The Diary Game || 24th May, 2024 || খুব সুন্দর একটি বিকাল বেলা ।
Photo edited by canva
বন্ধুরা, আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের মাঝে আবার আসতে পেরে বেশ আনন্দিত। তো চলুন আজকের দিন টা কি ভাবে কাটিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আজকে ঘুম টা ভেঙ্গে ছিলো পাশের বাসায় এক বাচ্চার কান্না শব্দ শুনে। প্রথমে ভাবছিলাম ঘুমের ভিতরে আমার মেয়ে কান্না করছে, পরে বুঝতে পারলাম আমার মেয়ে আমার পাশেই আছে। এরপরে আর ঘুমানো হয়নি কিছুটা সময় শুয়েই ছিলাম। এরপরে উঠে হাতমুখ ধুয়ে অজু করে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলাম।
![]() |
---|
এরপরে, গিয়ে ছিলাম রান্না ঘরের দিকে কারণ, আট টার ভিতরে সকালে রান্না রেডি করতে হবে। তাই আমি সাড়ে সাতটার ভিতরে সকালের নাস্তা তৈরি করে টেবিলে গুছিয়ে রেখে ছিলাম। তবে হাজবেন্ডের ঘুম থেকে উঠার নাম নেই, তাই আমি বারান্দায় চলে গেলাম পানি নিয়ে।
![]() |
---|
আমি যখন দেশের বাড়ি থেকে এসেছিলাম তখন, আমার সাথে করে কিছু বীজ নিয়ে এসেছিলাম, লাউয়ের বীজ, ডাটা শাকের বীজ, হয়তো জেনে থাকবেন আমি আমার শ্বশুর বাড়িতেও শ্বশুরের সাথে একটা সবজি বাগানে কাজ করতাম। সেখান থেকে আমার গাছ লাগানো অন্যরকম একটা নেশা তৈরি হয়েছে। প্রথমে এই বীজ গুলো দেখে আমার হাসবেন্ড আমাকে অনেক ক্ষ্যাপাতে থাকতো, আমার নাকি মাথা নষ্ট এখানে নাকি একটা গাছও হবে না। তবুও তার কথা আর বিরুদ্ধে গিয়ে বীজ গুলো কে লাগিয়ে রেখেছিলাম।
![]() |
---|
বেশি না ৩ থেকে ৪ দিন পরেই দেখতে পাচ্ছি এই অবস্থা কি সুন্দর হয়েছে,, প্রত্যেক টা বীজ থেকে গাছ বের হয়েছে। আর এখন আমার থেকে আমার হাজব্যান্ড এই গাছের যত্ন করে বেশি। তবে, এই গাছ গুলো নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত। এত বেশি পরিমাণে রৌদ থাকে, এত রৌদ থাকলে গাছগুলো মরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যাইহোক, এরপরে সকালের নাস্তা করলাম সবাই মিলে। নাস্তা শেষ করার পরে হাজবেন্ড অফিসে চলে গেল। আমি আমার মেয়ে কে নিয়ে নিচের গেলাম ময়লা ফেলানোর জন্য। ঢাকাতে আসার পরে একটা চিন্তা প্রতিদিনের জন্য থাকে। সেটা হলো ময়লা গুলো কখন ফেলবো। এরপরে রুমে আসি রুমের ভিতরে ঢোকার আগে একটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
এরপরে, দুপুরের রান্নার আয়োজন শুরু করি। কারণ,দুপুর বারো টা আগে চেষ্টা করি দুপুরের রান্না টা সেরে ফেলার জন্য। রান্নাবান্না শেষ করে মেয়ে কে নিয়ে গোসল শেষে যোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। হাজবেন্ড ও বাসায় আসলো এবং নামাজ পড়ে নিলো, এরপরে একসাথে বসে সবাই মিলে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খাবার শেষ করে কিছুটা সময় ভেবেছিলাম বিশ্রাম নিবো তবে, বিশ্রাম নিতে গিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম জানিনা। উঠে দেখি প্রায় চার টা বেজে গিয়েছে এরপরে উঠে হাতমুখ ধুয়ে আছরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
কেন জানি মনটা খুব খারাপ লাগছিলো বাড়ির জন্য। এর মাঝে মেয়ে বায়না ধরেছে নিচে যাবে ঘুরতে, তাই আমিও মেয়েকে নিয়ে নিচে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নিলাম। এর মাঝে হাসবেন্ড বললো চলো আমিও যাবো তাই তিন জনে মিলে বেরিয়ে পড়েছি ঘুরতে যাওয়ার জন্য।
![]() |
---|
![]() |
---|
খুব দূরে যায়নি এই ক্যান্টনমেন্টের ভিতর দিয়েই ঘুরে ছিলাম চারদিক টা দেখছিলাম খুব সুন্দর পরিবেশ, তাই কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। বেশ কয়েক টা দিন পরে বাসা থেকে এভাবে বেরিয়ে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটার পরে মনে হচ্ছিলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছি। তাই সবুজ ঘাসের উপরে বসে বেশ কিছু সময় কাটালাম। এর মাঝে এই সন্ধ্যা নেমে আসলো, মাগরিবের আজান হয়ে গেলো, কিন্তুু কেন জানি বাসায় যেতে মন চাইছে না। তাই আরো কিছুটা সময় এখানেই থেকে কাটিয়ে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
এরপরে বাসায় ফিরে আসলাম, বাসা থেকে যাওয়ার আগেই ভুট্টা সিদ্ধ করে রেখে গিয়েছিলাম। ভুট্টা টা সিদ্ধ বা, ভাজা আমি দুই টা পছন্দ করি। তাই আমরা তিন জনে মিলে ভুট্টা খেয়ে নিলাম। এরপরে মেয়েকে পড়তে বসিয়ে ছিলাম। মেয়ে কে পড়ানো শেষ করার পরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
