"সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি" |
Cover Photo
শুরু হয়ে গেল ঈদের ছুটি। অনেকের মত আমিও ঈদ কাটাতে গ্রামের বাড়িতে এসেছি। আজকে ছিল ছুটির ২য় দিন। কিভাবে আজকের দিনটি কাটিয়েছি সেটি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজকে সকাল বেলা ঊঠে নাস্তা করে মা বললো নারিকেলের খোসা গুলো ছাড়াতে। ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে নারিকেল কাটতে বসলাম। ৪ টা নারিকেল কেটে দেখলাম ২ টা ভালো, আর বাকি দুইটার একটাতে শাশ হয়েছে আরেকটা একদম নষ্ট।
আমাদের গাছের নারিকেল
নারিকেল এর খোসা ছাড়ানোর পর সেগুলো চাকু দিয়ে ছোট ছোট পিছ করে একদিক তুলছি, অন্যদিকে মেহেক আর আমার ভাতিজা ইহফাজ খাচ্ছে। নারিকেল টা অনেক মজার ছিল।
নারিকেল ও নারিকেলের শাশ
১১ টার দিকে বাসার সামনে বের হয়ে দেখলাম রাস্তায় পানি জমে আছে। রাস্তা পাকা করার জন্য খুড়ে রেখেছে, গত রাতে বৃষ্টির কারণে পানি জমে একাকার অবস্থা। বাসা থেকে কোদাল নিয়ে রাস্তার পানি কেটে দিলাম, এর পর ভাইকে সাথে নিয়ে ইটের খোয়া আর বালু দিলাম, যে যায়গায় বেশি কাদা ছিল। অন্তত বাসা থেকে বের হয়ে যেন হাটা যায় সেই ব্যবস্থা করলাম।
রাস্তায় ইটের খোয়া দেয়ার সময়
আমাদের কাজ দেখে আমার মেয়ে আর ভাতিজাও বালু নিয়ে খেলা শুরু করলো। মেয়ে গ্রামে এসে ভীষণ খুশি। সারাদিন খেলা নিয়ে ব্যস্ত।
মেহেক ও আমার ভাতিজা
রাস্তার কাজ শেষ করে ছাদে চলে গেলাম। ছাদের চার পাশে পাতা পড়ে পানি জমে ছিল, সেগুলো পরিস্কার করে দিলাম। এবার ঢাকা থেকে আসার সময় কিছু ক্যাকটাস আর সাকুলেন্ট এনেছিলাম। সেগুলো নতুন টবে লাগিয়ে দিলাম। বালি, মাটি আর ইটের গুড়ার সাথে শুকনা পাতা মিশিয়ে মিডিয়া বানালাম।
বিকেল বেলা আসরের নামাজ পড়ে আসার সময় পুকুর পাড়ের কাঠাল গাছের সামনে আসতেই পাকা কাঠালের ঘ্রাণ নাকে এলো। পরে একটা লাঠি দিয়ে পরখ করে দেখলাম দুইটা বড় বড় কাঠাল পেকেছে। পরে একজনকে ডেকে এনে কাঠাল দুইটা নামালাম। গাছ থেকে কাঠাল পেরে সাথে সাথে খাবার আলাদা একটা মজা আছে।
বিকেল বেলা কাঠাল খেয়ে চাচাতো ভাই আর এলাকার পিচ্চি গুলোরে নিয়ে শর্টপিছ ক্রিকেট খেল্লাম। বাসার সাম্নের খলানের আম গাছে একদম ভরপুর আম ধরেছে। এগুলো হাড়িভাংগা আম, তবে গাছ ছোট হওয়ায় আমের সাইজ একটু ছোট।
গ্রামে এসে আসলে খুব ই সুন্দর মুহূর্ত পার করছি। শহরে থাকলে এই সুন্দর স্মৃতি গুলো পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে মনে হয় গ্রামেই থেকে যাই, এখানকার সব কিছুই সুন্দর। ইচ্ছে আছে সুযোগ পেলেই গ্রামে চলে আসবো, শহরের জীবন কেমন যেন এক ঘেয়েমি লাগা।
তো এভাবেই আমার আজকের দিন টি নানা রকম ব্যস্ততায় কেটে গেল। একটা দিন পার হচ্ছে আর মনে হচ্ছে ছুটি গুলো ফুড়িয়ে যাচ্ছে। ছুটির দিন গুলি একটু দ্রুতই যেন ফুড়িয়ে যাচ্ছে, তবে এই স্মৃতি গুলো অনে বেশি মূল্যবান আর এগুলোকে পুজি করেই আবারো এক বছর কাটাতে হবে।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। প্রথমেই জানাই ঈদের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঈদ ভালোভাবে কাটান। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। যেকোনো অনুষ্ঠানে কাজের জায়গা থেকে বাড়িতে এসে সবার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলি সত্যিই খুব আনন্দে। আপনিও খুব ভালো করেছেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন ঈদের ছুটি কাটাতে। বাচ্চারা গ্রামের বাড়িতে এসে মাটি নিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছে। আসলে বাচ্চারা এইসব নিয়ে খেলতে বেশি পছন্দ করে।
আমরাও ছোট বেলা এরকম ধূলা মাটিতে অনেক সময় কাটিয়েছি, কিন্তু আমাদের পরের প্রজন্ম সেই সুযোগ পাচ্ছে না। অনেকেই আবার আমরা মাতি ধরতে দিতে চাই না, অসুখ হবে বলে, কিন্তু আমি দেখেছি আমার মেয়ে গ্রামে গিয়ে ধূলা বালিতে থাকলেই শহরের তুলনায় বেশি সুস্থ থাকে। মাঝে মাঝে মনে হয় তাকে গ্রামে রেখে আসি।
ব্যস্ততায় ভরা জীবনে একটু স্বস্তি দিতে আসে যেন ঈদের আনন্দ। বাড়ি গিয়ে যে খুবই আনন্দের সাথে সময় পার করছেন তা বোঝাই যাচ্ছে। নারিকেলের শাশ আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না। তাই ছবিটা দেখেই খেতে ইচ্ছা করলো। গাছ থেকে পেরে যে কোন ফল খাওয়ার মধ্যে একটি আনন্দ আছে। যেমনটা আপনি কাঁঠাল পাড়ার পর পেয়েছেন। গ্রামের পরিবেশটাই অন্যরকম। শহুরে কোলাহল ছেড়ে সেখানে সময় পাড় করতে বেশ লাগে। এটি অবশ্য ঠিক ছুটির সময়টা দেখবেন দেখতে দেখতে পেরিয়ে যাবে। ভালো সময়গুলো যেন এভাবেই চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
TEAM 7
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator09.@sduttaskitchen ম্যাম, অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ক্রিতজ্ঞতা।
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে দেখছি খুব সুন্দর মুহূর্তগুলো পার করছেন। আসলে নিজের গাছের ফরমালিন মুক্ত কাঁঠাল খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আপনার মেয়ে দেখছি গ্রামে গিয়ে একেবারেই অন্যরকম হয়ে গেছে। গ্রামের হাওয়া বাতাস তার গায়ে লাগার কারণে গ্রামীন পরিবেশের সাথে নিজেকে মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। ধন্যবাদ ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা, আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য।ভালো থাকবেন।
গ্রাম বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় সবার জন্যেই ভালো। গ্রামের মানুষ এই কারণেই অসুস্থ হয় কম, বিশেষ করে গ্রামের বাচ্চারা দেখবেন অনেক শক্ত হয়, আর শহরের বাচ্চারা বয়্যলার এর মত হয়, একটুতেই অসুখ ধরে। আমার মেয়ে গ্রামে গিয়ে মাশাল্লাহ অনেক অনেক ভালো আছে।
একদম ঠিক বলেছেন গ্রামের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে এবং তাজা মাছ শাকসবজি খেয়ে থাকে। একেবারেই ফরমালিনমুক্ত ফল তারা খেতে পারে। তাই তাদের শরীর ঘটন এবং অনেক দিক থেকেই ভালো হয়। আপনার মেয়ের গ্রামে এসে ভালো আছে জানতে পেরে ভালো লাগলো। গ্রামীণ পরিবেশে থাকতে অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করে। বিশেষ করে সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করা, বিকেলে গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করার মধ্যে, অন্যরকম একটা মজা রয়েছে।
কাজের তাগিদে সারা বছরই হয়ত শহরে থাকতে হয় আপনার তবে ঈদের সময় ছুটির সময়টা সবার মতো আপনিও নিজের পরিবারের সাথেই কাটানোর জন্য গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন।
আশা করি গ্রামে এসে অনেক বেশি উপভোগ করছেন। নারকেলের ভিতরের ফোল আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। যদিও আমাদের বাড়িতে কাঁঠাল গাছ নেই তবে শুনেছি গাছ পাকা কাঁঠাল খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
কাথাল আমারো অনেক প্রিয় তবে অবশ্যই পাকার পর তার রঙ কাঠালি হতেহবে এবং কোয়া গুলো ছট ছোট কিন্তু মিষ্টি হতে হবে। অনেকে শক্ত কোয়া পছন্দ করে তবে আমার পছন্দ নরম কোয়া। এবার প্রচুর কাঠাল খাওয়া হয়েছে গ্রামে গিয়ে। আহা কি টেস্ট।
ছোটবেলায় আমিও এভাবে নারিকেল কেটে কেটে নিয়ে তারপর খেতাম।আপনিও আপনার ছোট বাচ্চাদের এভাবেই নারিকেল খাইয়েছেন।আপনি সর্টপিচে ক্রিকেট খেলেছেন।আপনি রাস্তার পানি নিষ্কাশনের মতো ভালো কাজটি করেছেন।ছাদে ফুলের টবে কিছু সময় ব্যায় করেছেন।সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা দিন কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ।
গ্রামে এলে নানা ধরনের ফল খেয়ে দিন পার করি, বাড়ির গাছের নারিকেল দেখে কি আর না খেয়ে থাকা যায় বলুন। গ্রামের রাস্তার পানি জমার কারণে সবারই অসুবিধা হচ্ছিল, তাই একটু কাজ করেছি। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।