পরম করুণাময়! অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
শুভ বিকাল,
আমার প্রিয় সকল লেখক, লেখিকা বন্ধুরা সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই ভালই আছেন।
আমি মোহাম্মদ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করব মাছ দিয়ে বেগুন রান্নার সহজ পদ্ধতি।
কেনভ্যা দ্বারা সম্পাদিত করা হয়েছে |
আমি কম বেশি যত কিছু রান্না করতে পারি আমার কাছে সবচেয়ে সহজ মনে হয় বেগুন রান্না। কেননা এই রান্না টা শিখেছিলাম আমার দাদীর কাছ থেকে । আমার আম্মা যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিল তখন আমাদের বাড়িতে রান্না করার মত কেউ ছিল না আমি আমার মায়ের বড় সন্তান আমার চেয়ে আরো দুটো ছোট ভাই ও বোন রয়েছে তারা অতটা বুঝতো না। তখন নিজেদের খাওয়ার মত রান্না করছি বেশ এক থেকে দেড় মাস নিজে তখন রান্না করছি আর মাঝে মাঝে আমার দাদী এসে আমাকে সাহায্য করত আমার দাদী আমাকে বলেছিল যে বেগুন রান্নার মত সহজ আর কিছুই নাই।
আমার দাদি আর পৃথিবীতে নাই তবে তার কথা গুলো এখনো আমার কানে বাজে তার সেখানো পদ্ধতিতে আমি সবসময় বেগুন রান্না করে থাকি তো চলুন বন্ধুরা দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আজকে আমি সহজ পদ্ধতিতে মাছ দিয়ে বেগুন রান্না করে আপনাদেরকে দেখাবো।
তেল | আনুমানিক ৭০ গ্রামের মত চাইলে কম বেশি করতে পারেন |
প্রথমে আমি মাছগুলো ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়ে বরফ ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে আবারো আর একবার ধুয়ে নিয়েছি কথায় আছে মাছ ধোয়া মিঠা আর মাংস ধোয়া সিটা। এরপরে মাছগুলো ভালো করে লবণ ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
অপর প্রান্তে গ্যাসের চুল জ্বালিয়ে দিয়েছি খালি কড়াই টা গরম করার জন্য কড়াই গরম হওয়ার পর মাছ ভাজার জন্য ও রান্না করার জন্য পরিবার মত তেল একেবারেই দিয়ে দিয়েছি তারপর তেল গরম হয়ে উঠলে তেলের উপরে মাছগুলো সাজিয়ে দিয়েছি।
মাছের এক পিট লাল হয়ে উঠলে মাছগুলো উল্টে দিয়েছি এভাবে করে মাছগুলো ভেজে নিয়ে উঠিয়ে রাখছি।
মাছ ভাজি শেষ হয়ে গেলে ওই গরম তেলে প্রথমে আমি কিছু পরিমাণ আস্ত জিরা দিয়েছি হালকা ভেজে নেওয়ার পরে পেঁয়াজ, রসুন, ঝাল , হলুদ লবণ ,ও রান্নার সমস্ত উপকরণগুলো একসাথে দিয়েছি এরপর আমি পরিমাপ মতো পানি এ্যাড করেছি।
পানি এ্যাড করার পর ঢেকে দিয়েছি পানি গরম না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি তিন থেকে চার মিনিট পর যখন পানি ও মসলা একসাথে ফুটে উঠেছে তখন আগে থেকে কেটে রাখা বেগুন ও আলু দিয়ে দিয়েছি।
ঝোলের ভিতরে বেগুন গুলো দেয়া হয়ে গেলে এবার আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি । এভাবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট মতো ঢেকে জ্বালিয়েছি ।
তারপর যখন তরকারির ঝোল কমে আসবে তখন চুলার জ্বাল কুমিয়ে দিতে হবে এভাবে করে দুই মিনিট থেকে তিন মিনিট জ্বাল কুমিয়ে দিয়ে জ্বালানোর পর ঝোল কমে আসলে তখন মাছগুলো দিয়ে ঢেকে দিতে হবে মাছগুলো দেওয়ার পর আরো তিন থেকে চার মিনিট একইভাবে জ্বালাতে হবে । কিছুক্ষণের মধ্যে দেখবেন যে আমাদের বেগুন দিয়ে মাছ রান্নার রেসিপিটা হয়ে গিয়েছে। রান্না শেষে তরকারির স্বাদ ও সুগন্ধি বৃদ্ধি করার জন্য আগে থেকে ভেজে রাখা জিরা গুড়া উপরের ছিটিয়ে দিয়েছি।
উপসংহার,
বন্ধুরা আপনারা চাইলেই আমার মত করে সহজ পদ্ধতিতে বেগুন রান্না করতে পারেন । তো আজকের মত আমি এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
আপনারা মালয়েশিয়া থাকেন তাই নিজেদের রান্না নিজেদেরই করতে হয়।। আজ খুবই চমৎকার একটি রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন।। মাছ দিয়ে বেগুনের তরকারি বেশ মজা লাগে আমার কাছে।।
রান্না একটি শিল্প । আমি মনে করি যদি এক মন দিয়ে রান্না করা হয় এবং সবকিছু পরিমাণ মতো দেওয়া হয় তবে অবশ্যই রান্না ভাল হবে ।
আপনি যেহেতু আপনার আম্মু অসুস্থ বিধায় আপনি প্রথম রান্না শুরু করেছিলেন আর এখন আপনি ভালবেসে রান্না করতেছেন।
আসলে বড় সন্তান হওয়ায় অনেক কিছু সংসারের দায়িত্ব নিতে হয় ।
আপনি সুন্দরভাবে রান্নার উপকরণ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি রান্নার ধাপে ধাপে প্রতিটি রান্নার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এবং তা লিখে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রান্নাটি দেখে অনেকে সুন্দর হয়েছে। আশা করি এটার অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকবে।
