ছোটো গল্প #১ – দজ্জাল বুড়ি

in Incredible India8 months ago

title.png

রোজকার মতো সকালবেলা কাজলের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছি আর খবরের কাগজ পড়ছি। কাজল মানে কাজল শেখ, ওর একটা ছোট্ট মুদি দোকান আছে আর তার পাশাপাশি মাস দুয়েক হলো ও এই চায়ের দোকানটা খুলেছে। আমার পরিচয় তো এখনও আপনাদের দেওয়াই হয়নি। আমি রমেন মজুমদার, হাই স্কুলের বাংলা শিক্ষক, গত চার মাস যাবৎ বেহালার সরশুনা থেকে ট্রান্সফার হয়ে রাজারহাট এর ভেতর দিকে এই না গ্রাম না শহর জায়গাটায় এসে একটা বাড়ি ভাড়া করে বসবাস করছি। খবরে কাগজ খুললেই আপনার রাজারহাটের ঝাঁ চকচকে বিল্ডিংগুলোর অ্যাড দেখে থাকবেন। কিন্তু রাজারহাটের একটুখানি ভেতর দিকে গেলেই এখনো গ্রামগঞ্জের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।

আমি যেহেতু অকৃতদার এই নতুন জায়গায় এসে প্রথম দিকে আমার খাওয়ার খুব সমস্যা হচ্ছিল। সেই সময় কাজল আমাকে খুব সাহায্য করে এবং ফাইফরমাস খাটার জন্য একটা কমবয়সী ছেলে জোগাড় করে দেয়। এর দু-একদিন পর একজন রান্নার মাসিও যোগাড় করে দেয় যে সকালে একবার এসে আমার সারাদিনের রান্না করে দিয়ে যায়।

কাজলের মুখ থেকেই শোনা যে ওর বাবা রবিউল আগে মুদি দোকানটা চালাতেন। কোভিডের সময় উনি মারা যান। তারপর থেকে কাজলই দোকানটা সামলাচ্ছে। কাজলের মা ও ছোট থাকতেই টাইফয়েডে ভুগে মারা যান। কাজল গত বছর বিয়ে করেছে আর ওর বউয়ের পরামর্শেই ও এই নতুন চায়ের দোকানটা খুলেছেন। চায়ের দোকানটা টুকটাক এখন ভালই চলছে। দুটো দোকানেই যখন খদ্দেরদের ভিড় বেড়ে যায় তখন ওর বউ মাঝে মাঝে এসে কাজলকে সাহায্য করে।

1.jpgPhoto Credit: Pixabay

হ্যাঁ যা বলছিলাম, কাজলের দোকানে বসে চা খেতে খেতে পেপার পড়ছি, এমন সময় এক বুড়ি এসে হাজির। ওনাকে দেখে ওনার সঠিক বয়স আন্দাজ করা সম্ভব নয় তবে ৮০ এর বেশি বই কম হবে না ওনার বয়স। কাজল কে ডেকে উনি বললেন বাপ দুটো ডিম, ৫০ গ্রাম সর্ষের তেল, একটা ছোট নুনের প্যাকেট, একটা পেঁয়াজ, দুটো আলু আর পাঁচ টাকার একটা গোটা শুকনা লঙ্কার প্যাকেট দে আর খাতায় লিখে রাখ, মাস পড়লে টাকা দিয়ে দেব। অনেকদিন ডিম খাই নাই, আজ ডিম খেতে খুব ইচ্ছে করছে।

এদিকে বুড়িকে দেখেই তো কাজল একেবারে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। ও বললো বামুন বুড়ি তোমার ৫00 টাকার উপর বাকি হয়ে গেছে। আগে বাকির টাকাটা শোধ করো তারপর তোমায় নতুন মাল দেবো। তখন বুড়ি বলল আমার ছেলে টাকা পাঠালে প্রত্যেক মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি তোর সব বাকি টাকা মিটিয়ে দিই, তারপরও তুই আমাকে বাকিতে মাল দিতে চাচ্ছিস না?

কাজল তাতেও বুড়িকে বাকিতে মাল দিতে রাজি না হওয়ায় ওই বামুন বুড়ি তখন ওকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে শুরু করল। কাজলের তাতেও কোনো ভাবান্তর হলো না দেখে দজ্জাল বুড়ি কিছুক্ষণ পর ওখান থেকে চলে গেল। আমি কাজলকে বললাম তুমি তো ওকে ওই কটা টাকার জিনিস বাকিতে দিয়ে দিতেই পারতে। কাজল তখন বলল দাদা আপনি ওই দজ্জাল বুড়ির মুখের ভাষা শুনলেন না। আমি আর কথা বাড়ালাম না, স্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে তাই আমি ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে রওনা হলাম।

2.jpgPhoto Credit: Pixabay

পরের দিন থেকে ক্রিসমাসের ছুটি পড়ে যাওয়ায় আমি সাত দিনের জন্য আমার দেশের বাড়ি মেদিনীপুরের কাঁথির উদ্দেশ্যে রওনা দিই। দেশের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে ৭ দিন পর আমি আবার রাজারহাটে ফিরে আসি। বুড়ির কথা আমার মন থেকে প্রায় মুছেই গেছিল। শনিবার যেহেতু স্কুল হাফ ছুটি হয়ে যায়, তাই আমি ফেরার পথে কাজলের দোকানে বসে এক কাপ চা খাচ্ছিলাম। আমার এই একটাই নেশা, দিনে ৭-৮ কাপ চা খাওয়া।

এমন সময় গ্রামের পোস্টমাস্টার এসে কাজলকে ফিসফিস করে কিছু কথা বলল। ওনার কথা শুনেই কাজল দোকানের ঝাঁপ ফেলে দিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো দাদা তেমন যদি কোনো কাজ না থাকে আমার সাথে একটু যাবেন? আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম যে কোথায় যাব? ও বলল আসেন না আমার সাথে এইতো কাছেই। দোকান বন্ধ করে বের হবার আগে কাজল ওর দোকান থেকে কিছু চাল, ডাল, তেল, নুন ইত্যাদি ওর সঙ্গে নিয়ে নিল। আমি আর ওকে জিজ্ঞেস করলাম না যে এগুলো ও কার জন্য নিয়ে যাচ্ছে।

পাঁচ মিনিট হেঁটে আমরা একটা ভাঙাচোরা বেড়ার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালাম। তারপর কাজল আমাকে নিয়ে সামনের ঘরে প্রবেশ করল। দেখলাম সেই দজ্জাল বুড়ি বিছানায় শুয়ে জ্বরে কাতরাচ্ছে। তবে কাজলকে দেখেই বুড়ি আবার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল আর অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়া শুরু করল। কাজল এবার আর কোনো জবাব দিল না। বুড়ির মাথার কাছে ওর দোকানের জিনিসপত্রগুলো নামিয়ে দিয়ে বললো, বুড়ি তোমার মাসকাবারি মাল দিয়ে গেলাম। মোট ১০২০ টাকা হয়েছে। তাড়াতাড়ি দোকানে গিয়ে টাকাটা দিয়ে আসবে। তারপর আমরা দুজনে বুড়ির ঘর থেকে বেরিয়ে আসলাম। বেরিয়ে আসার সময়ও আমরা শুনতে পারছিলাম যে বুড়ি কাজলকে শাপ-শাপান্ত করছে।

আমি ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, তাই কাজলকে চেপে ধরলাম। তখন কাজল সত্যি কথাটা আমার কাছে প্রকাশ করল। বুড়ির ছেলে ছিলো মিলিটারির জওয়ান। কারগিলের যুদ্ধে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ নেই। সে মারা গেছে নাকি পাকিস্তানের কোনো জেলে বন্দী কেউই সঠিক খবর দিতে পারেনি। এদিকে ছেলের মৃতদেহ যেহেতু পাওয়া যায়নি তাই বুড়ির কপালে কোনো পেনশনের টাকাও জোটেনি।

