রহস্যময় মৃত্যু-(Mysterious death) এটা শুধুই একটা গল্প।

in Incredible India2 years ago

আসসালামু আলাইকুম / আদাব।


Picsart_23-02-23_15-43-25-241.jpg

প্রিয় বন্ধুরা...!

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সুস্থতা আল্লাহর দেয়া এক বড় নিয়ামত। তাই সকলেই একবার অন্তরের স্থল থেকে শুকরিয়া জ্ঞাপন করি, সবাই বলি আলহামদুলিল্লাহ।

3V3rr4S3jU49uJ7YGXMfCAW8jdBAMcLpwKuDWQd3Wy8m3RaUDpmi5hc7CwvtDQDkGfavQQm48ctxAqsEXNXzArexwVFZAz9a51G3C8Sj27...YCPrrVpyydqCxcscvpo17QiiNJkFrW1t9A2u1TqxfJCg1j3i9FLULFkz4Lf9B2evM4oxmxCtg91avV2DzQBbhTZ2mANbaNwrg6uRFF1Aeiiz3xbrFCmAXe7dqx (1).png



“গল্প” কী এক আকর্ষিক শব্দ তাই না! কতলোক যে গল্পের পাগল তার কোন ইয়ত্তা নেই। আবাল বৃদ্ধ-বণিতা কারোর মাঝেই গল্পের প্রতি আবেগের শেষ নেই। কেউ গল্প বলতে পছন্দ করে আবার কেউ বা শুনতে। এক কথায় সবার নামই গল্প-পাগল। এমনই এক গল্প-পাগল মারজানও। তবে তার পরিচয় গল্পের বক্তা হিসেবে নয় ; শ্রোতা হিসেবে।

সে সদ্য হিফজ বিভাগে উঠেছে। মক্তবে দু' বছর থাকাবস্থায় কোনো গল্পের আসরই বাদ পড়েনি তার উপস্থিতি থেকে। এ-কারণে শিক্ষকের কত পিটুনি যে পড়েছে তার পিঠের উপরিভাগে তার হিসেব কে রেখেছে?

তবে হিফজ বিভাগে পড়ার চাপে গল্পের আসরে আগের মত উপস্থিতি না থাকলেও তার গল্প-পাগল সত্ত্বা সবসময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকত। কিভাবে গল্প শোনার ফুরসত পাওয়া যায়। দিন গুনতে গুনতে পরীক্ষা শেষে সাতদিনের ছুটি হল মাদরাসা। দু'দিন বাড়িতে কাটিয়ে মারজান সোজা গিয়ে উঠল দাদু বাড়িতে।

তার খুশি আর কে দেখে! বাকি ক'টা দিন জম্পেশ গল্প শুনবে দাদির থেকে। রাতে দাদির কাঁপা কণ্ঠে গল্প শুনতে শুনতে ঘুমোতে তার বেশ ভাল লাগে। সেবারের ছুটিতেও ব্যতিক্রম হল না। বালিশে মাথা রেখেই সে দাদির কাছে বায়না করে বসল আজ তাকে গল্প শোনাতেই হবে—

  • -দাদি,ও দাদি, একটু গল্প বল না।
    -আচ্ছা, বল দেখি কী গল্প শুনতে চাস?

  • -দাদি,আজ বড় আব্বুর গল্প শুনব।
    আব্বুর কাছে শুনেছি তিনি নাকি তোমার
    খুব আদুরে ছিলেন।
    দাদি বলতে লাগলেন—

সময়টা ছিল দুর্ভিক্ষের। প্রচণ্ডঅভাবে দিন গুজরান হচ্ছিল আমাদের। এক সন্ধ্যে ভাত মিললে পরের সন্ধ্যে নির্ঘাত উপোষ।তোর দাদু তো সারাদিন কাজ করে যা উজরত পেত সব গান-বাজনা শুনেই উড়িয়ে দিত। তোর বড় আব্বু তখন সকাল-বিকেল মক্তবে পড়ত আর সারাদিন বাড়ির কাজে আমাকে সাহায্য করত।

তোর আব্বুকে দূরের এক মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিলাম। আর তোর ছোট চাচ্চু তখন আমার কোলে। আমি তখন খুব অসুস্থ ছিলাম। সাথে তোর ছোট চাচ্চুর তো একেবারে নাজেহাল অবস্থা।

গ্রামের বৌ-ঝিরা কওয়া-বলা করত, “আর বেশিদিন বাঁচবে না”। তোর আব্বুও অনেকটা রোগা-সোগা ছিল। ওদের বিপরীত ছিল তোর বড় আব্বু। সুন্দর, সুঠাম ও শক্তিশালী দেহওয়ালা ছিল সে। সবসময় এক গাল হাসি লেগেই থাকত তার মুখাবয়বে।

সেই হাসিমাখা অবয়বটা যে এত তাড়াতাড়ি এভাবে হারিয়ে যাবে মনে হলে এখনো গা শিউরে ওঠে। কেনো,দাদি? কীভাবে কী হয়েছিল বড়vআব্বুর? মারজানের প্রশ্ন শেষে দাদি আবার বলতে লাগল— সে সময় আমাদের বাড়ির পেছনে ইয়া বড় একটি তালগাছ ছিল।

সেটাই আমাদের কাল হয়ে দাঁড়ায়। ঐ গাছে একটা জিন থাকত। কোন এক রাতে স্বপ্নে আমাকে কেউ বলল, “তোর বড় ছেলেটাকে আমাকে দিবি। তাহলে আমি তোকে এই ব্যাগ ভর্তি টাকা দেব”। স্বপ্নেই আমি রেগে গিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেই।

চলবে.............

