Better life with steem || The Diary Game || 22/05/2024 ||
![]() |
---|
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
![]() |
---|
নির্বাচন মানে হার জিততো থাকবে।এসব কথা অনেক হলো।এবার আসি আমার দিনলিপি নিয়ে । প্রতিদিনের মতো আজ খুব সকালে উঠে গেলাম। আর্মি বাবু অফিসে যাবেন। দ্রুত নাস্তা বানিয়ে দিলাম । ডিম দিয়ে ব্রেড ভাজি করে দিলাম সাথে একটি কলা দিলাম ।তিনি অফিসে চলে গেল ।
আজ ছুটির দিন ছিল কিন্তু তার অফিসে কাজ থাকায় তাকে অফিস করতে হয় । কিছুদিনের জন্য আমি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম , বাসার অবস্থা খুবই নাজেহাল করে রেখেছে । সকাল সকাল বাসা পরিষ্কার করার কাজে লেগে পরলাম।
সত্যি একজন মহিলা যদি বাসায় না থাকে তাহলে বাসার অবস্থা কি যে হয় বলে প্রকাশ করা যায় না ।এখানেই পুরুষ মানুষ এবং মহিলা মানুষের পার্থক্য বোঝা যায় । তবে সকল পুরুষ সমান না ।অনেক পুরুষ আছেন যারা স্ত্রীর সাথে সংসারের কাজে সাহায্য করে। আবার কিছুকিছু পুরুষ আছেন জল টুকু নিয়ে খেতে পারেনা। থাক সে কথা বলে লাভ নেই!
![]() |
---|
মেয়েরা ঘুম থেকে উঠে পড়ল। ওদেরকে সকলের নাস্তা দিলাম ।আমার সাথে দেবরের মেয়ে বাসায় বেড়াতে আসলো ।দুই বোন অনেক খুশি। আমার মেয়ে তার বড় দিদিকে পেয়ে অনেক খুশি ।দিদিকে নিয়ে গান করছে, ছাদে ঘুরতে যাচ্ছে। এখন আর মাকে বেশি একটা বিরক্ত করছে না। তার সকল আবদার দিদি পূরণ করছে ।
![]() |
---|
খুব শখ করে দিদিকে মেহেদী পরিয়ে দিচ্ছে ।সে অতটা মেহেদী পরাতে পারে না তারপরও চেষ্টা করছে। তারা টিভি দেখছিল আর হাসছিল । কারণ তারা দারুন একটি নাটক দেখছিলাম ।তাদের হাসি শুনে আমারও কৌতূহল হলো, আমি রান্নাঘর থেকে টিভি দেখতে আসলাম।সত্যি নাটকটা অনেক সুন্দর ছিল ।নাটকটির নাম হল “কম্পিটিশন”। শাশুড়ি ও ছেলে বউয়ের ভিতরে কম্পিটিশন।
![]() |
---|
আসলে এভাবেই তো বাস্তবে হয়ে থাকে ।নাটক তৈরি হয়ত আমাদের বাস্তব জীবন নিয়ে। অনেক শাশুড়ি আছেন ছেলে বউয়ের সাথে খুব সুন্দর মিল থাকে আবার অনেক শ্বাশুড়ি ও বৌমার সাথে দা-কুমড়ার সম্পর্ক থাকে। সত্যি আমরা যতই বলি না কেন ’ছেলের বউ কখনো মেয়ের মত হতে পারে না কিংবা শাশুড়ি কখনো মায়ের মত হতে পারে না”।
এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে বউ-শাশুড়ির উপরে। যদি দুজন দুজনের প্রতি একটু সহানুভূতি থাকে ও একটু ভালোবাসা তবে এ সম্পর্কটা অনেক মধুর হতে পারে ।তার দৃষ্টান্ত উদাহরণ হল ”কম্পিটিশন” নাটকটি। চাইলে আপনারা দেখে আসতে পারেন ইউটিউব থেকে ।বাংলা সিনেমা আমি অতটা দেখি না কিন্তু বাংলার নাটক গুলো খুবই সুন্দর ।
![]() |
---|
দুপুরের খাবার শেষে আমরা কিছু সময় বিশ্রাম নেই । এর মাঝে তিনি অফিস থেকে চলে আসলেন । আমি সন্ধ্যাকালীন প্রার্থনা করতে বসেছি এবং দুই বোন মিলে মুড়ি ভাজছিল। কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ ,সামান্য সয়াবিন তেল ও চিনি দিয়ে মুড়ি ভাজা , খেতে অনেক ভালো লাগে। তাদের দু'বোনের খুব প্রিয় ।মেয়েটা দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাচ্ছে। সে একটু একটু করে অনেক কাজই শিখছে।
