বাটা মাছের ঝাল ভূনা রান্নার পদ্ধতি
"Bismillah-hir-rahman-ir-rahim"
আমাদের জিহবা আছে যা ভালো মন্দ স্বাধ বুঝতে পারে। আর এই জিহবার কারণেই রান্নার এত শত আয়োজন, আমরা বাঙালি, আমাদের পরিচয় মাছে ভাতে বাঙালি। তাইতো সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন আমার বাসায় মাছের তরকারি হয়। এইতো সেদিন ও বাসায় নদীর বাটা মাছের যেটাকে আমরা ভাংনা মাছ ও বলি, এই বাটা মাছের ভুনা তরকারি রান্না করেছিলাম। আজকে সেই রেসিপিটাই নিয়ে এসেছি।
বাটা মাছের ভূনা রান্না করতে যেসব উপকরণ লাগবে সেগুলো সম্পর্কে আগে জেনে নেয়া যাক
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
তেল | হাফ কাপ |
বাটা মাছ | ৮-১০ পিছ |
পেয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রসুন | ১ টি |
কাচা মরিচ | ৪-৫ টি |
হলুদ | ১ চামচ |
শুকনা মরিচ গুড়ো | ২ চামচ |
লবণ | পরিমাণমত |
পানি | পরিমাণমত |
রান্নার পদ্ধতিঃ এবার আমি বাটা মাছ ভূনা রান্নার পদ্ধতিগুলো কয়েকটি ধাপে দেখাবো
প্রথমেই আমি মাছ ভূনার জন্যে পেয়াজ ভেজে নিবো। আমি আগেই পেয়াজ গুলো কুচি করে রেখেছিলাম। এখন চুলায় একটি প্যান বসিয়ে সেখানে তেল দিয়ে দিবো। এবার তেল গুলো একটু গরম হয়ে আসলে সেখানে পেয়াজ কুচি দিয়ে দিবো। পেয়াজ গুলো হালকা করে ভেজে নিবো।
এখন লবণ, মরিচের গুড়ো,হলুদ দিয়ে দিবো। ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করে ভেজে নিবো।
এবার প্যানে একটু পানি দিয়ে দিবো। এবার এই পেয়াজ,মরিচ ও মসলা গুলো কষিয়ে নিতে হবে। এর জন্যে কিছু সময় দরকার হবে। হাল্কা আচে কষাতে হবে, তা না হলে পুড়ে যাবার সম্ভাওবনা থাকে। ৪-৫ মিনিট পর দেখা যাবে সুন্দর রঙ চলে এসেছে।
পানি একদম শুকিয়ে নিবো,শুধু তেল আর মসলা থাকবে।
এবার অন্য একটি কড়াই এ তেল দিয়ে গরম করে নিবো। আগে থেকেই পরিস্কার করে রাখা বাটা মাছ গুলো একটা একটা করে ছেড়ে দিবো। যেহেতু এগুলো নদীর বাটা তাই সাইজ একটু ছোট। আমি যেহেতু আস্ত মাছ ভুনা করবো তাই শুধু পেট কেটেছি। এখন মাছ গুলোকে কড়াই এ ছেড়ে হালকা করে একটু ভেজে নিবো।
এবার মসলা কষানো প্যানে ভাজা বাটা গুলো ছেড়ে দিবো।এখন একটু পানি দিয়ে দিবো। এতে ঝোল ঝোল হবে।
এবার ঢাকনা লাগিয়ে দিয়ে ৮-১০ মিনিট হালকা আচে রেখে দিবো।
১০ মিনিট পর ঢাকনা খুললেই দেখা যাবে আমার বাটা মাছ ভূনা হয়ে গিয়েছে। আমি একটু ঝাল পছন্দ করি তাই বেশি গুড়োমরিচ দিয়েছি। এখন আরো ৪-৫ টা কাচা মরিচ দিয়ে দিলাম। এতে মরিচের টাটকা ফ্লেভার পাওয়া যাবে।
এবার আসি আমার রান্নার উপস্থাপন নিয়ে। রান্না শেষে আমার স্যামসাং মোবাইল দিয়ে ঝটপট কিছু ছবি ক্যাপচার করে ফেললাম। চলুন সেগুলো দেখে আসি।
শহরে বড় হওয়ার কারণে আমি মাছ খুব একটা চিনতাম না।তবে বর্তমানে বাজার করতে করতে আর ধোঁকা খেয়ে খেয়ে মাছ এখন মোটামুটি চিনি। আমারও ধারণা ছিল বাটা ও ভাগনা মাছ একই। কিন্তু সেদিন সুপারশপে যেয়ে দেখলাম বাটা আর ভাগনা মাছ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা। বাটা মাছের মাথাটা একটু ছোট হয় আর ভাগনা মাছের মাথা বাটার তুলনায় একটু বড় হয়।আর বাটা মাছের আঁশ বেশি হয়।
