Better Life with Steem || The Diary Game || February 13, 2024
Image edited by Adobe |
---|
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার আজ সারাদিন অর্থাৎ ১৩ই ফেব্রুয়ারীর কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকালে আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই ঘুম থেকে উঠেছি আটটা নাগাদ। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আমরা দুজনে নিচে নেমে এলাম চা খাওয়ার জন্য। চা খেতে খেতে নিউজ পেপার পড়া হয়ে গেলে আমি সিগারেট কেনার জন্য একটু বাইরে বের হলাম।
আধ ঘন্টা মত সময় বাইরে কাটিয়ে আমি আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসলাম। এরপর আমি ব্রেকফাস্ট করলাম লুচি আর আলুর তরকারি দিয়ে, সঙ্গে এক কাপ চা ও খেলাম।
সকালের জলখাবার খাওয়া হয়ে গেলে আমি দোতলায় চলে গিয়ে আমার লাগেজ কিছুটা প্যাক করে রাখলাম। আজকে বিকেলে আমি নিজের বাড়িতে ফিরে যাব।
তারপর আমি ল্যাপটপ অন করে অনলাইনে কিছুক্ষণ কাজ করলাম। সকাল এগারোটা নাগাদ আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করে নিচে আসতে বলল।
নিচে নেমে দেখলাম আমার জন্য তিনটে ডিম সিদ্ধ আর এক কাপ চা করে রেখেছে। একটা ডিম সিদ্ধ আমি ওকে জোর করে খাওয়ালাম। বাকি দুটো ডিম সিদ্ধ আর চা আমি খেয়ে নিলাম। এরপর আমি আবার দোতলায় চলে আসলাম।
“দুপুর” |
---|
দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ আমার এক ছোট শালী আমার কাছে এসে আবদার করলো ওকে নিয়ে ছাদে যাবার জন্য। ওর আবদার রাখার জন্য আমি ওকে নিয়ে ছাদে উঠলাম। ওর একটা ছবি তুলে দেওয়ার জন্য বায়না করতে থাকায় আমি ওর একটা ছবি তুলে দিলাম।
নিচের ছবিতে যে গাছটা দেখছেন সেটা হল আমলকি গাছ। শীতে সব পাতা ঝরে গেছে আর কো্নো ফলও আর গাছে অবশিষ্ট নেই। সপ্তাহখানেক আগে সব আমলকি পেড়ে নেওয়া হয়েছে।
দুপুরের দেড়টা নাগাদ স্নান করে নিয়ে আমি নিচে নেমে এলাম লাঞ্চ করার জন্য। আজকে আমাদের লাঞ্চের মেনু ছিল নিমপাতা দিয়ে শিম ভাজা, বেগুন পোড়া, বিট ভাজা, ফুল চিংড়ির চপ, দুই রকম মাছের ঝোল আর আমের চাটনি।
লাঞ্চ করা হয়ে গেলে আমি আর আমার স্ত্রী দোতলায় চলে আসলাম বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। আজকে আর আমরা দুপুরে ঘুমালাম না। ঘন্টা দুয়েক মতো আমরা দুজনে গল্প করলাম। আজকে আমি বাড়ি ফিরে যাব। এরপর আবার শ্বশুরবাড়িতে আসবো ২৩-২৪ তারিখ নাগাদ। ওই সময় আমার স্ত্রীর USG সহ কিছু ব্লাড টেস্ট করা হবে। সবগুলি রিপোর্ট দেখার পর ডাক্তার সিজার করার ডেট দেবেন।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আমি এবং আমার স্ত্রী নিচে নেমে এলাম। আমি দেখলাম যে আমার শাশুড়ি মা আমার জন্য রাতের ডিনার সব প্যাক করে রেখেছেন। আমি এক কাপ চা খেয়ে নিয়ে বিকেল পাঁচটা নাগাদ শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদায় নিলাম।
বহরু থেকে সাড়ে পাঁচটার ট্রেন ধরে আমি বাঘাযতীন স্টেশনে নামলাম সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ। বাঘাযতীন বাজারে কিছু কেনাকাটা করে আমার বাড়িতে ঢুকতে ঢুকতে সাড়ে সাতটা বেজে গেল।
“রাত” |
---|
সব লাগেজ আনপ্যাক করা আমার পক্ষে সম্ভবপর হয়নি। আমি শুধু খাবারগুলো ব্যাগ থেকে বার করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলাম। তারপর আমি এক কাপ চা করে নিয়ে আমার ল্যাপটপটা সেট করে নিলাম এবং ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম। লেখা কমপ্লিট হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দিয়ে ডিনার করে নেব।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ১৩ই ফেব্রুয়ারীর দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1757438330373919141?s=20
আপনি সকালে লুচি ও আলুর তরকারি খেয়েছিলেন।লুচি আমার খুব প্রিয় খাবার।
আপনি সিগারেট কিনতে গিয়েছিলেন। ভাই কিছু মনে করবেন না, সিগারেট আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
শ্বশুরবাড়ি এই কয়দিনে বেশ কয়েকবার আমি লুচি খেয়েছি। দুঃখের বিষয় হলো শ্বশুরবাড়ির মজা আমার আপাতত শেষ কারণ আমি আবার নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছি। বুধবার থেকে আমাকে আবার রোজ রেঁধে খেতে হবে।
আমি জানি যে ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কিন্তু আমি কিছুতেই স্মোকিং ছাড়তে পারছি না। ধন্যবাদ আমার পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমরা একটা জায়গায় যেমন যাওয়ার জন্য অনেক বেশি খুশি হয়। ঠিক তেমনি সেই জায়গা থেকে ফিরে আসার সময়, আমাদের মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়। আপনার স্ত্রী বর্তমান সময় অসুস্থ রয়েছে। তার দিকে অনেক বেশি বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমি যথেষ্ট উদ্বেগে আছি। ওর বাপের বাড়ির এলাকার চিকিৎসা ব্যবস্থা যথেষ্ট অনুন্নত কিন্তু কিছুতেই ও এই সময় কলকাতায় আসতে চায় না। ও চায় যে আমাদের সন্তান যেন ওর বাপের বাড়ির এলাকাতেই জন্মাক। ধন্যবাদ, আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সকালের বাস্তা কিন্তু দারুণ হয়েছে৷ আপনার ছোট শালীর ছবিতোলার পোজটি দেখে খুব মজা পেলাম। ধন্যবাদ ব্যস্ত দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শ্বশুরবাড়িতে রোজ সকালের নাস্তাই আমার দারুণ হয়েছিল। আমার অনেকগুলো শালী আছে আর তার মধ্যে এই ছোট শালী হলো সবচেয়ে বেশি দুষ্টু। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
যাক আওনি ভাগ্যবান বটে। এরকম শালী থাকলে সারাক্ষণ ই মন ভালো থাকে। আর শশুর বাড়ির খাবার সব সময়ই স্পেশাল থাকে।