Better Life With Steem | The Diary game | 24th November |

in Incredible India8 months ago
Add a heading (3).png
Made by Canva

Hello,

Everyone,

আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকলেই ভালো আছেন ,সুস্থ আছেন এবং শীতের সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করছেন ।আমি গতকাল ২৪ শে নভেম্বর এর ছুটির দিনটি কিভাবে কাটিয়েছিলাম তা ডায়েরি গেইমের মাধ্যমে সকলের সাথে শেয়ার করছি ।
সকাল বেলা
IMG20231124141845.jpgIMG20231125104710.jpg

সবাইকে জানাচ্ছি সাদা অপরাজিতা ফুলের শুভেচ্ছা ।যেহেতু শুক্রবার বাংলাদেশে ছুটির দিন ।তাই একটু সকাল বেলা উঠতে অলসতা লেগে যায়। কিন্তু তাও উঠতে হবে। মেয়ের সকাল দশটায় কোচিং এ পরীক্ষা ছিল তাই আমরা ঘুম থেকে ৬:৩০ মিনিটে উঠলাম ।ঘুম থেকে উঠে সূর্যদেবতাকে যখন প্রণাম করতে বারান্দায় গেলাম তখন দেখি আমার ছোট্ট গাছে একটি সাদা অপরাজিতা ফুল – ফুটেছে। নীল অপরাজিতা ফুলকে আমরা - নীলকণ্ঠ ফুল বলে থাকি।

IMG20231123082904.jpg

আমার ফুল অনেক প্রিয় ।আমার ইচ্ছে করে আমার বেলকনিতে নানা ধরনের ফুলে গাছ রাখি কিন্তু বাড়িওয়ালার নিষেধ থাকায় আমি ফুল গাছ লাগাতে পারি না । ফ্রেশ হয়ে সংসারের কিছু কাজ সেরে নিলাম ।
সকালে নাস্তা তেমন কিছুই করিনি শুধু চা ও বিস্কুট দিয়ে সকালে নাস্তাটা করি। চা খেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে দুপুরে রান্নাটা শুরু করি। যেহেতু মেয়ের দশটায় কোচিংএ পরীক্ষা ছিল এবং কোচিং শেষে স্কুলে যেতে হবে । তার গানের রিহার্সাল ছিল যেহেতু তাদের ২৫ তারিখ Rag Day হবে। তাদের গান, নাচ ও ফ্লাস মুডের জন্য রিহার্সাল ছিল। আজ শুধু চিকেন আর ভাত রান্না করলাম। মেয়েকে একটু খাইয়ে দিয়ে ৯:৩০মিনিট আমরা কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ।

দুপুর বেলা

কোচিং শেষে বারোটার সময় আমরা স্কুলে আসি তাদের রিহার্সাল করার জন্য ।যেহেতু শুক্রবার ছিল নামাজের দিন তাই ম্যাম বললো স্কুলে এখন গান ,নাচ হবে না। এখন নামাজের সময় তোমরা বিকেলে আসো ।তাই আমরা মেয়ের এক সহপাঠীর বাষায় গেলাম । বাড়িটি আমার অনেক ভালো লেগেছে ।

বাড়িটি আঙ্কেল করেছেন ১৯৯১ সালে ।বাড়ি প্রবেশপথে সেই লেখাটা লিখে রেখেছে। বাড়িটিতে অনেক ধরনের ফল গাছ আছে একদম গ্রামের পরিবেশের মত। ছেলেরা বাড়িটি ভেঙে বহুতল ভবন করতে চাচ্ছে কিন্তু আঙ্কেল দিচ্ছে না ।কারণ তার এখানে অনেক স্মৃতি রয়ে গেছে। তাই বাড়িটি পুরনো হলেও আমার বেশ ভালো লেগেছে ।

