কাল্পনিক গল্প। "রায়" (পর্ব ২)
আজকেও গতকালের সেই কাল্পনিক "রায়" গল্পের দ্বিতীয় পার্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
যারা প্রথম পার্ট পড়েননি তারা নিচের লিংকে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন👇👇
https://steemit.com/hive-120823/@memamun/3tyxtq
রাজ কে নিয়েও চিন্তা হচ্ছে ঐ একমাত্র শাক্ষি যে বেঁচে আছে। ওকে মরতে দেয়া যাবে না। যদি আমার ধারণা সত্যি হয় তাহলে এখন টার্গেট রাজ। ভাবতে ভাবতে রাজের ঠিকানা বের করে যাওয়ার জন্য বের হলাম। রাত ৩ টা ৫ মিনিট। রাজের বাসায় পৌঁছে গেলাম নক করলাম কিন্তু অদ্ভুত!!কেউ দরজা খুললো না । অনেকক্ষণ ধাক্কা দেয়ার পরও খুলছে না তাই চিন্তিত হয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলাম। গিয়ে প্রথমেই মেঝেতে চোখ পরতেই দেখলাম লেখা" ""স্বাগতম ইন্সপেক্টর হৃদয়"" আমি অবাক হয়ে গেলাম ভয়ে ভয়ে রুমের ভিতরে ঢুকতেই আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম রাজকে সিলিংয়ের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পেলাম। এখনো শরীর গরম মনে হচ্ছে আমার আসার খবর পেয়েই খুন করা হয়েছে। কী অদ্ভুত বিষয়। কী করে খুনি আমার ভাবনা আমার অবস্থান বুঝতে পারে?
এবার তাড়াতাড়ি পুলিশ স্টেশনে কল দিলাম তারা চলে আসলো তদন্ত শুরু করলাম। পুরো রুমে তল্লাশি চালাতে লাগলাম, পুরো ঘরের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটা ছোট কাঠের বক্সের দিকে চোখ গেলো আমার। তাতে একটা মেয়ের সুনিপুণ পেইন্টিং আর একটা লকেট দেখতে পেলাম কিন্তু কেনো জেনো মেয়েটাকে পরিচিত মনে হচ্ছে। কিন্তু কীভাবে হতে পারে???? এটা হয়তবা মনের ঘোর। কাঠের বক্সটা সাথে নিয়ে গেলাম। ফিরে আসার পথে একটা পত্রিকা খুঁজে পেলাম পায়ের কাছ থেকে পরে থাকা পত্রিকা টা তুলে সেটা সাথে নিয়ে গেলাম।।
রাজের লাশটা কে পোস্টমর্টেম করার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলো। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো অনেক চেষ্টা করেও আমরা রাজের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ দিতে পারিনি আমরা এটাও জানি না রাজের পরিবার আছে না কী নেই। এটা আমাকে আরো বেশি চিন্তিত করে দিলো। একজন মানুষের কোনো পরিবার কীভাবে না থাকা সম্ভব??
একটু পরেই একজন অদ্ভুত লোক আসলো । পা দিয়ে ঠিক মতো হাঁটতে পারে না। হাতে লাঠি। গলায় অনেক স্বর্নের গহনা। বেশভূষা দেখে মনে হচ্ছে অনেক ধনী মানুষ।হঠাৎ তার ডাকেই সম্বিত ফিরে পেলাম ।
কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বললো ইন্সপেক্টর হৃদয় আমি এখানে এসেছি একটা সাহায্য চাইতে করবে কী সাহায্য। আমি অনেক কষ্ট পাচ্ছি আমার মনে হচ্ছে আমার কলিজা প্রতিনিয়ত কেউ চিবিয়ে খাচ্ছে।এই বলেই সে টান মেরে তার কলিজা ছিঁড়ে হাতে নিয়ে চিবোতে লাগলো।আমি ভয়ে আঁতকে উঠলাম।চিৎকার করে বলতে লাগলাম কে আপনি??
কিন্তু সে জবাব না দিয়েই হাসতে হাসতে চলে গেলো।
আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো ঘেমে একাকার হয়ে গেছি।
এক গ্লাস পানি নিয়েই ঢকঢক করে খেয়ে ফেললাম।
কী হচ্ছে আমার সাথে এসব?? কেনো হচ্ছে??? এটা কি দুঃস্বপ্ন না কী অন্য কিছু। ভাবতে লাগলাম।হঠাৎ দরজায় বেল বেজে উঠলো । হাতে লাঠি নিয়ে দরজার ফাঁকা দিয়ে দেখতে লাগলাম কে এসেছে। কাউকে না দেখে দরজা খুলে দিলাম সেখানে আবার ছোট একটা গিফট বক্স পেলাম । না খুলেই সরাসরি পুলিশ স্টেশনে কল দিলাম । তাদের সাথে নিয়ে গিফট বক্স টা খুললাম সেখানে ছোট্ট একটা চিরকুট পেলাম তাতে লেখা"" করবে তো সাহায্য ?? সবাই আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। আমাকেই সবাই সন্দেহ করছে।
খুনি অনেক চতুর । কিন্তু এটা কিছুতেই একটা বাচ্চা মেয়ের পক্ষে সম্ভব নয়।
বাবা, আপনার গল্প পড়েই ভয় লাগছে। কে পাঠালো ঐ বক্সটি, কে জানতে চাইলো "করবে তো সাহায্য??" এটাই রহস্য, আর কেনই বা রাজকে মারলো সে। অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য ধন্যবাদ।
Curated By - @radjasalman
Curation Team - Team Newcomer
thank you for supporting❤️❤️❤️