বৃক্ষ তলে প্রশান্তির ছায়া।
Hello Everyone,
এখন মধ্যাহ্ন, দুপুর ১২:০৮ সময়। মাঠে গরু চরাতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা। এই মুহূর্তে একমাত্র ভরসা বৃক্ষ ছায়া। হঠাৎ এই দৃশ্য ধারণ করে ফেললাম আমার মুঠোফোনে।
গরমের তাড়নায় আমিও অস্থির। ভুলে গেছি আপনাদের সাথে কুশল বিনিময় করতে। আশাকরি ঈশ্বরের কৃপায় সকলেই ভালো আছেন।
কৃত্রিম পাখার বাতাস যেন শরীরকে শীতল করতে অক্ষম। আর এই যন্ত্রণা দায়ক অবস্থায় মনে হয় ছুটে যাই প্রকৃতির মাঝে। কিছুক্ষণের জন্য হলেও প্রকৃতির কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিতে।
ফলভারে নুয়ে পড়েছে আম গাছ। কিছুক্ষণের জন্য কল্পনাতে হারিয়ে যাই এই দৃশ্য দেখে। মনে হয় ফল ধারণ করে সে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। আর মানুষকে গাছ শুধু ফল খাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
কিন্তু সূর্যের প্রখরতা এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেয় না। বেশ করার জন্য চোখটা বন্ধ করে আবার তাকাতে গেলে মনে হয় চোখে ক্লান্তির ছাপ পড়েছে। আমার শরীর এই অপরূপ সৃষ্টি মনকে আকৃষ্ট করে সর্বদা।
জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘরে আবদ্ধ নেই। সূর্যের তাপের এই প্রখরতা মানুষকে ঘরে বন্দি রাখতে পারেনি। মানুষের পেটের ক্ষুধা সবথেকে ভয়াবহ। যার জন্য শত বাধা-বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজের ও নিজের পরিবারের জীবন জীবিকার জন্য তাকে ছুটে চলতে হয় প্রতিনিয়ত।
প্রচুর উত্তাপ এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য ও শরীরকে শীতল করার জন্য আমিও ছুটে যাই এই প্রকৃতির মাঝে। যেখানে শুধু সবুজ আর সবুজ, যেন সবুজের মেলা বসেছে।
বৃক্ষছায়াতলে প্রবেশ করতেই শরীরে এক প্রশান্তির স্পর্শ পাই। বৃক্ষ ছায়ার কাছে সূর্যের তাপ যেন দুর্বল এই স্থানটিতে। যখনই আমি সুযোগ পাই তখনই প্রবেশ করি এই স্থানে যেমনটি আজ হয়েছে।
দেখুন কেউ কেউ চলে যাচ্ছে সভা মাথায় দিয়ে গরুকে জল খাওয়ানোর জন্য। কারণ এই গরু যার রয়েছে তার কাছে এটি একটি সম্পদ।
আবার কেউ কেউ নিজেকেও গরুকে একটু শীতল স্থানে নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। উত্তপ্ত এই রোদের মধ্যে পশুরাও মাঠে ঘাস খেতে পারে না।
গরুর রাখাল তার গরুর কষ্ট বুঝতে পেরে নিয়ে চলে এসেছে এই বৃক্ষ তলে। সুখ দুঃখের কথা বলছে অন্য রাখালের সাথে।
আপনারা সকলে বাঁশ গাছ সম্পর্কে জানেন কিনা আমি জানিনা। যারা গ্রামে রয়েছেন তারা মনে হয় অনেকেই জানেন। তবে যারা শহরে আছেন তাদের জন্য নিমন্ত্রণ রইল।
একবার হলেও চলে আসুন আমার গ্রামে। শিক্ষতলের যে শীতল স্পর্শ এটা একবার হলেও অনুভব করতে পারবেন। এখানে যে প্রশান্তি পাওয়া যাবে সেটা এসি কেও হার মানাবে।
নিমন্ত্রণ – জসীম উদ্দীন
তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;
মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি
মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,
মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়,
তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
ভাব সম্প্রসারণঃ-
আমি এটাকে অর্থ বা সারাংশ ও সারমর্ম হিসেবে লিখতে পারতাম। কিন্তু আমি আসলে অতটা সহজে হয়তো বর্ণনা করতে পারব না তাই ভাব সম্প্রসারণ হিসেবে লিখলাম।