![]() |
---|
সত্যি, মেয়েরা বড় হলে মায়ের অনেক অনেক উপকার হয় । আমি প্রার্থনা শেষে ওদেরকে পেঁপে খেতে দেই । রাত ৯ টার সময় আমাদের কমেউনিটির টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু হয়ে গেল এবং আমাদের শ্রদ্ধেয়া অ্যাডমিন ম্যাম ,কো- অ্যাডমিন ম্যাম, মডারেটরগন আমাদের নতুন নতুন বিষয় অনেক তথ্য দিলেন।
সত্যি তারা আমাদের কমিউনিটি ও সকল সদস্যদের জন্য অনেক পরিশ্রম করে ।তাদের ধৈর্য , দক্ষতা ও আমাদের প্রচেষ্টা নিয়ে আমরা আরও অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবো সেই আশা রেখে আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমাদের এখানেও ২১ তারিখে নির্বাচন হয়েছে। আসলে সত্যি কথা বলতে আমি ভোট দিতে যাইনি। কেননা আমাদের এখানে একটু ঝামেলা হয়েছিল।নাটকটা আমার দেখা হয়নি তবে আপনার পোস্ট পড়ার পর, নাটকটা দেখার একটু কৌতুহল মনের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্যই যদি সময় পেয়ে থাকি, নাটকটা দেখা চেষ্টা করব।
প্রত্যেকটা পুরুষ একরকম হয় না। কিছু কিছু পুরুষ রয়েছে যারা সংসারের কাজে সাহায্য করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আবার কিছু পুরুষ আছে এক গ্লাস পানি নিজের হাতে ঢেলে খেতেও তার কাছে বিরক্ত লাগে। একেক জন একেক ধরনের মানুষ। আপনার মেয়ে বর্তমান সময়ে খুব খুশি। কেননা আপনার ব্যবহারের মেয়ে তার সাথে রয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অনেক জায়গায় নির্বাচন শুরু হলেও আমাদের এখানে ভোট দেওয়ার শুরু হয়নি এখনও। সবেমাত্র নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। আপনি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন এবিষয়ে আমরা সবাই অবগত আছি। গ্রাম থেকে বাসায় এসে অগোছালো জিনিসপত্রগুলো পরিষ্কার করলেন ও গুছিয়ে রাখলেন।
টিউটোরিয়াল ক্লাস আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে আমরা অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। দিনটি আপনি কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। যেহেতু অনেকদিন পর গ্রামের বাড়ি থেকে এলেন তাই স্বাভাবিকভাবেই একটু কাজ বেশি ছিলো। আপনি ঠিক বলেছেন স্ত্রী ছাড়া একটি ঘর বেমানান। আমি নিজেই তার প্রমান। আমার স্ত্রী কিছুদিনের জন্য বাবার বাসায় গেছে। আর এদিকে আমার ঘরের অবস্থা নাজেহাল। সবকিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমার নিজেরই বিরক্ত লাগছে সব দেখে।
যাইহোক দিদি। আপনার মেয়ে বড় হচ্ছে এবং নিজে অনেক কিছুই শিখছে ও করছে শুনে ভালো লাগলো। মেয়ের জন্য দোয়া রইলো, যেন মানুষের মত মানুষ হয় এবং সমাজের উপকারে আসতে পারে।
