
অন্যদিকে দেখুন একজন নারকেল খাচ্ছে। আরেকজন বালতি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই বালতিতে আসলে প্রসাদ রাখা হয়েছে।
নববর্ষের এই দিনটিতে "কৃষ্ণ নাম" করা হয় প্রত্যেকটি বাড়ি গিয়ে গিয়ে। যেটাকে আপনারা বলতে পারেন একপ্রকার নগরকীর্তনের মত।
তারপর আমাদের পুরানো বাড়ি পরিদর্শন সম্পন্ন হল। এরপর এক পিসিদের বাড়িতে আমরা সবাই মিলে গেলাম। দেখুন সাদা চন্দনের ফোটা দিয়ে সকলকে বরণ করে নিচ্ছে ঘরের মধ্যে।
তারপর আমরা সবাই মিলে পিসিদের ঘরে প্রবেশ করলাম। কিছুক্ষণ সেখানে এই মহানাম করা হলো সকলে মিলে।
প্রত্যেক বাড়ি থেকে এভাবে প্রসাদ গুলো জমা করা হচ্ছে। যেটা আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন। তবে এটার কারণ রয়েছে। এই রীতিটা আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে এভাবেই চলে আসছে।
কারণ যদি প্রত্যেকের বাড়িতে প্রসাদ বিতরণ করা হয় তাহলে দিন গড়িয়ে রাত ও হয়তোবা শেষ হয়ে যেতে পারে।
আমারও খুব ক্লান্তি লাগছিল তাই সুযোগে আমরা সবাই মিলে কিছু বাঙ্গি তরমুজ খেয়ে নিলাম। আসলে আজকের দিনটি প্রত্যেকের সাথে খুবই এক আনন্দময় মুহূর্ত বিরাজ করে বলতে পারেন।
আর হারতে ইচ্ছে করল না তাই রাস্তা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। এরপর গ্রাম প্রদক্ষিণ সমাপ্ত হওয়ার পর সবাই মন্দিরের দিকে আসছে।
সাথে রয়েছে আমার প্রিয় দাদু রসগোল্লা (রসোময় মন্ডল)। দাদুকে আমি শুধু আড়ালে না সামনেও মাঝেমধ্যে গোল্লা দাদু বলে ডেকে থাকি। বলতে পারেন এক কথায় খুব মজার মানুষ তিনি।
মন্দিরে ইতিমধ্যে গ্রামের নারী পুরুষ সকলেই মিলিত হয়েছে। আমরা একটা কথা সবাই জানি যে দশ জন যেখানে ভগবান সেখানে। তাছাড়াও আমরা জানি প্রচন্ড সূর্যের উত্তাপ কিন্তু আজকের এই দিনটিতে যেন আমরা সবাই ভুলে গিয়েছি,সকল কষ্ট।
Video link
সবাই মিলে আমরা অংশগ্রহণ করেছি আজকের নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। সব থেকে গ্রামের মজাটা এই মুহূর্তে বেশি উপভোগ্য হয়। চিরচেনা সকল মানুষের সাথে একত্রে দীর্ঘ অতিবাহিত করা।
মন্দিরের বারান্দাতে মধ্যে সকল প্রসাদ রাখা হয়েছে। উৎফুল্ল দাদু ভাই ও কাকু ছবি তুলতে নাছোড়বান্দা। তাই সুযোগে তাদের ছবি আমার মুঠোফোনে নিয়ে নিলাম এবং আমি অংশগ্রহণ করলাম তাদের সাথে একই ফ্রেমে আবদ্ধ হওয়ার জন্য।
খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি বলতে পারেন। কিন্তু আমার এই আনন্দটা আপনাদের সাথে আমি ভাগ তো করবই। কারণ আনন্দগুলো তখন আরো বেড়ে যায় যখন সেই আনন্দগুলো অন্য কারো সাথে ভাগ করে নেয়া যায়।
বছরের প্রত্যেকটি দিন আপনাদের সকলের জন্য শুভ হোক। অনেক প্রার্থনা রইলো সকলের জন্য। আজ এখানেই আমার লেখাটির ইতি টানছি। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আজকের দিনটি উপভোগ করুন।
We support quality posts anywhere and any tags.
Curated by : @steemdoctor1
Hola 🙂
Tu post ha sido votado por @colombiaoriginal dentro del marco de Make Noise Project Week 46, que impulsa @alejos7ven.
Sigue con el buen trabajo.
Te invitamos a seguir las redes sociales para Steem y Steemit:
Si no lo has hecho, Te invitamos a votar por @cotina y @bangla.witness como Witness, sino sabes como hacerlo, podrías revisar esta publicación: https://steemit.com/hive-113376/@colombiaoriginal/colombia-original-apoyando-a-cotina-como-witness.
We stopped by to tell you that we have come to vote for your publication.🙂
Hope you know this is considered as spamming
পহেলা বৈশাখের অনেক অনেক শুভেচ্ছা! আপনারা দেখছি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন! সবাই মিলে বেশ সুন্দর একটা আয়োজন করেছেন।
আপনাদের এই আনন্দঘন মুহূর্তের ছবিগুলো দেখে কেমন জানি, হঠাৎ মনে হল আপনাদের সাথে গিয়ে যদি যোগ দিতে পারতাম! তাহলে হয়তোবা অনেক ভালই লাগতো।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সবাই মিলে বেশ আনন্দ করেছে! এটাই হচ্ছে সবচাইতে বড় কথা আসলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ করার মত মুহূর্ত,আর কিছুই হতে পারে না।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যে আনন্দ আপনার উপভোগ করেছেন, তার কিছুটা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন, সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
#miwcc