সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু সময়
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
মানুষ বৃদ্ধ হওয়ার পর তার আর উপার্জনের কোন মাধ্যম থাকে না, যদি সে সরকারি চাকরি করে থাকে তাহলে অবসরে যাওয়ার পর প্রতি মাসে পেনশন পায়, কিন্তু যারা সরকারি চাকরি করে না, তারা বৃদ্ধ হওয়ার পর অন্যের অধীনে চলতে হয়, তার সন্তানদের দায়িত্ব হয়ে যায় তাকে দেখাশোনা করার, কিন্তু তার নিজস্ব কোন উপার্জনের মাধ্যম থাকে না, যার কারণে অনেক সময় ঐ মানুষটাকে কষ্ট করতে হয়।
অনেক মানুষ বৃদ্ধ হওয়ার পর পরিবারের বোঝা হয়ে যায়, কেউ তাকে দেখতে পারে না, কেউ তার খোঁজ খবর নিতে চায় না, অনেক মানুষ বৃদ্ধ হয়ে গেলে তার পরিবারের মানুষ তাকে বিদ্ধাশ্রমে রেখে আসে, তখন তাদের মনের কষ্টটা অনেক বেড়ে যায়, নিজের পরিবার থেকে দূরে থাকতে তাদের অনেক কষ্ট হয়, কর্ম ক্ষমতা না থাকার কারণে সবাই তার সাথে মন্দ ব্যবহার করতে থাকে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে।
বর্তমান বাংলাদেশ সরকার মানুষের বৃদ্ধ অবস্থার কথা চিন্তা করে "সর্বজনীন পেনশন স্কিম" চালু করেছে। এই স্কিমের মাধ্যমে মানুষ বৃদ্ধ বয়সে নিজের একটা উপার্জনের সুযোগ থাকবে, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের সকল মানুষ এই স্কিমে অংশ নিতে পারবে, বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছর বয়সের উপরের মানুষ এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। যারা এই স্কিমে অংশগ্রহণ করবে তারা আজীবন পেনশন সুবিধা পাবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে, সমতা, সুরক্ষা, প্রগতি এবং প্রবাস, মানুষের শ্রেণী বিন্যাস এর উপর নির্ভর করে এই ভাগগুলো করা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সেই সমস্যাগুলো এর সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এই স্কিমের উদ্দেশ্য হচ্ছে বৃদ্ধ বয়সে কেউ যেন অবহেলার শিকার না হয়।
আজকে সকালে আমাদের সিরাজগঞ্জ জেলার সকল ইমামদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এ কে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক জনাব ফারুক আহমেদ। সকাল দশটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সকাল দশটায় অনুষ্ঠান শুরু হলেও আমাদের উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল একটু আগে, যারা আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সকলকে গতকাল বলা হয়েছে যে, আজকে নয়টার আগে সবাই সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকবে। কিন্তু সকাল থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মানুষ সময়মত উপস্থিত হতে পারে নাই, যে কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে একটু দেরী হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ হওয়ার পর তিনি নিজে হাতে একজনের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের একাউন্ট করে দেন, এরপর অনুষ্ঠান শেষ হলে উপস্থিত অধিকাংশ মানুষ একাউন্ট করে, একাউন্ট করা শেষ হলে আমরা বাড়ি ফিরে আসি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
https://x.com/hmahmud552/status/1808936553613570150
আজকে অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে একটি পোস্ট লিখেছেন সেটা আমার কাছে অনেকটাই ভালো লেগেছে, এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ ফটোগ্রাফি উঠানো হয়েছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আমার পোস্ট আপনার কাছে ভাল লেগেছে দেখে ভাল লাগল, দোয়া করবেন যেন ভাল কিছু করতে পারি, আবারও ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
সরকারি চাকরিকে বলা হয়ে থাকে সোনার হরিণ আর এই জন্যই বলা হয়ে থাকে চাকরির শেষে তারা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পায় প্রতি মাসে আর এটাতেই বৃদ্ধ বয়সে তারা চলে থাকে।। আসলে অনেক সময় দেখা যায় সরকারি চাকরি থাকার জন্য বয়স্ক হওয়ার পরও ছেলেমেয়েরা খোঁজ খবর রাখে আর অনেক সময় দেখা যায় বাবা-মার রোজগার না করতে পারলে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রম রেখে আসে।।
আর হ্যাঁ বর্তমান সময়ে শুনতেছি সরকারি চাকরির কোন পেনশন রাখবে না।। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।।
বর্তমান সময়ে যারা সরকারি চাকরিতে জয়েন করবে তারা অবসর এর পর পেনশন পাবে না, তাদেরকেও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে হবে, ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য, ভাল থাকবেন।
এখন অনেক কিছুর নিয়মই পরিবর্তন করা হচ্ছে হয়তো অনেক কিছু ভেবেই এমন পরিবর্তন।। যেরকম পরিবর্তন করুক না কেন সবকিছুই মেনে নিতে হবে তা ছাড়া কিছু করার নেই।।
ঠিকই বলেছেন ভাই, যত নিয়ম পরিবর্তন হোক আমরা সেটা মেনে নিতে বাধ্য, বর্তমানে এই বিষয়টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করতেছে, তারপরেও নিয়ম যখন করেছে মানতে হবেই।
আমি অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি এরকম নিয়ম যত আন্দোলন করা হোক না কেন সেটার পরিবর্তন হয় না তাই আন্দোলন না করে সবকিছু মাথা পেতে নিতে হয়।।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন এবং সেখানকার বিস্তারিত আমাদের মাঝে খুব ভালোভাবেই উপস্থাপনা করছেন।
সরকারি চাকরির একটা জিনিসই লাভ জনক সেটি হল শেষ বয়সে পেনশান। যৌবনকাল যেহেতু সরকারের কাজে উৎসর্গ করে দিয়েছেন সেহেতু সরকারের দায়িত্ব শেষ বয়সে ওই ব্যক্তি দায়িত্ব নেওয়া।
পেনশনের জন্যই মানুষ সরকারি চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করে, শেষ বয়সে যখন উপার্জনের ক্ষমতা থাকে না তখন কারো উপর ভরসা করে থাকতে হয় না। পেনশনের টাকা দিয়েই সংসার চলে যায়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।