Incredible India monthly contest August#2 |My best and worst memories of life.

in Incredible Indialast year

হ্যালো সবাইকে


a994b8e7-5c38-45ed-a19c-f497066cd2bf.jpgcanva

প্রথমে আমি, 'Incredible India' কমিউনিটি ও @meraindia এবং সম্প্রদায়কে অনেক জানাই ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।

আপনারা সকলে কেমন আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। আমি খুব খুশি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে,আজকের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুু হলো বাস্তব জীবনের উপর ভিত্তি করে, আমরা এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবো,জীবনে সবচেয়ে সেরা সময় এবং খারাপ মুহূর্ত গুলো নিয়ে কথা বলতে আমার খুব ভালই লাগে কারণ, এগুলো পিছনে অতীত গুলো মনে করিয়ে দেয়।

pirate-4618530_640.jpgpixabay

✅ আপনি কি মনে করেন যে স্মৃতিগুলো নিজেদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক? কিভাবে বর্ণনা?


আমরা সবাই জানি, মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব। আর এই মানব জীবনের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না নিয়ে আমাদের জীবন। আমরা অনন্দ সময় ও দুঃখ কখনো ধরে রাখতে পারি না। কিন্তুু স্মৃতির পাতায় এটা সব সময় থেকে যায়। এবং আমরা এখান থেকে অনেক কিছু শিক্ষা পেয়ে থাকি, যে টা আমাদের একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আমাদের দেশে বীরশ্রেষ্ঠরা তাদের জীবন দিয়ে হলে ও কিছু স্মৃতি রেখে গেছেন যেটা আমাদের সবার মাঝে এখনো অনেক স্মরণীয় হয়ে আছে, তাই আমি চাই আমার অতীতের স্মৃতি গুলোকে কাজে লাগিয়ে, ভবিষ্যতে সুন্দর শিক্ষা মাধ্যমে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য।

mother-84628_1280.jpgpixabay

✅ আপনার জীবনের সেরা এবং সবচেয়ে খারাপ মুহূর্তগুলি শেয়ার করুন যা এখনও আপনার স্মৃতিতে জীবিত রয়েছে।


আমি আমার বাস্তব জীবন থেকে সবচেয়ে সেরা সময় এবং সবচেয়ে খারাপ মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব

আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা স্মৃতি:

এই স্মৃতিটা আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা একটা স্মৃতি যেটা আমি কখনো ভুলতে পারবো না।প্রতি টা মেয়ের ইচ্ছা থাকে মা হওয়ার ঠিক তেমনি আমারও ইচ্ছা ছিলো মা হওয়ার জন্য,কিন্তুু ডাক্তারে বলে দিয়েছিলাম আমার জন্য এটা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে যাবে,তবু আমি হাল ছাড়িনি,কষ্ট করেছি, আমি পেরেছি একটা ফুট ফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দিতে। মনে হলো, এই প্রথম কারো মুখের দিকে তাকিয়ে আমার সুখ খুঁজে পেলাম সেই স্মৃতি টা আমার চোখে এখনো ঝলমল করে ফুটে ওঠে। সত্যি ঐ দিনটি আমার কাছে স্মরণীয় একটি দিন হয়ে থাকবে।

mistake-1966448_1280.jpgpixabay

আমার বাস্তব জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত:

সেই দিন গুলোর কথা মনে পড়লে আজও নিজের অজান্তে চোখে পানি চলে আসে,তখন আমি সপ্তম শ্রেণীর একজন ছাত্র ছিলাম এবং আমার একজন ব্যবসায়ী ছিলেন মোটা মুটি আমাদের পরিবার টা খুব ভালই চলতেছিল হঠাৎ করে আমার বাবা অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিলেন,আমাকে এবং আমার মাকে রেখে আমার বাবা চলে গিয়েছিলেন বিদেশে, তখন আমার মা সেলাই মেশিনের কাজ করতেন, এবং আমি আর আমার মা সেই জামা, কাপড, গুলো বাজারে নিয়ে বিক্রি করতাম, তখন থেকে আমি বুঝতে পেরেছি জীবন টা কতটা কষ্টের হতে পারে। নিজের জমানো কিছু টাকা দিয়ে আমি ও তখন এক টা সেলাই মেশিন কিনে আমি আর আমার মা দুজনের মিলে সেলাই মেশিনের কাজ করি। এবং সুন্দর ঘর তৈরি করেছিলাম আমাদের থাকার জন্য। অন্য দিকে আমার বাবা বিদেশে গিয়ে তার ঋণ গুলো পরিশোধ করছে পাশাপাশি আমরাও এখান থেকে তাকে হেল্প করেছি।কখনো কিছু মনে চাইলে তা বলতে পারতাম না। কারণ, টাকার অভাবে কিভাবে দিবে আমার মা আমাকে। জীবনে তখন বড় কষ্ট করেছি কখনো ভাবিনি আমি এই পর্যন্ত আসতে পারবো।এটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত তবে, আমি এই কষ্ট থাকা দিন গুলো জন্য অনেক খুশি কারণ। আমি এখান থেকে অনেক ধরনের শিক্ষা পেয়েছি। যেটার জন্য আমি এখন আরো ভালোভাবে নিজেকে তৈরি করতে পারতেছি।এই দিনগুলো আমার সব সময় স্মৃতির পাতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

girl-3528292_1280.jpgpixabay

✅ সেই স্মৃতি নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন, আপনি কীভাবে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন?


ছোটবেলা থেকে আমার অনেক ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে আমি নার্সিং পরবো, কিন্তুু তা আর হল কোথয়া বাবা-মা তো এইচএসসি
পাস করার আগেই বিয়ে দিয়ে দিল, আর শ্বশুর বাড়িতে তো ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। ঘরে বসে যা ইচ্ছা তাই কর। মনে হলো যেন দম টা বন্ধ হয়ে আসছে আমার,,,,
আমি শ্বশুর বাড়িতে সবাইকে ম্যানেজ করে আবার নতুন করে কলেজে ভর্তি হই, কিন্তুু সবাই কথা একটাই ছিল আগে ঘর সামলাতে হবে তারপরে কলেজ। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বেশি কথা শুনতে হয়েছে আমার। আমি সবকিছু মোকাবেলা করে আমি এইচএসসি পাস করেছি।কিন্তুু শ্বশুর বাড়ির লোক আর নার্সিং পড়তে দেয়নি আমাকে। খুব কষ্ট পেয়েছি আমি জীবনে এত কষ্ট করেও ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারলাম না। তবুও আমি হাল ছাড়িনি আবার অনার্সে ভর্তি হয়ে গিয়েছে, এবং তার পাশাপাশি আমি স্টিমেট প্ল্যাটফর্মে কাজ করে যাচ্ছে শুধু নিজের একটি পরিচয় তৈরি করার জন্য।

student-849825_1280.jpgpiaxbay

✅ আপনি এই পরিস্থিতিতে থেকে কোন পাঠ শিখেছেন?


জীবন টা এখনো পরেই আছে। আমার বয়স মাত্র ২৪ বছর এতটুকু জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি আমি অতীত থেকে। যে টা ভবিষ্যতে শিক্ষনীয় হিসেবে কাজে লাগাতে পারি আমি। আমি একজন নিয়োজিত গৃহীনি, আমার কন্যার গর্বিত মা আমি, পাশাপাশি আমি একজন ছাত্রী, এবং অনলাইনের মাধ্যমে স্টিমেটে কাজ করে যাচ্ছি আমি, জানি না আমি, আমার লক্ষ্যে কতটুকু পৌঁছাতে পেরেছি তবে আমি সর্বদা চেষ্টা করে যাব, যতদিন আমার দেহে প্রাণ আছে।অতীতের স্মৃতিগুলো থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি সে। এবং ওই দিন গুলো কথ মাথায় রেখে সামনে এগিয়ে যাবো ভালো করার উদ্দেশ্য।

পরিশেষ বলতে চাই :


আমি যে কোনো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায় না কেন। প্রথমে আমি আমার পড়ালেখা শেষ করতে চাই এত ভিতর দিয়ে আমি আমার মেয়েকে একজন ভালো,ও সৎ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবো। একজন মা হিসেবে যতটুকু দায়িত্ব পালন করা উচিত আমি সব টাই আমার মেয়ের জন্য করব।এবং সব সময় নিজেকে কাজের ভিতর দিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমি এবং ভালো কিছু করতে চাই। আমি পৃথিবীতে না থাকলেও আমার স্মৃতিগুলো যেন মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকে।

বাস্তব জীবনের কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি যদি ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

25% to @null to support #burnsteem25
10% of this payout for @meraindia

I would like to invite my friends, @sairazerin,@hasnahena, and @rimirahman to participate in


◦•●◉✿ Thank You ✿◉●•◦

Here are my Verified links:

Achievement -4

Picsart_23-01-14_15-48-49-892.png

Sort:  
Loading...
 last year 

@karobiamin অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে, ভালো ও মন্দের সংমিশ্রণে ই জীবন ।প্রতিটা মুহূর্ত ই আমাদের কিছু না মেসেজ দিয়ে যায়। আপনার জীবনের ও উৎখাত পতন ছিল তা আপনি আপনার মা বাবা মিশে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছেন। আপনার মেয়েকে ও প্রতিস্ঠিত করতে যা করা প্রয়োজন একজন মা হিসেবে তাই করতে আপনি সদা প্রস্তুত। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন আপু।

 last year 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য
আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা

 last year 

সর্বপ্রথম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আমাদের জীবনটা ভালো মন্দ সবকিছু মিলিয়ে চলে। একজন নারী তার মানে,, একজন যোদ্ধা। একজন নারী সংসারের কাজ সামলে নিয়ে সন্তানদেরকে সামলাতে হয়। তার সাথে যদি সে নিজে কিছু করতে চায়,,, সে কাজগুলো সম্পন্ন করতে হয়।

আমার কাছে মনে হয়েছিল আপনিও ঠিক তেমনি একজন। একজন গৃহিণী একজন মা একজন ছাত্রী এবং অনলাইনে কাজ করা একজন কর্মী। দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন,, ভবিষ্যতেও করে যাবেন এই আশাটাই রাখছি।

কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সততা যদি থাকে,,, তাহলে সাফল্য কোন না কোন একদিন ঠিকই ধরা দেবে।পরিশ্রম করে যান ইনশাল্লাহ একদিন সফলতার মুখ দেখতে পাবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

 last year 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য আপনার এত সুন্দর কমেন্ট দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি
আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা

আপনার জন্য রইল অভিনন্দন আপু। ছোট থেকে আপু আপনি মা বাবার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন। এখন সংসার জীবনে এসে সংসার চালানোর পাশাপাশি পড়াশোনা করছেন, সংসার, সন্তান, শশুর শাশুড়ি এবং অনলাইনে কাজ করছেন। একজন নারী শুধু পারে সব দিক দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে।এগিয়ে যান সামনে অনেক পথ পরে আছে। আপনার চলার পথে যেন কোন বাধা না আসে এই দোয়া রইলো।

 last year 

অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।আপনি যে আপনার জীবনে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন তার একটি চমৎকার নমুনা আমরা পেলাম।আসলে নারীর জীবনটাই এমন।

প্রতি পদে পদে নারীর জন্য কোনো না কোনো বাধা চলে আসে। আর আমরা নারীরা সব সময় চেষ্টায় থাকি সকল বাধাকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাবার জন্য।

এখন পর্যন্ত আপনার পারফরম্যান্স খুবই ভালো। আপনি সন্তানের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা আপনার লেখাতে ফুটে উঠেছে। আবার আপনার অনেক শখ ছিল আপনি নার্স হবেন।হতে পারেননি ।এতে মন খারাপ করবেন না।কারণ মানুষের সেবা যে শুধু নার্স করতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনি আপনার নিজের জায়গা থেকেও মানুষের সেবা করতে পারেন ।

পরিশেষে বলতে চাই আপনি আপনার পথে ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাবেন। নিশ্চয়ই আপনার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

 last year 

আপু, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে একটা কমেন্ট করার জন্য, সত্যি এই রকম আপনাদের সাপোর্ট পেলে আমি আমার সামনের দিন গুলো সুন্দর ভাবে এগিয়ে যেতে পারো,ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, মনে যত্ন নিবেন, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা

আপনার পোষ্টটি পরে অনেক ভালো লাগলেও আসলে এইটা একটা জীবন সংগ্রাম যুদ্ধের মত সমতুল্য যা এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে আপনার বাবার এই বিপদে আপনার মা এবং আপনি যা করেছেন তা একজন দ্বায়ীত্ববান ব্যাক্তিত্ব ফুটে উঠেছে। বাবার ছায়াতল ছাড়া জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা যে কত কষ্টের তা আপনি অনায়াসে তুলে ধরেছেন। তাছাড়া আপনি আপনার শ্বশুড়বাড়ী থেকে আপনার লেখাপড়া চালিয়ে এতদুর আসতে পেরেছেন খুব ভালো লাগলো। আসলে শ্বশুড়বাড়ী থেকে পড়াশোনা চালানো খুবই কঠীন। আপনার জীবনের সাফল্য কামনা করি এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

 last year 

ভাইয়া,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য, আমি খুশি হয়েছি, এই ভাবে সাপোর্ট ও দোয়া থাকলে আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58241.28
ETH 2648.33
USDT 1.00
SBD 2.45