আমার জীবনের প্রথম স্ট্যাডি ট্যুর (৮ম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম /আদাব
made in canva app
হেলো স্টিমাইনস্
কেমন আছেন সবাই?আশা করি মহান আল্লাহর দোয়ায় আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো আছি।
আজ আবারো আপনাদের মাঝে চলে এলাম আমার জীবনের প্রথম স্ট্যাডি ট্যুরের ৮ম পর্ব নিয়ে।আশা করছি আজকের পর্বটির শেষের দিকে হয়তো আপনারা একটু হলেও বিনোদন পেতে পারেন।
তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,,,
গ্রামের আঁকাবাকা রাস্তা দিয়ে চলতে থাকলো আমাদের স্ট্যাডি ট্যুরের বাস।প্রায় ১০ মিনিট পরে আমরা উপস্থিত হলাম কুমারখালি বস স্ট্যান্ডে।গাড়ি থামিয়ে হেডস্যার নিজেই নেমে গেলেন ডেকোরেটরের দোকানে বক্স নেবার জন্য।তবে দুঃখের ব্যাপার হলো যে, দোকানে একটিও বক্স ছিলোনা,সব বক্স বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।আবার টিপটিপ করে বৃষ্টিও পড়ছিলো,তাই স্যার বললেন বৃষ্টিতে ভিজে কাজ নেই বক্স ছাড়াই ট্যুরে যেতে হবে সবাইকে।
সয়ারের কথা শুনে আমাদের সকলের মন খারাপ হয়ে গেলো।তখন স্যার সবাইকে বললেন, তিনি কি কি কারণে বক্স নিতে রাজি নন।তখন আমরা সকলেই বুঝতে পারলাম স্যারের পরিস্থিতিটা।সেজন্য আমরাও আর জোর করলাম না।কারণ আমাদের সহকারী প্রধান শিক্ষক অসুস্থ।
তাই বক্স ছাড়াই আমাদের ভ্রমন শুরু হয়ে গেলো।প্রথমেই কুষ্টিয়ার দিকে রওনা দিলাম। কুমারখালী থেকে কুষ্টিয়া যেতে আমাদের পার করতে হলো লালন শাহ্ এর মাজার, সাহিত্যিক মীর মোশাররফ এর বাস্তুভিটা ও জাদুঘর, কয়া ব্রিজ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি।এই সবগুলো জায়গা পার করে আমরা চলে এলাম কুষ্টিয়ার লর্ড হার্ডিঞ্জ ব্রিজ যেটি বাললাদেশের মধ্যে অনেক বিক্ষাত একটি রেলসেতু।এই সেতুটির পাশ দিয়ে আমরা ব্রিজ পার করতে থাকলাম বাসে করে ব্রিজটি পার হতে আমাদের সময় লাগলো প্রায় ১ মিমিট ২৫ সেকেন্ডের মতো।
লর্ড হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পার হয়ে আমরা যেনো চলে গেলাম অন্য কোনো এক জগৎ এ। সোজা ও বিশাল প্রসস্ত পরপর তিনটি রাস্তা মিলিত হয়েছে এই জায়গাটিতে।আর রাস্তাগুলোর দু-ধার দিয়ে অনেক অনেক উছু ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোর জন্য আরো বেশি সুন্দর লাগছে জায়গাটিতে।আমার দেখা হয়তো সবথেকে সুন্দর প্রাকৃতিক জায়গা এটা পুরো কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে।
একটু এগিয়ে গিয়ে আমরা আরো বিস্মিত হয়ে গেলাম।এতোক্ষণ বাসে থাকার জন্যে আমরা টের পাচ্ছিলাম না যে আমরা আস্তে আস্তে অনেকটা উচুতে চলে এসেছি।সেখানে একটা পাশে বাস থামানো হলো।আমরা সবাই বাস থেকে নেমে হালকা হয়ে এলাম রাস্তার নিচে থাকা বাথরুম থেকে।আর কেউ কেউ ফটো শুট করা শুরু করে দিলো ওই সুন্দর জায়গাটার।
এরপর আমরা সবাই বাসে উঠলে বাস আআার চলততে শুরু করলো।চলতে চলতে বাস চলে আসলো পাকশী রেলস্টেশনের কাছে।আমি জানালার ধারে বসেছিলাম জন্যে বাইরের প্রকৃতিকে অনেকটা উপভোগ করতে পারছিলাম।কিন্তু হঠাৎ আমার পাশ থেকে ইয়াছিন বলে উঠলো, নাসির এই পাশে তাড়তাড়ি। আমি প্রথমে বললাম যে,না আমি পারবো নানে আমি বাইরের দৃশ্য দেখতাছি।
