ইসলাম ধর্মের অ-দূরদর্শী ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, কেয়ামত বা মহাপ্রলয়ের দিন কেউ কাহাকেও চিনবেন না। স্বামী চিনবেন না স্ত্রীকে, স্ত্রী চিনবেন না স্বামীকে, পিতা চিনবেন না তার সন্তানদেরকে ,সন্তান চিনবে না পিতা-মাতাকে। সবাই নিজে নিজেকে "বিশ্ব স্বার্থপর" হিসাবে এখানে নিজেকে উপস্থাপন করবেন।
এগুলো বিশ্বাস করাই হলো মুসলমানদের ঈমান। আমরা আসলে অনেক বোকার মত কাজ করি, নিজের পরিবারের জন্য এত কঠিন কঠিন কাজ করি, যেন নামাজ পড়ার সময়ই পাইনা। তাহলে এখানে একটা কথা, যাদের জন্য আমরা কাজ করি নামাজ বাদ দিয়ে, তারা কি আমাকে হাসরের মাঠে সাহায্য করবে? আমাকে চিনবে? নাহ কেউই চিনবে না। একজন মা তার দুধের শিশুকে ফেলে দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে, একজন মা তার সন্তানকে চিনবে না। কেউ কাউকে চিনবে না, সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।
তাই বলে কি পরিবারের পাশে থাকতে হবে না?? হ্যাঁ, অবশ্যই থাকতে হবে, কেননা এটাও একটা আমাদের দায়িত্ব, কিন্তু সেটা আল্লাহর বিধিবিধান মেনে।
আমার একটা জিনিস দেখে খুবই খারাপ লাগে জানেন? সেটা হলো, একটা মানুষ তার কাজে অনেক পরিশ্রমী এবং কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। কিন্তু তারা নামাজ পড়ে না, মদ গাঁজায় আসক্ত ,সর্বদা পাপ কাজে লিপ্ত থাকে। তাহলে তাদের দুনিয়াতেও কষ্ট আবার আখিরাতেও কষ্ট।
কেন ভাই?? দুনিয়াতে এতই কষ্ট করো তাহলে আখিরাতে কেন কষ্ট করবে? এত কষ্ট করার মাঝে কি নামাজ টা পড়া যায় না? খারাপ ভাষা, খারাপ কর্ম থেকে বেঁচে থাকা যায় না?? আলহামদুলিল্লাহ কিছু লোক আছে, যারা শত কষ্টের মাঝেও নিজেকে আল্লাহর দেয়া বিধানে লিপ্ত আছে। যারা পারছিনা, কেন পারছি না??
যাইহোক ভাই, অনেক কথাই বললাম। আসলে মনের এক অজান্তেই কথাগুলো বের হয়ে আসলো, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।