রহস্যময় মৃত্যু-(Mysterious death) এটা শুধুই একটা গল্প।
আসসালামু আলাইকুম / আদাব। |
---|
প্রিয় বন্ধুরা...!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছি। সুস্থতা আল্লাহর দেয়া এক বড় নিয়ামত। পক্ষান্তরে অসুস্থতাও আল্লাহর দেয়া নিয়ামত। তাই সর্বাবস্থায় সকলেই একবার অন্তরের স্থল থেকে শুকরিয়া জ্ঞাপন করি, সবাই বলি আলহামদুলিল্লাহ।
না পড়ে থাকলে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন।
পরে তোর দাদুকে স্বপ্নের কথা খুলে বলি। কিন্তু তোর দাদু এসব পাত্তা না দিয়ে ভুয়া স্বপ্ন বলে উড়িয়ে দেয়।
ঠিক কয়েক দিন পরের ঘটনা। আমি বাড়ির আঙ্গিনায় বসে আছি। তোর বড় আব্বু এসে বলল,“মা,খাওয়ার কিছু আছে? খুব ক্ষুধা পেয়েছে”। তার ক্ষুধার কথা শুনে মনটা হু হু করে কেঁদে উঠলো, ঘরে খাওয়ার মত কিছুই ছিল না।
কী করব ভেবে কুল পাচ্ছিলাম না। মা হয়ে কীভাবে ছেলেকে বলি, “ঘরে খাওয়ার কিছু নেই,বাবা”। তার মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু এটুকু বললাম,“বাবা,একটু বসো। আমি খাবার নিয়ে আসছি”।
ছুটে গেলাম তোর বড় দাদির কাছে। কেজিখানিক চাল ধার নিলাম। ঝটপট পোয়াখানিক চাল ভাজলাম। ছোট একটি
বাটিতে করে তোর বড় আব্বুর হাতে তুলে দিয়ে বললাম, “এই নে বাবা।
চাল-ভাজাটুকু খেয়ে নে”। চাল ভাজা পেয়ে ছেলে আমার কী যে খুশি হয়েছিল! খুশিমাখা হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় সে আমাকে বলল,“মা, আমি বাটিটা নিয়ে মাঠে যাচ্ছি।
সেখানে চাল ভাজা খাব আর ছেলেদের খেলা দেখব”। আমিও
সম্মতি দিলাম। অনুমতি পেয়ে ছেলে আমার এক দৌঁড় মারল মাঠ পানে। আমি তাকিয়ে আছি তার রাস্তা চেয়ে। অন্তরটা তখন আমার খুশিতে গদগদ।
কিন্তু নিয়তির একি খেলা! এটাই ওর সাথে আমার শেষ দেখা, শেষ কথা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হল। রাতের আঁধার ছেয়ে গেল পুরো আকাশ জুড়ে।
মাঠের সব ছেলেপুলেরাই আপন বাড়িতে উপস্থিত হল ; অনুপস্থিত শুধু আমার মানিক।হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন হদিস পাওয়া গেল না।
পরেরদিনের কথা। বাড়ির আঙ্গিনায় লোকজনের হৈচৈ শুনে ঘর থেকে বেরুলাম। দেখি তোর দাদু আরো কতক লোক জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাঝখানে আমার সোনা-মানিক ঘুমিয়ে আছে। তোর বড় আব্বুর এই ঘুমটা জাগবার ছিল না কোনদিন। সেদিন তোর বড় আব্বুর মরদেহটা বাড়ির পেছনের তালগাছটার পাশে এক আখ-ক্ষেতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে জানা যায় তালগাছের সেই দুষ্টু জিনটাই তোর বড় আব্বুকে মেরে ফেলেছিল।
মারজান আঁচ করতে পারল তার দাদির গলা ধরে আসছে। দাদির চোখের দিকে চেয়ে দেখল চোখের কোণটা চিকচিক করছে৷ “দাদি এবার ঘুমাও” বলে পাশ ফিরে চোখ বুজলো মারজান।
সমাপ্ত |
---|
শেষ করে দিলাম আমার এই রহস্যময় মৃত্যু গল্পটি। গল্পটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানানোর অনুরোধ রইলো। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম / আদাব।
আসলে গল্পটা পড়ে খুব খারাপ লাগলো পরিশেষে মারজাহানের বড় আব্বু এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল।কিন্তু সে কিভাবে মারা গেল সেটা আদৌ সবার অজানা।
আপনার গল্প পরে অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, অসুস্থতার মাঝেও আমাদের জন্য এত সুন্দর একটা গল্প উপহার দিয়েছেন। দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করুক।
জাজাকিল্লাহু বি খাইরান জাযা। আল্লাহুমা আমিন।
আপনার রহস্যমায়ের মৃত্যুর গল্পটি পড়ে আসলেই খুবই খারাপ লাগলো আমার গায়ে শিউরে উঠেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আল্লাহ তাআলার কাছে আপনার জন্য দোয়া করি আপনি যেন আমাদের মাঝে আরো ভালো ভালো গল্প শেয়ার করতে পারেন।
আসলামুআলাইকুম ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ওয়ালাইকুমুসসালাম। জাজাকাল্লাহ খাইরান, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।