পল্লী কবি জসিম উদ্দিন সম্পর্কে জানেনা এমন মানুষ বিরল। যিনি একজন বিখ্যাত কবি, তার সাহিত্য বা কাব্যে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রী প্রদান করেছিল।
পল্লী কবি তাকে শুধু শুধু বলা হয়নি আসলে পল্লীর এক অপূর্ব সৌন্দর্যের উপস্থিতি ছিল তার প্রত্যেকটি লেখাতে।
যেমন এই নিমন্ত্রণ কবিতা সেখানে তিনি নিমন্ত্রণ জানিয়েছে সকলকে তার গ্রামের একবার হলেও ঘুরে আসতে।
তিনি বলেছেন লতা পাতা অর্থাৎ প্রকৃতি দিয়ে ঘেরা রয়েছে তার গৃহ। প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে একটা মায়াও যেন জড়িয়ে রয়েছে তার গৃহের সাথে। সেই সাথে পারিবারিক যে আন্তরিকতার সম্পর্ক সেটা কেউ আবদ্ধ করেছেন তার কবিতার লাইনে।
প্রকৃতি নিয়ে কিছু লিখতে গেলেই যেন মনের মধ্যে চলে আসে পল্লী কবি জসীমউদ্দিন।
বন্ধুরা, কেমন লাগলো আমার লেখাটি? জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আপনাদের অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।
আজ এখানেই সমাপ্ত করছি, আগামীকাল আবারও দেখা হবে অন্য কোন নতুন বিষয় নিয়ে।
যে রোদ দিদি বর্তমানে বৃক্ষ তল ছাড়া আর কোন উপায় নেই ৷ কারন যে রোদের তাপমাত্রা যে কোন সময় মানুষ অঘটন ঘটাতে পারে ৷ এই গরমে বাড়িতেও নিরাপদ নয় ৷ যার জন্য আমাদের একমাত্র বৃক্ষতলে ছায়ায় প্রশান্তি মেলে ৷ একটি গাছের নিচে বা কোন বাশঝাড়ের নিচে অনেক ঠান্ডা এবং প্রাকৃতিক শীতল হাওয়া বয়ে থাকে ৷
যাই হোক দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
#miwcc
এই রোদ্দুরেও মানুষকে থামিয়ে রাখতে পারেনি,,,,, কারণটা হচ্ছে তার জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষের খাবার যোগান দিতে হবে। আর তাইতো তারা বেরিয়ে পড়ে কাজের জন্য।
"তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে" জসীমউদ্দীনের এই কবিতাটা আপনার পোস্টে পড়ে বেশ ভালো লাগলো,,,, এবং পরবর্তী বাক্যগুলো পড়ার জন্য,, আবারও নেটে সার্চ দিয়ে পুরো কবিতাটা পড়ে নিলাম।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবেই পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের কবিতার,,,,, ভাব সম্প্রসারণটাও আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। আসলে বর্তমানে গরমের অবস্থা এতটাই খারাপ যে,,,,,, মানুষের বেঁচে থাকাটাও খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত গরমে অস্থিরতার মাঝেও,,,, আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা টপিক,,,, ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
#miwcc
কবি গুরু বলা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে, জসিম উদ্দিন না আপু।
Saludos cordiales amigo 🤗 steemian. Veo y admiró que te gusta mucho vivir lejos del bullicio de las grandes ciudades y te apoyo por qué a mí me gusta mucho vivir en la tranquilidad y rodeada de mis bellos árboles que siempre cuido mucho ya que sin ellos no obtendría el aire puro que nos da para, la vida. Además de disfrutar bajo las sombras que ellos nos protegen d l Inclemente sol . Por aquí donde yo vivo las temperaturas han llegado hasta los 40grados. Me encanta tus fotos enmarcando lo verde de la naturaleza. Eres mi grupo ☝️ que amamos nuestro ambientes.Saludos amigo 🤗 steemian y bendiciones para ti.
#miwcc