Incredible India Monthly Contest of October # 2| Sponsored Trip with a Steemian!
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আমাদের কমিউনিটিকে একটা অসাধারণ কনটেস্টের আয়োজন করা হয়েছে। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আসার পরে একটি বা দুটি কনটেস্ট আয়োজিত হতে দেখেছি। তবে বিষয় গুলো বুঝতে একটু সময় লাগায় আগের কোনো কনটেস্টেই অংশগ্রহণ করিনি। এইটিই প্রথম এই কমিউনিটির আয়োজিত কোনো কনটেস্টে আমার অংশগ্রহণ করা। এইবার অংশগ্রহণ করার অন্যতম কারণ হলো এই কনটেস্টের টপিক। যেখানে টপিক ঘুরতে যাওয়া সেখানে তো অংশগ্রহণ করতেই হয়। যদিও আমার ভীষণ পরিমাণে মোশন সিকনেস আছে( মানে বাস কিংবা যেকোনো গাড়িতে উঠলেই আমার বমি বমি লাগে, মাথা ঘোরে ) তবুও ঘুরতে যেতে আমি খুব ভালোবাসি। আর এই মোশন সিকনেস কমানোর জন্যই আমি এখন বেশি বেশি করে বাসে যাতায়াত করি। কারণ সব সময় তো মা আমার সাথে সব জায়গায় যেতে পারবে না, নিজেকে সমস্ত পরিস্থিতির সাথেই অ্যাডজাস্ট করাতে হবে। সে যাই হোক, কনটেস্টের টপিক দেখে আমি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে ভীষণ পরিমাণে এক্সসাইটেড।
এই কনটেস্টের টপিক হলো যদি কখনও এই কমিউনিটি থেকে কোনো ট্রিপ স্পন্সার করা হয় তাহলে আমি এই কমিউনিটির কার সাথে ঘুরতে যেতে পছন্দ করবো, কোথায় ঘুরতে যাবো এবং কীভাবে ট্রিপ টা উপভোগ করবো। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে ফেলি।
ঘুরতে যাওয়াটা তখনই আনন্দদায়ক ও আকর্ষণীয় লাগে যখন ঘুরতে যাওয়ার সঙ্গী টি মনের মতো হয়। নয়তো ঘুরতে যাওয়া একেবারেই বৃথা। আমরা আমাদের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে কিছু দিন মুক্তি পেতেই ঘুরতে যায়।আর এই ঘুরতে যাওয়া টা আমাদের মনে কতটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে তা অধিকাংশই নির্ভর করে সঙ্গে যাওয়া সঙ্গী সাথীদের ওপর। তাই ঘুরতে যাওয়ার প্রশ্ন উঠলে আমি প্রথমেই জেনে নিই সঙ্গে কে কে যাচ্ছে। যদি পছন্দ সই মানুষ জন থাকে তবেই আমি ঘুরতে যাই।
এই কনটেস্ট অনুযায়ী যেহেতু ঘুরতে যাওয়ার সঙ্গী হিসেবে আমাকে এই প্ল্যাটফর্মেরই একজন কে বেছে নিতে হবে সেহেতু আমি অবশ্যই আমার পরিচিত মানুষকেই বেছে নেব। আর এই প্ল্যাটফর্মে ঈশা ছাড়া আমি কাউকেই ব্যক্তিগত ভাবে তেমন চিনি না। তাই এই প্ল্যাটফর্মেরই কাউকে বেছে নিতে হলে আমি অবশ্যই ঈশাকেই বেছে নেব।
ঈশার সাথে মাদার্স হাট |
---|
ছয় সাত বছর আগে যখন ঈশাকে পড়াতে যেতাম তখন @mou.sumi বৌদির এন্ট্রি ঘটেনি। সুতরাং কোথাও যাওয়ার হলে ঈশা আগে আমাকে প্রস্তাব জানাতো। আমার যদি টাইম থাকতো আমি যেতাম। ওর সাথেই আমি প্রথম অনেক জায়গায় গিয়েছি---- কৃষ্ণনগর মাদার্স হাট, বিগ বাজার, স্টাইল বাজার , হস্তশিল্প মেলা এই সমস্ত জায়গায় প্রথম বার ঈশার সাথেই যাওয়া। এছাড়া সরস্বতী পুজোয় একসাথে ঘুরতে বেড়োনোও হতো।
ঈশার সাথে হস্তশিল্প মেলায় |
---|
একবার তো ঈশার মামার বাড়িতেও আমাকে নিয়ে গিয়েছিল, জায়গাটার নাম বোধ হয় রায়গঞ্জ (এই মুহূর্তে সঠিক মনে নেই) , যেটা আমাদের শহর থেকে অনেক দূরে।। সে আরো এক গল্প। সেটা না হয় অন্য একদিন শোনাবো।
২০১৭ বা ২০১৮ তে ঈশার সাথে ঈশার মামার বাড়ি |
---|
তখন ঈশার সাথে আমার বন্ডিং খুব ভালো ছিল। যেহেতু ঈশাদের বাড়ির থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব অনেকটাই এবং আমার আসা যাওয়ার পথে ঈশাদের বাড়ি পড়ে না তাই ২০১৮ সাল থেকে এই ২০২৪ সাল পর্যন্ত খুব প্রয়োজন ব্যতীত যাওয়া হয়নি। তাই বন্ডিং এ খানিকটা মরিচা ধরলেও ধরতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস যদি একসাথে ট্রিপে যাওয়ার সুযোগ হয় সেই বন্ডিং রিবিল্ড হতে বেশি সময় লাগবে না।
এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গ এলেই মানুষ হয় সমুদ্র কিংবা পাহাড় কেই বেছে নেয়। আমিও ব্যতিক্রমী নয়। তবে বাড়ির কাছাকাছি সমুদ্র বলতে যে দুটো আছে ---দীঘা ও পুরী , দুই জায়গাতেই দু-তিনবার গিয়েছি। তাই পাহাড় সম্পর্কে আমার আকাশ সমান কৌতুহল ছিল। বইতে পড়ার সময় কিংবা কোনো ছবি দেখলে মনে মনে ভাবতাম কবে এই ছবির মত সুন্দর জায়গাটায় ঘুরতে যেতে পারবো। আবার কখনো কখনো খুব নিরাশ হতাম এটা ভেবে যে আদেও কি কখনও এইসব জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হবে। বইয়ে যখন পাহাড় সম্পর্কে কোনো কিছু পড়তাম , পড়তে পড়তেই হাড়িয়ে যেতাম পাহাড়ের কোলে। বই পড়ে কল্পনার চোখ দিয়েই না জানি কত শত দেশ ঘুরে ফেলেছি। আর ভেবেছি আদেও কি এই স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পারবো!
পেরেছি। একটা স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পেরেছি। সেটা হল পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া। এই বছরের মার্চ মাসের ১১ তারিখে আমাদের ডি. এল .এড কলেজের তরফ থেকে একটা এক্সকারশন এর আয়োজন করা হয়েছিল। ঘুরতে যাওয়ার জায়গা ছিল 'কুইন অফ্ হিলস'--- দার্জিলিং। আমি সত্যিই কখনো ভাবি নি আমি এত তাড়াতাড়ি দার্জিলিং ঘুরতে যেতে পারবো নিজের উপার্জনে। সদ্য ঘুরে এসেছি তাই ওখানে কাটানো সমস্ত মুহূর্ত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা দার্জিলিং শহর আমার চোখের সামনে এখনো জ্বলজ্বল করছে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই এত সুন্দর একটা ঘোরার জায়গা রয়েছে সেটা দার্জিলিঙে ঘুরতে না গেলে বোঝা যায় না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর, কোলাহলমুক্ত, দূষণমুক্ত, সবুজে ভরা এই সুন্দর শহরে পুনরায় ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ পেলে আমি তা কখনই হাত ছাড়া করবো না।
আর যেহেতু কলেজের তরফ থেকে আয়োজিত excursion এ গিয়েছিলাম তাই তাদের ইনস্ট্রাকশন ফলো করেই আমাদের সকলকে ঘুরতে হয়েছিল। সেহেতু দার্জিলিঙ এর অনেক জায়গায় এখনো ঘোরা বাকি রয়ে গেছে। আর এই অসাধারণ মনোমুগ্ধকর শহরকে এড়িয়ে যাওয়ার মতো ক্ষমতা আমার নেই।
