আমার জীবন গল্প .....?

in Incredible Indialast year

বর্তমান সমাজে এমনকোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি টাকা চেনে না। একজন পাগল যার কিনা এই দুনিয়ার কোন হুশ নাই সেও টাকা চিনতে ভুল করে না।

হ্যালো বন্ধুরা, আমি মোঃ রাসেল আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব টাকা আসলে কি আপনার পরিপূর্ণতা দিতে পারে এবং সঠিক সময় টাকাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে আপনার জীবনে কি পরিণতি হতে পারে।

আমার জীবন গল্প

আমার বাবা বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য ছিলেন এবং আমাদের পরিবার আর্থিক দিক থেকে খুবই ভালো অবস্থায় ছিল সেই সময়কার দিনে। আমার বাবা মারা যান আমার বয়স যখন দেড় বছর ছিল এবং তখন আমার মায়ের বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। আমার মা দেখতে মাশাল্লাহ খুব সুন্দর ছিলেন। আমার মা অল্প বয়সে বিধবা হওয়ার কারণে আমার নানু তাকে দ্বিতীয় বিবাহ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস


কিন্তু আমার মা দ্বিতীয় বিবাহ করার জন্য রাজি ছিলেন না কারণ আমার বাবা উনাকে বলে গিয়েছিলেন যাতে আমাকে কোন ধরনের কষ্ট না দেয় এবং দ্বিতীয় বিবাহ না করেন। তাই আমার মা, বাবার কথা রাখার জন্য এবং পরিবারের চাপ নিতে না পেরে আমাকে নিয়ে পালিয়ে যান চট্টগ্রামে। দুই বছর আমাদের কোন খোজ খবর পাইনি আমাদের পরিবার। তখন তো সবাই ভেবেই নিয়েছিল আমরা আর হয়তোবা বেঁচে নেই। এসব কথা আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শুনেছিলাম।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস

আমার মা আমাকে নিয়ে যখন চট্টগ্রামে যায় তখন তিনি অনেক কষ্টের সম্মুখীন হন। কিন্তু তিনি আর না মেনে কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন এভাবে বেশ কয়েক বছর পরে আমার মা আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে থাকেন। আমার মা আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পর থেকেই আমাদের পরিবারের সবার সাথে যোগাযোগ শুরু হয় এবং আমার মা সবাইকে আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছিলেন। তখন আমাদের ফ্যামিলি এবং আমাদের নানুর ফ্যামিলির কারো কোন সমস্যা হলেই আমার মায়ের কাছে খবর দিতেন তিনি যাতে একটু সাহায্য সহযোগিতা করেন।আর আমার মা ও কোন কিছু চিন্তা না করে তাদেরকে যতটা সম্ভব সাহায্য করে যেতেন।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস

এবং তার সাথে সাথে আমিও বড় হতে থাকি। আমার বয়স যখন 13 বছর তখন আমি একটি ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হই ক্রিকেট খেলা শেখার উদ্দেশ্যে। কারণ আমি ক্রিকেট অনেক পছন্দ করি। আমি একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পরেই চট্টগ্রামে জেলাভিত্তিক অনূর্ধ্ব ১৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়। এবং আমি সেখানে অংশগ্রহণ করি ও সেই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগও পায়।

তখন সালটা ছিল 2004 এবং 2005 সালে আমি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করি। 2005 সালের ব্যাচে সারা বাংলাদেশ থেকে মাত্র 17 জন ছাত্র ভর্তি করানো হয় এবং তার মধ্যে আমি একজন ছিলাম।

এরপর থেকে আমি বিকেএসপিতে ক্রিকেট অনুশীলন করতে থাকি এবং অনূর্ধ্ব 16 অনূর্ধ্ব 17 ন্যাশনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলি। এভাবে দেখতে দেখতে আমার বয়স ১৯ বছর হয়ে যায় এবং আমি অনূর্ধ্ব ১৯ বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিমের সুযোগ পাই। ওই বছর আমি ভালো পারফর্ম করতে না পারায় মূল টিমে সুযোগ পায়নি। দ্বিতীয় সিজনে ভালো পারফর্ম করে মূল টিমে সুযোগ পেয়েছিলাম এবং ইন্ডিয়া পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের এগেনস্টে খুব ভালো পারফরমেশন করেছিলাম।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস

এরপর থেকে ঢাকা লিগগুলো খেলা শুরু করি। এবং কাঁচা টাকার সন্ধান পেয়ে যায় যা ওই বয়সে আমার কাছে অনেক বড় কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একটি ম্যাচ খেলার জন্য ওই 19 বছর বয়সে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আমি নিয়ে থাকতাম। এবং এই কাঁচা টাকা পাওয়ার ফলে তখন আমি এই টাকাগুলোকে তেজ পাতার মতো খরচ করতে থাকি।

বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন সবার পিছনে টাকা খরচ করতে থাকি এবং যখন যেখানে যাওয়ার এবং খাওয়ার ইচ্ছা করছিল তাই করতে থাকি। তখন আমি টাকা জমা রাখার কথা মাথায় রাখিনি কারণ সবেমাত্র আমার দিন শুরু হচ্ছিল আরো সামনের দিন তো পড়ে আছে টাকা জমানোর জন্য তাই ভাবছিলাম। তখন মনে মনে এটাই ভাবছিলাম এখন তো নিচ্ছি ১ লাখ টাকা আর কিছুদিন পরে কোটি টাকা নিয়ে খেলতে পারবো তখন কি করব।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস

তার এক বছর পরে আমার জীবনে একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আমি চার তলা থেকে পড়ে যাই এবং আমার পায়ের লিগামেন্টে এবং ডান হাতের সোলডারে প্রচণ্ড পরিমাণে আঘাত হয় যাতে আমার হাতটা ভেঙে একদম গুরু গুরু হয়ে গিয়েছিল।

কি কারনে কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল তা নিয়ে অন্য একদিন আলোচনা করব।

ও আপনাদেরকে তো বলাই হয়নি আমার পজিশন বা আমার খেলার ধরন কি ছিল। আমি ডানহাতি অফ স্পিনার ও ডানহাতি মিডেল অডার ব্যাটসম্যান ছিলাম।

ওই দুর্ঘটনার পর থেকে আমার খেলাধুলার কেরিয়ারের ইতি টানতে হয়। ওই এক্সিডেন্ট এর কারনে আমাকে টানা এক বছর মেডিকেলে এডমিন থাকতে হয়েছিল এবং আরো এক বছর বেড রেস থাকতে হয়েছিল। আমি কিন্তু এখনো পুরোপুরিভাবে সুস্থ নয় আমি খুব জোরে দৌড়াতে পারি না এবং বল জোরে একটা থ্রু করতে পারি না ভালোভাবে।

যাইহোক খেলাধুলার ক্যারিয়ার তো ইতি টেনে নিলাম এখন তো কর্ম করে খেতে হবে পড়াশোনাও তেমন আর করতে পারলাম না। কোনরকম টানা হেচড়া করে ইন্টার করলাম। এবার আমি বেকার ও টাকা-শূন্য হয়ে পড়লাম তখন বুঝতে পারলাম সঠিক সময়ে আমি টাকা চিনতে পারিনি এখন তার জন্য অনুতপ্ত হচ্ছি।

যাইহোক এখন টাকা পয়সা রোজগার করতে হবে। তাই বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম এর মধ্যে আমাদের এক রিলেটিভ খবর নিয়ে আসলো ওমানে তার কাছে ভালো একটি ভিসা আছে কাজ হল স্বর্ণের দোকানে সেলম্যান হিসাবে। আমিও আমার মা রাজি হয়ে গেলাম, টাকা লাগবে সাড়ে তিন লাখ টাকা ওমার যাওয়ার জন্য।

