Better Life With Steem | The Diary Game |13th December
![]() Edited in canva |
---|
হিম শীতল সকাল বেলা |
---|
আজ ফজরের আজানের কিছু সময় পরই ঘুম ভাঙলো। কিন্তু ঘুম থেকে ঊঠতে ইচ্ছে হচ্চিলো না। লেপের ভেতর থেকে মাথা বের করে একবার ঘড়ি দেখে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম যখন ভাংলো ততোক্ষণে ৭:৩০। তারাতারি ঘুম থেকে ঊঠে জানালা খুলে দেখি বাহিরে কুয়াশা ঢাকা।
![]() কুয়াশায় ঢাকা আজকের সকাল |
---|
পাশের বাসার ছাদটাও ভালো মত দেখতে পারছিনা। এমন দিনে গোসল করার সাহস দেখাতে পারলাম না। তারাতারি রেডি হয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
পুরো রাস্তা অন্ধকার হয়ে আছে। অটো ড্রাইভারকে বললাম যেন হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালায়। এই শীতের সকালে কুয়াশার কারণে অনেক এক্সিডেন্ট হয়। তাই এই সময় যানবাহনের হেডলাইট, ইন্ডিকেটর লাইট জালিয়ে গাড়ি চালানো উচিৎ।
যাই হোক, ভালো ভাবেই অফিসে চলে এলাম। সকাল সকাল এক কাপ চা খেয়ে কাজে বসে পড়লাম। আজকে পার্টি পেমেন্টের লিস্ট আপডেট করা লাগবে। একাউন্টিং সফটওয়্যার থেকে একে একে সব গুলো পার্টি লেজার ডাউনলোড করে প্রিন্ট দিতে হবে। অনেক কাজ।
তারউপর এক্সামের কারণ অফিস থেকে ছুটি কাটানোয় কাজ জমে গিয়েছে, সব গুলো এখন ক্লিয়ার করা লাগবে। কাজ করছি তো করছিই।
![]() কম্পিউটারে অফিসের কাজ করার সময় |
---|
দুপুরবেলা |
---|
কাজ বেশি থাকলে সময় কেমন যেন দ্রুত গড়িয়ে যায়। আমারো আজকের সকাল গড়িয়ে কিভাবে দুপুর হয়ে গেল যেন বুঝতেই পারলাম না। দুপুরে ১:১৫ মিনিটে চলে গেলাম ক্যান্টিনে। সেখানে লাঞ্চ করে সোজা নামাজের রুমে।
জোহরের নামাজ পড়ে আবার অফিসে আমার ডেস্কে চলে এলাম। আমাকে আজকে প্রায় ৩০০ পেজ প্রিন্ট দিতে হবে। এই অফিসের কারণে এত এত পেইজ ব্যয় হয় যে মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে। এই পেইজ গুলো কিন্তু গাছ থেকে বানানো হয়। মানে আমি আজকে এই ৩০০ পেইজ প্রিন্ট দেয়ার কারণে না জানি কতগুলো গাছ কাটা পড়লো হিসেব নেই।
মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে এভাবে পৃষ্ঠার পর পৃষ্টা প্রিন্ট দিতে। নিজেকে অপরাধী মনে হয়। কিন্তু পেশাগত কারণে না করেও উপায় নেই। তার পরেও যতটুকু চেষ্টা করি কমের মধ্যে করার চেষ্টা করি।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলো। এদিকে পেটে খিদে। ডেস্কের ড্রয়ার খুজে এক প্যাকেট বিস্কুট পেলাম সেটাই আফাতোত আমার নাস্তা।
![]() |
---|
সন্ধ্যা ও রাত |
---|
সন্ধ্যে ৬:৩০ মিনিটে অফিসের কাজ শেষ করে বাসার পথে রওনা দিলাম। পথের ফুটপাত গুলোতে আজকে অনেক ভীড়। হটাৎ ঠান্ডা পড়ায় মানুষের শীতের কাপড় কেনার ধুম পড়েছে।
দুদিন আগেও যেই জ্যাকেট ৪০০ টাকা ছিল আজকে দাম চাইলো ৬০০ টাকা। আমি একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু কাপড়ের দাম জিগেস করলাম। কেনা আর হলো না।
নামাজ শেষে মেয়ের জন্যে ডায়পার কিনে বাসায় চলে গেলাম। বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কতক্ষণ মেয়েকে নিয়ে টিভি দেখলাম। সামনে নিবন্ধন এক্সাম আছে। তাই একটু পড়তে বসলাম।
ম্যাথ কম পারি, জানি যে ম্যাথে পাশ করলেই আমি নিবন্ধন প্রিলি টিকে যাবো। তাই এখন থেকেই ম্যাথ শুরু করে দিয়েছি।
![]() |
---|
ম্যাথ এর সংখ্যা চ্যাপ্টার টা শেষ করে রাতের খাবার এর জন্যে ডাক এলো। রাতে মুরগীর মাংস আর বেগুন ভরতা রান্না হয়েছে।
