Better Life with Steem || The Diary Game || January 4, 2024
চলে এলাম আপনাদের কাছে ৪ঠা জানুয়ারী অর্থাৎ আজকে আমার সারাদিনের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকালে পৌনে ৭ টার সময় ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। গতকাল আবর্জনা নেওয়া লোকটার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সুতরাং আজকে আমাকে ময়লা ফেলতেই হতো। যথারীতি সকাল ৭টা নাগাদ তিনি এসে হাজির। আমি অলরেডি ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছিলাম।
তারপর আবর্জনা ফেলে নিজের জন্য এক কাপ চা তৈরি করে খবরের কাগজ নিয়ে বসলাম। খবরের কাগজ পড়া এবং চা খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর আমি মার রুমে গেলাম। মাকে ফ্রেশ করে হাফ কাপ লিকার চা খাওয়ালাম।
এরপর বাসি বাসন মেজে আমি ব্রেকফাস্ট তৈরি করতে লাগলাম। আজকে মাকে দু পিস স্লাইস ব্রেড আর একটা ডিম সেদ্ধ মিক্সিতে ব্লেন্ড করে খাইয়েছি। আমি নিজে ৪ পিস স্লাইস ব্রেড চায়ের সাথে খেয়ে নিয়েছি ব্রেকফাস্ট হিসেবে।
ব্রেকফাস্ট হয়ে যাওয়ার পর আমি ইন্ডাকশনে ভাত বসিয়ে দিলাম। আজকে রান্না করার চাপ নেই। দিদির বাড়ী থেকে খাবার পাঠাবে। আধ ঘণ্টার মধ্যে ভাত হয়ে গেলো।
Screenshot taken from Steemit
তারপর আমি আরো এক কাপ চা করে নিয়ে ল্যাপটপ খুলে বসলাম। স্টিমিটে প্রবেশ করে নোটিফিকেশন চেক করতে গিয়ে আমার মনটা খুশিতে ভরে গেলো। এই প্রথমবার অ্যাডমিন ম্যাম আমার পোস্টে কমেন্ট করেছেন, তাও একটা নয়, দু দুটো পোস্টে।
আমার সাধারণত বৃহস্পতিবার খুব একটা ভালো কাটে না। কাকতালীয় হলেও আমার জীবনে বেশ কিছু খারাপ ঘটনার সম্মুখীন আমাকে হতে হয়েছে বৃহস্পতিবারে। তবে আজকের দিনটা ব্যতিক্রম। আজকে আমি সত্যিই খুব খুশি। হাতে সময় থাকার দরুন এরপর আমি বেশ কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম।
“দুপুর” |
---|
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ আমি মার গা মুছিয়ে এবং পোশাক পরিবর্তন করে মাকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। তারপর নিজে স্নান করে নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন দিদির বাড়ি থেকে খাবার আসে। এই ফাঁকে আরো কিছু পোস্টে আমি কমেন্ট করলাম।
দিদির বাড়ি থেকে খাবার আসতে বেশ কিছুটা সময় দেরি হয়েছিল। এদিকে আমার তখন খিদের চোটে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। খাবার আসা মাত্রই আমি গোগ্রাসে খেতে শুরু করলাম। খাওয়ার মাঝপথে আমার মনে পড়ল যে লাঞ্চের মেনুরতো ছবি তোলা হয়নি। তাই আমার লাঞ্চ হয়ে যাবার পর আজকে এই ছবিটা তুলেছি। আজকের খাবারের মেনু ছিল ডাল, লাউয়ের চোকলা ভাজা এবং কাচকি মাছের চচ্চড়ি। খাওয়া-দাওয়া হয়ে যাবার পর আমি ঘণ্টাখানেকের জন্য ঘুমিয়ে নিলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ আমি ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা খেয়ে নিয়ে বাইরে হাঁটতে বেরোলাম। সামনের এই পুকুরটায় কিছু রাজহাঁস ভেসে বেড়াচ্ছিল, তাই একটা ছবি তুলে নিলাম।
ফেরার পথে এই লেকটা পড়লো, লেকেরও একটা ছবি তুলে নিলাম। তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।
বাড়ী ফিরে সন্ধ্যে দিয়ে মাকে লিকার চা খাওয়ালাম। তারপর নিজের জন্য এক কাপ চা করে নিয়ে ডেইলি ডায়েরি গেম লিখতে বসলাম।
”রাত” |
---|
রাতে আমার ইচ্ছা আছে “12th Fail” মুভিটা দেখার। সিনেমাটার সব জায়গায় ভালো রিভিউ দিয়েছে। এর পাশাপাশি কিছু পোস্টে কমেন্টও করার ইচ্ছে আছে। দেখা যাক কতদূর কি করতে পারি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার সারাদিনের কার্যাবলী। সকলকে শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন।
Shared on Twitter/X: https://x.com/PijushMitra/status/1742927221986308415?s=20