তাই ঘুরতে যাওয়ার জায়গা হিসেবে আমি অবশ্যই দার্জিলিং কেই বেছে নেব।
আগেই বললাম আমরা কলেজে তরফ থেকে ঘুরতে গিয়েছিলাম তাই দার্জিলিং এরর অনেক স্পট ঘুরলেও বেশ কিছু স্পট আমাদের ঘোরা বাকি রয়ে গেছে। তাই পরবর্তী কালে ঘুরতে যাওয়ার সৌভাগ্য হলে আমি দার্জিলিং এর সমস্ত জায়গা উপভোগ করতে চাই।
প্রথমেই আমি যে হোটেলটি তে স্টে করতে চাই সেটিতে ব্যালকনি থাকতে হবে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই যেন এই শহরটিকে সুপ্রভাত জানাতে পারি। তার পর দুই বন্ধুতে ব্যালকনি তে বসে অপরূপা সুন্দরীর রূপ উপভোগ করতে করতে দু কাপ চায়ে চুমুক দিয়ে নেব । তার পরেই বেড়িয়ে পড়বো ম্যাল রোডে একটু সকালের ফ্রেশ হাওয়া উপভোগ করতে। তারপর ব্রেকফাস্ট সেরে দুজনে বেড়িয়ে পড়বো টুরিস্ট স্পট গুলো ঘুরে দেখার জন্য।
প্রথম দিন ঘুরে নেব 'ঘুম রেল ওয়ে স্টেশন'। যেটি ভারতের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে স্টেশন। এখানকার টয় ট্রেন খুবই বিখ্যাত। তাই দার্জিলিং এ এসে টয় ট্রেনে না উঠলে হয়!
কুয়াশায় ঢাকা ঘুম রেলওয়ে স্টেশন |
---|
টয় ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যাবো 'বাতাসিয়া ল্যুপ ' এ। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও মেঘেদের খেলা দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই জায়গাটিতে যেতেই হবে। সেখানে খানিক সময় কাটিয়ে , বাইনাকুলার এ চোখ রেখে দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা কে ছুঁয়ে, পাহাড়ি পোশাক পরে ছবি তুলে আবারও বেড়িয়ে পড়বো 'Ghoom Monastery ' দিকে।
বাতাসিয়া ল্যুপ |
---|
Ghoom Monastery এখানকার একটি অন্যতম বৌদ্ধ মন্দির। এখানে এলেই মনটা হালকা হয়ে যায়। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে মন টা হালকা করে নেব ও আরো এনার্জি সংগ্রহ করতে পাশের দোকান থেকে আরও দুকাপ চা খেয়ে নেব।
Ghoom Monastery |
---|
এর পর বেড়িয়ে পড়বো 'Padmaja Naidu Himalayan Zoological Garden' এর উদ্দেশ্যে। সেখানকার পশু পাখিদের সাথে গল্প করে ফিরে আসবো হোটেলে।
বুঝতেই পারছেন পাহাড়ি রাস্তা, তাই একদিনে বেশি ঘোরা সম্ভব নয়। তাই হোটেলে ফিরে লাঞ্চ সেরে একটু রেস্ট নিয়ে বিকেলে বেড়িয়ে পড়বো ম্যাল রোডে। সেখানে ভিড়ে শুধু অসংখ্য মাথায় দেখা যাবে। আর মাঝে মাঝে রাস্তার দুই ধারে বিক্রি হওয়া স্ট্রিট ফুড গুলো দুই হাত বাড়িয়ে আমাদের ডাকবে। এই ডাক অমান্য করার সাধ্য কত জনেরই বা আছে। তাই অগত্যা একটু থেমে দুজনে একটু মোমোর স্বাদ নিয়ে নেব।
এরপর বিখ্যাত Glenary's এর সামনে দাঁড়িয়ে দুই চারটে ফটো তুলে নেব এবং একটা পেস্ট্রিও ট্রাই করে নেব। এই বেকারি শপ খুবই ফেমাস। তারপর কিছু শপিং করে নেব। এইভাবে সেই দিনটা কাটাবো।
Glenary's |
---|
পরের দিন খুব ভোরে বেড়িয়ে পড়বো, টাইগার হিলের উদ্দেশ্যে। তারপর টাইগার হিলে পৌঁছে ভোরের সূর্যোদয়ের অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করব। কপাল ভালো থাকলে মেঘের ফাঁক দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শনও করে নেব।
