Better life with steem || The Diary Game || 16th May, 2024|||
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaBGzNhC4ZRR4xDRNGE1pUbESF5bGdU1LvH4Q99UPVyEV/20240517_230249.jpg)
১৬ মে,২০২৪- বৃহস্পতিবার। সপ্তাহের শেষ দিন, এটা ভেবেই ভালো লাগে যে একদিন পরই টানা দুইদিনের ছুটি। আর ছুটি মানেই পরিবারের সাথে ঘুরতে বের হওয়া, ভালো সময় পার করা। সকাল সকাল ফুরফুরে মেজাজে ঘুম থেকে ঊঠে ফজরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে প্রতিদিনের মত আবারো ঘুমিয়ে পড়ি।
ঘুম থেকে ঊঠে দেখি সকাল ৮ টার বেশি বাজে। কোন রকম ব্রাশ করেই অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ভেবেছিলাম আজকে অফিসে লেট হবে, তবে রাস্তা কেন জানিনা ফাকা ছিল। আর আমি নয়টার আগেই অফিসে চলে গেলাম।
সপ্তাহের শুরু আর শেষের দিনে সব সময় কাজের চাপ থাকে। আজকেও ব্যতিক্রম নয়। ১০ টার দিকে দেখলাম অফিসের সব কলীগদের কাছে থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। মাঝে মাঝেই অফিসে সকালের নাস্তার আয়োজন করা হয়। তখন সবাই কন্ট্রিবিউট করে।
আজকে পেয়ারা মাখা আর তরমুজ খাবার জন্য টাকা নেয়া হয়েছিল। ১১ টার দিকে সবাইকে সেই তরমুজ আর পেয়ারা খেতে দিল।
![]() |
---|
বাসায় সারাদিন গাছের সাথে কথা বলে গাছের প্রতি প্রেম বেড়ে যাচ্ছে। ভাবলাম অফিসের ডেস্কেও কিছু গাছ রাখবো। তাই অফিস পিয়নকে দিয়ে কিছু মানিপ্ল্যাট আনালাম। আফাতোত পানির বোতলে লাগিয়েছি, রবিবার ভালো দেখে টব বা পট কিনে নিবো।
![]() |
---|
![]() |
---|
গাছের প্রতি একবার মায়া হলে সেই মায়া কাটানো খুব কঠিন। যেমন আমি কোথাও যাবার পথে যদি দেখি ভ্যানে গাছ বিক্রি হচ্ছে কিনে নেই, আবার গুলশান এলাকায় অনেক সময় গাছের ডাল পালা কেটে ফেলে দেয় অনেক বাগানি। সেগুলো রাস্তার পাশেই অনেক সময় পরে থাকে। আজকেও ব্যাংক থেকে অফিসে আসার পথে এমন একটা গাছ পাই ফুটপাতে। আগে পিছে না ভেবেই সেটি হাতে তুলে নেই, যদিও গাছটা অনেক নেতানো ছিল।
সন্ধ্যেবেলা বাসায় আসতে আস্তে সেটা আরো নেতিয়ে পড়েছিল। অফিস থেকে বাসায় এসেই সেই গাছের পরিচর্যা শুরু করলাম। প্রথমে পানির ঝাপটা দিয়ে আধা ঘন্টার মত রেখেছিলাম। মানুষ যেমন মূর্ছা খেলে পানির ঝাপটা দিলে জ্ঞান ফিরে, তেমনি নেতিয়ে পড়া গাছেও পানির ঝাপটা দিলে তা সবল হয়ে যায়।
![]() |
---|
রাতে খাবার পরে গাছটাকে নতুন একটা টবে বসালাম। জানিনা এই গাছটা বাচবে কি না। তবে বাচাতে পারলে খুব বেশি খুশি হবো। এর আগে বাগান বিলাস কে এভাবে বাচিয়েছিলাম, যেটা এখনো আমার বেলকনিতে সারাবছর ধরে ফুল দেয়।
![]() |
---|
কেউ আমাকে কোন কিছু গিফট চাইতে বললে আমি সবার আগে গাছ চাইবো, আর যদি বলে কি গাছ লাগবে তাহলে উত্তর হবে ক্যাকটাস। ক্যাকটাসের ভয়ংকর সুন্দর কাটার প্রেমে বহুকাল আগেই পড়েছি।
![]() |
---|
আজকে সারাটাদিন আমার কেটেছে গাছের সাথে। আমাদের সকলের ই উচিৎ নিজ নিজ ঘরে কিছু গাছের চারা রাখার অভ্যাস করা। এতে ঘরের সৌন্দর্য যেমন বাড়ে তেমনি তা ঘরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে।
রাতের বেলা ভাত খেয়ে প্রায়ই ফল খাওয়া হয়। আজকে খেয়েছি তরমুজ আর কলা। দুই ফল একসাথে খেতে একদম ই মজার নয়। দুইটার স্বাদ পুরোপুরি ভিন্ন। গরমের দিনে তরমুজ শরীরে পানির ঘাটতি দূর করে আর কলার উপকারিতা তো গুণে শেষ করা যাবে না।
