জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজ
আপনারা সকলে কেমন আছেন ?আশা করি ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি ।সুস্থ আছি। আজকে আমি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ।আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার এর আগের পোস্টগুলোতে আপনারা জামাইষষ্ঠী সম্পর্কে শুনেছেন। জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়িরা জামাইকে খুব যত্ন করে খাওয়ায়। শুধু জামাইষষ্ঠীর দিন বলে না । বিয়ের পর থেকে জামাইদের আদর একটু বেশিই হয়। তবে জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইদের জন্য খুব স্পেশাল একটা দিন। এই দিন জামাইদের পছন্দের মত পদ রান্না করা হয়। কিন্তু ষষ্ঠীর দিন চিরে ,দই, কলা, আম, মিষ্টি এইসব খেতে হয়। সকালে সবাই অনেক আম, কাঁঠাল এনেছিল। সেগুলো সবাই খুব আনন্দ করেই খেয়েছিলাম।আমাদের বাড়িতে যেহেতু জামাইরা এসব খেতে পছন্দ করে না। তাও নিয়ম আছে অল্প করে হলেও খেতে হয়।
আমাদের বাড়ির কোন জামাই সঠিক সময়ে এসে পৌঁছায়নি। আমার বর তো বাড়ির কাছে বলে রাত্রে বেলায় গিয়েছিল ষষ্ঠী খেতে। তবে ষষ্ঠীর দিন টা সকালে মাছের ঝোল আর রাত্রি মুরগির মাংস খেয়ে কেটে গেল। কিন্তু জামাইদের তো পরের দিনকে খাসির মাংস খাওয়ানোর পালা। ষষ্ঠীর পরের দিন জামাইরা বাজার করে আনে । খাসির মাংসটা জামাইষষ্ঠীর পরের দিনকে রান্না হয়েছিল। তবে একসঙ্গে সবাই মিলে রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা ।সব জামাইরা একসাথে হয়েছিল অনেক দিন পর। হয়তো তিন জামাই এই প্রথম বার এক জায়গায় হলো । কারণ বাপের বাড়িতে ষষ্ঠী হলে যে যার মত খেয়ে চলে আসে। কারোর সাথে কারো দেখা হয় না। অনেক দিন পর চার বোন একসাথে হয়েছিলাম।
এই বার মামার বাড়িতে ষষ্ঠী পালন করে ভালো হয়েছিল। সবার কত গল্প, মজা করে কাটিয়েছিলাম।সবাই মিলে কত আনন্দ করে আমরা একসঙ্গে বসে ভাত খেয়েছিলাম। আমার মা নিজের হাতে সব কিছু রান্না করেছিল। সাথে আমরা সবাই সাহায্য করেছিলাম।সব রান্না খুব সুন্দর হয়েছিল।সারাদিন ছিল প্রচন্ড গরম। তাই বিকেল বেলায় তিন জামাই মিলে বেরিয়ে ছিল ঘুরতে। ঘুরতে গিয়ে বাজার থেকে প্রত্যেকের জন্য লস্যি কিনে এনেছিল। গরমের মধ্যে লস্যি খেয়ে একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু বোনেরা সবাই বাইনা করল। সবাই মিলে ফুচকা খেতে যাবে।
বোনেদের কথা মতো চার বোন মিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম ফুচকা খেতে। সাথে মেজো বোনের মেয়ে ছিল।তখন আকাশে হালকা মেঘ করেছিল। ফুচকা খেতে খেতে হালকা হাওয়া দিতে শুরু করলো। তারপর হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কিন্তু ওখানে কোনো দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। তাই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল।বৃষ্টি দেখে চার বোন মিলে দৌড়াতে শুরু করেছিলাম। সাথে বোনের মেয়ে দৌড়াচ্ছিল।যাই হোক বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোই লাগছিল।
কিন্তু হালকা বৃষ্টি হবার পর বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। ষষ্ঠীর দুই দিন চার বোন, মা, দিদা, মামা-মামী প্রত্যেকের সাথে খুব আনন্দ করেই কেটেছিল। সন্ধ্যার পরে বৃষ্টির পর একটু গরম কমেছিল। সারাদিন গরমে অস্বস্তি পর সকলে একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু পরের দিন সকলের বাড়ি ফেরার পালা। আবার যে যার মতো কাজে ফিরে যাবে।এত আনন্দের মাঝে সবার মনটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সকলকে তো ফিরতেই হবে যে যার সংসারে।আজ এখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে হাজির হব।
জামাইষষ্ঠী প্রতিবছর একবারই করা হয় যেটা সম্পর্কে আমিও জানি। কিন্তু আপনার লেখাটা পরিদর্শনের পর মনে হল আপনাদের ওখানকার জামাইষষ্ঠীতে আরো বেশি আনন্দ এবং আয়োজন করা হয়।