টাইগার হিলের সূর্যোদয় |
---|
দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা |
---|
এরপর সেখান থেকে পৌঁছে যাব রক গার্ডেনের উদ্দেশ্যে। রক গার্ডেনের অপরূপ সুন্দর ঝর্ণা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করে আমরা পৌঁছে যাব দার্জিলিংয়ের একটি টি গার্ডেনে। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে কিছু ছবি তুলে আবারো বেরিয়ে পড়বো Darjeeling peace pagoda- র উদ্দেশ্যে। এরপর আবারো হোটেলে ফিরে আসবো এবং সন্ধ্যেয় আবার বেরিয়ে পড়বো শহরের আনাচে-কানাচে ঘুরে দেখার জন্য।
রক গার্ডেন |
---|
পরের দিনের লিস্টে থাকবে লেপচা জগৎ। একটু ভোর করেই লেপচা জগৎ এ পৌঁছতে হবে। কুয়াশায় ঢাকা সুন্দর এই লেপচা জগত যে-কারোর মনকে আকৃষ্ট করবে।
এরপর যাবো দার্জিলিং সিটি সেন্টার, যেখানে আমরা রোপ ওয়েতে চড়বো। দার্জিলিঙে এসে যদি রোমাঞ্চকর কিছু অভিজ্ঞতা সংগ্রহ নাই করি তাহলে তো বৃথাই আসা।
রোপওয়ে |
---|
এরপর এই সুন্দরী পাহাড় কে টা টা জানিয়ে ফিরে আসবো। ফেরার পথেও ইনি আমাদের নিরাশ করবেন না। আসার পথে উঁচু উঁচু পাইন বনে ঘেরা আঁকা বাঁকা রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে দেশলাই বাক্সের মতো ছোটো ছোটো পাহাড়ি ঘরগুলো চোখে পড়বে। লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী তার একটি লেখায় বলেছিলেন দূর থেকে বাড়ি গুলো দেখলে যেন মনে হয় থালায় থরে থরে মিষ্টি সাজানো রয়েছে। আপনারও ঠিক তেমনটিই মনে হবে।
পাহাড়ের কোলে পাহাড়ি ঘরবাড়ি |
---|
এই পাহাড়ি রাস্তার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আমরা পৌঁছে যাব নেপাল বর্ডারে। এখান থেকে দূরের সান্দাকফু এর ও দর্শন করে নেব।
নেপাল বর্ডারে যাওয়ার পথে সান্দাকফু দর্শন |
---|
এরপর নেপাল বর্ডারে ঢুকে আমরা কিছু শপিং করে নেব এবং সেখান থেকেই একটি গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যাব পশুপতি মার্কেটে। সেখান থেকেও কিছু শপিং সেরে নেব।
নেপাল বর্ডার |
---|
এর পর পৌঁছে যাব মিরিকে। মিরিকে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যাবে। একটু লাঞ্চ সেরে নেব। তারপর মিরিকের ভিতরে যে টুরিস্ট স্পটটি রয়েছে সেটিও ঘুরে দেখব। এই মিরিক আসার পথেই একটি টি গার্ডেনও পড়বে সেই টি গার্ডেনে পাহাড়ি পোশাক পরে ছবি তুলব এবং সেখানকার কাউন্টার থেকে বিশুদ্ধ দার্জিলিং টি কিনে নেব।
পাহাড়ি পোশাকে আমি |
---|
মিরিক ঘুরে সোজা চলে আসবো NJP তে । তারপর ট্রেন ধরে একরাশ স্মৃতি নিয়ে ফিরবো বাড়িতে। আর ট্রিপটা এতটাই মেমোরেবল করবো যাতে মন থেকে বলতে ইচ্ছে হয় -------"আহা কি দেখিলাম, জন্ম জন্মান্তরেও ভুলিব না"
এইভাবেই আমি আমার বন্ধু কাম বোন @isha.ish এর সাথে একটা সুন্দর সময় কাটাবো।
এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমার কিছু বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @mrsokal @tanay123 দাদা ও @sampabiswas দিদি কে।
তোমার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো দিদি। আর আমাকে নিয়ে যেতে চেয়েছো, এটা আমার সবথেকে বড় পাওনা।
তবে প্রথম থেকে তোমার সাথে আমার যে ছবিগুলি তুমি পোস্ট করেছ, প্রত্যেকটা ছবি দেখে পুরনো স্মৃতিগুলো চোখে ভাসছিল। তখনকার দিনগুলোতে কত মজা করতাম দুজন মিলে। আসলে তখন তো তোমার এদিকে আসা-যাওয়া ছিল। তাই বন্ডিংটা আরো বেশি ক্লোজ ছিল। দুজনেরই কাজের চাপে এবং পড়াশোনার চাপে রাস্তা দুদিকে চলে গেছে। তাই হয়তো এইভাবে আর একসাথে বেরোনো হয় না।।
তবে এই প্লাটফর্মে কাজ করার কারণে আবারো হয়তো আমরা একই সাথে পুনরায় ফিরে আসতে পারবো। এবারে তো টিমে আরো একজন যুক্ত। তিনজন মিলে অনেক মজা করব।
ঘুরতে যাওয়া থেকে শুরু করে সব জায়গায় যাওয়া , কত কত ভালো সময় কাটিয়েছি। আমার মামার বাড়ি যেতে গিয়ে তোমার কতটা শরীর খারাপ করে গেছিল আমার এখনো মনে আছে।
আসলে এখন সবার একটা করে পার্টনার হয়ে গেছে, তাই হয়তো ঘুরতে যাওয়ার জন্য পাটনার গুলোই আগে জুটে যায়। তখন সবাই আমরা সিঙ্গেল ছিলাম। হাহাহা।
যাই হোক স্মৃতিগুলো পুনরায় রিমাইন্ড করানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর এত এত ভালোবাসা আর অনেকগুলো হামি। একদিন সময় করে শীতকালে আমরা সবাই ঘুরতে বেরোবো। একদম পাক্কা।
সত্যিই আমি যখন এই ব্লগটা লিখছিলাম আর ছবিগুলো অ্যাড করছিলাম আমারও পুরনো দিনের সমস্ত কথাগুলো মনে করছিল । আমরা কত মজা করতাম। আর মনে আছে তোকে পড়ানোর এক বছর কমপ্লিট হওয়ার আনন্দে আমরা কেক কাটিং ও করেছিলাম?
তখন তো তুই কিছুই রান্না করতে পারতিস না। একবার সেই মনে আছে কাকিমা বাড়ি ছিল না আমি তুই আর পাশের বাড়ির আরো একটি মেয়ে তিনজন মিলে কত মজা করেছিলাম ,চিকেন রান্না করেছিলাম, আর কি করেছিলাম এখানে বলা যাবে না 🤣🤣🤣
সত্যিই কি মজা লাগতো তোকে পড়াতে যেতে। পড়ার মাঝে কত রাজ্যের গল্প। সব এখন স্মৃতি। তবে মিষ্টি মিষ্টি স্মৃতি গুলো মনে পড়লে মনটা ভালো হয়ে যায়।
অনেক বছর দেখা-সাক্ষাৎ না হওয়ার পর অবশেষে এই প্লাটফর্মের দৌলাতে আবারও তোর সাথে কথাবার্তা বলতে পেরেও ভালো লাগছে। 😘😘🫰🫰❤️❤️
THE QUEST TEAM has supported your comment. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Чай Дарджилинга вкусный? Чем он отличается от других видов индийского чая? Сколько стоит в $ или Steem этот чай?
Спасибо за ваш прекрасный пост, он изумительно хорошо написан. В нем очень много полезной информации для любого путешественника кто никогда не был в Индии.
Желаю вам победы в конкурсе!
@hive-180821 да Чай Дарджилинг очень вкусный и ароматный. Этот чай Дарджилинг известен во всем мире. Существует множество сортов этого чая. Цена чая определяется в зависимости от этого сорта. Вы можете купить через Интернет.