রাতের বেলা খাবার পর্ব শেষ করে মেয়েকে ব্রাশ করিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম। প্রচন্ড গরমে যেন কারেন্ট না যায় সেটারই পার্থনা করি সব সময়। বাকিটা ঘুমানীত পরে বুঝা যাবে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই।
আমি কোন জব করি না তারপরও বৃহস্পতিবার আসলে আমার খুব ভালো লাগে। আগে আরো বেশি ভালো লাগতো কারণ তখন বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে দৌড়াদৌড়ি করতে হতো। এখন স্কুল ডিউটি নাই কিন্তু তারপরও ভালো লাগে এটা ভেবে বাসায় সবাই থাকবে একসাথে এই দুটো দিন।
আপনার মানিপ্লান্ট কিন্তু পানির বোতলেও খুব সুন্দর লাগতেছে। আসলে গাছকে যেখানেই রাখা হোক না কেন সে তার নিজের সৌন্দর্য দিয়ে সবাইকে মুক্ত করে ফেলে।
গাছের প্রতি ভালোবাসা আমারও অনেক বেশি।
কিন্তু জায়গার অভাবে লাগাতে পারি না।
কলা আর তরমুজ একসাথে দেখে আমিও ভাবতেছিলাম যে খেতে কেমন লাগবে। অবশ্য এর উত্তর আপনি নিজেই দিয়ে দিয়েছেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যা, শুক্রবারের জন্যে বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরের মানুষই অপেক্ষায় থাকে, কেননা এই একটা দিন বাসার সবার ছুটি থাকায় খুব ভালো সময় পার করানো যায় সবাই মিলে, সাপ্তাহিক ঈদ এই কারণেই হয়তো অনেকেই বলে।
ধন্যবাদ আপু বরাবরে মত পোশট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য/
সপ্তাহের শেষের দিন আসলে সবারই মন মেজাজ ভালো হয়ে যায়। কারণ সবারই চিন্তা থাকে পরের দিন ছুটি কাটাবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার কোন সাপ্তাহিক ছুটি নেই এজন্য খুব খারাপ লাগে।
যাইহোক ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে অফিসে গিয়েছেন। এরপর অফিসের সবাই মিলে ১০০ টাকা করে দিয়ে সবাই মিলে তরমুজ এবং পেয়ারা মাখা খেয়েছেন। সত্যিই এই গরমে তরমুজ আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো।
বলতে গেলে আপনি এক রকমের গাছ প্রেমী।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সপ্তাহের শেষ দিন খুব আনন্দ লাগে, মনে হয় আজকের দিন টা পার করলেই আবার টানা দুই দিনের ছুটি। আহা কি শান্তি।
অফিসে মাঝে মাঝে এমন চাদা তুলে খাওয়া হয়। ধন্যবাদ ভাই।
আজ অফিস যেতে দেরি হয়েছিলো তবে রাস্তা ফাকা থাকার কারনে দেরি হয়নি। সপ্তাহের শেষের দিকে কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে, যদিও আমার অভিজ্ঞতা নেই, আপনার কাছ থেকেই জানতে পারলাম।
গাছের প্রতি প্রেম থাকা দোষের কিছু না, আমারও গাছপালা লাগাতে বিশেষ করে ফুল গাছ লাগাতে খুব ভালোবাসি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপ্নাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই, আসলে অফিসে বের হতে মাঝে মাঝেই এরকম লেট হয়, তবে বাইক নিয়ে যাবার কারনে এই লেট গুলো পুষিয়ে নেই, এবং সঠিক সময়ে অফিসে গিয়ে পাঞ্চ করতে পারি, বাইকের এই একটা সুবিধা সব সময় পাওয়া যায়।
