The Diary Game || 7th May "একটি ব্যস্তময় দিনের গল্প"
![]() |
---|
- প্রথমেই শুকরিয়া আদায় করছি আপনাদের মাঝে আবারো ফিরতে পেরে। মাঝে মাঝে এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ি দম নেওয়ার ও সুযোগ হয় না।।। ঠিক তেমন সময় যাচ্ছে এখন আমার। তবু ও হাজারো ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অনেক কাজের মাঝেও একটু প্রশান্তি দিতে চাই আর এই প্রশান্তি দেওয়ার জায়গা টা হলো আমার এই প্লাটফর্ম।।। যাইহোক মূল কথায় যাওয়া যাক আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করবো। তো চলুন শুরু করছি।
আমি ঢাকায় আসছি অন্যদিকে বাড়িতে নতুন ধান উঠেছে আর ধান তোলার জন্য অন্য জেলার লোক এসেছে আমাদের বাড়িতে, তারা দুই দিন থাকবে এবং সব ধান গুলো বাড়িতে এনে দিবে। এছাড়াও আমাদের কাজের খালাম্মা তো রয়েছে কিন্তুু তবুও আমার মনে হলো এই সময় টা তে আমার শাশুড়ি আম্মার পাশে থাকা টা একটু প্রয়োজন।
তাই আমি হাজব্যান্ড কে বললাম আজ এই আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিতে এবং আমি তিন দিনের জন্য বাড়িতে যাবো, আমার কথা শুনে তিনি প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে রাজি হলেন। তাই আমিও সকাল-সকাল তার জন্য বেশি করে রান্না করে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করলাম। আমার অনুপস্থিতে এই খাবার গুলো তাকে অনেক সাহায্য করবে কষ্ট করে আর রান্না ঘরে যেতে হবে না।।
![]() |
---|
- আজ সকালে খুব দ্রুত এই ঘুম থেকে উঠে ছিলাম। ব্যস্ত তা থাকলেও তার মাঝে বারান্দায় গিয়েছিলাম খুব সুন্দর একটি সূর্য অস্ত দেখার জন্য। এরপরে রান্না বান্না শেষ করে, রেডি হয়ে নিয়েছি দেশের বাড়ি যাওয়ার জন্য। এরপরে আমার হাজবেন্ড এসে আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিলেন। যেহেতু তাড়াহুড়ার কারণে খুব একটা খাওয়া হয়নি। তাই হাজবেন্ড কিছু খাবার কিনে দিলেন আমাকে এবং বার বার বলছিলো খাবার গুলো খেয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তুু আমি গাড়িতে খুব একটা খেতে পারি না তাই আর খাওয়া হয়নি, তবে আমার কাছে তার এই ব্যাপার টা ভীষণ ভালো লেগেছে।।।খুব একটা দেরি হয়নি তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
প্রথমেই শ্বশুর বাড়ি আসলাম যদিও বাবার বাড়ি কাছে দিয়ে এসেছি তবুও ওখানে যাওয়ার আর সাহস হয়নি। কারণ বাড়িতে নতুন ধান উঠেছে আর উঠোনে এরকম ধান রেখে বেড়ানো টা ঠিক হবে না। তাই শ্বশুর বাড়িতে এই আসলাম। এসে হাতমুখ ধুয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছে রান্না, সাথে ছিলো দেশি মুরগির ঝোল। বেশ কয়েক দিন পরে মনে হয় তৃপ্তি করে খাবার খেলাম।
![]() |
---|
এরপরে কিছুটা সময় রেস্ট নিলাম চারদিক টা একটু ঘুরে দেখলাম। কয়েক এক দিন হলো গিয়েছিলাম কিন্তুু বাড়ি ফিরে মনে হলো অনেক টা মাস এই বাড়ি মায়া ছেড়ে দূরে গিয়েছিলাম। এর মাঝে চোখে পড়লো কৃষকরা বাড়িতে ধান নিয়ে আসছে। নতুন ধান দেখে ভীষণ ভালো লাগছিলো আমার। তাই আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করে নিলাম।
|
ধান কিছু বাড়িতে আনা শেষ হলো এরপরে ধান মাড়াই করার মেশিন চলে এলো। সব ধান গুলো মাড়াই করা শেষে। আমিও একটু কাজ করার খালাম্মা সাথে হাতে লাগিয়ে ছিলাম। পুরো জায়গা টা ঝাড়ু দিয়েছিলাম। ঝাড়ু দেওয়া শেষে হাত মুখ ধুয়ে এসে শাশুড়ি আম্মা কে রাতের খাবার রান্নার কাজে সাহায্য করছিলাম।
এর মাঝে এই মাগরিবের আযান হলো, এর মধ্যে খেয়াল করলাম প্রচন্ড ভাবে বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। বৃষ্টি দেখে তো মন খারাপ হয়ে গেলো কারণ, উঠোনে অনেক গুলো ধান রয়েছে এখনো, এরপরে শাশুড়ি আম্মাকে নিয়ে সব ধান গুলো ঢেকে রাখলাম। এরপরে মুষল ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই আর কোন দিকে না তাকিয়ে চুপচাপ মেয়েকে নিয়ে বসে রইলাম। এবং সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করতে ছিলাম।
- এইতো এই ছিলো আবার আজকের দিনের কার্যক্রম, চেষ্টা করবো কাজের জায়গা টা তে নতুন করে ফিরে আসার দোয়া করবেন আমার জন্য। এবং সবাই ভাল থাকবেন ধন্যবাদ সবাই কে।।।
আসলে এতগুলো বছর আপনি গ্রামের বাড়িতে শশুর শাশুড়ির সাথে ছিলেন। কারো আপনাকে ঠিক মেয়ের মতই আদর যত্ন করতো, যার কারণে এখন যখন বাড়িতে নতুন ধান উঠার কারণে কাজ বেড়ে গেছে তখন তাদের জন্য আলাদা করে চিন্তা হওয়াটাই আপনার জন্য স্বাভাবিক।
তবে এই রকম একটা কাজের সময় আপনি গ্রামে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটা নিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন।
আপনি যাওয়ার কারণে কাজের পাশাপাশি আপনার শশুর শাশুড়ির মনও ভালো হবে। তাদের বাড়িরা আপনারা চলে আসার কারনে হঠাৎ করেই একদম খালি হয়ে গিয়েছিল।
আমিও ঢাকার বাইরে গেলে খাবার বেশি করে রান্না করে ফ্রিজে রেখে যাই।
ইদানিং ধান মাড়াই করার মেশিন চলে আসার কারণে কাজ অনেকটাই কমে গেছে।
বৃষ্টির সময় যে বজ্রপাত হয় তাতে ভয়ই লাগে।
এত চমৎকার করে আপনার দিনলিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন সবসময়।
You visited hills and spend some time by helping him as well. The foods you prepared on this day is awesome and I really liked the that you plated it so well. Please don't think that your diary is not good, because I really enjoyed it.
Viewing sunset must be fun with friends as it gives us time to invest in right thing.
আপনার এই অনুভুতিটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। কাজের সময় যে শাশুড়ীকে সাহায্য করা আপনার দায়িত্ব সেটা যে আপনি বুঝতে পেরেছেন সেটা দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। কারন এখনকার দিনে এমন চিন্তা করার লোকের খুব অভাব। ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে।