ফটোগ্রাফি//০৭ই মার্চ, রং মাখানো গোধূলি মূহূর্ত।

in Incredible Indialast year
png_20230308_001524_0000.png

বেশ খাটুনি হলো সারাদিন তবে এই মুহূর্তে একটু হালকা লাগছে নিজেকে। আজকের বিকেলটা বেশ ভালই কেটেছে। হয়তো তার জন্য মাথাটা একটু হালকা মনে হচ্ছে।

আজ বিকেলের পর গোধূলি লাগলে বেশ আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত পার করেছি। যেখানে ছিল প্রিয় ব্যক্তিত্ব আমাদের প্রিয় শিক্ষক। শুধুমাত্র শিক্ষক বললে ভুল হবে তিনি হচ্ছে আমাদের বন্ধু সেই সাথে আমাদেরকে এগিয়ে নেয়া যাওয়ার একজন অগ্রদূত।

সর্বশেষ যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে আমাদের এই শিক্ষকের হাত ধরে প্রায় ২০০ জনের মতো চাকরিপ্রাপ্ত হয়েছেন। যাদের প্রত্যেকেই এখন প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগদান করেছেন শিক্ষক এবং শিক্ষিকা হিসেবে।

আজ দোল পূর্ণিমা, রাতেও বিষয়টি মনে ছিল কিন্তু সকাল হতে না হতেই বিষয়টি মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। বিকেলে স্যারের ক্লাস রয়েছে তাই পড়াশুনা নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম।

হঠাৎ দুই নামের আমাদের এক বন্ধু নাম্বারে কল দিয়েছে। কলটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে অট্টহাসির আওয়াজ ভেসে এলো কানে। আমি তো কিছু বুঝতেই পারলাম না বিষয়টা কি হচ্ছে।

শুধুমাত্র এটাই বলল যে বাড়ি থেকে আমি যেন প্রস্তুতি নিয়ে আসি। কিছু বুঝে ওঠার আগে দেখি হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকটি ফটোগ্রাফি পাঠিয়েছে। এবং সেগুলো বিভিন্ন রঙের আবিরের ছবি।

এটা দেখার পর আর বুঝতে বাকি রইল না বিষয়টা কি হতে চলেছে। পড়াটাও প্রায় শেষের পথে, তাই মাথাটা একটু হালকা মনে হচ্ছিল এবং তখনই মনে পরল যে আজ তো হোলির দিন।

ক্লাস শেষ হওয়ার পর কারো কারো ব্যস্ততা থাকে তাই সবাইকে আর জোর করা হয়নি। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে একটু অপেক্ষা করতে বললাম। তারপর প্রথমেই আমরা আমাদের শিক্ষককে আবির মাখিয়ে ছিলাম এবং তাকে শ্রদ্ধাভরের প্রণাম করেছিলাম।

PXL_20230307_175951979.jpg
IMG20230307180956.jpg
IMG20230307180442.jpg
PXL_20230307_180100001.jpg

আবির মাখানোর পর আমাদের স্যার আমাদের কিছু ছবি ধারণ করতে সহযোগিতা করলেন। এরপর সবাই মিলে মোটামুটি আবির তো মাখানো হয়েই গেছে। যার যেভাবে ইচ্ছা হচ্ছে উড়াধুড়া ছবি ধারন চলছে।

খোকা কিছু খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খেয়ে নিলাম।

PXL_20230307_181111115.jpg
PXL_20230307_181201339.jpg
PXL_20230307_181126728.jpg
PXL_20230307_181111115.jpg
PXL_20230307_181408967.jpg

সেই সাথে দেখুন গোধূলি মুহূর্তে আকাশ কি সুন্দর রঙে সজ্জিত হয়েছে। মনে হচ্ছে আলতো হাতে কেউ বালতিতে করে রং ঢেলে দিয়েছে জায়গায় জায়গায়। এক অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করেছে আকাশ।

ফটোগ্রাফি তে লক্ষ্য করুন পাখিদেরও যেন আজ হোলি চলছে। বড় এক ঝাঁক পাখি কোথা থেকে হঠাৎ করে এসে প্রজাপতির মতো উড়ছে। পাখিদের এই দৃশ্য দেখে আজ মনে হল রং খেলাতে তারাও অংশগ্রহণ করেছে নিজেদের মতো করে।

আসলে প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন সবকিছুকে হার মানায়। কোন কিছুর বিনিময় প্রকৃতির সৌন্দর্যকে টপকানো যাবে না। এটাই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি। আমরা এতই চেষ্টা করি তারপরও এই সৌন্দর্যের কাছে আমাদের সাজানো সৌন্দর্য খুবই তুচ্ছ।

এই আনন্দের মাঝেও আমরা অসহায় মানুষদেরকে ভুলে যায়নি। আমরা ইচ্ছা করে অনেক আলোড়ন করে কোন অনুষ্ঠান করিনি আজ। কিন্তু আমাদের পূর্ব থেকে পরিকল্পিত একটা ব্যাপার ছিল।

আমরা আজ প্রথম যে অসহায় মানুষটিকে দেখতে পারব তাকে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করব। কিন্তু সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে এসেছে তাই এই ধরনের অসহায় মানুষ এখন আর সামনে পড়ছে না।

মনটা খারাপ হয়ে গেল যে এত আনন্দ করলাম কিন্তু কোন অসহায় মানুষকে আজ আমাদের আনন্দের ভাগীদার করতে পারলাম না।

প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমাদের কিছু না কিছু শিক্ষা দেয়। যাই হোক আমরা যে অবস্থাতেই থাকি না কেন সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করা উচিত। তাহলেই মানসিক আত্মতৃপ্তি এবং সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব।

DeviceName
AndroidRealme8
LocationBangladesh&Khulna,Bagerhat
Shot by@piya3
Sort:  
Loading...
 last year 

আসলে বিষয়টা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আজকে আপনারাও খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন পালন করেছেন। সেই সাথে আমরাও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা রাত পালন করেছি।

  • আপনাদের রং মাখানো দেখে মনে হচ্ছে। অনেক বেশিই আনন্দ করেছেন। আপনাদের রং মাখানো দৃশ্য দেখে। প্রকৃতি ও তার নিজের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছে। প্রকৃতির যে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

 last year 

দিদি আপনাকে অনেক সুন্দর লাগতেছে ৷ তার সাথে আরো বেশি সুন্দর লাগতছে আপনার মুখে আবির রং মাখানো দৃশ্য টা দেখে ৷ আপনি যে খোলা আকাশের নিচে আবির রং মাখানো আবার পড়ন্ত বিকেলের প্রাকৃতিক সৌন্দয্য এর নিচে তার সাথে অনেক পাখির কোলাহল ৷ এক কথায় আপনার মূহর্ত টা আসলেই অনেক সুন্দর ছিল ৷আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি এই পোষ্ট টি শেয়ার করার জন্য ৷

 last year 

বাহ, খুব সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন দেখছি। দিবসের দিনগুলোতে উৎসব করাও এক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ৷ সেটা যেই ধর্মেরই উৎসব দিবস হোক না কেন।

  • আপনার পোস্টে আপনি সুন্দর কিছু মুহুর্তের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।

খুব ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে। আপনার শেয়ারকৃত ছবিগুলো দেখে বোঝাই যাচ্চে আপনারা অনেক মজা করেছেন ভিক্টর দাদার সাথে।আপনার বন্ধুরাও অনেক মজা করেছে সে ব্যপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই কারণ ছবিগুলোতে দেখাই যাচ্চে সবাই আবিরে একেবারে মাখামাখি হয়ে আছেন।

আপনারা খুব সুন্দর আর মানবীয় একটা উদ্দেশ্য নিয়েছিলেন,যদিও যাকে ঘিড়ে আপনারা কাজটি করবেন তাকেই খুজে খুজে পাননি।তারপরেও আপনাদের নেওয়া এই উদ্যোগটা দারুণ ছিলো।

সব মিলিয়ে দারুন ভাবে আপনার উপস্থাপনার মাধ্যমে চেয়েছেন আমাদেরকে আপনার উৎযাপিত দোলের আনন্দ উপভোগ করানোর।আর সেই চেষ্টায় আপনি সফলও বটে।

এমন আরো আনন্দঘন পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম প্রিয় দিদিটির কাছ থেকে।ভালো থাকবেন,,, বাই🥰🥰🥰

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 68789.22
ETH 3862.34
USDT 1.00
SBD 3.66