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো আমি যেন দার্জিলিং নিজের চোখে একবার ঘুরে দেখে এলাম। এতো দর্শনীয় স্থান আছে দার্জিলিঙে মনে হচ্ছে অন্ততপক্ষে ১০-১২ দিন হাতে নিয়ে যেতে হবে, তাহলেই বোধহয় সুন্দরভাবে প্রতিটি স্থান দর্শন করার সুযোগ হবে। এর আগে শুধুমাত্র ইউটিউবের মাধ্যমে দার্জিলিং এর বিভিন্ন স্থান দেখার সুযোগ হয়েছে, তবে আজ আপনার লেখা ও ছবির মাধ্যমে যেন আরো স্পষ্টভাবে দার্জিলিং দেখলাম। আপনার আমন্ত্রণ আমার কাছে পৌঁছায়নি, কারণ আপনি আমার নামের বানানটা ভুল লিখেছেন। ☺আমন্ত্রণ পৌঁছাক বা না পৌছাক ভালো পোস্ট পড়ার সুযোগ আমি ছাড়ি না, সেটা হয়তো আমার মন্তব্য দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করছি ভবিষ্যতে আপনি, ঈশা দিদি ও মৌসুমী দিদি একসাথে ঘুরতে যাওয়ার একটা প্ল্যান করবেন, সাথে অবশ্যই আমাকে ও দিদিকে নিয়ে যাবেন। একসাথে সকলে গেলে আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যাবে। ভালো থাকবেন।
@sampabiswas এমা দিদি আপনার নামের বানান টা ভুল করেছি সেটা একবারও খেয়াল করিনি। তবে আপনি যে আমার পোস্টটা পড়েছেন তাতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আর সত্যিই দার্জিলিং এ অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে এবং যেহেতু পাহাড়ি রাস্তা তাই একদিনে বেশি ঘোরা যায় না। তাই হাতে অন্তত ৭-৮ দিন সময় নিয়ে গেলে সমস্ত জায়গাগুলো খুব সুন্দর করে ঘুরে ফেলা যায়। আর আপনি যদি একবার দার্জিলিং যান আমি গ্যারান্টি দিতে পারিনি আপনার পাহাড় ভালো লাগবেই। আমার মনে হয় পাহাড়ি অঞ্চলের ওই আঁকাবাঁকা পথে মোশান্ সিকনেস নিয়ে ঘুরে আমার যদি ভালো লাগে তাহলে যে কারোরই এই জায়গা ভালো লাগবেই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। আর আমি ইশা আর মৌসুমী দিদি যদি কখনো ঘুরতে যাওয়ার কোন প্ল্যানিং করি তাহলে অবশ্যই আপনাকে এবং দিদিকে সঙ্গে নেব এই বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই।
পাহাড়ের চূড়ায় বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো দেখতে ভারী সুন্দর লাগে মালেশিয়াতে পাহাড়ের অভাব নাই তবে কিছু কিছু জায়গায় এই পাহাড়কে কেন্দ্র করে ভ্রমণের জায়গা গড়ে তুলেছে সেসব জায়গাগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর।
বিশেষ করে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে পাহাড়ি ঝরনায় গোসল করতে আমরাও এই বছরে ভ্রমণ এ গিয়েছিলাম জঙ্গল ও পাহাড় দেখতে। যাইহোক ঈশা দিদিকে সাথে নিয়ে ভ্রমণে যাওয়ার ইচ্ছা পূরুণ হোক এই দোয়াই করি।
এই প্রতিযোগিতা প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর খুব ভালোভাবে দিয়েছেন আপনার লেখাটি পড়ে বেশি ভালই লাগলো আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। সত্যি কথা বলতে পারিনা দেখলে আমারও মনে হয় যদি সেখানে স্নান করতে পারতাম! যদিও সেটা এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তবে পাহাড়ি পরিবেশ এত মনোমুগ্ধকর যে পাহাড়ে ঘুরতে যেতে যে কারোর ভালো লাগবে।
আর আপনিও এ বছর পাহাড় এবং জঙ্গলে ঘুরতে গিয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো।