কাঁঠালের বিচির ভর্তা রেসিপি
Helloe veerry one,
আজকে নতুন ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে নতুন একটি রেসিপিশেয়ার করব ।আমার আজকের রেসিপিটি একটি স্পেশাল রেসিপি।এই রেসিপিটিকে স্পেশাল বলার কারণ হলো ,এটা আমার মায়ের হাতে তৈরি করা একটি দারুন রেসিপি।ছোটবেলায় মা এই রেসিপিটি তৈরি করে খাওয়াতো।বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে মাএই রেসিপিটি তৈরি করত। ইদানিংকেন জানিনা শৈশবের কথা খুব বেশি মনে পড়ে। কদিন আগে বৃষ্টি হচ্ছিল বাইরে।মনে মনে ভাবছিলাম দুপুরের জন্য কি রান্না করা যায়।বৃষ্টির দিনে কিন্তু খিচুড়ি আর ভর্তা ভাত খেতে খুব ভালো লাগে।হঠাৎ করে মনে পড়লো মায়ের হাতে তৈরি করা সেই রেসিপিটির কথা ।সঙ্গে সঙ্গে মাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মা রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় । মা বলে দিল কিভাবে তৈরি করতে হয়।আমার আজকে রেসিপিটি হলো ''কাঁঠালের বিচের ভর্তার ''রেসিপি।তো চলুন রেসিপিটি আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
নাম | পরিমান |
---|---|
কাঁঠালের বিচি | 250 গ্রাম |
শুটকি | ৫-৬টা |
মরিচ বাটা | স্বাদমতো |
লবণ | স্বাদমতো |
পেঁয়াজকুচি | ৫-৬টা |
কচু পাতা | ৮ - ১০ টা |
প্রথম ধাপ
প্রথমে কাঁঠালের বিচির খোসা ছাড়িয়ে বিচি গুলোকে সিদ্ধ করে নিলাম।
দ্বিতীয়ধাপ
এখানে নিয়ে নিলাম পরিমাণ মতো পেঁয়াজ, শুকনা মরিচ ও শুটকি।
শুটকি গুলোকে গরম জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলামএবং পেঁয়াজগুলো ভালো করে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিলাম। আমি এখানে মরিচ বাটা ব্যবহার করেছি আপনারা চাইলে মরিচের গুড়া ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোকে এখন একসাথে ভর্তা করে নেব । ভর্তার তৈরির প্রক্রিয়াটিআমরা সকলেই জানি তাই ভর্তা তৈরীর প্রক্রিয়াটি এখানে আর দেখালাম না।
তৃতীয় ধাপ
এ পর্যায়ে সিদ্ধ করে রাখা কাঁঠালের বিচিগুলোকে পাটায় বেটে নিয়েছি। তারপর বেটে নেওয়া বিচিগুলোর সাথে শুটকি ভর্তাটা ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
কচুপাতা গুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। ধুয়ে নেওয়ার পর পরিমাণ মতো ভর্তা পাতার মধ্যে দিয়ে মুড়িয়ে নিলাম। এভাবে একের পর এক সবগুলো পাতাকে পরিমাণমতো ভর্তা দিয়ে মুড়িয়ে নিলাম। এখন পাতা দিয়ে মুড়ে নেওয়া ভর্তার বড়া গুলোকে তেলের মধ্যে ভেজে নেব।
পঞ্চম ধাপ
প্যান গরম হওয়ার পর পেনের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হওয়ার পর বরাগুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম।
১০ থেকে ১৫ মিনিটের মত মিডিয়াম ফ্লেমে বরাগুলোকেএপিট ওপিট ভালোভাবে ভেজে নেব।
যখন বরাগুলো ভাজতে ভাজতে এমন কালার চলে আসবে,তখন চুলা থেকে বরাগুলোকে নামিয়ে নিতে হবে।
আমার আজকের রেসিপি তৈরীর প্রক্রিয়াটি এ পর্যন্তই শেষ ।আমার নতুন এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন । শুভরাত্রি।
Thanks everyone for reading my post |
---|
এটা একদম সঠিক বলেছেন বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে বেশ ভালো লাগে।। আজকে মায়ের হাতের রেসিপি নিজেই তৈরি করেছেন।। কাঁঠালের বিচির ভর্তা, আমারও ভালো লাগে কিন্তু কখনো এইভাবে করে খাওয়া হয়নি।। ধন্যবাদ ভিন্ন রকমের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।।
কাঁঠাল বিচি দিয়ে ভর্তা আমি অনেক পছন্দ করি কিন্তু আপনি যেভাবে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সেটা আগে কখনো দেখি নাই বা জানতামও না। দেখতে তো অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে মনে হয় খেতেও অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হবে। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে সবাই পছন্দ করে তার মধ্যে আমিও খিচুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যেটা আমি এর আগে কখনো দেখিনি অবশ্যই আপনার এটা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভর্তা ভাত খেতে সব সময় ভালো লাগে আর বৃষ্টির দিনে তো আরো বেশি ভালো লাগে। কাঁঠালের বীজের ভর্তা আমি সবসময় বানাই তবে শুটকি দিয়ে কখনো বানাই নাই। অনেকের কাছে শুনেছি যে শুটকি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু সাহস করে বানাই নাই। আজকে আপনি আমার জন্য একেবারে আরও নতুন একটি রেসিপি নিয়ে এসেছেন। এভাবে ভর্তা কচু পাতার মাঝে দিয়ে যে বরা বানানো যায় এটা জানতাম না।
সম্পূর্ণ নতুন একটা রেসিপি। রেসিপিটা আমি একদিন অবশ্যই বাসায় বানিয়ে দেখবো।তবে একটা প্রশ্ন আছে এই মাছগুলো কি আপনি তেলে ভেজে নিয়েছেন?
আপু আমার পোস্টটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।ঠিক বলেছেন অন্যান্য দিনের চাইতে বৃষ্টির দিনে ভর্তা ভাত খুব বেশি ভালো লাগে।কাঁঠালের বিচির ভর্তা শুটকি দিয়ে খেয়ে দেখবেন ভীষণ ভালো লাগে। ঝালটা একটু বেশি দিতে হয় দিলে আরো ভালো লাগে।হ্যাঁ ,শুটকি মাছগুলো ভর্তা করে নিয়েছি ।সাধারণত আমরা শুটকি ভর্তা যেভাবে করি ঠিক সেভাবেই ভর্তা করে কাঁঠালের বিচির সাথে মিশিয়ে নিয়েছি তারপর পাতা দিয়ে বড়া তৈরি করেছি।