একটি স্মরণীয় বিকেল||A Memorable Afternoon
Hello Friends,
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি আমার একটি স্মরণীয় বিকেল। আমি ২/৩ দিন পূর্বে বিকেলে বাজারে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে যেটা শুনেছিলাম, সেইটার জন্য আমি একদমই অপ্রস্তুত ছিলাম।
আজ হঠাৎ পোস্ট লিখতে বসেই মনে হলো ঐ বিকেলের অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাই এই অবেলায় আর বিলম্ব না করেই শুরু করেছি। কারণ আমাদের জীবন চলার পথে এমন কিছু ঘটণা ঘটে যেটা না চাইলে ও আমাদের মেনে নিতেই হবে।
বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় পা রাখতেই দেখলাম প্রতিবেশী এক জেঠিমা খাবার জল নিতে কলসি নিয়ে আমাদের বাড়ির দিকে যাচ্ছেন। একটা তথ্য দিয়ে রাখি যে শহরের মতো গ্রামে জল সাপ্লাইয়ের সুব্যবস্থা নেই। এখনো প্রতিটি পরিবার গভীর নলকূপের জলের ওপর নির্ভরশীল।
চারিদিকে শুধু লবণাক্ত জলরাশি, তাই ইচ্ছে করলেও অন্য কোনো স্থান থেকে জলের কাজগুলো করা সম্ভব না। আবার প্রতিটি ঘরে/পরিবারে গভীর নলকূপের ব্যবস্থা ও নেই। কারণ এটাতে ভালো পরিমাণে একটা অর্থ ব্যয় করতে হয়।
আমি বাজারে পৌঁছেই চপের দোকানে গিয়েছিলাম এবং দেখলাম ইফতারির জন্য ভাজি করে রাখা সকল চপ শেষ। দোকানদার কেবলমাত্র কড়াইতে বেগুনি গুলো ছেড়েছে এবং আলুর চপের আলু বের করে রেখেছে।
যেহেতু, সকলে মিলে গরম গরম চপ খাবো তাই আমি নয়নকে কল দিই। কিন্তু নয়ন জানালো আমাদের বন্ধু বাপি খুব অসুস্থ। বাপির নাকি হাঁটতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। এটা শুনেই মনটা খারাপ হয়েছিল। আমি নয়নকে দ্রুত বাজারে পৌঁছাতে বলে কলটা কেটে দিয়েছিলাম।
নয়ন বাজারে পৌঁছাতেই, ইমনের বাইকে চড়ে আমরা বাপির বাড়িতে গিয়েছিলাম। যদিও বেশি দূরত্ব না তবে ইমনের বাইক আছে তাই ঐটা নিয়েই গিয়েছিলাম। পাশাপাশি, অন্য একটি উদ্দেশ্য ও ছিল সেইটা পরে বলছি।
আমাদের বন্ধু বাপির প্রকৃতপক্ষে মাংসপেশীর সংকোচন এবং প্রসারণ দরকার। অর্থাৎ ব্যায়াম বা থেরাপি দিতে হবে। আমি ও নয়ন পায়ে হেঁটে বাজারে ফিরেছিলাম। অন্যদিকে বাপিকে বাইকের পেছনে বসিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।
যাইহোক, বাপি ডাক্তার মামার চেম্বারে বসেছিল। আমি ও নয়ন মামার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানিয়েছিলাম। মামা থেরাপি পদ্ধতি বলে দিয়েছিলেন। কারণ মামা হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন।
এভাবে বাপিকে বসিয়ে প্রায় ১৫/২০ মিনিটের মতো থেরাপি নিতে হয়েছিল। তারপর বাপি নিজে নিজেই পায়ের ওপরে ভর করে দাঁড়িয়েছিল। এটা দেখে আমরা সকলেই ভীষণ খুশি হয়েছিলাম।
তারপর বন্ধুকে সাথে নিয়ে ফাস্টফুডের দোকানে পৌঁছে ৩/৪ প্রকারের চপ নিয়েছিলাম। এই খাবারটা হয়তো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন না আবার খুব বেশি মূল্যবান ও না। কিন্তু বন্ধুদের সাথে খাওয়ার সময় এটার স্বাদ অনেক গুন বৃদ্ধি পায়।
এই ভদ্রলোক আমার আসার খবর পেয়েছিল, তাই আমার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিল। আমি বাজারে যাওয়ার পথেই ওকে বলেছিলাম যে আমি খাবার নিয়ে আসবো। তবে আমার হাতে কিছু না দেখেই যেন মূহুর্তের মধ্যে মুখটা মলিন হয়ে এসেছিল।
যাইহোক, যেহেতু সন্ধ্যা আগত তাই আমি ভনিতা না করে পকেট থেকে খাবারের প্যাকেট বের করে ওকে খেতে দিয়েছিলাম। তারপর বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
দিদি আপনার বন্ধু এখন কিছুটা সুস্থ্য জেনে ভালো লাগছে। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা প্রায় যে কারোর সাথেই ঘটতে পারে। তাই সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরী।
আপনাদের এলাকায় সুপেয় পানির অভাব বেশ লক্ষ্যনীয়। কিন্তু আমাদের এইদিকে অর্থ্যাৎ উত্তর অঞ্চলে সুপেয় পানির কোন অভাব নেই। প্রতি বাড়িতেই কম বেশি সাপ্লাই এবং গভীর নলকুপ রয়েছে।
ভালো থাকবেন দিদি। শুভকামনা রইলো।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই স্মরণীয় বিকেলের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাদের ওদিকে আমার অনেক বন্ধুর বাড়ি। তাদের মুখে শুনেছি আপনাদের ওদিকে একটি নলকূপ তৈরি করতে অনেক ব্যয়বহুল খরচ হয়ে যায়। এজন্য আপনাদের ওইদিকে সচরাচর পানির একটু অভাব।
আপনার স্মরণীয় বিকেলের মুহূর্তগুলো খুব সুন্দর ভাবে পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আমাদের এদিকে সুপ্রিয় জলের কোন অভাব নেই। প্রতিটি বাড়িতেই গভীর ও অগভীর নলকূপ দেখা যায়। বেগুনি আর চপ খেতে খুবই মজার। শেষ পর্যন্ত সবাই মিলে একসাথে বেগুনি আর চপ খেতে পেরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল শুভকামনা, ভালো থাকবেন।
আমাদের গ্রামেও সুপেয় জলের কোন অভাব নেই। কিন্তু আমার উপজেলাতে নয়টি ইউনিয়ন এবং নয়টি ইউনিয়নে সর্বত্র শুভ জল পাওয়া যায় না। আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্টে চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।