বন্ধুরা, আজ এই পর্যন্তই লিখছি। বাকী গল্প ইনশাআল্লাহ কালকে লিখবো৷ সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম / আদাব।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH81TbQ2118FZiUiRWrqBpbVTAosXdnWwQdGDEqp68e6R3FHY9kjbpJrRwo359CBif1drQstHigS4okPch22toxYkJvKXT1G.png

DPuXdcXVgbcgkHvXoXAHYbABAwyuUkPo6WVByhU7chiBvJLJ2Y6yhmoFSFhyZxdfqQmKfuGh6bFwoHtEK4XmTxyXLkpAyRehhviYk5sTgK...hpNJSPrmASZGfqyFCDxdTF7wUAvTDhGnAeGAkWA6GZDU2y8p91zyH7RKgNw1eE4mNdbhQYxeEbankYnhCJbHGr9ARenPj3arnWbucCbpAH4aVKKmY1PQLP6VMg.png

Sort:  
 2 years ago 

আসলে দাদা দাদির কাছ থেকে ছোটবেলায় আমি মনে করি আমরা কম বেশি সবাই গল্প শুনেছি তবে আপনার গল্পটা শুনে আমার গা শিউরে গেল যে দাদীর কাছে তার ছেলেটা দাবি করেছে ওই গল্প শেষ এর আশায় আমরা বসে থাকলাম

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে আপনি এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন

 2 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মতামত প্রকাশ করার জন্য।

 2 years ago 

আসলেই তাদের কাছ থেকে গল্প ছোটবেলায় অনেক শুনেছি। বেশিরভাগ দাদি আমাদেরকে বেহুলার গল্প শোনাতো। ওই গল্পটা আমার এখনো মনে আছে। কিন্তু আমার দাদি পৃথিবী থেকে চলে গেছে।

আপনার গল্পের মারজাহান গল্প শুনতে খুবই পছন্দ করে। আর দাদির কাছ থেকেই তার বড় আব্বু র গল্প শোনা শুরু করল। যাইহোক গল্পের মধ্যেই মাত্র ঢুকলাম এখানেই শেষ করে দিলেন। আচ্ছা অপেক্ষায় রইলাম, বাকি অংশ কালকে নিশ্চয়ই পাব ইনশাল্লাহ।

ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা গল্পের এক অংশ, আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

হ্যাঁ বেহুলার গল্প আমিও শুনেছি আমি এবং বইয়েতেও অনেক পড়েছি। তারচেয়ে বড় কথা এখন স্বচক্ষে দেখি মাঝে মাঝেই। বগুড়ায় থাকিতো, এখান থেকে মাত্র 30 টাকা ভাড়া লাগে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনি আমার পোস্টটি পর্যবেক্ষণ করে সুন্দর একটি মতামত প্রকাশ করেছেন

 2 years ago 

ভাইয়া,সব জ্বিনেরা কি শুধু তাল গাছে বসবাস করে নাকি। আপনার গল্পেও দেখছি জ্বীন তাল গাছে ছিল, আর আমার নানী, দাদি গল্প করতে গেলেও ওই তালগাছ দেখিয়েই বলতো জ্বিনেরা নাকি সেখানেই বাসা বাঁধে। এখন মনে হচ্ছে জ্বিনেরা মনে হয় তালগাছ বেশি পছন্দ করে। মারজানের মত আমারও খুব অভ্যাস ছিল নানী দাদীর কাছে গল্প শোনার।

যাই হোক আপনার লেখা গল্পে তাল গাছের জিন যে স্বপ্ন দেখিয়েছে, সেই স্বপ্নের পরে কি হল তা জানার অধীর আগ্রহে পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু আমারও মনে হয় যে শুধু তাল গাছেই জ্বিনরা বসবাস করে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য

Loading...
 last year 

আসলে দাদীর কথা খুব বেশি ভালোভাবে মনে পড়ছে না কারণ দাদি মারা গিয়েছে আমার পাঁচ বছর বয়সে দাদীর কাছ থেকে খুব ভালোভাবে গল্প শোনা হয়নি তবুও দাদী আমার অতিরিক্ত যত্ন করতো এতটুকু আমার মনে আছে।

এবং আপনার গল্পের মাঝে তাল গাছের জিন দাদির কাছ থেকে তার ছেলেকে চালো এবং অনেকগুলো টাকা দিতে চাইলো এই গল্পটি শেষ কোথায় গিয়ে নামবে সেটি হয়তোবা এখন বুঝতে পারছি না কিন্তু আমার মনে হয় গল্পের ভেতরে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে।

আপনার গল্পের শেষের পর্ব এর জন্য আগ্রহে আছে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনি অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.033
BTC 64188.14
ETH 2766.12
USDT 1.00
SBD 2.66