THE diary game, Saturday- A Day at the Market and Family Time

"সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি"

আশা করি সবাই যে যেখানে আছেন অনেজ বেশি ভালো আছেন। চলছে ঘূর্ণিঝড় এর বিপদসংকেত। এই সময়টাতে সবাই চেষ্টা করবেন একটু সতর্ক থাকার। আজকে রাতে এটি আমাদের দেশ সহ সমুদ্রউপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, তবে এর রেশ কিন্তু এখনই টের পাওয়া যাচ্ছে। আজকে আমি গত শনিবারের কাটানো দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।

_{কভার ফটো}

শনিবার মানেই আমার সাপ্তাহিক বাজার করার দিন। সকাল থেকেই প্রচন্ড রোদের ঝলকানি, সময় যত গড়াবে ততোই গরম বাড়বে, তাই সকাল সকাল আমি চলে গেলাম সবজি বাজারে। এই বাজারে সব টাটকা সবজি পাওয়া যায়। মূলত নারায়ণগঞ্জ রুপগঞ্জ থেকে এই সবজি গুলো আসে। আমি বাজার ঘুরে ঘুরে ঝিঙা, কাকরোল, করোলা, সজনা, টমেটো ও কাচা মরিচ কিনে নিলাম। এর পর মুদি দোকান থেকে পেয়াজ আর আলু কিনলাম। সব্জির দাম এখন একটু কমেছে আগের তুলনায় তবে, নতুন সব্জির দাম একটু চড়া।

_{বাজার থেকে আনা টাটকা সবজি}

সবজি কেনার পর চলে গেলাম মাছ বাজারে। উদ্দেশ্য ছিল ছোট মাছ কেনার। তবে তা না পেয়ে নলা, কালবাউস ও মৃগেল মাছ পেলাম। সেগুলোই কিনে নিলাম। মাছ গুলো দেখে অনেক ফ্রেশ মনে হচ্ছিল।

_{ক্রয়কৃত টাটকা মাছ}

চলুন এখন ক্রয়কৃত সবজি ও মাছের বাজার দর সম্পর্কে একটু ধারণা দেই।

_{আজকের ক্রয় করা সবজি ও মাছের বাজার মূল্য}

Product	Qty	Price(BDT)	Price(SP)
Jhinga	1/2kg	35 TK	0.71
Tonatto	1/2kg	25 TK	0.51
Sajina	1/2 kg	70 TK	1.43
Green chillies	250gm	40TK	.82
Bitter Gourd	1/2 kg	30Tk	0.61
Kakrol	1/2 kg	50TK	1.02
Mixed Fish	1.5 kg	500 TK	10.20

বাজার শেষে বাসায় এসে নাস্তা করে নিলাম। আজকের নাস্তায় ছিল রুটি, কাঠাল ও চা।

নাস্তা শেষে মেয়েকে ঘুম থেকে তুললাম। তার ঘুম ই ভাংছিল না। আরেকটু ঘুমাই আরেকটু ঘুমাই করে ১০ টা বাজিয়েছে। তাকে ঘুম থেকে তুলে ব্রাশ করিয়ে দিলাম। নাস্তা দুই বার মুখে নিয়েই বলছে আর খাবে না। পরে তাকে আম কেটে দিলে বসে বসে সব খেয়ে নিল।

আম খাবার পর সে বাকি রুটিটা খেল। এর পর তার সাথে ফুটবল খেল্লাম। জরের কারণে সে এখন অনেকটা ক্লান্ত। ১২ টার দিকে সবাই মিলে আনারস কেটে খেলাম।

গিন্নি দেখছি রান্না নিয়ে ব্যস্ত। শনিবার সব সময় বাসায় কয়েকপদের রান্না হয়। আমি বাসায় থাকি বলে এই দিন রান্নায় কোন কমতি থাকে না। আজকে কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি, মাছ ভাজা, সাজিনা ডাল ও আলু দিয়ে কাকরোলের সবজি রান্না হচ্ছে।

দুপুরে মেয়েকে গোসল করিয়ে দিয়ে আমিও গোসল করে নিলাম। নামাজ পড়ে সবাই মিলে খেতে বসলাম। সবগুলো তরকারি অনেক মজার ছিল।

খাবার খেয়ে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু প্রচন্ড গরমের কারণে তা আর হলো না। বসে বসে কমিউনিটির পোস্ট গুলো পড়ছিলাম আর কমেন্ট করছিলাম।

বিকেল বেলা মেয়ে ঘুমালো, ততোক্ষণে রোদের তাপ ও একটু কমে গিয়েছে। সন্ধ্যার দিকে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল। এক পাশে আকাশ রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। এরকম দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী না করলেই নয়। ঝটপট কিছু ফটোগ্রাফি করে ফেললাম।

_{আমার ক্যাপচার করা আকাশের ফটোগ্রাফি}

রাতের বেলা মনে হলো এখন গরম অনেকটা কম, যাই সেলুনে গিয়ে চুলটা কেটে আসি। এই সময়ে সাধারণত সেলুন গুলো ফ্রি থাকে, সিরিয়াল এর জন্য কোন অপেক্ষা করা লাগে না। আমি গিয়ে চুল কাটাতে বসার একটু পড়েই প্রচন্ড ঝোড়ো বাতাস শুরু হলো। চুল কাটা শেষ করে এক দৌড়ে বাড়ি।

গোসল করে সন্ধ্যার নাস্তায় মুড়ি আর চানাচুর মাখা খেলাম। রাতে বসে বসে বাংলাদেশের খেলা দেখলাম। অন্য দুইটা ম্যাচ হারলেও শনিবার কোন পাত্তাই পেল না ইউ এস এ। বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জিতে নিল ম্যাচটি।

শনিবারের ছুটির দিনটি এভাবেই বাজার করে আর পরিবারের সাথে সময় পার করে কেটে গেল। আবারো এক সপ্তাহের অফিস শুরু হবে,ছুটির দিন দ্রুতই কেন জানি না শেষ হয়ে যায়। তো এই ছিল আমার শনিবারের কাটানো দিনটি। সবাইকে ধন্যবাদ আমার ডায়েরিটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবাই।