কাল্পনিক গল্প। "রায়" (পর্ব ১)
আসসালমু আলাইকুম, আমার গল্পে আপনাকে স্বাগতম, প্রিয় পাঠ্য ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন।
source
চোখে মুখে রক্তের ফোঁটা, হাতে তলোয়ার তা দিয়ে রক্ত ঝড়ছে, তলোয়ার থেকে শেষ রক্তবিন্দুটা ঝরে পরার আগেই লাশের পাশে ধপ করে বসে পরলো চৌদ্দ বছর বয়সের মেয়েটি,মৃতদেহের পাশে সেই রক্তদিয়ে একটা তারিখ লিখলো 13/7/1988 তারপর একটু সময় সেই লাশের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিয়ে অন্ধকারে হারিয়ে গেলো।
__আমি সবেমাত্র এই শহরে নতুন এসেছি, থাকার জায়গা ছিলো না তাই এই পুরনো বাড়িতে রাতটা কাটিয়ে দেয়ার জন্য এসেছিলাম, কিন্তু এর মধ্যেই অল্পসময়ের ব্যাবধানে একটা অল্পবয়সী মেয়ে চলে আসলো আমি পুরনো বক্সের পিছনে লুকিয়ে রইলাম ভয় পেয়ে, দেখলাম মেয়েটা লোকটাকে অজ্ঞান করে দেহের উপর অনেক গুলো তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে লোকটার বুক চিরে কলিজা বের করে চিবোতে লাগলো,এই দৃশ্য দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম আর কিছুই মনে নেই।
: আচ্ছা মিষ্টার রাজ, আপনি এখন যেতে পারেন কিন্তু শহরের বাইরে যেতে পারবেন না, আপনাকে আমাদের আবার প্রয়োজন হবে, এই বলে ভাবতে লাগলো ইন্সপেক্টর হৃদয়, একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে এতটা হিংস্র নির্দয় ভাবে কাউকে খুন করতে পারে? রাজ কী সত্যি বলছে?না কী কিছু লুকাচ্ছে?ভাবতে ভাবতে এক কাপ কফি নিয়ে চুমুক দিলো কাপে,একটু পরেই কল আসলো,কল রিসিভ করে হৃদয় বললো,ইন্সপেক্টর হৃদয় বলছি বলুন।
ওপাশ থেকে কান্নাভেজা কন্ঠে একটা মেয়ে বলে উঠলো আমি খুব বিপদে আছি,দয়া করে আমাকে বাঁচান,হৃদয় ভয়ার্ত কন্ঠে বলতে লাগলো তারাতাড়ি ঠিকানা বলুন,কিন্তু মেয়েটা ঠিকানা বলার আগেই ফোনটা কেটে গেলো,হৃদয় চিন্তিত হয়ে পড়লো! তাড়াতাড়ি টিম নিয়ে খুঁজতে বের হলো ,তন্ন তন্ন করে পুরো শহর খুঁজলো কিন্তু পেলো না, যখন ব্যার্থ হয়ে বাসায় ফিরলো, দরজার সামনে এসেই অবাক হয়ে গেলো হৃদয়,একটা বক্স রাখা, এটাকে দেখে গিফট বক্স মনে হচ্ছে,বক্সের উপরে লেখা তোমার দিন গুলো সুন্দর কাটুক, হৃদয় রুম থেকে ছুড়ি এনে বক্সটা কাটতে শুরু করলো।
কাঁটার পরে যা দেখলো এর জন্য হৃদয় একদম প্রস্তুত ছিলো না,একটা মেয়ে কিন্তু চেহারা কেউ থেঁতলে দিয়েছে ভয়ঙ্কর ভাবে কেটে কেটে অনেক গুলো টুকরো করেছে , আর পাশে রক্ত দিয়ে একটা কাগজে লেখা ১৩/৭/১৯৮৮
হৃদয় তারাতাড়ি নিজেকে ঠিক করে চিৎকার করে বলতে লাগলো সামনে আসো। কে তুমি?? কী চাও?? কেনো মেরে ফেলছো তাদের কে???কী ক্ষতি করেছে তোমার?কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো আওয়াজ না পেয়ে তাড়াতাড়ি ফোন দিলো পুলিশ স্টেশনে,কয়েকজন পুলিশ এসে লাশটাকে পরিক্ষা করতে নিয়ে গেলো হাসপাতালে,হৃদয় ঘাবড়ে গেলো,চিন্তিত হয়ে ভাবতে লাগলো হঠাৎ মানুষের গুম হওয়া,আবার কল দিয়ে পুলিশ কে জানানোর সুযোগ দেয়া এর মধ্যেই নৃশংস ভাবে হত্যা,আবার তার পাশে একটা সময় লেখার কারণ কী হতে পারে? এর পিছনের রহস্য কী??
source
সারারাত ঘুমাতে পারলাম না,ভাবতে লাগলাম,পরিকল্পনা করতে লাগলাম, কীভাবে ধরতে পারি ঐ হত্যাকারী কে!!
আজকের মত এই পর্যন্তই, পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন, ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই নিয়ে আসছি।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই বলে বিদায় নিচ্ছি আসসালামু আলাইকুম
@memamun, আপনি একবারও আপনার স্টিম পাওয়ার আপ করেন নি, প্রতি সপ্তাহে আপনাকে একবার পাওয়ার আপ করতে হবে নইলে আপনার ক্লাব মেইনটেইন করা হবে না। এখানে ক্লাব মেইনটেইন করা জরুরি, কাজেই আপনি সত্বর আপনার স্টিম পাওয়ার আপ করুন।
Curated By - @radjasalman
Curation Team - Team Newcomer
Thank you ❤️