নতুন রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি ঠিক বলছেন যে রান্না করা একটি শিল্প,
আর যে কোন কাজ মন দিয়ে করলে তা অবশ্যই ভালো হয়। আর আমি যখনই রান্না করি মনোযোগ সহকারে রান্না করা চেষ্টা করি। কেননা আমরা একবার রান্না করে তিনবার খাই যদি খারাপ হয় তাহলে খেতে অনেক সমস্যা হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার আর্টিকেলটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বেগুন আমি খুব পছন্দ করি ভাজি ,ভর্তা, মাছের সাথে ঝোল, তবে কিছুদিন যাবত এটাকে এড়িয়ে চলছি কারণ এলার্জিতে প্রচুর পরিমাণে ধাওয়া করছে,,,,
তবে আপনি খুব সুন্দর ভাবে বেগুন দিয়ে মাছ রান্না দেখিয়েছেন যেটা দেখে মন চাইছে খেতে তবে রান্নাটা শিখে রাখছে পরবর্তীতে বাসায় তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।
আপনার মত আমারও বেগুন ভর্তা অনেক পছন্দের তবে মাঝেমধ্যে মাছ দিয়ে বেগুন রান্না অনেক ভালো লাগে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
👌
বেগুন আমার বেশ পছন্দের খাবার। বেগুন তেলের ওপর ভেজে খাওয়া এবং মাছের সাথে ঝোল করে রান্না করে খাওয়া বেশ ভালো লাগে আমার কাছে।
আপনি খুব সহজ করে রান্নার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। কিভাবে মাছ বেগুন ঝোল করে রান্না করা হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্ট করে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
তবেএটা যেন বেশি ভালো লাগছে যে আপনার বেগুন অনেক পছন্দের তরকারি। বেগুন ঝোল অথবা ভাজি খেতে আপনি পছন্দ করেন।
তবে ঠিক বলেছেন আমি বেগুন ভাজি তরকারি খুব পছন্দ করি। এবং আমার আল্লাহর রহমতে কোন এলার্জির সমস্যা নাই। আর খেতেে। কোন সমস্যা হয় না।
আমার কমেন্টে আপনার মতামতি জানিয়ে দেওয়ার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মাছ দিয়ে বেগুন রান্না করার সকল ধাপ গুলো আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং বুঝিয়ে দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ। আপনার পরবর্তী ডিসিপির জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
শীতের সময় বেগুন আলুর তরকারি অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে অনেক বেশি টমেটো দিয়ে ঝাল দিয়ে বেগুন রান্না করলে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আজকে আপনি আমাদের সাথে বেগুন দিয়ে মাছ রান্না করার পদ্ধতি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ারকৃত প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, সহজ পদ্ধতিতে মাছ দিয়ে বেগুন রান্না করার পদ্ধতি, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি বলছেন শীতকালে বেগুন রান্না করার সময় টমেটো ও একটু ঝাল বেশি দিয়ে রান্না করলে আরো বেশি মজা লাগে। বিষয়টা মাথায় থাকলে পরবর্তী জীবন রান্না করবো তখন টমেটো ঝাল বেশি দেব। দেখা যাক কেমন টেস্ট লাগে আপনার পদ্ধতিতে।
আমার পোস্টটি পড়ে যথাযথ সুন্দর একটু কমেন্ট করার জন্য।
বেগুন কে শুধু ভেজেই খাওয়া যায় এমনটা ভাবতাম আগে।এরপর পড়াশোনার জন্য বাড়ির বাইরে এসে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে।আপনি আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন কিভাবে বেগুন দিয়ে মাছের তরকারি রান্না করা যায়।আশা করি খাবারটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
মাছ দিয়ে বেগুন রান্নার রেসিপি টি আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।যে কেউ এভাবে রান্না করতে পারবে আপনার দেওয়া রেসিপি টি দেখে। খেতে ও মনে হয় খুব সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে। এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ খেতে মোটামুটি ভালোই স্বাদ আমি সবসময় এভাবেই রান্না করি, এটা আমার কাছে খুব সহজ মনে হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমি ও এভাবেই রান্না করি। ভালো ই লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত করার জন্য।
মাছ দিয়ে বেগুন খুব পছন্দের একটা খাবার। আসলে কোন কিছু যখন একবার মনের মধ্যে গেঁথে যায় তা আর সহজে ভুলা হয় না। আপনি বিপদে পড়ে আপনার দাদীর কাছ থেকে যে রেসিপি শিখেছেন তা আপনার মনে গেঁথে গেছে যা আর ভুো যায় না। আপনার দাদীর শিখানো মাছ দিয়ে বেগুনের সহজ রেসিপি আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে বর্ননা করেছেন। তবে আমার কাছে মনে হয় মশলা হিসাবে বেগুনে এলাচটা না দিলেও চলে। ধন্যবাদ এত মজার ও সহজ একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।