IMG20231123122532.jpg

বহুতল ভবন তার পাশে ছোট্ট একটি একতলা বাড়ি। মেয়েরা ছাদে বসে গান প্র্যাকটিস করছে। আমিও কিছু ছবি তুলে নিলাম। ভাবি ও আঙ্কেলের সাথে অনেক গল্প করলাম । আঙ্কেল একজন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
ভাবি আমাদের জন্য নাস্তা দিলেন। প্র্যাকটিস শেষ করে বাসায় আসতে আসতে আমাদের দুইটা বেজে গেল। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে মা ও মেয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।একটু রেস্ট নিলাম বিকেল চারটায় আবার স্কুলে যেতে হবে।

IMG20231123121938.jpgIMG20231123122910.jpgIMG20231123122532.jpg
বিকেল বেলা

আমরা ৩:৪৫ এ বাসা থেকে রওনা হলাম স্কুলের উদ্দেশ্যে। সেখানে মেয়েদের ইতোমধ্যে রিহার্সাল শুরু হয়ে গেছে। মেয়েদের প্রস্তুতি সুন্দরভাবে চলছে। আমরা মায়েরা বসে অপেক্ষা করতেছি।

IMG20231123161739.jpg

ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক একটি সন্তান প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মাকে যে শ্রম দিতে হয় তা কেউ দিতে পারে না ।হ্যাঁ বাবা ঠিকই আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকেন ।বাবা কিন্তু মায়ের মত শ্রম দিতে পারেনা। কথায় আছে সন্তান প্রতিষ্ঠিত হলে সুনাম হয় বাবার আর সন্তান বিপথে গেলে দোষ হয় মায়ের ।তখন মাকে নানার কথা শুনতে হয় ।মা সঠিক ভাবে গাইডলাইন দেয়নি বলেই সন্তান বিপথে গেছে ।কিন্তু কোন মা চাইনা যে তার সন্তান বিপথে যাক।

IMG20231123162058.jpg

প্রতিটি মায়ের স্বপ্ন থাকে তার সন্তান প্রতিষ্ঠিত হোক ।মায়ের না পারা স্বপ্নগুলো তার সন্তানের মধ্যদিয়ে ফুটিয়ে তুলতে। প্র্যাকটিস শেষে করতে করতে ৬টা বেজে গেল। আমাদের বাসায় চলে আসতে হয়েছিল ৫:৩০ মিনিটে ।কারন মেয়ের টিচার সন্ধ্যা ৭:৩০মিনিটে আসবেন ।তাই তাড়াতাড়ি চলে আসলাম বাসায়।

সন্ধা বেলা

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যাকালীন প্রার্থনা করে নিলাম। মেয়ে বলতেছিল মা কিছু তেলে ভাজা নাস্তা তৈরি করো ।আমি ভাবছি কি করব? তাই ঝটপট করে নিলাম ডিম চপ ও ডালপুরি ।এগুলো আমাদের দুজনার প্রিয় ।নাস্তা শেষ করতে টিচার চলে আসলেন ।

রাতের বেলা
IMG20231124180600.jpg

এরই মধ্যে ডিসর্কোডে আমাদের মডারেটর দিদিরা আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা নিয়ে আলোচনা করলেন। সেখানে যুক্ত হলাম এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলাম ।আমাদের মডারেটরগন আমাদের সব সময় সহোয়োগিতা করছেন এবং আমাদের অজানা বিষয়গুলো সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়ে থাকেন। ।আমরা তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ ।

আমার ক্লাস শেষ হতে না হতেই টিচার চলে গেলেন।আমরা রাতের খাবার খেয়ে নিলাম ।মেয়ে কিছু সময় পড়ে ঘুমিয়ে পড়ল । আমি আমার কিছু দরকারি কাজ সেরে নিলাম। এভাবে আমার ২৪ তারিখের দিনটি কেটেগেলো ।যা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।

আশা করি, আপনাদের দিনটি ভালো কেটেছে । আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ ।সঙ্গে থাকুন আবার নতুন কোন অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।


◦•●◉✿ শুভ রাত্রি ✿◉●•◦

Sort:  
Loading...
 7 months ago 

আজকে আপনার মেয়ের গান এবং নাচের রিহার্সাল থাকার কারণে। আপনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছেন এবং চিকেন রান্না করেছেন এরপর মেয়েকে খাইয়ে কোচিংয়ে নিয়ে গেছেন।

আসলেই সত্যি মায়েদের অপূর্ণ স্বপ্নগুলো ছেলে মেয়েদেরকে দিয়ে পূর্ণ করা হয়ে থাকে। আপনিও সেই জিনিসটাই করে যাচ্ছেন। আপনার একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

 7 months ago 

আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি বাকিটা ঈশ্বরের উপরে ভরষা করছি ।

আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।

!upvote 40


🍀🎉🎯🎨 Participate in the "Seven Network" Community🍀🎉🎯🎨.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven). Also your post was promoted on 🧵"X"🧵 by the account josluds

the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 80%

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@xpilar.witness

We are the hope!

 8 months ago 

Thank you, Sir.

 8 months ago 

একদমই ঠিক কথা বলেছেন যে, একটা বাচচাকে মানুষ করতে মাকে যতটা পরিশ্রম করতে হয় সেটা বাবাদেরকে করতে হয় না।আর সন্তান এর খারাপ কিছু হলে সবাই নায়ের দিকেই আঙুল তোলে।আর ভালো করলে নাম হয় বাবার। এত সুন্দর করে আপনার দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।এটি যেন আমাদের সমাজে চলে আসছে ”যত কিছু খারাপ সবকিছু নারীদের আর যত কিছু ভালো সবকিছু পুরুষদের ”।
তারা হলো বংশের প্রদীপ। তবে ভেবে দেখুন, পুরুষ যদি হয় একটি বংশের প্রদীপ তবে আমার মতে নারী হলো দুটি বংশের প্রদীপ ”।সে যেমন তার বাবা-মায়ের দায়িত্ব সিতে পারে তেমনি শ্বশুর বাড়িকে সে আগলে রাখে ।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।

It sounds like you had a busy yet fulfilling day, starting early with your morning routine and helping your daughter with her coaching and rehearsals. The white aparajita flower blooming on your balcony must have been a beautiful sight. It's unfortunate that you can't have a variety of plants due to restrictions, but it's great that you manage to bring fresh flowers into your home.

 7 months ago 

আমার সম্পূর্ণ পোস্টে পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।আমি মনে করি, ফুল একটি পবিত্র জিনিস ।তা সবাই ভালবাসে আর সকাল বেলা নিজের বাগানে ফুল ফুটা দেখলে মনটাও ফ্রেশ হয়ে যায় ।আর যেহেতু আর্মি বাবু সারাক্ষণ অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সে ততটা আমাদের সময় দিতে পারে না ।আমার সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

 7 months ago 

সর্ব প্রথম বলবো আমি আপনার পোস্টটি পরিদর্শন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এবং খুবই সুন্দর একটি দিন আপনি কাটিয়েছেন আপনার পোষ্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। মেয়ের গান এবং নাচের রিহার্সাল থাকার কারণে আপনি ঘুম থেকে সকালে ভোর বেলাতে উঠে পড়েছেন। এবং অনেক কিছু রান্নাও করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো।

সুন্দর একটি দিন আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 7 months ago 

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবা। আপনি সুন্দর একটি মন্তব্যও করেছেন।
আপনার শুভকামনা করছি।

 7 months ago 

কোন পিতামাতায় চায় না তার ছেলে মেয়ে বিপথে যাক, তার পরেও বিভিন্ন কারণে সন্তান বিপথে যায়, কিন্তু এর দায় এসে পরে বাবা মায়ের উপর। তাই বাচ্চাদের ব্যাপারে অনেক সতর্ক থাকতে হবে।

আপনি আপনার লেখার মধ্যে এই ব্যাপারটা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। খুব ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে।

 7 months ago 

আপনি সঠিক মন্তব্য করেছেন। মা-বাবা সব সময় চেষ্টা করেন তার সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করতে।
আশা করছি , সকল সন্তান বাবা-মাযের স্বপ্নপূর্ণ করতে সক্ষম হবে ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57889.17
ETH 3155.19
USDT 1.00
SBD 2.42