এই ছিলো আমার আজকের দিনের কার্যক্রম সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeNW8WGqB2SscxBbm243ErNeLe1aTY8yLYdZGXGZgGfeS/3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD_1.gif)
যারা বাগান করতে পছন্দ করে তারাই এর ভেতরের মজাটা খুঁজে পায়। অনেক পরিশ্রমের পর যখন ফল দেখা যায় তখন যেন আনন্দের সীমা থাকে না। আপনার চেষ্টার জন্যই বীজ থেকে গাছ বেরিয়েছে।
উপরের তলায় থাকলে ময়লা ফেলা নিয়ে একটু সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের যদিও পৌরসভার লোক এসে নিয়ে যায়।
সারাদিন বাসার ভিতরে থাকলে আসলে দম বন্ধ লাগে।খুবই ভালো করেছেন বিকেলে বাইরে বেরিয়ে এসে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক কষ্টের পরে আছে সুখ ,, গাছ লাগানোর সময় যেমনটা লাগে কিন্তু গাছে থেকে যখন আমরা ফল পাই তখন এত বেশি ভালো লাগে আনন্দের জন্য আর সীমা থাকেন।।।
একদম ঠিক আমার তো সারাদিন বাসার ভিতরে একদম ভালো লাগে না।। তবে, বের হওয়ার ও উপায় নেই কারণ সংসারের বেশ কাজকর্ম করতে হয় ।তবে যখনই সময় পাই তখনই একটু বাহিরে ঘুরে বেড়ায় এতে মনের ভিতরটা হালকা হয়।।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্না করেছেন। বাসায় যদিও আপনার পাশে শাশুড়ি ছিল। কিন্তু এখন পুরো সংসার আপনাকে একাই সামলাতে হয়। যাই হোক, আপনার লাউ গাছের চারা গুলো দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে।
আপনাদের ঢাকায় যাওয়ার বেশি দিন হয়নি। তাই বাড়ির জন্য খারাপ লাগা স্বাভাবিক একটি বিষয় । এজন্য মেয়েকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টের আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছেন।
সারাদিনের খানিক মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করলে সব কিছু সম্ভব। আপনি গ্রাম থেকে সবজির বীজ নিয়ে এসে বাসায় বীজ রোপণ করেছিলেন। আপনার হাসবেন্ড মনে করেছিলো যে বীজ থেকে গাছ হবে না তবুও আপনার চেষ্টায় সবজির ফলন হয়েছে। আপনার মনের জোরেই এটা সম্ভব হয়েছে।
বাড়ি থেকে আসলে তাদের জন্য মন খারাপ করবে এটাই স্বাভাবিক। মেয়ের বায়নায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
গাছ লাগাতে আমার সব সময় ভালো লাগে আর আমি একটু সবজির দিকে বেশি টান ,, খোলা বারান্দায় যদি সবুজ গাছ থাকে তাহলে তো অনেক ভালো লাগে আর সেই চিন্তা করেই বীজগুলো নিয়ে এসেছিলাম তবে চেষ্টা দ্বারা এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় গাছগুলো সব সুন্দরভাবে হয়েছে।।
গাছের প্রতি তথা প্রকৃতি প্রেম খুব ভালো একটা বিষয় বলে আমি মনে করি। আপনি যে সবজি বাগান করতে কতটা ভালোবাসেন সেটা আপনার কার্যক্রম দেখেই বুঝতে পেরেছি আর ভালোবাসেন বলেই গ্রাম থেকে সবজির বীজ নিয়ে গেছেন। যাক কষ্ট করলে যে তার ফল পাওয়া যায় সেটা হাতে নাতেই প্রমান পেলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকা শহরে গেলে এই কাজটা অবশ্যই সবাইকেই করতে হয়। কেননা বাসায় ময়লা ফেলার মত কোন জিনিস থাকে না। তাই ময়লা ফেলার জন্য বাসার নিচে যেতে হয় ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসতে হয়। আপনার মেয়ে বেশ ভালোই কাজ করেছে। কারণ এই গরমের মধ্যে বাসায় বসে থাকাটা খুব কষ্টকর। আপনারা বাহিরে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করেছেন, ঘুরা ঘুরি করেছেন বেশ ভালো কাজ করেছেন।
আমি সাধারণত জানি ভুট্টা ভেজে খাওয়া যায়, কিন্তু ভুট্টা সিদ্ধ করে খাওয়া যায়, সেটা আমার জানা ছিল না। আজকে প্রথম আপনার পোস্ট পড়তে জানতে পারলাম। অবশ্যই পরবর্তী সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করব। আপনাকে ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
যাক ভালো লাগলো আমার কষ্টের মাধ্যমে আপনি একটা নতুন জিনিস সম্পর্কে জেনেছেন।।
এটা আমিও জানতাম না আমি বেশ কয়েক বার ভুট্টা ভেজে খেয়েছি তবে হাজব্যান্ড বললো এটা নাকি সিদ্ধ করে খাওয়া যায়।
তাই তার কথা মতো এটাকে সিদ্ধ করেছি তবে আমার কাছে মনে হয় সিদ্ধতে অনেক বেশি সময় লাগে আর ভেজে খাওয়ার আরামটাই অন্যরকম।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.@radjasalman
Thank you..