এইরকম একটা আয়োজন আনন্দ তো হবেই। আবার সকলের আগমন একসাথে সময় অতিবাহিত করার বিষয়টাই অন্যরকম। মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক দিদি। যাইহোক, আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ দিদি আমাদের এখানে জামাইষষ্ঠীর দিন প্রত্যেক বাড়িতে খুব আনন্দ করা হয়। কারণ প্রতিবছর সব জামাইরা একসাথে শ্বশুর বাড়িতে আসে। সারাদিন হুটোপাটা, আনন্দ অনেক গল্প করেই কেটে যায়। আমার পোস্টে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শাশুড়িরা যত্ন করে রান্না করলেও এইবার গরমে জামাইরা শান্তিতে খেতে পারেনি। মামা বাড়িতে সব বোনেরা একত্রিত হয়ে এবার একটু বেশিই আনন্দ করেছেন দেখলাম। শপিং এর গল্প তো আগেই পড়েছি। আর আজ খাওয়া দাওরার গল্প পড়ে বুঝলাম, জামাই ষষ্ঠী এবার একেবারে জমজমাট ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের আনন্দের মুহুর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে। ভালো থাকবেন।
তা ঠিক বলেছেন ।এত গরমে জামাইরা আনন্দ করে খেতে পারে না। প্রত্যেকবার জামাইষষ্ঠীর সময় প্রচন্ড গরম পড়ে। হ্যাঁ, সব বোনেরা একত্রিত হয়ে সত্যিই খুব আনন্দ ,মজা করেছিলাম। আমার পোস্টটি পড়ে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আমিও জানি যে জামাইষষ্ঠীর দিন যে আমাদের একটু বেশি আদর করা হয়, এবং শাশুড়িরা অনেক যত্ন করে জামাইদের খেতে দেন, যাইহোক আপনার জামাইষষ্ঠীতে যে সকল ধরনের খাবার বানিয়েছেন এটা শুনে আমি অনেক খুশি হলাম যে আপনার বরকে অনেক যত্ন সহকারে খাওয়ায় আছে আপনার মা।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি এবং জামাইষষ্ঠীর সম্পর্কে আমাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার পোস্টটি পড়ে এতো ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি আবারো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবো আপনি আমার কমেন্টটি দেখেছেন এবং আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে সে কমেন্টের এত সুন্দর করে একটি রিপ্লাই দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
বাঙ্গালীদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। সে তেরো পার্বণের ভিতর একটি পার্বন হল জামাইষষ্ঠী। জামাইরা সবসময় আদর পেয়ে থাকে ।তার বিয়ের শুরু থেকে একদম বুড়ো হবার পরও। শ্বশুরবাড়িতে জামাইদের অন্যরকমই আদর থাকে যা আমরা ছেলে বৌরা পাই না।
আর এই বিশেষ দিন বলে তো কোন কথাই নেই। মায়ের বাড়িতে মেয়ে থেকে এখন জামাই তার বেশি আপন হয়ে যায় ।অনেকদিন পরে আপনারা চারবোন একত্র হলেন ।অনেক আনন্দ মজা করলে।
জামাইষষ্ঠীর পরের দিনে জামাইবাজার করা অনেক আনন্দ ।সকলবেলা জামাইরা মিলে ভালো ভালো বাজার করে নিয়ে আসবে এবং শাশুড়িমা রান্না করবে এই যে একটা আনন্দ এর তুলনায় হয় না ।
আর যৌথ পরিবারের আনন্দটা তো অনেক বেশী যা একক পরিবারে পাওয়া যায় না ।আপনাদের সুন্দরতম একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সকল জামাইদের আমাদের জন্য রইল শুভকামনা।
আমার পোস্টটি পড়ে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শ্বশুরবাড়িতে হয়তো অনেক ছেলের বউরা আদর পায়না। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে অন্যরকম। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে নিজের মেয়ের মতো ভালবাসেন। নিজের ছেলের থেকে আমাকে একটু বেশি ভালোবাসেন।
জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের আপ্যায়ন একটু বেশি করা হয়, শুনে একটু ভালো লাগতেছিল।। কারণ এখনো তো জামাই হয়নি আর আমি শুনেছি জামাইদের আদর একটু বেশি হয় সবসময়।।
এটাতো জামাইদের জন্য বিপদ যে বাজার করতে হয় 🤣 যাইহোক মজা করলাম আর হ্যাঁ চার বোনকে অনেক সুন্দর লাগছে আর ফুচকা খেতে মেয়েরা একটু বেশি পছন্দ করে।।
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এতো ভালো কমেন্ট করার জন্য।
জামাইষষ্ঠীর বুড়ি বোঝানোর দিন টা আপনারা খুব সুন্দর ভাবেই পালন করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের সবার মুখের হাসি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দিনটা আপনাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কতটা আনন্দের সাথে আপনারা পার করেছেন। যদিও এটা সম্পর্কে আমার তেমন একটা ধারণা নেই। তবে আপনার পরিবার নিয়ে সবসময় এভাবেই হাসিখুশি থাকুন। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।