Better life with steem || The Diary Game || 10th May, 2024 ||

in Incredible Indialast month (edited)

My Diary

১০ মে,২০২৪-শুক্রবার। আরো একটি সুন্দর দিনের শুরু। সব গুলো দিন ই সুন্দর, কেননা এই যে ছোট জীবনে আরো একটা বাড়তি দিন পেলাম এটা তো অনেক বড় ব্যাপার, এর জন্যে অবশ্যই শুকরিয়া আদায় করি, আলহামদুলিল্লাহ। আরো একটি দিন বেশি পেলাম বললাম এই কারণে যে পরিচিত দুইজন মানুষ গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুব ই কম বয়সে পরপারে চলে গেল। এর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে বেচে আছি তাই তো বেশি।

শুক্রবারের সকাল সব সময় একটু আলাদা হয়। দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, অফিসের তাড়াহুড়ো নেই। ফজরের নামাজ পড়ে ওই যে ঘুমিয়েছিলাম ঊঠলাম ৯ টার সময়। এর পর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে এক কাপ লাল চা নিয়ে নিউজ চ্যানেল অন করলাম।

20240510_100041.jpg

সকাল শুরু হয়ে চায়ের সাথে

কিছু সময় টিভি দেখে রান্নাঘরে চলে গেলাম। গিন্নি রান্না শুরু করছে। শুক্রবার মানেই বাসায় বিরিয়ানি বা তেহারি রান্না। আজকে বিফ বিরিয়ানি হবে। আমি তাকে সাহায্য করলাম, পেয়াজ কেটে দিলাম ও মাংস কষালাম।

20240510_111206.jpg20240510_123756.jpg

শুক্রবার মানেই বাসায় বিরিয়ানি রান্না

দুপুরের রান্না শেষ করে আমি এক বালতি কাপড় ভিজিয়ে দিলাম। মেয়ে প্রতিদিন বিছানায় বসে খাবে আর প্রতিদিন বিছানাচাদর নোংরা করবে। তাই এখন প্রতিদিনের রুটিনে এই বিছানাচাদর ধোঁয়ার কাজ ভালোভাবে যোগ হয়েছে।

এদিকে জুম্মার নামাজের সময় হয়ে আসছে। আমি কাপড় গুলো পরিস্কার করে গোসল করে নামাজে চলে গেলাম। আজকে খতিব সাহেব সম্পদের হক ও যাকাত নিয়ে সুন্দর বয়ান করলেন।

20240510_171651.jpg20240510_132318.jpg

মসজিদে জুমার নামাজ আদায়

নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে কোল্ড ড্রিংক্স কিনে বাসায় ফিরলাম। যতদূর সম্ভব লুকিয়ে বাসায় আসতে হয়, মেয়ে একবার এই বোতল দেখলেই হয়েছে, আর আমাদের খেতে হবে না। যদিও এখন তাকে এক ফোটাও খেতে দেই না, ডাক্তারের কড়া নিষেধ আছে।

দুপুরের খাবার একসাথে খেয়ে সবাই মিলে একটা ঘুম দিলাম। দিনের বেলার ঘুমে আলাদা একটা শান্তি আছে। ঘুম থেকে ঊঠে আসরের নামাজ পড়ে মেয়েকে ডেকে তুললাম। সে ভালো ভাবে জানে আজকে তার খেলতে যাওয়ার দিন। সপ্তাহে শুক্র আর শনিবার বিকেলে তাকে নিয়ে মাঠে যাই।

মাঠে গিয়ে দেখলাম এক সাইডে বড় প্যান্ডেল বানানো হয়েছে। ঢাকা শহরের বেশিরভাগ খেলার মাঠ দখল থাকে এসব জনসভা, বিয়ের অনুষ্ঠান বা মেলার প্যান্ডেল দিয়ে। এমনিতেই খেলার মাঠের সংকট, তার উপর মাঠ দখল, বাচ্চারা খেলতে গেলে মাঠ নাই, ঘরে বসে থাকলে তো মোবাইল গেমে আশক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক।

