জন্মদাতা পিতাকে মূল্যায়ন করুন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
জন্মদাতা পিতা আমাদের জীবনের বট গাছের মতো হাজারো ঝাড়ের মাঝে আমাদেরকে আঁকড়ে ধরেন এবং লড়াই করে প্রতিকূল পরিবেশে কখনো আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় না তাই পিতা-পিতার কর্তব্য পালন করেছে আমাদের জন্য আমরা কি সঠিক মূল্যায়ন করতে পারি পিতার।
একটি সন্তান কিভাবে তার পিতাকে শ্রদ্ধা করবে তা কখনো সে বই থেকে পড়ে শেখে না পারিবারিকভাবে শেখানো হয় কিভাবে একজন ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা করতে হয়। আমার বাবাকে আমি যে শ্রদ্ধা করব সেটা অন্য কেউ করতে পারবে না কেননা শ্রদ্ধা মনের গভীরতা থেকে আসে। প্রতিটি সন্তান যেন বাবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে বাবা যে আমাদের জন্য করেছে তার তুলনায় এটা কিছুই না। প্রতিবছর আমরা দেখতে পাই যে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানানোর জন্যই ‘বিশ্ব বাবা দিবস’ পালন করা হয় কিন্তু এটা কেন আমরা বছরে একদিনের জন্য বাবাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বেশি আবেগ প্রবন্ধ হয়ে পড়ি কিন্তু এই আবেগ কেন বছরে একদিন হবে কেন এটা প্রতিদিন করা হয়না একটু ভাবুন। দুঃখজনক হলেও সত্য, সমাজের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালোবাসা কমে যাচ্ছে।
১/ বৃদ্ধ বাবাকে সব সময় নিজের সন্তানের মত দেখভাল করা।
২/ তাদের চাহিদা সঠিক ভাবে পালন করা।
৩/ বৃদ্ধ বাবার সাথে সদ চরণ করা
৪/ তাদেরকে খাদ্যবস্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
| এখন আমি এই চার টি বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করবো,
**কেন আমরা আমাদের বৃদ্ধ বাবাদের সন্তানের মত দেখভাল করব |
---|
সন্তানের মত দেখভাল করব, বৃদ্ধ বয়সে যেমন একটি ব্যক্তি চলাফেরা করতে পারে না তেমনি ভাবে বাচ্চা ছেলেমেয়েরা চলাফেরা করতে পারে না তাই বৃদ্ধ ও বাচ্চাদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য থাকে না। অনেক সময় আমরা দেখেছি বৃদ্ধ বাবারা বাচ্চাদের মতো আচরণ করে। যেমন আমরা আমাদের সন্তানকে গালে তুলে খাইয়ে দিই তেমনিভাবে আমাদের বাবাদেরকেও গালে তুলে খাওয়ানো উচিত কেননা তারা চাই যেভাবে আমি আমার সন্তানকে । লালন পালন করে মানুষের মত মানুষ করেছি ঠিক তেমনভাবেই বৃদ্ধ বয়সে যেন আমাকেও সেভাবে সেবা যত্ন এবং দেখভাল করে।
** কেন তাদের চাহিদা সঠিক ভাবে পূরণ করবো! |
---|
বাবাদের বৃদ্ধ বয়সে খুব একটা বেশি চাহিদা থাকে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের কিছু চাহিদা থাকে সেগুলো যদি আমরা পালন না করতে পারি তাহলে অবশ্যই তাদের মনে কষ্ট পাবে তাই আমাদের বোঝার চেষ্টা করতে হবে তাদের চাহিদাগুলো কি । যেমন আমার বাবা ছোটবেলায় আমার সকল চাহিদা পূরণ করেছে আমি না বলার সত্ত্বেও। তেমনিভাবে আমারও দায়িত্ব সাথে তাদের সকল চাহিদা পূরণ করবো।
Source
** বাবা- সাথে সর্বদা সৎ আচরণ করা ,আল্লাহ
সুবহানাতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন যে তোমরা তোমার পিতা-মাতের সাথে সর্বদাই সৎ আচরণ কর তাদের অবাধ্য হয় না যতক্ষণ না তারা আল্লাহ আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে কথা বলে! বাবা যতই আমাদেরকে বকা দিয়ে অথবা মারুফ তাদের সাথে কখনোই খারাপ আচরণ করা যাবে না তাদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না। যদি আমরা কখনো বলেও ফেলি পরক্ষণে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো
** আমরা আমাদের বাড়িতে বাবাকে রেখে তার সকল
আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করব। তাদের মনে যে জিনিসটা খেতে চাই সেটা খাওয়ার ব্যবস্থা করব তাদেরকে ভালো ভালো পোশাক কিনে দেব। অনেকেই আছে যে পিতা-মাতা বয়স্ক হলেই বৃদ্ধ আশ্রমে রেখে দেয় এবং তাদেরকে খোঁজ খবর নেওয়ার প্রয়োজন বোধ মনে করে না। কিছু টাকার বিনিময়ে পিতা মাতাকে দেখভাল করার জন্য আলাদা ব্যক্তিকে রেখে দেয়। যদিও এই কথাগুলো সবাই জানে তবুও আমার লেখার মাধ্যমে আরেকটিবার জানিয়ে দিচ্ছি। আমাদের একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে আমরা আমাদের বাবার সাথে যে রূপ আচরণ করব ঠিক আমার সন্তানরাও আমাদের সাথে একই রকম আচরণ করবে। তারা এগুলোই দেখেই বড় হচ্ছে।
তো বন্ধুরা আজকের এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি , আর আমার লেখার ভিতর ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা বৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
আমি ধন্যবাদ জানাই আমার ওই সকল বন্ধুদের যারা আমার লেখাটি পরিদর্শন করছেন।
(আল্লাহাফেজ)
আসলে আমাদের বাবা আমাদেরকে ছোটবেলা থেকে যেভাবে ধীরে ধীরে বড় করে! তারা যখন বৃদ্ধ হয়! তখন আমরা তাদেরকে সেভাবে লালন পালন করতে পারি না! বর্তমান সময়ে তো দেখা যায়! বিভিন্ন পরিবারে বাবাকে এবং মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়।
আমি এমন কিছু পরিবার দেখেছি! যারা বলে বাবা তো কিছুই করতে পারে না! সারাদিন শুয়ে বসে দিন পার করে! তাহলে বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেই! মা তাও সংসারের কোন কাজ করে! তরকারি কেটে দেয় রান্নাবান্নার কাজে সাহায্য করে! মাকে আমাদের সাথে রাখাই যায়।
বাবার প্রতি ভালোবাসা শ্রদ্ধা বলে কখনো শেষ করা যাবেনা! যারা বাবা-মাকে সত্যিকার অর্থে ভালবাসে! তারা কখনোই বাবা-মায়ের প্রতি অসম্মান করে কোন কথা বলে না! বাবা মায়ের সাথে জোর গলায় কথা বলে না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, বাবাকে নিয়ে এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভাল থাকবেন।
সন্তান বেশি থাকলে মা বাবাকে ভাগ করে নেই। তবে মাকে সবাই নিতে চাই বাবাকে নিতে চায় না ,মা সংসারিক কাজ করতে পারবে বইয়ের একটু কষ্ট কম হবে এই জন্য মাকে সবাই নিতে চাই। বাবা অযত্নে অবহেলায় থাকে অনেক ফ্যামিলিতে।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার আর্টিকেলটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাবা! বাবা নামটা যেমন মধুময় তেমনি বাবাও হয় অমূল্য রত্ম এর মতো। বাবা এমন একজন লোক যিনি সারা রাত দিন আমাদের জন্য কষ্ট করে কিন্তু সে তা তার সন্তানের সামনে প্রকাশ করে না। বাবা তার জীবনের সব আমোদ, সুখ দুঃখ ভুলে গিয়ে তার সন্তানের কথায় চিন্তা করে। সে ভাবে তার সন্তান কিভাবে আরো কিভাবে আরো শান্তিতে থাকতে পারে। তার জীবনের সর্বস্ব বিলিয়ে দেন তার সন্তানের জন্য।
কিন্তু আফসোস সেই কিছু সন্তান তার বাবা-মার শেষ ঠিকানা হিসেবে বৃদ্ধাশ্রম কে বেচে নেয়। তার যেই বাবা নিজে না খেয়ে তার সন্তানকে খাইয়েছে সেই সন্তান এই তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে।
আমাদের সকলেরই উচিত বাবা-মা এর সাথে সবসময় ভালো আচরণ করা। তাদের অনুগত হয়ে চলা। বাবা তার সন্তানের জন্য যেসব ত্যাগ করে সন্তান তার পুরো জীবন বিলিন করে দিলেও তা সোদ হবে না।
ভাই প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট উপস্থাপনা করছেন বাবার প্রতি ভালোবাসা আপনার খুবই বেশি তাই বাবা সম্পর্কে লেখা আপনার কমেন্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Thank you so much vhai .