আমিও আপনার গাছ প্রেম সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে আসছি। ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন বৃহস্পতিবার হয়ে গেলেই মনে হয় এবার দুই দিন ছুটি পাব।আর ছুটির দিন পরিবারের সাথে সময় কাটানো বা বাইরে ঘুরতে যাওয়া দুটোই ভালো লাগে।ভাত খাওয়ার পর ফল খাওয়া ভালো। তবে কলা, তরমুজ একসাথে আমার কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনার পোস্টটা ভালো লেগেছে।
আমিও আসলে তরমুজ কলা একসাথে এর আগে খাই নি। গিন্নি কি মনে করে যে সেদিন এভাবে কেটে দিল আমার জানা নেই। হয়তো আলাদা একটা প্লেট নষ্ট না করার জন্য এই কাজ করেছে,
ছুটির আগের দিন অফিস করতে বরাবরি ভালো লাগে, এই ভেবে যে পরদিন ছুটি।
বৃহস্পতিবার আসলে আসলে একটু রিল্যাক্স লাগে যে এর পরে দুদিন ছুটি পাব। ঢাকায় এখন কোন কারণ ছাড়া সেরকম জ্যাম খুব একটা হয় না। সেজন্য এখন কিছুটা আরামে চলাচল করা যায়।
আপনার পছন্দ গাছ । গাছের প্রতি আপনার আন্তরিক ভালোবাসা আপনার বহু পোষ্টে
পেয়েছি। গাছ আমারও খুব ভালো লাগে তবে বিশেষ যত্ন নেওয়ার সময় পাইনা বলে গাছকে কষ্ট দেই না। আপনার টেবিলে পানির বোতলে লাগানো মানিপ্ল্যান্টিটিও চমৎকার লাগছে।
সব মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন আপনি কাটালেন।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমার লেখাটি পড়ে বরাবরের মত এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে গাছ নিয়ে আমিওএখন চিন্তায় আছি। সাম্নের ঈদে গ্রামে গেলে এই গাছ গুলো যদি কাউকে দত্তক দিতে পারতাম খুব ভালো হতো, নাহলে এদের কপালে যে কি হবে?
যেকোনো চাকরিজীর একটা নির্দিষ্ট টাইম থাকে আর সেই টাইম মতোই তাকে অফিস যেতে হয় এবং অফিস থেকে আসতে হয়।।
গরমের মধ্যে তরমুজ খেতে আমার বেশ ভালো লাগে আর তরমুজ খেলে শরীর অনেক ঠান্ডা হয়।। আপনার অনেক পোস্টেই বাসার গাছের কিছু ফটোগ্রাফি দেখা হয় আর এখন আপনি অবশ্যই কিছুটা গাছ লাগানোর চিন্তা করেছেন সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।।।
অফিসের দিন গুলিতে বরাবরি আমার একই নিয়ম। ছুটির দিন গুলিতে আলাদা নিয়ম থাকে।
গরমের দিনে পানির শুন্যতা দূর করতে আমাদের প্রচুর ফল খাওয়া উচিত। এগুলো আমাদের শরীরে মিনারেলের সরবরাহ করে,
ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার মনে হয় এটি প্রতিটি চাকরিজীবী মানুষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে ছুটির দিন একভাবে যায় আর চাকরির দিনগুলো প্রতিদিন প্রায় একইভাবে যায়।
আপনি একদম সঠিক বলেছেন এই গরমের মধ্যে ফল বেশি খাওয়া উচিত যে আমাদের শরীরের মিনারেলের সরবরাহ করে থাকে।।
একদম ঠিক তাই। আমরা যদি অভ্যাস করি ঘরের সাহিতে অথবা ঘরের সামনে গাছ লাগানোর তাহলে আমরা যেমন ফ্রেশ অক্সিজেন পাব তেমনি করে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
আপনার পরামর্শের সাথে আমি সহমত পোষণ করছি।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনারই একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি করার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।
গাছ লাগালে ঘরের তাপমাত্রাও কিছুটা সহনশীল থাকে এটা আমি বুঝতে পারি। আমার যে ঘরে বারান্দায় গাছ আছে সেই ঘর তুলনামূলক অন্য ঘর থেকে ঠান্ডা।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।