Better life with steem || The Diary Game || 3rd June, 2024 ||
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এখন আমি ৩ জুন এ কাটানো দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠেই বাইরে মাইকিং এর শব্দ কানে এলো। প্রতিদিন সকাল বেলা মসজিদ এর মাইকে ডেকে ডেকে বাচ্চাদের আরবী শেখানোর জন্য মসজিদে নেয়া হয়। ভুইয়াপাড়া জামে মসজিদ এখনো সেই পুরনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে যখন খুব ছোট ছিলাম তখন এলাকার মসজিদে সকাল বেলা আরবী শিক্ষার বই নিয়ে হুজুরের কাছে আমরা দল বেধে চলে যেতাম। বলতে গেলে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল মসজিদে কায়দা বই পড়ার মাধ্যমে।
মসজিদ শিক্ষা ব্যবস্থা এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। সে দিক থেকে আমার বাসার পাশের এই মসজিদটা ভিন্ন। শুনেছি এখন আবারো নতুন করে অনেক মসজিদে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অবশ্যই এটাকে সাধুবাদ জানাই। কেননা আমরা যা আরবী শিখেছি তার ৭০% এই মসজিদ শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে।
সকাল বেলা পরাটা আর আগের রাতের মাংস ভূনা দিয়ে সকালের নাস্তা সেড়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। কয়েকদিন ধরে অফিসে প্রচন্ড কাজের প্রেসার যাচ্ছে। তার উপর এই মাসের শেষ, সপ্তাহের শেষ সব এক সাথে পড়ায় সেই কাজ গুলো মাসের শুরুতে এক সাথে করতে হচ্ছে। অফিসে দম ফেলানোর সময় নেই।
আজকে অফিসে বসে কাজের ফাকে কলীগের ঈদের টিকেট অনলাইনে কেটে দিলাম। এবার ঈদে ছুটি এক সাথে না পড়ায় অনলাইনে তখনো টিকেট ছিল। অনলাইনে টিকেট কাটার কারণে সহজ ডট কম ১০০ টা অতিরিক্ত ফি কেটে নিলো, পাশাপাশি আরো ৪৮ টাকার মত ভ্যাট+প্রসেসিং ফি কাটলো যেটা আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়েছে। এসব মনিটরিং এর কেউ নেই। যে যার মত ঈদের সময় বাড়তি টাকা আদায় করে নিচ্ছে। দুর্ভোগ আমাদের মত সাধারণ মানুষের।
রাতে বাসায় ফেরার পথে সুবাস্তু নজরভ্যালির সামনে একটা জানালার পর্দার দোকান চোখে পড়লো। ২ মাস আগে যেটার দাম ছিল ২৮০ টাকা সেটা এখন ৩৫০ টাকা হয়ে গেছে। তাই আমার আর কেনা হলো না। দরদাম করে ৩০০ টাকা অব্দি বলেছি, না দেয়ায় ফিরে এসেছি।
বাসায় এসে মাইকের শব্দে কান পাতা দায় হয়ে গেল। আমার বাসার সাথেই বড় খেলার মাঠ, সেখানে আজকে শটপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ। রাত ১০ টায় ম্যাচ শুরু হবার কথা থাকলেও মাঠ ভর্তি দর্শক ছিল সন্ধ্যা থেকেই। মেয়ে বারান্দা দিয়ে সন্ধ্যা থেকে দেখেছে আর আমার আসার অপেক্ষা করেছে। বাসায় আসতেই সে আমার কাছে আবদার করলো খেলা দেখতে যাবার। কি আর করার তাকে নিয়ে মাঠে চলে গেলাম।
এখন ক্রিকেটের মৌসুম। টিভিতে বিশ্বকাপ, তার ছোয়া প্রতিটি অলি গলিতে। আমরা খেলা দেখতে গিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিন্তু খেলা শুরু হবে ১০ টার সময়। তাই মাঠের পাশের দোকান থেকে জামাই বৌ চানাচুর আর মেয়ের জন্যে জেমস চকলেট নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম।
রাতের খাবার খেয়ে জানালা দিয়েই ফাইনাল খেলা উপভোগ করলাম। শটপিছ ক্রিকেটে এত জমজমাট আয়োজন এখন শহরে প্রায়ই দেখা যায়।
খেলা দেখা শেষ করে রুমে গিয়ে দেখি মেয়ে আর গিন্নি দুজনে ঘুমিয়ে পড়েছে। মনে পড়লো নামাজ পড়া হয় নি, এশার নামাজ আদায় করে আমিও ঘুমাতে চলে গেলাম। তো, এভাবেই আমার সারাটা দিন অফিস আর পরিবার নিয়ে কেটে গেল। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ডায়েরিটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবাই।
আপনার মত আমারও এখনো ঠিক ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আরবি বই হাতে নিয়ে মসজিদে যেতাম হুজুরের কাছে পড়ার জন্য। তবে এখন আর মসজিদে আরবী পড়ার তেমন একটা প্রচলন নেই। তবে এখনো কিছু কিছু মসজিদে এই আরবি পড়ার প্রচলনটা আছে।
ঠিকই বলেছেন, সপ্তাহের শেষ দিন এবং মাসের শেষ দিনে কাজের চাপ একটু বেশিই থাকে।
বাহ! আপনার বাসার পাশেই দেখি অনেক বড় একটি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। অফিস থেকে বাসায় এসে আপনার মেয়েকে নিয়ে সেখানে খেলা দেখতে গিয়েছেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
ছোটবেলায় এই মসজিদ গুলো আমাদের যা আরবি শিখিয়েছে, সেই জ্ঞান নিয়েই এখনো চলছি, কিন্তু এখনয়াকার বাচ্চারা বেশির ভাগ আরবিত জানে না। তারা নাচ, গান ও অন্যান্য বিষয়ের চরচা নিয়ে ব্যস্ত। আসলে এটাই আমাদের এখন বড় আফসোস যে এই মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা আর আগের মত সচল নেই।
সকালবেলা পরোটা দিয়ে মাংস খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে আমার খুব কম খাওয়া হয়। কেননা পরোটা বানাতে অনেকটা সময় লাগে যার কারণে তেমন একটা বানানো হয় না। আপনাদের বাসার সামনে খেলা হয়েছিল। আপনি সেই খেলা দেখতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখে এসেছেন।বাসায় এসে দেখেছেন আপনার গিন্নি ঘুমিয়ে পড়েছে। আপনি নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। বেশ ভালো কাজ করেছেন নামাজ মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। অসংখ্য ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমাদের সকলের ই নামাজ পড়া উচিত, এটা আমাদের মনকে ফ্রেশ করে, যদিও মাঝে মাঝে নামাজ ছুটে যায়, তবে চেষ্টা করি নামাজ মিস না করার।
আমার এখানে প্রায়ই এমন খেলাদূলার আয়োজন হ্যে থাকে, তখন আমি এই খেলা গুলো বাসার বারান্দা থেকেই উপভগ করি।
আসলে মাঝে মাঝে আমারও এমন হয় অতিরিক্ত ঘুমের কারণে, মাঝে মাঝে নামাজ পড়া হয় না। তবে প্রতিনিয়ত নামাজ পড়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এটা আমাদের জীবনের অন্যতম একটা অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। যেটা না হলে জীবন একেবারেই চলে না।
খেলার মাঠ যদি বাসার সাথেই থাকে। তাহলে বাসা থেকেই খেলা দেখার ব্যবস্থা হয়ে যায়। যেমনটা আপনি বলেছেন আপনার বারান্দা থেকেই আপনি খেলা দেখতে পারেন এবং খেলা উপভোগ করতে পারেন। এটা তো বেশ আনন্দের একটা সংবাদ।
সকাল বেলায় পরোটা আর মাংস দিয়ে সকালের নাস্তা করে অফিসে গিয়েছিলেন। যত টুকু বুঝলাম খুব কাজের প্রেসারে রয়েছন। সকল জিনিসের দামই উর্ধগতি। দাম বেড়ে যাওয়ার জানালার পর্দাটা আর কেনেন নি। এমন রাতের বেলায় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আমাদের এখানেও হয়ে থাকে। বেশ মজা হয়। আপনি বাসায় বসে খেলাটা উপভোগ করেছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশ ছোয়া, বাজারে গেলে নিজেকে অসহায় মনে হয়, মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনে অনেক টাকার দরকার, অন্তত যা চাইবো তা যেন কিনতে পারি, কিন্তু চাইলেই ত সব হয় না।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোশট পড়ে মন্তব্যের জন্যে।
একদমই ঠিক বলেছেন, এখন বাজারের সকল জিনিসের দাম আকাশ ছোয়া। বাজারে গেলে নিজেকে আসলেই অসহায় মনে হয় কারন যেটা মন করে যাবো সেটা কিনতে পারি না অনেক সময়। দৈনন্দিন বাজারের ক্ষেত্রেও এমন হয়ে থাকে। সব কিছুর দাম যদি ১০ বছর আগের মতো হয়ে যেতো তাহলেও ভালো হতো। ভালো থাকবেন।