আজ টিউটোরিয়াল ক্লাসে এ্যডমিন ম্যাম অনেক কিছু আমাদের জানিয়েছেন। আশা রাখি সবাই বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করবো এবং সকল নিয়ম মানবো। ভালো থাকবেন দিদি। শুভ কামনা রইলো।
আপনি আর্মি বাবুর জন্য যেরকম ভাবে ডিম দিয়ে ব্রেড ভাজি করেছেন ছোটবেলায় মা আমাকে ঠিক এরকম ভাবে করে দিত। এটা একদম ঠিক বলেছেন, আমার ঘরে আসলে বুঝতে পারবেন কোন মহিলা না থাকার জন্য আমার ঘরের একদম যা তা অবস্থা। ঘরদোর পরিষ্কার করা একজন মহিলা যতটা ভালোভাবে করতে পারেন বেশিরভাগ পুরুষই তা পারে না।
আমাদের এখানে ভোট নির্বাচন বেশ কয়েকদিন আগে হয়ে গেছে। আপনার সারাদিনে সারাদিন কাজকর্ম আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়া জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আমাদের এখানেও কদিন আগে ইলেকশন হয়ে গেছে যদিও আমার ছেলে অসুস্থ থাকার কারনে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি।কিন্তু মিস করেছি কারন আমার ভাই -ভাবিরা সবাই গিয়েছিলো।
এটা ঠিক যে মেয়েরা বাসায় না থাকলে বাসার বারোটা বেজে যায়।
আমার স্বামী আমাকে কাজে অনেক সাহায্য করে এটাও যেমন সত্যি আাবার পাশাপাশি সাহায্য করার নামে অনেক কিছুই অগোছালো করে রাখে।
বাচচারা আসলেই খুব দ্রুত বড় হয়ে যায়। যখন ছোট থাকে তখন মনে হয় বড় হয়,না কেন। আর এখন মনে হয় আরেকটু ছোট থাকলেই ভালো হতো।
এটা ঠিক যে, বউ কখনো মেয়ে হয় না আবার শাশুড়িও মা হয় না তবে ভালো সম্পর্কতো থাকতেই পারে। আমার শাশুড়ি শুরুর দিকে আমাকে পছন্দ না করলেও পরবর্তী সময়ে আমাদের সম্পর্ক অনেকটা মা আর মেয়ের মতোই ছিলো। আমি মিস করি তাকে। আমার মা-বাবার পরে সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী ছিল সে।
আপনার ব্যাস্তময় দিনের দিনলিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনি খুব ভাগ্যবতী একজন স্ত্রী যে আপনার স্বামী আপনাকে অনেক কাজে সাহায্য করে । ছেলেরা যতই কাজে সাহায্য করে কাজ কমানোর কথা তার থেকে আমাদের মনে হয় কাজ বাড়িয়ে দেয়।
আমার শাশুড়ি মা ও আমার মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন আজ এক বছর হল, তার সেই ছোট ছোট স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে। তিনি আমাকে হাতে ধরিয়ে সবকিছু কাজ শিখিয়ে গেছেন ।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আপনাদের ঐদিকে নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। আর আমাদের এই দিকে সামনের মাসের ৫ তারিখে নির্বাচন হবে। ঘুম থেকে উঠে সকালের জন্য নাস্তা বানিয়েছেন।
আসলে ছোট বাচ্চারা মনে হয় নিজের খেলার সাথী পেলে তারা খুব আনন্দে থাকে। যেমনটা আপনার মেয়ের ক্ষেত্রেও দেখতে পেলাম। বাহ ল!আপনার মেয়ে তো দেখি বেশ ভালই মেহেদি বিয়ে দিতে পারে।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।