যারা গাছপালাকে পছন্দ করে এবং বাগান করতে পছন্দ করে তারা যেখানেই যাক না কেন সেখানেই ছোটখাটো একটি বাগান তৈরি করে ফেলবেয়। আপনার ছোট ছোট চারা গাছগুলো বেশ সুন্দর, দেখাচ্ছে। যারা গ্রাম অঞ্চলে থাকে তাহারা মুক্ত ও স্বাধীনভাবে থাকতে পারে কিন্তু শহর অঞ্চলে থাকতে গেলে একটি সীমাবদ্ধ এবং একটি আবদ্ধ ঘরে থাকতে হয়। যা আমার কাছে মনে হতো একটি কারাগারের মধ্যে আছি।
যখন এই ঘুরতে যেতাম যখন মনে হতো অক্সিজেন ফিরে পেয়েছি।
কিন্তু আরেকটা বিষয় আপু আপনি যদি হাতটা পিছনে দিতেন তা হলে খুবই ভালো দেখাতে কারণ মূর্তি সাথে মানাতো।
ধন্যবাদ আপু আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন বেশি বেশি করে ঘুরাঘুরি করে ছবি শেয়ার করবেন ধন্যবাদ
একদম তাই এই ব্যস্ত শহর এবং বাসা থেকে বের হলে মনে হয় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছি অক্সিজেন পাচ্ছি অনেক।।
কথাটা কিন্তু একদম মন্দ বলেন নি আর আমি তো খেয়াল করিনি।।
হাত দুখানা সামনে থেকে পেছনে দিলেই বেশি ভালো হতো তবে সমস্যা নেই পরে একদিন করে শেয়ার করবো।।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
আমার বাচচারা যখন ছোট ছিলো তখন আমারো এমন হতো যে, অন্য বাচ্চাদের কান্না কানে আসলে মনে হত যে ওরাই মনে হয় কান্না করতেছে। সব মায়েদের অনুভুতিগুলো বোধ করি একই হয়।
আমাকেও আপনার মতো আটটার মাঝেই নাস্তা বানাতে হয়। আগে যখন ছেলেরা ছোট ছিলো তখন ওরা স্কুলে যেত সাতটার মাঝে, তখন নাস্তা বানানোর কাজ আরও আগে শেষ করতাম।
আপনি গ্রামেও সবজি বাগান করতেন যার কারনে সেই অভ্যাসটা রয়ে গেছে। তবে ওপরে মনে হয় রোদ বেশি। আমি সবজি গাছ লাগিয়ে দেখেছি গাছ হয় কিন্তু খুব একটা ভালো হয় না।
ময়লা ফেলাটা আসলেই একটা ঝামেলার কাজ।
আপনি গ্রাম এর পরিবেশ থেকে এসেছেন তাই আপনার কাছে এখানকার জীবন হয়তো কিছুটা বন্দী জীবনই মনে হবে কিছু। তারপর আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
ভুট্টা ভাজি করে খায় এটা জানি আমি আগে থেকেই৷ তবে সেদ্ধ করে খাওয়ার কথা প্রথম জানলাম আজকে।
বাইরে ঘুরে এসে ভালো কাজ করেছিলেন।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনিও দেখছি আমার মতন ময়লা ফেলা নিয়ে চিন্তায় থাকেন। আমার কাছে দুপুরে বিশ্রাম নেওয়ার মানেই হলো ঘন্টাখানেক ঘুমিয়ে নেওয়া। ভুট্টা সেদ্ধ আমি কখনো খেয়ে দেখিনি তবে ভুট্টা পোড়া আমি খেয়েছি। ধন্যবাদ সারাদিনের কার্যাবলী আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে একা সংসার সামলাচ্ছেন তাই সকালে উঠেই সকল কিছু নিজেকেই করতে হচ্ছে।। অনেকেই রয়েছে তাদের কাজ লাগানো একটা নেশা তার মধ্যে আপনি একজন জেনে ভালো লাগলো।। আসলে সবার মাঝখান থেকে ঢাকায় চলে এসেছে তাই খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক।। আর খারাপ মন ভালো করার জন্য বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।।