বাবা শুধু বাবাই" বাবার জায়গা পৃথিবীর কোন মানুষ দখল করতে পারবে না। একজন বাবা তার সন্তানের জন্য জীবনে যে কষ্টগুলো করে যে সেক্রিফাইস গুলো করে অন্য মানুষ কখনো এভাবে করবে না।
আপনি একটা কথা বলেছেন সেটা আমার খুবই ভালো লেগেছে, যে একজন বাবা বৃদ্ধ হলে তাকে সন্তানের মত দেখতে হবে। আপনার এই কথাটা আমার খুবই ভালো লেগেছে কারণ আমরা যখন ছোট ছিলাম হাঁটতে পারি নাই। তখন বাবা আমাদেরকে হাত ধরে হাঁটা শিখিয়েছে আর যখন বাবা বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন ঠিক ছোট বাচ্চাদের মত হয়ে যায় তখন আমাদের বাবার ভূমিকা পালন করা উচিত।
এত সুন্দর একটি শিক্ষনীয়, পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাই আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টে পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য
সন্তানের মত দেখভাল করব, বৃদ্ধ বয়সে যেমন একটি ব্যক্তি চলাফেরা করতে পারে না তেমনি ভাবে বাচ্চা ছেলেমেয়েরা চলাফেরা করতে পারে না তাই বৃদ্ধ ও বাচ্চাদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য থাকে না। অনেক সময় আমরা দেখেছি বৃদ্ধ বাবারা বাচ্চাদের মতো আচরণ করে। যেমন আমরা আমাদের সন্তানকে গালে তুলে খাইয়ে দিই তেমনিভাবে আমাদের বাবাদেরকেও গালে তুলে খাওয়ানো উচিত কেননা তারা চাই যেভাবে আমি আমার সন্তানকে । লালন পালন করে মানুষের মত মানুষ করেছি ঠিক তেমনভাবেই বৃদ্ধ বয়সে যেন আমাকেও সেভাবে সেবা যত্ন এবং দেখভাল করে।
সত্যি আপনার পোস্ট টা পড়ে আমার বাবা কথা খুব মনে পরছে, কি আর করার শশুর বাড়ি থাকি মন চাইলে ও যাওয়া যায় না, তবে চেষ্টা করি বাবা খেয়াল রাখা যত টুকু পারি।
আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
আমার বাবা নেই তাই বাবার অভাবটা সবসময়ই অনুভব করি। আপনার সাথে আমিও একমত যে বাবা দিবস না আসলে প্রতিটি দিনই আমাদের বাবা দিবস হওয়া উচিত। তার প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে সে যাতে একাকিত্বে না ভুগে এদিকটায় সবচেয়ে বেশি নজর দেয়া উচিত। সাথে তার সুসাস্থ যাতে বজায় থাকে এদিকটায়ও খেয়াল রাখা উচিত। আসলে বাবা মায়ের ঋনতো কখনো শোধ করা সম্ভব না।
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার বাবা নেই শুনে অনেক খারাপ লাগলো তবে আপনার বাবার জন্য দোয়া রইল আমার পক্ষ থেকে।
আমি ইসলামিক একটি গানের প্রথম কলি দিয়ে মন্তব্যটা লেখা শুরু করেছি!
আপনার পোস্টটি আমি পড়ছিলাম আর আমার সেই গজলটির কথা মনে পড়ছিল। আসলেই আমাদের ইসলাম ধর্ম বাবা মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
সত্যি কথাই ভাই বাবা মায়েরা যখন বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন তারা ছোট বাচ্চাদের মতো আচরণ করা শুরু করে। তাই তাদেরকে ছোট বাচ্চাদের মত সেবা যত্ন ও দেখভাল করতে হয়।
আমার কাছে তো বাবা শব্দটা মানেই অন্যরকম কারণ আমি ছোটবেলা থেকেই বাবাকে দেখিনি!
তাই বাবার জন্য আমার মনের ভিতর অনেক বড় একটি শূন্যস্থান হয়ে আছে!
বছরে একটা দিন মাত্র আমরা বাবাদেরকে নিয়ে উৎসব করি তাও আবার বাবা দিবসের দিন। আমাদের তো উচিত প্রত্যেকটা দিন বাবা দিবস পালন করা।
ভাই আমি কয়েকদিন ধরে খুব ব্যস্ততার দিন পার করছি তাই তেমন করে কারো পোস্ট পড়া হয়নি। ২দিন পরে আজ এই প্রথম আপনার পোস্টটি আমি পড়লাম আর পোস্টটি পড়ার পর আমার মনটা অনেক ভালো হয়ে গেল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর এবং এত শিক্ষনীয় একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা করছি।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পুঙ্খানো পুঙ্খনো ভাবে পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। যার বাবা নাই সেই জানে বাবা না থাকার কষ্টটা আমি হয়তোবা আপনার কষ্টে অনুভব করতে পারছি কিছুটা। আপনার বারবার জন্য দোয়া রইল।