নিরামিষ দই পটল রেসিপি
Hello My Steemain Friends ,
সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন ।আপনাদের মাঝে আজও নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম । আমার আজকের রেসিপিটি হল" দই পটলের "রেসিপি। আশা করি আপনাদের কাছেও এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
বাসায় যেদিন নিরামিষ রান্না করা হয়তখন প্রায় সময়ই আমি এই রেসিপিটি তৈরি করে থাকি। চলুন রেসিপি তৈরি ধাপগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি ।এতে আপনারাও রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি শিখে নিতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
নাম | পরিমান |
---|---|
পটল | ৫০০ গ্রাম |
টক দই | এক কাপ |
কাঁচামরিচ | ৫-৬টা |
কাজুবাদাম | 10-15 |
চিনি | স্বাদমতো |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | রিমাণ মতো |
লবঙ্গ | ৫-৬টা |
জিরা বাটা | ১চা চামচ |
ধনে গুড়া | ১চা চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ১চা চামচ |
গোটা কয়েক | এলাচ দারচিনি |
প্রস্তুতির পদ্ধতি
প্রথম ধাপ
পটলের খোসা ছাড়িয়ে পটলগুলোকে আড়ারি ভাবে কেটে পটলগুলো ধুয়ে নিয়েছি ।
দ্বিতীয়ধাপ
পটলগুলো হলুদ লবণ মেখে দশ মিনিট রেখে দিলাম ।
তৃতীয় ধাপ
হলুদ লবণ মেখে রাখা পটলগুলো হালকা পটলগুলোকে ভেজে নিলাম ।
টক দই, কাঁচামরিচ ও কাজুবাদাম গুলোকে একসাথে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিলাম ।
চতুর্থ ধাপ
এ পর্যায়ে পেনের মধ্যে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো তেল । তেলটা গরম হওয়ার পর এর মধ্যে দিয়ে দিলাম কয়েকটি লবঙ্গ ও গোটা কয়েক এলাচ দারচিনি ।উপরে উল্লেখিত মসলাগুলো পেস্ট করে তেলের মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য কষিয়ে নিলাম ।এর মধ্যে দিয়ে দিলাম ভেজে রাখা পটলগুলো পটলগুলো আবার কিছুক্ষণের জন্য মসলার মধ্যে ভালো করে কষিয়ে নিলাম ।পটলগুলো কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দেব অল্প পরিমাণ জল ।এই জলটা দিলাম পটলগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়ার জন্য ।
পঞ্চম ধাপ
,
পটলগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার পর এর মধ্যে দিয়ে দিলাম টক দই,কাজুবাদাম ও কাঁচা লঙ্কার পেস্ট ।গ্যাসের ফ্লেমটাকে এ পর্যায়ে একদম লোতে রাখতে হবে। কাজুবাদাম যেহেতু আছে পেনে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ।আবার অনেক সময় টক দইও কেটে ও যেতে পারে তাই গ্যাসের ফ্লেমটা লোতে রাখতে হয় । তারপর এর মধ্যে দিয়ে দিব স্বাদমতো চিনি । চিনি দেওয়ার পর সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে দু-তিন মিনিট ভালো করে জাল দিয়ে নেব।
এইতো এখন খুব সুন্দর একটা কালার চলে এসেছে ।তৈরি হয়ে গেল দই পটল রেসিপি।এই রেসিপিটা গরম ভাতের সাথেও রুটি পরোটার সাথেও কিন্তু এটা খেতে খুব ভালো লাগে।এটা ফ্রাইড রাইস ও পোলাওয়ের সাথেও পরিবেশন করা যায়। আমার এই রেসিপিটা কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন । যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বাসায় একবার ট্রাই করে দেখবেন ।তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি । আবার ও হাজির হব নতুন কোন রেসিপি নিয়ে ।ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি এর আগেও একদিনও নিরামি ষ দই পটল রান্নার রেসিপি দেখেছিলাম ঠিক তেমনি আজকেও আপনি সেই দই পটল রেসিপিটা আমাদের সামনে আবারো শেয়ার করছেন আপনাকে অসংখ্য ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে পুনরায় শেয়ার করার জন্য।
এই প্রথমবার আপনার পোস্টে দেখলাম কিভাবে দুই পটল রেসিপি তৈরি করতে হয় আমি এখনো দুই পটল খাইনি তাই দেখে খুব লোভ লাগছিল দিদি।। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
আমি এই প্রথম পোটল এর সাথে দই রান্না করতে দেখলাম, প্রথম দেখলাম বলেই হয়ত বেশি ভাল লাগছে, আপনার নিরামিষ দই পোটল রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করছে, ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার দই পটল রেসিপিটি একটু অন্যরকম ।আমিও আগের দিন অন্যভাবে দই পটল রান্না করেছিলাম। সত্যি নিরামিষের দিন এইসব রান্না খেতে খুবই ভালো লাগে। এই সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টের ছবি দেখে পোস্টে না ঢুকে পারলাম না। আপনি আজ দই পটল বানানোর রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। যেটা দেখতে সত্যি লোভনীয় লাগছে।
আমরা সাধারণত মাছ, মাংস নিয়ে ব্যস্ত থাকি। মুখরোচক খাবার বলতে এসবগুলোই বুঝি তবে নিরামিষ ভাবেও যে অনেক মজার মজার খাবার তৈরি করা যায়। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দই পটল রেসিপি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক দিনে পরে আপনার একটি সুন্দর মজাদার রেসিপি পেয়েই আমি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।আসলে আমি চাইনিজ অথবা আমিষ রান্না যতটা ভালো পারি কিন্তু নিরামিষ রান্না করতে আমার এখনো অনেক ভয় লাগে।
এত সুন্দর একটি নিরামি রেসিপি যা আমার জন্য খুবই উপকারে এসেছে। এমন একটি মজার রেসিপির অপেক্ষা অনেকদিন ছিলাম ।পটল সাধারণত ভাজি , মাছের সাথে ,ভাপা রান্না করি কিন্তু কখনো এইভাবে টক দই দিয়ে আমি পটল রান্না করেনি।
নতুন একটি নিরামিষ রেসিপি দেয়ার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রেসিপি প্রতিটি ধাপ এবং পরিমাণ আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে আমি বাসায় একবার ট্রাই তৈরি করার চেষ্টা করব ।
আমি আপনাকে ছোট্ট একটি টিপস দিতে পারি দিদি টক দইটা অনেক সময় কেটে যায় ।আমরা টক দইটা দিয়ে বিভিন্ন রান্না করে থাকি। রোস্ট রান্না করি এবং নিরামিষ আইটেম দিয়ে থাকি। আমাদের চিন্তা থাকে টক দুইটা অনেক সময় কেটে যাযওয়ার। এজন্য সামান্য পরিমোনে ময়দা দিয়ে টক দই ফেটিয়ে নিব । দই কেটে যাওয়ার ভয় থাকে না ।
আমি এ পদ্ধতি অনুসরণ করি ।দরকার হলে আপনি একবার ট্রাই করতে পারেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা আর নতুন রেসিপির জন্য অপেক্ষায় রইলাম ।
দিদি অনেকদিন পর তোমার কমেন্ট পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে । আমার পোস্টে পরিদর্শন করে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।নতুন একটি টিপস জানানোর জন্য তোমাকে আরো একবার ধন্যবাদ জানাই ।তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থেকো।