তো যাই হোক, আপনি বাটা মাছ রান্না করেছেন যে পদ্ধতিতে চমৎকার হয়েছে।রেসিপিটি খুবই লোভনীয় লাগছে। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব এই পদ্ধতিতে রান্না করতে। ভালো থাকবেন ।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যা, আপু রান্নার পর অবশ্যই কেমন হলো জানাবেন। ভালো থাকবেন।
আপনার বাটা মাছ রান্না করা ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে এই রকম মাছ ভূনা করে আমরা মা খেতে খুবই ভালো লাগে।
আর আপনার লেখা পড়ে যে মাছ ভূনা করতে পারে না সেইও খুব সহজে মাছ ভূনা করতে পারবে। কারণ আপনি আপনার লেখার মধ্যে খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন মাছ ভূনা করার রেসিপিটা।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আপনার পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষা রইলাম ভালো থাকবেন।
হ্যা আসলেই মজা হয়েছিল। আপনার জন্যেও শুভকামনা
প্রথমেই বলে রাখছি যে এই মাছটি আমার মোটামুটি পছন্দের তালিকা দেয়া আছে। তবে আপনার চেয়ে এতটাই লোভনীয় ছিল যে কেউ এটি খেতে ইচ্ছা করছে পোষণ করবে।
তাছাড়া আপনি রন্ধন-প্রনালীতে যে পরিমাণ মসলা ব্যবহার করেছেন সুন্দরভাবে তালিকায় উপস্থাপন করেছেন। একটু রন্ধন প্রণালীর লেখা বেশি আকর্ষণীয় হয় যখন প্রত্যেকটি ধাপ ছবি সহকারে সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়। এবং পাশাপাশি ব্যবহৃত উপকরণের সঠিক পরিমাণ যদি উল্লেখ করা হয়।
বাটা মাছের রন্ধন প্রণালী শেষ হওয়ার পর আপনি যে ছবিটি উপস্থাপন করেছেন এটি সত্যিই অনেক বেশি কালারফুল। যেটা আপনার রন্ধন প্রণালীকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করেছে।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্যের জন্যে
কাটার জন্য এই মাছটা খেতে একটু ভয় লাগে।এক বার গলায় কাঁটা আটকে কি অবস্থা। চোখে মুখে জল ।তো খেতে খুব সুস্বাদু। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপ্নাকেও ধন্যবাদ
Welcome my dear friend stay safe and stay well.
প্রথমে বলবো অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য, আমি বাটা মাছ খেতে খুব বেশি একটা পছন্দ করি না, কারণ আমার কাছে মনে হয় বাটা আছে প্রচুর কাটা থাকে।
তবে, আপনি যে সুন্দর ভাবে রেসিপি টা দেখিয়েছেন, এভাবে রান্না করলে কাটা অনেকটা মুচমুচে হয়ে যাবে তখন খেতে খুব একটা অসুবিধা হবে না আমি অবশ্যই বাসায় চেষ্টা করে দেখব। ভালো থাকুন আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
প্রথমেই বলব বাটা মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ ।এই মাসে যদিও কাটা খুব বেশি তারপরও আমার কাছে এই মাছ খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। বাটা মাছ পেঁয়াজ দিয়ে ভুনা করলে খুব বেশি ভালো লাগে।
যাই হোক, বাটা মাছের এই ভোনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।