এবার টাকার জোগাড়ের পালা কোথা থেকে জোগাড় করি এতগুলো টাকা। মায়ের কাছে যা ছিল তাও তো আমার পিছনে খরচ করেছে আর আমিও যা কামিয়ে ছিলাম তা তো তেজপাতার মত উড়িয়ে দিয়েছি। এবার আত্মীয়স্বজনের কাছে খবর দিলাম আমাদেরকে কিছু টাকা ধার দেয়ার জন্য, কিন্তু আমাদের আত্মীয়-স্বজন কেউ ওই সময়ে টাকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না বা দিতে চাচ্ছিল না কারণ তখন তো আমরা নিঃস্ব প্রায় কিন্তু যদি কাগজে-কলমে হিসাব করি আমরা তাদের কাছে না হলেও ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পাবো যা অল্প অল্প করে তারা আমাদের কাছ থেকে নিয়েছিল সাহায্যের নামে।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস

যাইহোক কোনরকম টাকা ম্যানেজ করলাম অল্প জমি বিক্রি করে এবং কিছু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আর অল্প কিছু আমার একজন বন্ধুর কাছ থেকে নিয়ে। তারপর ২০১৫ সালের ১৫ই ডিসেম্বর ওমানের উদ্দেশ্যে গহনা হলাম ১৬ই ডিসেম্বর ওমান গিয়ে পৌঁছালাম। ওমান পৌছানোর পরে বুঝতে পারলাম আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি কারণ আমার যেই আত্মীয় আমাকে স্বর্ণের দোকানের সেলম্যান হিসেবে নিয়ে এসেছে তা আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা ছিল আমাকে নিয়ে আসা হয়েছিল এক কোম্পানিতে যাদের কাজ ছিল রাজমিস্ত্রির কাজ।

আমি বাসায় কল করে কান্নাকাটি করতে লাগলাম আমি কিভাবে রাজমিস্ত্রি কাজ করব এই কাজ তো আমি কখনো করিনি। বাংলাদেশ থেকে আমার মাও কান্নাকাটি করছে এখন কি হবে। যাই হোক দুদিন কাজে গিয়েছি তারপর আর কাজে যেতে হয়নি।

আর কেন যেতে হয়নি এই গল্পটি আমি আমার অন্য একটি পোস্টে করেছি সেই পোষ্টের লিংকটি আমি এখানে দিয়ে দিব আপনার জানার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই পোস্টটি পড়ে জেনে নিতে পারবেন।এই পোস্টটি পড়লে জানতে পারবেন

যাইহোক বিদেশ করাকালীন অবস্থায় ভালই ইনকাম হচ্ছিল এবং আবার আমাদের পরিবারের সচ্ছলতা ফিরে আসতে শুরু করে। এবং ওই যে যেসব আত্মীয়-স্বজনরা আমাদেরকে ওই সময় সাহায্য সহযোগিতা করেনি তাদের সাথে আবার যোগাযোগ স্থাপন হয়। এবং তাদের সাথে আবার নতুন করে সুসম্পর্ক শুরু হতে থাকে। আত্মীয়-স্বজন বলতে তারা হল আমার আপন চাচা, চাচি, খালা, খালু এরাই।

আর এভাবেই তিন বছর পার হয়ে গেল এবং তিন বছর পরেই আমি দেশে বেড়াতে আসলাম এবং আমার মা আমাকে বিয়ের জন্য জোর করছিল এবং আমি তার কথায় বিয়ে করে ফেললাম। এরপর তিন মাস পরে আমি আবার বিদেশ ফেরত চলে গেলাম ঠিক তার ২৩ দিন পরে আমার আম্মা মারা যায় তার দাফন দেয়া ও জানাজা পড়ার জন্য আমি আবার দেশে আসি এবং তার সকল আনুষ্ঠানিক কাজ শেষ করে ৪০ দিন পরে আবার বিদেশে চলে যায়।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস

তা ঠিক এক বছর পরেই আমি আবার ছুটিতে আসি ২০২০ সালে এসে তো মহামারী করোনার সম্মুখীন হয়। করোনার সেই সময় বিদেশ যাওয়ার কোন সুযোগ ছিল না যার কারণে আমার ভিসাটি এক্সপেয়ার হয়ে যায় এবং আর যাওয়া হয়নি আমার। কিছু টাকা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম এবং কিছু টাকা জমা হয়েছিল সেগুলো দিয়ে একটি হাঁসের ফার্ম শুরু করি ইউটিউব দেখে।

এবং সেই ফার্মটি আমার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল কারণ সেই বিজনেসটাতে আমি লস করে বসি। আবার যেই শূন্য সেই শূন্য হয়ে গেলাম। তখন আমার কাছে একটি তিন চাকার অটো গাড়ি ছিল যে অটো গাড়িটি আমি কিনেছিলাম এক লাখ আশি হাজার টাকায়। সেটি একজনকে ভাড়ায় চালানোর জন্য দিয়েছিলাম কিন্তু সে ঠিকমত টাকা না দেয় রাগ করে 90000 টাকায় বিক্রি করে দিন। কারণ ড্রাইভার দের সাথে প্রতিদিন ঝগড়া করতে হয় টাকার জন্য যা আমার কাছে মোটেও ভালো লাগতো না।

ঠিক ওই সময়টাই আমি কিছু অনলাইন ইনকামের সন্ধান পায় যা ছিল এড দেখে ইনকাম করা এবং সেখানে ইনভেস্ট করতে হয় আমাদের এখানকার অনেক লোকে ইনকাম করেছে। এবং ওই সময়টায় আমি তো পাগল হয়ে আছি ইনকামের জন্য কারণ আমার তো চাকরি নাই ব্যবসা নাই গাড়ি নাই কি করে সংসার চালাবো তাই আমি ঠিক করলাম ওই অ্যাপসগুলোতে টাকা ইনভেস্ট করব এবং করেও ফেললাম আশি হাজার টাকা।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস

আমি ইনভেস্ট করার এক সপ্তাহ পর অ্যাপস বন্ধ হয়ে গেল আমার কাছে এমন মনে হচ্ছিল ওই সময়টায় আমার টাকা ঢুকানোর জন্যই মনে হয় এই অ্যাপস কোম্পানি অপেক্ষা করছিল। মরার উপরে খারার ঘা দিতে।

আমার অবস্থাও এমন হলো একে তো মরা তার উপরে আরো মারতেছে। যাই হোক তারপর অনলাইনে ঘাটাঘাটির পর এয়ার ড্রপের সন্ধান পায় বেশ কিছুদিন এয়ার ড্রপ করি কিন্তু তার থেকে এক ডলারও ইনকাম করতে পারে না। এভাবে এক দুমাস কাটার পরে এক ইউটিউবারের ভিডিওর মাধ্যমে এই ব্লক চেন সম্পর্কে জানতে পারি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর কি অক্টোবর মাসে আর সেই থেকেই আমার ব্লগ চেনের সাথে পথ চলা শুরু হলো। তার পাশাপাশি ট্রেট করাও শুরু করলাম।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস

অনলাইনে কাজ করার তিন মাস পরেই আমার সন্তান এই পৃথিবীতে আসে এবং সে পৃথিবীতে আসার জন্য যত অর্থ খরচ করতে হয়েছে তার সম্পূর্ণটাই আমি এই অনলাইন থেকে ইনকাম করে দিয়েছি। টাকা লাগার কারণ ও সিজারে ডেলিভারি হয়েছে ২০২১ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর।

image.png

কপিরাইট মুক্ত ছবির উৎস

আমার সাথে যারা অনলাইনে কাজ করে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আমার ছেলেকে বলে অনলাইনের বাচ্চা ওই যে অনলাইনে ইনকাম দিয়ে তার চিকিৎসা করা হয়েছে বা এই পৃথিবীতে আসার জন্য সকল খরচ অনলাইনে টাকায় হয়েছে তাই, অবশ্য আমিও তাদের সাথে একমত পোষণ করি আসলেই তো সত্যি তাই না আপনি কি মনে করেন?

আর সেই থেকেই আজ পর্যন্ত আমি এই ব্লকচেন এর সাথে যুক্ত আছি। আশা করি ভবিষ্যতেও থাকবো এবং আমার স্বপ্ন বা ইচ্ছে হলো আমার ছেলেকেও আমি এই ব্লকচেন সেক্টরে নিয়ে আসবো সে যখন বড় হবে তখন। আমি চাই তাকে যেন চাকরির পিছনে ছুটতে না হয়। সে যেন অনলাইনে একটি ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে পারি যেটি এখনো আমি সম্পূর্ণরূপে করতে পারিনি।

কিন্তু এখন আমি অল্প অল্প করে স্বপ্ন দেখছি এই কমিউনিটিতে জয়েন করার পর থেকে। আশা করি এই কমিউনিটি থেকে আমার একটি নতুন ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু হবে এবং অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবো। কারণ এই কমিউনিটির প্রত্যেকটি মেম্বার, মডারেটর এবং এডমিন মহোদয় অত্যন্ত আন্তরিক ও বিনয়ের সাথে আমাদের সবকিছু বুঝিয়ে দেন।

আমি আরো অনেকদিন আগেই এই কমিউনিটিতে জয়েন করতাম কিন্তু কোন এক কারণে এই কমিউনিটিতে আমি জয়েন করিনি যেটা আমার সম্পূর্ণ বোকামি ছিল যা আমাকে আমার এক কলি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

তিনি এই কমিউনিটির এডমিন মহোদয়ের অনেক প্রশংসা করেছেন এবং আমাকে এই কমিউনিটিতে কাজ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এবং আমি আজ এই কমিউনিটিতে পোস্ট করার সুযোগ পেয়েছি শুধুমাত্র তার উৎসাহের কারণে।

তো প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকে আমি এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদেরকে অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেছি জানিনা কতটুকু বোঝাতে পেরেছি এবং আপনারা এই পোস্ট থেকে কি বুঝেছেন এবং কি শিক্ষা পেয়েছেন অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

image.png
আমার ফোনের স্ক্রিনশট

এই পোস্টটি আমার যখন লেখা শেষ হল তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ৪:০৫ AM বাজে। যাই এবার ঘুমাই সকালে উঠে ইনশাআল্লাহ পোস্ট করব।

আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টটি আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পড়ার জন্য।

Sort:  
 last year 

আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া জীবন গল্প। খুব ভালোভাবে উপস্থাপনা করেছেন। সুখ দুঃখ নিয়েই আমরা পৃথিবীতে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। একটু সুখের জন্য এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছি। আপনার জীবনের সুখ এবং দুঃখ আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করার জন্য।

Loading...
 last year 

আমাদের জীবনটা খুবই কঠিন বাস্তবতার কাছে আমরা দিন দিন হেরে যাচ্ছি! আপনার কাছে যখন টাকা আসতে শুরু করলো! তখন আপনি সেই টাকাটা সবার পেছনে উড়িয়ে দিয়েছেন! জমা করতে হবে এমন কিছুই চিন্তা করেননি।

পরিশেষে আপনাকেই পড়তে হলো বিপদে ওমানে গিয়েও আপনি তেমন একটা সুযোগ করতে পারেননি! কারণ আপনার আত্মীয় আপনার সাথে মিথ্যা কথা বলেছে।

আসলে আমাদের জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে যে ঘটনা গুলোর বিশ্লেষণ করতে গেলে অনেক বড় হয়ে যায়। আজকে আপনার পোস্ট পড়তে গিয়ে বাস্তবতা চোখের সামনে চলে আসলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জীবনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

 last year 

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমি আপনার উপদেষ্টা মানার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আমার জন্য একটু দোয়া করবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60252.67
ETH 2426.43
USDT 1.00
SBD 2.44