রাতের খাবার খেয়ে মনে পড়লো দারাজে একটা প্রডাক্ট অডার করেছিলাম, যেটা দিনে রিসিভ করেছি কিন্তু দেখা হয় নি। তারাতারি প্রডাকটি বের করে দেখলাম। ১৩৫ টাকা দিয়ে দারুণ একটা প্রডাক্ট পেয়েছি। ফ্রি ডেলিভারি ছিল। এই স্ক্রু ড্রাইভারে ৩২ টা মাথা আছে, যেটা দিয়ে বাসা বাড়ির টুকটাক ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র খোলা যাবে। দরকারের সময় পাওয়া যায় না তাই একবারই কিনে নিয়েছি।
![]() খুব ই দরকারী স্ক্রু-ড্রাইভার সেট |
---|
রাতে আর কিছু সময় মেয়ের সাথে পার করে ব্রাশ করে নিলাম ইদানিং মেয়ে কে নিয়ে খুব বিপদে আছি। ব্রাশ করতে দিলে সব পেস্ট খেয়ে ফেলে। এটা মনে হয় সব বাচ্চারই স্বভাব।
বিছানায় গিয়ে প্রিয় কমিউনিটির কিছু পোস্ট পড়লাম। নোটিফিকেশন গুলো চেক করে ঘুমিয়ে পড়লাম।


আপনার পোস্ট পড়ে তো বুঝতে আর বাকি রইলো না যে আপনি কতটা ব্যাস্ত ছিলেন ৷ পরীক্ষার কারনে ছুটি নিয়েছিলেন আর এদিকে অফিসের কাজ জমে ছিল অনেক গুলো সেগুলো সামাল দিতে হচ্ছে তারপর দুপুরে এক প্যাকেট বিস্কিট খেয়ে আবার কাজে লেগে পড়েন ৷ তারপর দেখলাম জেকেট নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন আগের দাম তুলনায় ২০০ টাকা বেশী চাচ্ছে তাই আর নেওয়া হলো না ৷ তারপর আপনার মেয়ের জন্য ডায়পার নিয়ে বাড়ি চলে আসেন এসে মেয়ে সহ টিভি দেখেন তারপর ব্রাশ করে ঘুমিয়ে পড়েন ৷
অনেক ভালো লাগলো ভাই আজকের সারাদিনের কার্যক্রম গুলো ৷ যাই হোক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ দিনটি আপনার শুভ হোক ৷
ধন্যবাদ ভাই, আমার লেখাটি এত মনোযোগ দিয়ে পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন।
গত কয়েকদিন থেকে সকাল ৯ টার আগে সূর্য দেখা যায় না চারদিকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে। আপনি তেরো ডিসেম্বর এর ব্যস্তময় দিনের মূহুর্ত গুলে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সারাদিন কাজ শেষে রাতে আবার নিজের মেয়ের সাথে খেলাধুলা করেছেন। আপনার ব্যস্তার মাঝেও নিজের সন্তানের সাথে খেলাধুলা করতে ভুলেল না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কাজকর্ম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পরিবারের জন্যেই তো কাজ করা। সেই পরিবারকেই যদি সময় না দিতে পারি তাহলে এত ব্যস্ততা কিসের জন্যে। তাই সব ব্যস্ততার মাঝে পরিবারকে নিয়ে সময় পার করাটাই আমার কাছে প্রধান
সবমিলিয়ে আপনার সারাটা দিন ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে, সকালে আসলেই ঘুম থেকে উঠতে মন চায় না কারণ শীতের সকাল, এরপরেও ৭:৩০ মিনিটে উঠে নাস্তা করে দ্রুত অফিসে চলে গেয়েছেন।
আসলেই কর্মজীবন অনেক কঠিন, নিজের ব্যক্তিগত কাজ বা ব্যবসা হলে একটু দেরি হলেও কোন সমস্যা নেই কিন্তু অন্যের অধীনে চাকরি করলে সময়মতো উপস্থিত না হলে অনেক সময় জবাবদিহি করতে হয়। যাই হোক আপনি সময় মতো পৌঁছে অনেক কাজ সম্পন্ন করেছেন।
আপনার দৈনন্দিন এর কাজগুলো আল্লাহ সহজ করুন আমিন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার ডায়েরি গেইম এ এত সুন্দর মতামতের জন্যে।
আপনার গতকালের দিনটি অফিসের কাজের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটেছে।।আর ছুটি কাটানোর কারণে আপনার কাজ জমে গিয়েছে তাই কাজের চাপ আরো বেশি ছিলো।
অফিস থেকে আসার সময় ফুটপাতে শীতের কাপড়ের দোকানে শীতের কাপড় দেখেন কিন্তু কেনা হয় নি, বাসায় এসে মেয়েকে সময় দেন এবং রাতের খাবার খেয়ে পরীক্ষার জন্য পরতে বসেন।
অফিসের কাজের ব্যস্ততা ও পরিবার নিয়ে সুন্দর সাধারণ একটি দওন পার করলেন।আপনার প্রতিটি দিন শুভ হোক সেই কামনা করি। ভালো থাকবেন।
ব্যস্ততার মিধ্য দিয়েই চলতে ভালো লাগে৷ এক ধরনের অভ্যাসে পরিণত হয়েচে। এভাবেই চলচগে জীবন।