তখন ইয়াছিন আবার বললো ভাই ফাজলামো করিস না।এবার আমি বাইরে থেকে মুখ বের করে ইয়াছিন দিকে তাকাতেই বুঝলাম ও কেনো আমায় পাশের সিটে আসতে বলছে।আমি হুরমুড় করে সিট থেকে উঠে পড়লাম আর ইয়াছিন কিছুটা শুয়ে পড়েই জানালার বাইরে মুখ দিয়ে শুরু করে দিলো বমি করা।বমি করার পরে আমায় বললো, সরে গেলি কেনো, থাকতি আর একটু বসে একেবারে গোসল করিয়ে দিতাম তোকে।
আমি বললাম ভাই তুই জানালার পাশেই তাক আমি আর ঐ পাশে যাবে না। এদিকে আমি বসেছি আমার সেই জ্ঞান দানকারী বন্ধু মেহেদির কাছে।স্কুল ফিল্ডের মতো করে বাসের মধ্যেও ওর মুখ বন্ধ নেই।ইয়াছিনকে শুরু করে দিলো কথা শোনানো,আসলে তোরা একনো বাচ্চাই রয়ে গেলি বাসে উঠে কেউ বমি করে নাকি?আমার মতো হবি আমি কখনো বাসে,,,,,,,,,,,
এই কথাটুকু বলতে না বলতেই মেহেদিরও শুরু হয়ে গেলো বমি।ও জানালার পাশে বসে থাকতেও জানালা দিয়ে মুখ বের করতে পারলো না।মেহেদির সামনের বেঞ্চিতে বসে ছিলো জনি।জনির পুরো শার্ট ও প্যান্ট নষ্র হয়ে গেলো।এই বমি মাখা শরীরে তো জনিও ওয়াক্ ওয়াক্ শুরু করে দিলো কিন্তু বমি হলো না ওর।এই গটনা দেখে হেডস্যার তার ব্যাগ থেকে পলিথিন বের করে দিলেন সবার হাতে যাতে অন্য কারো গায়ে কেউ বমি না করে।
এরপর আমরা নাটোর জেলা পার করে চলে এলাম রাজশাহীর বাঘা মসজিদে।এই মসজিদটি ছোটবেলা থেকে শুধু আমাদের দেশের পঞ্চাশ টাকার নোটেই দেখে এসেছি আর আজকে বাস্তবে দেখবো এই মসজিদটি।আমরা সবাই একে একে নামতে শুরু করলাম বাস থেকে।স্যারেরা আগে থেকেই নেমে গেছিলেন বাস থেকে।আর ছাত্রদের মধ্যে প্রথমে নামলো অন্তর ভাই।কিন্তু ওমর স্যার বললো থামো,,,,,,
আর আর নই, দেখা হবে আবার পরের পর্বে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদান্তে,,
@nasir04
ধন্যবাদ সবাইকে
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRDGakkjKoaVympAAufuzPBV4RV5JAPaBNHW5UvyKR6qr/image.png)
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনাদের সহকারী শিক্ষক অসুস্থ, তাই আপনারা বক্স না নিয়ে আপনাদের স্টাডি ট্যুরের যাত্রা শুরু করলেন।
আসলে আপনার পোস্ট পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো, তবে সবাই বমি করা শুরু করল, এই জিনিসটা আসলে আমার কাছে খারাপ লাগলো, অবশ্যই সবার হাতে আগেই পলিব্যাগ ধরিয়ে দেয়া উচিত ছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।
আসলে দিদি আমার বাবা মা কখনো চাইনি যে আমি ফোন ব্যবহার করি। স্কুল লাইফ পর্যন্ত আমি কখনো একটা বাটন ফোনও হাতে পাইনি সেজন্য কোনো পিক আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারিনি,এজন্য অসংখ্য দুঃখিত আমি।
কলেজে ওঠার পরেও অনেক সংগ্রাম করেই এই ফোনটা নিয়েছি, বাড়ি থেকে কোনো টাকা দেয়নি।পুরোটাই আমার নিজের টিউশনি করে জমানো টাকা।
আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর লাগলো আর বমি করাটা কোন বড় কথা নয় কারণ অনেক সময় ধরে গাড়িতে জার্নি করলে অনেকেরই সহ্য হয় না সবার শরীর নয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
বুঝলাম না, এত বুমি করার কী আছে.? যাইহোক না কেন, মজা তো করেছিলেন সেইভাবে। পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে। আপনার স্ট্যাডি ট্যুর প্রথম পর্ব থেকেই পড়ে আসতেছি, ভালো লাগচে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।