বুড়ির এই চূড়ান্ত আর্থিক দুরবস্থা দেখে কাজল সিদ্ধান্ত নেয় যে ও মাসে মাসে বুড়িকে ২০০০ টাকা করে পাঠাবে ছেলের নাম করে। সেই থেকে ও পোস্টমাস্টারের হাত দিয়ে প্রত্যেক মাসে ১ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে ২০০০ টাকা বুড়ির কাছে পাঠায়। বুড়ি জানে যে এই টাকা ওর ছেলে পাঠিয়েছে, তাই সারা গ্রামে বুড়ি রোয়াব দেখিয়ে বেড়ায়।

কাজল আমায় বলে দাদা নিজের মাকে তো সেই কোন ছোটবেলায় হারিয়েছি। মার তো কোনো সেবা-যত্ন করতে পারিনি। আল্লাহ তাই আমায় সুযোগ দিয়েছেন এই বুড়িমার সেবা করার। আমি যদি দুটো ডাল-ভাত খেতে পারি তাহলে এই বুড়িমাকেও খাওয়াতে পারবো। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার বউ জানে? কাজল তখন বলল যে ও বিয়ের প্রথম দিনেই ওর বউকে সব বলে দিয়েছিল আর ওর বউয়েরও এতে সায় আছে।

আমি তখন ওকে কিছু বলতে পারিনি। আজ আপনাদের বলছি সব ধর্মের উপরে হলো মানবতা ধর্ম। মানুষের মধ্যে আজও মানবতা বেঁচে আছে বলেই পৃথিবীটা এখনো বাসযোগ্য আছে।

10% beneficiary to @meraindia

25% beneficiary to @null

The official accounts of the Incredible India community

Discord | Twitter | Telegram | Instagram

Sort:  
Loading...
 8 months ago 

গল্প পড়ে কাজল্কে শুরুতে আমার খুব একটা ভালো মানুষ বলে মনে হয় নাই কিন্তু পরে সেই মনোভাব একদমই পাল্টে গেছে। সেই সাথে বুড়ির জন্যও খারাপ লেগেছে।আমি ছোটবেলায় এমন এক বুড়িকে দেখেছি। যার একমাএ ছেলেকে পাকিস্তানি আর্মিরা গুলি করে মেরেছিলো। ওইদিন আমাদের এলাকার ৩৩জনকে একসাথে গুলি করেছিলো।
কিন্তু সেই বুড়িকে সাহায্য করার জন্য কোন কাজল ছিলো নলে জানা নেই আমার।

Posted using SteemPro Mobile

অনেক সময় কাউকে প্রথমবার দেখে বা কারোর কথা প্রথমবার শুনে আমাদের ভালো লেগে নাও থাকতে পারে। কিন্তু সেই মানুষটার সাথে কিছুদিন মেলামেশা করলে তার দোষ-গুণগুলো তখন আমরা ঠিকমতো জানতে পারি। এই গল্পে কাজলের চরিত্র তারই এক উদাহরণ। বাস্তব আর গল্পের এখানেই তফাৎ। পাকিস্তানি আর্মিরা গুলি করার পরে সেই বুড়িকে সাহায্য করার জন্য কোনো কাজল সেখানে উপস্থিত ছিল না।

 8 months ago 

গল্পের প্রথমে কাজলের কথা শুনে আমার তেমন একটা ভাল মনে হয়নি। তারপর শেষ মুহূর্ত তো কাজল গল্পটি একদম উল্টে ফেলল। আপনার গল্পটি পড়ে বুড়ির উপর অনেক মায়া হলো এবং কাজলের মানবতা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। পৃথিবীতে এরম দু'একজন মানুষ থাকার জন্য কারণে পৃথিবীতে টিকে আছে ।

সত্যি আপনার পোষ্টের গল্পটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে থ্যাঙ্ক ইউ আশা করি গল্পের দ্বিতীয় পাটও খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।

আমরা দুই একবার সাক্ষাতে অনেক ক্ষেত্রে মানুষকে ভুল বুঝি। কিন্তু সেই মানুষের সাথে দিনের পর দিন গভীরভাবে মিশলে আসল মানুষটাকে চেনা যায়। এই গল্পের কাজল চরিত্রটিও ঠিক তেমনি। উপর থেকে কঠোর মনে হলেও তার মধ্যে একটা নরম মন রয়েছে যেটা গল্পের শেষে এসে আমরা জানতে পারি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার গল্প পুরোটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 8 months ago 

তবে দাদা এটা একদম ঠিক বলেছেন দুই একদিন সাক্ষাতে খেতে আমরা মানুষকে ভুল বুঝি। কিন্তু সেই মানুষটার সাথে গভীরতার সম্পর্ক হয় তাহলে বোঝা যায় সে কি রকমের মানুষ। যেমন আপনার পোস্টে কাজলের দিক দিয়ে বুঝতে পারলাম সে কি রকম একটা নরম মনের মানুষ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টটি পড়ে আপনি খুব সুন্দর একটি রিপ্লাই দিলেন থ্যাঙ্ক ইউ।

 8 months ago 
  • আসলে এই পৃথিবীতে ভালো মানুষ আছে বলেই, বৃদ্ধ মানুষগুলো রাস্তার পাশে থেকেও একটু ভালো থাকার চিন্তা করে। এভাবে যদি আমরা একজন একজন করে এই বৃদ্ধ মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে পারতাম। তাহলে হয়তো বা বর্তমান সময়ে যারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কষ্ট পাচ্ছে। তারা কখনোই কষ্ট পেত না।

  • আমি প্রথমত যখন দেখলাম কাজল বুড়ির সাথে খুব বাজে ব্যবহার করছে ,তখন বুঝতে পারলাম হয়তোবা ঢাকার জন্য এমন করছে। কিন্তু পরবর্তীতে যেটা পড়লাম সেটা পড়ার পর আসলে নিজের অজান্তে এই চোখে জল চলে আসলো। যাইহোক সৃষ্টিকর্তা সেই ভালো মানুষগুলোকে ভাল রাখুক। যারা প্রতিনিয়ত ভালো কাজ করার প্রচেষ্টায় নিজেদের দিন যাপন করে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত শিক্ষনীয় একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আমি মনে করি মুষ্টিমেয় ভালো মানুষের জন্যই আমরা এখনো পৃথিবীতে বসবাস করতে পারছি, না হলে মানুষ আর পশুতে কোনো তফাৎ থাকতো না। বাস্তবে প্রত্যেকটা মানুষ যদি সমস্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতো তাহলে এই দুনিয়ার চেহারাটাই অন্যরকম হতো। এই গল্পের কাজলের চরিত্রটা সত্যিই আমাদের ভাবতে বাধ্য করায়। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 8 months ago 
  • আপনার মত আমার মত কয়জন আছে হাতেগোনা অল্প কয়েকজন। সবাই তো নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। যারা রাস্তার পাশে বৃদ্ধ বৃদ্ধা দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পাশে দাঁড়ানোর মত সময় কোথায়।

  • মাঝে মাঝে তো রাস্তার মধ্যে এমন দেখা যায়! তারা যদি হাত পাতে তাদের হাত 0 ফিরিয়ে দেয়, টাকা দেয়ার মত সময় তাদের থাকে না! তারা এতটাই ব্যস্ত থাকে। কাজলের চরিত্রটা অসাধারণ ছিল। যেটা আমি পড়তে গিয়ে বাধ্য হয়েছিলাম, রাস্তার পাশের মানুষের কথাগুলো ভাবতে।

  • তবে নিজের ইচ্ছে আছে। যদি কখনো আমার সামর্থ হয়, ওই মানুষগুলোর পাশে একবার হলেও দাঁড়ানো চেষ্টা করব। বর্তমানে আমার যা আছে তা দিয়েও, আমি তাদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করি।

 8 months ago 

কি সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করেছেন ,,সত্যিই খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছি এবং বেশ উপভোগ করেছি।

  • আমাদের এই দুনিয়াতে এখনো ভালো মানুষ আছে বলেই এই পৃথিবীটা এখনো এত সুন্দর, আর এই ভালো মানুষের মধ্যে কাজল একজন, নিজের মা-বাবা নেই ছোটবেলায় মারা গিয়েছে, তিনি তার বাবা-মার কোন সেবা করতে পারেনি। তবে তিনি তার এই অভাব টাকে বুড়িমার মাধ্যমে পূরণ করার চেষ্টা করেছে।

  • তবে হ্যাঁ কাজলের বউ কিন্তু খুবই ভালো একজন মেয়ে তার মধ্যেও কোন হিংসা অহংকার ছিল না, থাকলে হয়তো প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা দিতে দিত না।

এই গল্পে কাজলের মা ছোটবেলায় মারা গেছেন আর বাবা কয়েক বছর আগে কোভিডে মারা গিয়েছেন। কাজল মায়ের অভাবটা বুড়িমাকে সেবা করার মাধ্যমে পূরণ করতে চেয়েছে। কাজলের বউ সত্যিই খুব ভালো মানসিকতার, সেজন্য সে কাজলকে বাধা দেয়নি বুড়ি মাকে মাসে মাসে দু হাজার টাকা করে দিতে। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

TEAM 5

Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.

Curated by : @ripon0630

@ripon0630 Thanks for your support.

 8 months ago 

ভাই আপনার গল্পটি পড়ে আবেগে আপ্লুতো হলাম । সত্যি আজও মানবতা বেঁচে আছে। আমাদের সমাজে কাজল দাদার মতো লোক এখনো আছে বলে সমাজের কিছু দরিদ্র মানুষ খেয়ে পরে বেঁচে আছে। আপনার ছোট গল্প থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। কাউকে সহযোগীতা করতে প্রচুর ধনের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় বিশুদ্ধ মনের। কাজল চরিত্রটি তার জলন্ত উদাহরণ।

ভালো থাকবেন দাদা। এমন সব শিক্ষনীয় গল্প আমাদের মাঝে আবারো উপস্থাপন করবেন সেই প্রত্যাশায় রইলাম। ভালো থাকবেন।

এই গল্পে কাজলের চরিত্রটি সত্যিই ব্যতিক্রম এক চরিত্র আজকের এই আধুনিক যুগে। কাজলের মতো মানুষেরা বাস্তব জীবনে আছে বলেই মানুষ হিসেবে আমরা আজও গর্ববোধ করি। কাউকে সাহায্য করতে হলে সব সময় টাকা-পয়সার প্রয়োজন হয় না, সাহায্য করার মানসিকতা থাকাটাই যথেষ্ট। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লিখিত গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন। আপনাকে আমি নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানাই।

 8 months ago 

প্রথমেই ক্ষমাপ্রার্থী ৬ দিনের মাথায় আপনার এই লেখা পড়ার সময় এবং সুযোগ পেলাম। রাত এখন ২ টো বেজে ১৮ মিনিট। এই কিছুক্ষণ আগেই নিজের লেখা পোস্ট করলাম। সত্যি বলছি আপনার রাশি, নক্ষত্র আর বাস্তু আমার কাছে বড্ডো একঘেয়েমি লেখা হয়ে গেছিলো, তাই স্বীকার করতে বাধা নেই আমি বেশ কিছুদিন আপনার লেখা পড়িনি।

গল্প লিখেছেন দেখে এত রাতে নিজেকে সামলাতে না পেরে পড়লাম, এবং আমার চোখে এখন জল! মনটা ভরে গেলো লেখাটা পড়ে।
জানিনা এটা বাস্তব ঘটনা কি না! তবে তাতে আমার বিশেষ কিছু যায় আসে না, কারণ বার্তাটা ছিল অমূল্য। এক কথায় অসাধারণ।

বেশ কিছু ছোটো ছো্টো বাস্তব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ গল্পটি লেখা। আধুনিক যুগে এই কাজল চরিত্রের মতো লোকের বড্ডই অভাব। তবে এরকম লোক আজও আছে সংখ্যায় কম হলেও আর তারা আছেন বলেই আমরা এখনো মানুষ। ৬ দিন কেন ৬০ দিন পরেও আপনি মন্তব্য করলে সেটা আমার কাছে একই রকম মূল্যবান থাকবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 59232.58
ETH 2523.47
USDT 1.00
SBD 2.47