ময়লা ফেলার লোক আসায় আজকে আর আপনাকে ময়লা ফেলতে হয় নাই। এরপর আপনি প্রতিদিনের মতোই মাকে খাওয়ালেন আর সেই সাথে নিজেও খেলেন।আজকে দিদির বাসা থেকে খাবার আসায় আপনাকে আর রা্ন্না করতে হয় নাই।
ছবি তোলার কথা আমারও মনে থাকে না আপনারই মতো।
দিদি আপনার লেখায় কমেন্টস করেছে দেখে ভালো লাগলো।দিদি ভালো লেখা পড়লে অনেক সময় কমেন্ট করেন আমারও চোখে পড়েছে।
আজকের দিনটা আপনার ভালো গেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন সবসময়।
ময়লা ফেলার লোক গতকাল আসেননি কারণ ওনার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল কিন্তু আজকে উনি এসেছিলেন এবং আমি ময়লা ফেলেছি। দিদি শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমার গল্প পড়ে কমেন্ট করেছেন, এই কারণে আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি। আপনিও ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের সেবা যত্নে কিছুটা সময় দিলেন, আজ আপনার রান্না করতে হয়নি এর জন্য হয়তো আপনার একটু ভালই লেগেছে।
কারণ আপনার দিদির বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসছে, আপনার মত মাঝেমধ্যে আমিও খাবার খাওয়ার পরে মনে করি আহ ছবি করতে ভুলে গেছি। খুব ভালো লাগলো সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে।
একদিন রান্না না করতে হলে মনে হয় অনেকটাই রিলিফ পেলাম। বাকি সব কাজ অবশ্য রোজের মতোই করতে হয়েছে। কারণ আমি ছাড়া ঘরে করার আর কেউ নেই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে যতটুকু বুঝতে পারি। আপনি আপনার মায়ের খেয়াল অনেক বেশি রেখে থাকেন। আসলে একজন ছেলে সন্তান হিসেবে আপনি মায়ের প্রতি অনেক বেশি যত্নবান হয়ে থাকেন। সর্বদা চেষ্টা করবেন মায়ের সবকিছু আগে আগে সম্পূর্ণ করার জন্য, লেকের পাড়ে রাজহাঁস দেখে আপনি তার ফটোগ্রাফি তুলে নিয়েছেন। যেটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।
আসলে যে এই মুভি সম্পর্কে আপনি লিখেছেন সেই মুভিটা আমি এখনো দেখিনি। আপনার পোস্টের নাম দেখেই সাথে সাথে ডাউনলোড করার জন্য দিয়েছি। জানিনা কবে দেখতে পারবো। যদি সময় পাই অবশ্যই দেখে নেব। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
জলের উপরে রাজহাঁসগুলোকে দেখে সত্যি খুব সুন্দর লাগছিল তাই ছবি তুলে নিয়েছিলাম। ”12th Fail” মুভিটা সত্য ঘটনার উপর অবলম্বন করে তৈরি করা হয়েছে। দারুন হয়েছে সিনেমাটা। অবশ্যই দেখবেন।
আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মায়ের সেবার যত্ন কিছুটা করে নিলেন। ময়লা ফেলাবার লোক আসার কারণে আজকে আর আপনার ময়লা ফেলাতে যেতে হয়নি। আপনার দুপুরের রান্না করতে হয় নাই কারণ আপনার দিদি রান্না করে দিয়ে গেছে এই সুযোগে আপনি কিছু কমেন্ট করতে বসবেন।
তারপর আপনি নোটিফিকেশনের চেক করে দেখলেন এডমিন ম্যাম আপনার দুটো পোস্টে কমেন্ট করেছে এবং আপনি তার কমেন্টে দেখে অনেক খুশি হন।
থ্যাংক ইউ আপনার সারাদিনের ডেইরি গেম গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ময়লা ফেলার লোক আসার কারণেই আমাকে ময়লা ফেলতে যেতে হয়েছে। অ্যাডমিন ম্যাম কমেন্ট করায় আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি। এটা আমার কাছে একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ময়লা ওয়ালা দেখি আপনার প্রতিদিনের ঘুম মাটি করে দিচ্ছে।
ম্যামের কমেন্ট সত্যি অনেক ভালো লাগার একটা বিষয়। উনি সব পোস্টে কমেন্ট করেন না।
।12 th fail মুভি দেখলে আমাদের কাছে ফুল রিভিউ দিয়েন।
এটা একদম সঠিক কথা বলেছেন ময়লা ফেলার তাড়নায় সকালে ইচ্ছে থাকলেও বেশিক্ষণ ধরে ঘুমানো যায় না। ”12th Fail” মুভিটা সত্যি খুব ভালো হয়েছে। দেখতে পারেন, সময় নষ্ট হবে না। আমার মুভি রিভিউ লিখতে খুব একটা ভালো লাগে না, তাই লিখছি না।