ঘন কুয়াশায় নিরাপদে চলা খুবই জরুরী। আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন গাড়িওয়ালা কে লাইট জ্বালিয়ে রাখতে বলে। অফিসে আপনার প্রচন্ড কাজের চাপ। প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে হয়েছে আপনাকে। বিকেলে একটি ছোট প্যাকেট বিস্কুট খেয়ে নিলেন খিদে লেগেছিল বলে। এর পরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে এলেন। কিছুক্ষণ টিভি দেখে পড়তে বসলেন কারণ সামনে আপনার নিবন্ধন পরীক্ষা আছে। গণিত বিষয়ের উপরে আপনার বেশি জোর যার প্রয়োজন। রাতের খাবার খেয়ে তারপর আপনি ঘুমিয়ে পড়লেন। সব মিলিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত একটি দিন পার করলেন। আপনার ব্যস্ততম দিনলিপি পড়লাম। পড়ে ভালো লাগলো।
মোটামুটি ভালোই ব্যস্ততা চলছে। তবে কাল পরশউ যেহেতু ছুটি ব্যস্ততা কমে যাবে। মন টাও একটু রেস্ট পাবে
ভাই গতকাল বুধবার আপনি ব্যস্ততম একটি দিন পার করেছেন যা আপনার পোষ্ট পরে বুজতে পারলাম। দুদিন ধরে আমাদের দেশে বেশ শীত পরছে। শীতের কারণে ফজরের নামাজ আদায় করা বেশ কষ্টকর একটা ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। লেপের ভেতর থেকে উঠতেই যেন মন চায় না।
এরপর আপনি আপনার অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। আপনি গতকাল তিনশত কাগজ প্রিন্ট করেছেন এবং এও বলেছেন এই কাগজগুলো প্রিন্ট করতে আপনার কষ্ট লাগে। কারণ গাছ কেটে কাগজ তৈরি করা হয়। আপনার এই কষ্টের সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি। কিন্তু কিছু করার নেই ভাই। কাগজ ব্যবহার করতেই হবে আমাদের।
যাইহোক ভাই আপনার পুরো লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনা রইলো।
আসলেই, আমাদের কিছুই করার নেই। যে অফিসে কাজ করি সেখানে কাগজ ছাড়া কাজ প্রায় অসম্ভব। তাই মনে না চাইলেও কাগজ খরচ করতে হচ্ছে। কিচ্ছু করার নেই।
আপনার রোজ দিনগুলি খুব কর্মব্যস্ততার মধ্যে কাটে। তাও আপনি সময় করে স্টিমিটের জন্য যে পোস্ট লেখেন আর কমেন্ট করেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। টেকনোলজি এত উন্নত হলো তবুও আমরা প্রিন্ট আউট বা জেরক্স করার জন্য যে পেপার ইউজ করি তা গাছ থেকেই আসে এমনকি নিউজ পেপারের পেপারও শুনেছি গাছ কেটেই তৈরি করা হয়। এটা অনেকটা ক্যান্সার রোগের মতো যার সঠিক ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিষ্কার হলো না।
একদম। যদি এমন কোন প্রযুক্তি থাকতো যে কাগজ প্রিন্ট দেয়া লাগবে না তাহলে ভালো হতো।
সকালে কদিন ধরেই অনেক কুয়াশা পরছে।বাইরে তেমন কিছুই দেখা যায় না।ঢাকায়তো তবু কিছুটা কম কিন্তু গ্রামে আরও বেশি। আমার কুয়াশা খুবই ভাল লাগে কিন্তু এটা রাস্তায় খুবই ভয়ংকর একটা জিনিস। প্রচুর আকসিডেন্ট হয় এই কুয়াশায়।এর মাঝেই আপনি অফিসে গিয়েছেন।
এভাবেই খুব সুন্দর করে আপনি আপনার দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
ঢাকায় ৮ টার আগে ভালোই কুয়াশায় পড়ে ঢাকাতেও। তবে হাইওয়েতে কুয়াশার কারণে এক্সিডেন্ট অনেক বেড়ে যায়। তাই যতদূর পারা যায় সাবধানে থাকতে হবে।
ধন্যবাদ আপু
ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় চলাফেরা করা খুবই বিপদ জনক এতে অনেক সময় অনেক ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয় অনেক মানুষ।
আপনার আজকের দিনের কার্যক্রমটি পরিবেশ ভালো লেগেছে আর হ্যাঁ বাচ্চারা এমনি করে বেশিরভাগ ছোট বাচ্চারা দাঁত ব্রাশ করার সময় পেস্ট খেয়ে ফেলে।
একদম ই তাই, আমিও মেলা বাচ্চাকে এমন দেখেছি।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করবার জন্যে
Thank you 😊