20240510_171744.jpg

বাচ্চাদের খেলার মাঠ দখল করে জনসভার প্যান্ডেল বানানো হয়েছে

20240510_173528.jpg

মাগরিবের আযানের আগে আগে আমরা মাঠ থেকে বাসায় ফিরলাম। মেয়েকে বাহিরে নিয়ে গেলে মহাখুশি হয়। বাসার বন্দী জীবন কারোরই ভালো লাগার কিথা নয়।

রাতের বেলা বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের টি-২০ খেলা উপভোগ করলাম। টানটান উত্তেজনায় শেষ অব্দি বাংলাদেশ ৫ রানে জিতে নিল। মুস্তাফিজ, শান্ত ও সাকিবের কল্যানে এই জয়। খেলা শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। মেয়েকে নিয়ে রাতে গল্প শুনাতে শুনাতে কখন নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই। ভোর বেলা ঘুম থেকে ঊঠেই লিখতে বসে একটানা লিখে শেষ করলাম। সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন। এখনকার মত এখানেই বিদায়।


Sort:  
Loading...
 last month 

ছুটির দিনে সবাই হাঁপ ছেড়ে বাচতে চায়। ছুটির দিনে আপনার বাসায় প্রায়ই বিরিয়ানি রান্না করেন আজও তাই করলেন। বাহ! গিন্নির রান্নার কাজে আপনি সাহায্য করেন জেনে ভালো লাগলো। বাচ্চারা বাসায় থাকলে বাসা ও বিচানা অপরিষ্কার করবে এটাই স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Hello 👋

Seems you have very interesting day. That monument gives spectacular scenery and it is really spreading its beauty like a magnet. Taking kids to park is not only fun for parents but it accelerates the social growth of kid. It teaches a lot of basic things required.
Thank you

 last month 

আমাদের জন্য শুক্রবার মানেই হচ্ছে আনন্দের অন্যরকম একটা দিন। এই দিনটা আমরা খুব সুন্দর ভাবেই পালন করে থাকি। শুক্রবার মানেই আপনার বাসায় বিরিয়ানি অথবা তেহেরি রান্না করা হয়ে থাকে। আপনি আপনার স্ত্রীকে রান্না করার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন। সেই সাথে মেয়েকে নিয়ে বিকেল বেলা খেলতে গিয়েছেন। একদমই ঠিক বলেছেন খেলার মাঠ না থাকলে ছেলে মেয়েরা মোবাইল গেম এর প্রতি অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 last month 

ঢাকা শহরের শুক্রবার দিন মানে একটা অন্যরকম দিন। ছুটির দিন ছিল বিদায় এজন্য ফজরের নামাজ পড়ে আবারও ঘুমিয়ে দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছেন।
ছুটির দিন ছিল এজন্য আপনার মেয়েকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছেন। আসলে এরকম ছোট বাচ্চাদের মাঝেমধ্যে বাইরে নিয়ে ঘুরানো উচিত। কারণ ঢাকা শহরে বদ্ধ অবস্থায় রাখলে তারা ভালো থাকতে চায় না।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

হ্যা, ঢাকার বাচ্চারা ঘরেই বন্দী থাকে। তবে আমি চেষ্টা করি সুযোগ পেলেই তাকে নিয়ে বাহিরে বের হবার। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত দেবার জন্য।

 last month 

আপনার পোস্টটা পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম আমার বেশ ভালোই লেগেছে। আপনি এইভাবে এগিয়ে যান। ভালো থাকবেন।

 last month 

আপনাকে অনেক অনেক ধিন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রদানের জন্যে। আপনার ও নতুন প্লাটফর্ম এর জার্নি অনেক বেশি সুন্দর হোক।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 64467.84
ETH 3492.64
USDT 1.00
SBD 2.54